পন্টিংই অস্ট্রেলিয়ার দুর্বলতা!
অধিনায়ক হিসেবে রিকি পন্টিংয়ের অবস্থান কোথায়? যদি বলা হয়, কানাডার আশিস বাগাই, আয়ারল্যান্ডের উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড, হল্যান্ডের পিটার বোরেনদেরও নিচে! অনেকে হা রে রে করে তেড়ে আসতে পারেন। ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সফল অধিনায়ককে কিনা ঠেলে দেওয়া হচ্ছে অখ্যাতদেরও পেছনে!
যদি বলা হয়, এবার বিশ্বকাপে রান তোলার দিক দিয়ে অধিনায়কদের তালিকা করুন, পাঁড় পন্টিং-ভক্তকেও কিন্তু মানতে হবে; অস্ট্রেলীয় অধিনায়কের অবস্থান নেই দশে। গ্রুপ পর্বে ১০২ রান করেছেন পন্টিং, গড় ২০.৪০। কোনো ফিফটি নেই। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসটি ৩৬ রানের! যুবরাজ সিং তাই বলছেন, এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে স্পর্শকাতর জায়গাটিই হলো তাদের অধিনায়ক। মোক্ষম আঘাতটা তাই হানতে হবে সেখানেই।
যুবরাজ যেন পন্টিংয়ের ভাগের রানগুলোও চুরি করে বসে আছেন। কী দারুণ ফর্মেই না আছেন! অথচ গত বছর বাদও পড়তে হয়েছিল তাঁকে। খেলাই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। গ্রুপ পর্বেই তিনবার ম্যাচসেরা হওয়া যুবরাজ পরশু সেঞ্চুরিও করেছেন। কোয়ার্টার ফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি হওয়ার আগে তোপ দাগানোর দায়িত্বটাও এই বাঁহাতিই নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন।
এমনিতে অস্ট্রেলিয়া তাঁর প্রিয় প্রতিপক্ষও। নিজের অভিষেক ইনিংসটাই ছিল অস্ট্রেলীয়দের বিপক্ষে। ২০০০ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির যে ম্যাচের কোয়ার্টার ফাইনালে যুবরাজের ৮৪ ‘নকআউট’ করে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে। বৃহস্পতিবার যুবরাজ হয়ে উঠতে পারেন অস্ট্রেলিয়া-হন্তারক।
বিশ্বকাপে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের ইতিহাস অবশ্য ভারতের জন্য প্রেরণাদায়ী নয় মোটেও। ৯ ম্যাচের মাত্র দুটি জিতেছে তারা। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদের সর্বশেষ জয়টিও সেই ১৯৮৭ সালে। যুবরাজ কিন্তু বলছেন, ‘অস্ট্রেলিয়া খুবই ভালো দল সন্দেহ নেই। ওরা গত তিনবারের চ্যাম্পিয়নও। কিন্তু এই দলটায় গ্লেন ম্যাকগ্রা, শেন ওয়ার্ন, অ্যাডাম গিলক্রিস্টের মতো খেলোয়াড় নেই। পন্টিং থাকলেও ওর ব্যাটে রান-খরা। ওদের দুর্বল জায়গাতে আঘাত হেনেই আমরা ম্যাচ জেতার চেষ্টা করব।’
অস্ট্রেলিয়াও নিশ্চয়ই আঘাত হানবে ভারতের দুর্বল জায়গায়। তবে এখানেও দেখা যাচ্ছে যুবরাজ আগে থেকেই প্রস্তুত। টেইট-লি-জনসন—পেসত্রয়ী যে একের পর এক শর্ট বল ছুড়বে, যুবরাজ সেটি ভালো করেই জানেন, ‘দেখুন, শর্ট বলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমরা টেস্ট-ওয়ানডের এক নম্বর দল ছিলাম। শর্ট বল খেলতে না পারলে তো আর বিশ্বসেরা হতে পারতাম না। আমরা খুব ভালো করেই জানি অস্ট্রেলিয়ার শক্তি হলো তাদের গতি। যে গতি দিয়ে ওরা উইকেটও পেয়েছে। আমরা তাই এর জন্য প্রস্তুত।’
অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখিটা একটু আগেই হয়ে গেল কিনা, এ নিয়ে ভারতের একটা অংশের মনে প্রশ্ন আছে। যুবরাজ অবশ্য বলছেন, শিরোপা জিততে চাইলে যেকোনো দলকে হারানোর ক্ষমতা থাকতে হবে। বোঝাই যাচ্ছে, যুবরাজ বেশ আত্মবিশ্বাসী। তা ছাড়া ভারত খেলবে নিজেদের মাটিতে।
আত্মবিশ্বাসী পন্টিংও। কদিন আগে বলেছিলেন, বড় ম্যাচের জন্য রান জমিয়ে রাখছেন। কে জানে, এই ম্যাচই সেই ম্যাচ কিনা। পন্টিংয়ের নিজের দাবি, রান না পাওয়াটা নেহাত দুর্ভাগ্য, ‘টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত যদি দেখেন, আমি প্রথম ম্যাচে রানআউট হলাম। এর পর লেগ সাইড দিয়ে স্টাম্পিং। এদিন (পাকিস্তানের বিপক্ষে) এমনভাবে মেরেছিলাম, বল কিপারকে পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়াই উচিত ছিল। কিন্তু বল আটকে গেল গ্লাভসে।’
