ক্যানসার-আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে জাপানে
জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ছড়িয়ে পড়া তেজস্ক্রিয়তা ইতিমধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে পানি, দুধ, সবজিসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে। তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলে সরকারিভাবে জানানো হলেও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে মানুষ। তাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে ক্যানসারের আতঙ্ক।
ফুকুশিমা কেন্দ্র থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে হিতাচি এলাকায় সবজি পরীক্ষা করে নিরাপদ মাত্রার চেয়ে ২৭ গুণ বেশি তেজস্ক্রিয় আয়োডিন পাওয়া গেছে। এরপর ওই এলাকার শাক-সবজি বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
এ ছাড়া রাজধানী টোকিওতে সরবরাহ লাইনের পানিতেও অস্বাভাবিক মাত্রার তেজস্ক্রিয়তা পাওয়া গেছে। ফুকুশিমা কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার দুধ ও শিমে তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত করা হয়েছে। তবে সরকারের মুখপাত্র ইয়োকিও এদানো জানিয়েছেন, খাদ্য ও পানিতে যে মাত্রার তেজস্ক্রিয়তা পাওয়া গেছে, মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য তা ঝুঁকিপূর্ণ নয়।
ভূমিকম্প ও সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত ফুকুশিমা কেন্দ্রের চুল্লিতে বিস্ফোরণের পরপরই সরকার কেন্দ্রের চারপাশের ৩০ কিলোমিটার এলাকার লোকজনকে সরিয়ে নেয়। কিন্তু ওই ৩০ কিলোমিটারের বাইরে যারা আছে, তারাও উদ্বেগমুক্ত নয়। কেননা, ফুকুশিমা কেন্দ্র থেকে কয়েক শ কিলেমিটার দূরেও অস্বাভাবিক মাত্রার তেজস্ক্রিয়তা পাওয়া যাচ্ছে।
ফুতাবা এলাকার বাসিন্দা সুগুমি হাসেগাওয়া বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না, আমাদের আশ্বস্ত করতেই তারা (সরকার) ঝুঁকির মাত্রা কম করে দেখাচ্ছে কি না। বুঝতে পারছি না কার কথা বিশ্বাস করা যায়।’
তেজস্ক্রিয়তার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে জাপানের বাইরেও। পোল্যান্ডে আয়োডিন ট্যাবলেট কেনার জন্য লোকজন ভিড় করছে ওষুধের দোকানে। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে, অত দূরে তেজস্ক্রিয়তা পৌঁছানোর তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। কিন্তু পোল্যান্ডের মানুষ চেরনোবিল দুর্ঘটনার সময় তেজস্ক্রিয়তায় আক্রান্ত হওয়ায় এবারও তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গতকাল জানিয়েছে, জাপানের তেজস্ক্রিতার বিষয়টি আগের ধারণার চেয়েও উদ্বেগজনক। সংস্থার পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মুখপাত্র পিটার কর্ডিংলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সবাই প্রথমে ধারণা করেছিল যে তেজস্ক্রিয়তার সমস্যা ২০-৩০ কিলোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সমস্যা আগের ধারণার চেয়ে অনেক বেশি মারাত্মক।’
স্বল্পমাত্রার তেজস্ক্রিয়তায় আক্রান্ত হলে ক্লান্তি ও বিরাগবোধ, বোমি ও ডায়রিয়া হয়ে থাকে। তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা বেশি হলে জ্বর ও রক্তবমি হবে। আরও বেশি হলে মাথার চুল পড়ে যাবে, শরীরে ক্ষত সৃষ্টি কবে এবং তা সহজে সারবে না। এতে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
ফুকুশিমা কেন্দ্র থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে হিতাচি এলাকায় সবজি পরীক্ষা করে নিরাপদ মাত্রার চেয়ে ২৭ গুণ বেশি তেজস্ক্রিয় আয়োডিন পাওয়া গেছে। এরপর ওই এলাকার শাক-সবজি বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
এ ছাড়া রাজধানী টোকিওতে সরবরাহ লাইনের পানিতেও অস্বাভাবিক মাত্রার তেজস্ক্রিয়তা পাওয়া গেছে। ফুকুশিমা কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার দুধ ও শিমে তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত করা হয়েছে। তবে সরকারের মুখপাত্র ইয়োকিও এদানো জানিয়েছেন, খাদ্য ও পানিতে যে মাত্রার তেজস্ক্রিয়তা পাওয়া গেছে, মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য তা ঝুঁকিপূর্ণ নয়।
ভূমিকম্প ও সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত ফুকুশিমা কেন্দ্রের চুল্লিতে বিস্ফোরণের পরপরই সরকার কেন্দ্রের চারপাশের ৩০ কিলোমিটার এলাকার লোকজনকে সরিয়ে নেয়। কিন্তু ওই ৩০ কিলোমিটারের বাইরে যারা আছে, তারাও উদ্বেগমুক্ত নয়। কেননা, ফুকুশিমা কেন্দ্র থেকে কয়েক শ কিলেমিটার দূরেও অস্বাভাবিক মাত্রার তেজস্ক্রিয়তা পাওয়া যাচ্ছে।
ফুতাবা এলাকার বাসিন্দা সুগুমি হাসেগাওয়া বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না, আমাদের আশ্বস্ত করতেই তারা (সরকার) ঝুঁকির মাত্রা কম করে দেখাচ্ছে কি না। বুঝতে পারছি না কার কথা বিশ্বাস করা যায়।’
তেজস্ক্রিয়তার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে জাপানের বাইরেও। পোল্যান্ডে আয়োডিন ট্যাবলেট কেনার জন্য লোকজন ভিড় করছে ওষুধের দোকানে। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে, অত দূরে তেজস্ক্রিয়তা পৌঁছানোর তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। কিন্তু পোল্যান্ডের মানুষ চেরনোবিল দুর্ঘটনার সময় তেজস্ক্রিয়তায় আক্রান্ত হওয়ায় এবারও তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গতকাল জানিয়েছে, জাপানের তেজস্ক্রিতার বিষয়টি আগের ধারণার চেয়েও উদ্বেগজনক। সংস্থার পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মুখপাত্র পিটার কর্ডিংলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সবাই প্রথমে ধারণা করেছিল যে তেজস্ক্রিয়তার সমস্যা ২০-৩০ কিলোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সমস্যা আগের ধারণার চেয়ে অনেক বেশি মারাত্মক।’
স্বল্পমাত্রার তেজস্ক্রিয়তায় আক্রান্ত হলে ক্লান্তি ও বিরাগবোধ, বোমি ও ডায়রিয়া হয়ে থাকে। তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা বেশি হলে জ্বর ও রক্তবমি হবে। আরও বেশি হলে মাথার চুল পড়ে যাবে, শরীরে ক্ষত সৃষ্টি কবে এবং তা সহজে সারবে না। এতে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
No comments