যদি বলা হয়, এবার বিশ্বকাপে রান তোলার দিক দিয়ে অধিনায়কদের তালিকা করুন, পাঁড় পন্টিং-ভক্তকেও কিন্তু মানতে হবে; অস্ট্রেলীয় অধিনায়কের অবস্থান নেই দশে। গ্রুপ পর্বে ১০২ রান করেছেন পন্টিং, গড় ২০.৪০। কোনো ফিফটি নেই। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসটি ৩৬ রানের! যুবরাজ সিং তাই বলছেন, এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে স্পর্শকাতর জায়গাটিই হলো তাদের অধিনায়ক। মোক্ষম আঘাতটা তাই হানতে হবে সেখানেই।
যুবরাজ যেন পন্টিংয়ের ভাগের রানগুলোও চুরি করে বসে আছেন। কী দারুণ ফর্মেই না আছেন! অথচ গত বছর বাদও পড়তে হয়েছিল তাঁকে। খেলাই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। গ্রুপ পর্বেই তিনবার ম্যাচসেরা হওয়া যুবরাজ পরশু সেঞ্চুরিও করেছেন। কোয়ার্টার ফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি হওয়ার আগে তোপ দাগানোর দায়িত্বটাও এই বাঁহাতিই নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন।
এমনিতে অস্ট্রেলিয়া তাঁর প্রিয় প্রতিপক্ষও। নিজের অভিষেক ইনিংসটাই ছিল অস্ট্রেলীয়দের বিপক্ষে। ২০০০ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির যে ম্যাচের কোয়ার্টার ফাইনালে যুবরাজের ৮৪ ‘নকআউট’ করে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে। বৃহস্পতিবার যুবরাজ হয়ে উঠতে পারেন অস্ট্রেলিয়া-হন্তারক।
বিশ্বকাপে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের ইতিহাস অবশ্য ভারতের জন্য প্রেরণাদায়ী নয় মোটেও। ৯ ম্যাচের মাত্র দুটি জিতেছে তারা। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদের সর্বশেষ জয়টিও সেই ১৯৮৭ সালে। যুবরাজ কিন্তু বলছেন, ‘অস্ট্রেলিয়া খুবই ভালো দল সন্দেহ নেই। ওরা গত তিনবারের চ্যাম্পিয়নও। কিন্তু এই দলটায় গ্লেন ম্যাকগ্রা, শেন ওয়ার্ন, অ্যাডাম গিলক্রিস্টের মতো খেলোয়াড় নেই। পন্টিং থাকলেও ওর ব্যাটে রান-খরা। ওদের দুর্বল জায়গাতে আঘাত হেনেই আমরা ম্যাচ জেতার চেষ্টা করব।’
অস্ট্রেলিয়াও নিশ্চয়ই আঘাত হানবে ভারতের দুর্বল জায়গায়। তবে এখানেও দেখা যাচ্ছে যুবরাজ আগে থেকেই প্রস্তুত। টেইট-লি-জনসন—পেসত্রয়ী যে একের পর এক শর্ট বল ছুড়বে, যুবরাজ সেটি ভালো করেই জানেন, ‘দেখুন, শর্ট বলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমরা টেস্ট-ওয়ানডের এক নম্বর দল ছিলাম। শর্ট বল খেলতে না পারলে তো আর বিশ্বসেরা হতে পারতাম না। আমরা খুব ভালো করেই জানি অস্ট্রেলিয়ার শক্তি হলো তাদের গতি। যে গতি দিয়ে ওরা উইকেটও পেয়েছে। আমরা তাই এর জন্য প্রস্তুত।’
অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখিটা একটু আগেই হয়ে গেল কিনা, এ নিয়ে ভারতের একটা অংশের মনে প্রশ্ন আছে। যুবরাজ অবশ্য বলছেন, শিরোপা জিততে চাইলে যেকোনো দলকে হারানোর ক্ষমতা থাকতে হবে। বোঝাই যাচ্ছে, যুবরাজ বেশ আত্মবিশ্বাসী। তা ছাড়া ভারত খেলবে নিজেদের মাটিতে।
আত্মবিশ্বাসী পন্টিংও। কদিন আগে বলেছিলেন, বড় ম্যাচের জন্য রান জমিয়ে রাখছেন। কে জানে, এই ম্যাচই সেই ম্যাচ কিনা। পন্টিংয়ের নিজের দাবি, রান না পাওয়াটা নেহাত দুর্ভাগ্য, ‘টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত যদি দেখেন, আমি প্রথম ম্যাচে রানআউট হলাম। এর পর লেগ সাইড দিয়ে স্টাম্পিং। এদিন (পাকিস্তানের বিপক্ষে) এমনভাবে মেরেছিলাম, বল কিপারকে পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়াই উচিত ছিল। কিন্তু বল আটকে গেল গ্লাভসে।’
No comments