যুদ্ধ নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্রিটিশ সেনা পরিবারের সদস্যরা
ব্রিটেন সম্প্রতি প্রতিরক্ষা খাতে বড় ধরনের ব্যয় হ্রাসের ঘোষণা দিয়েছে। এই অবস্থায় ইরাক ও আফগানিস্তানের পর লিবিয়ায় আবার একটি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে ব্রিটেনের সেনা পরিবারের সদস্যরা।
লাকি অলড্রিজের ছেলে উলিয়াম ছিলেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সদস্য। তিনি নিহত হন ২০০৯ সালের জুলাই মাসে আফগানিস্তানে।
অলড্রিজ বলেন, ‘লিবিয়ায় যুদ্ধ করতে যাওয়া সরকারের সম্পূর্ণ পাগলামি ছাড়া কিছুই নয়। সরকারের এই সিদ্ধান্তে আমি হতবাক হয়েছি। বিশেষ করে, দেশের সামরিক বাজেটে যখন বড় ধরনের কাটছাঁট করা হয়েছে, সেনাবাহিনীতে লোকবলের ঘাটতি রয়েছে, তখন সরকার নতুন যুদ্ধে কীভাবে নামে? এই অর্থের জোগান কীভাবে দেওয়া হবে?’
প্রতিরক্ষা পর্যালোচনার পর গত অক্টোবরে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী থেকে ১৭ হাজার সদস্য ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেয় ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এরই অংশ হিসেবে রাজকীয় বিমানবাহিনী দুই সপ্তাহ আগে অতিরিক্ত সেনা ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে। সেনা ও নৌবাহিনীও আগামী মাসে একই ধরনের ঘোষণা দেবে।
এলেসি ম্যানিংয়ের পাঁচ সন্তানের সবাই ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন। তাঁদের মধ্যে মেয়ে শ্যারন ইলিয়ট (৩৪) ২০০৬ সালে মারা যান ইরাক যুদ্ধে। অন্যরা এখনো সেনাবাহিনীতেই আছেন।
ম্যানিং বলেন, ‘যুদ্ধক্ষেত্রে আমাদের সন্তানেরা মারা যাচ্ছে আর ডেভিড ক্যামেরন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বলছেন, আমাদের সেনারা অসম সাহসী। তাঁরা অবশ্যই সাহসী, কিন্তু যুদ্ধ শেষে দেশে ফিরলে সবাই সে কথা ভুলে যান। ক্যামেরনও তা-ই।’
ম্যানিং আরও বলেন, ‘আফগানিস্তানকে সামাল দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত সেনাই তাদের নেই। তাহলে তারা আবার আরেক যুদ্ধে যাচ্ছে কেন? এখন নিশ্চয়ই সদ্য ইরাক-আফগানিস্তান ফেরত সেনাদের লিবিয়ায় পাঠানো হবে।’
লিবিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এবং মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আমেরিকা অস্থিতিশীল হয়ে পড়ায় ব্রিটেনে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় হ্রাসের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি উঠেছে।
খবর পাওয়া গেছে, স্কটল্যান্ডে অবস্থিত রাজকীয় বিমানবাহিনীর ঘাঁটি নতুন করে প্রস্তুত করা হচ্ছে লিবিয়ায় হামলার জন্য, যেখানে কিছুদিন আগেও এই ঘাঁটি বন্ধ করার কথা উঠেছিল।
স্কটল্যান্ডের ওই ঘাঁটির বিমান প্রকৌশলীদের একজন জন। তাঁর স্ত্রী চেলি ডে জানান, প্রয়োজন হলে লিবিয়ায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত তাঁর স্বামী। তবে চেলি বলেন, ‘তাঁদের কাজ যদি এত গুরুত্বপূর্ণ হয়, তাহলে তাঁদের এভাবে অবহেলা পেতে হচ্ছে কেন। কেবল সংঘাতের সময় তাঁদের ব্যবহার করা হবে, আর প্রয়োজন ফুরালেই খাদের মধ্যে ফেলে দেওয়া হবে—এটা কেমন কথা।
লাকি অলড্রিজের ছেলে উলিয়াম ছিলেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সদস্য। তিনি নিহত হন ২০০৯ সালের জুলাই মাসে আফগানিস্তানে।
অলড্রিজ বলেন, ‘লিবিয়ায় যুদ্ধ করতে যাওয়া সরকারের সম্পূর্ণ পাগলামি ছাড়া কিছুই নয়। সরকারের এই সিদ্ধান্তে আমি হতবাক হয়েছি। বিশেষ করে, দেশের সামরিক বাজেটে যখন বড় ধরনের কাটছাঁট করা হয়েছে, সেনাবাহিনীতে লোকবলের ঘাটতি রয়েছে, তখন সরকার নতুন যুদ্ধে কীভাবে নামে? এই অর্থের জোগান কীভাবে দেওয়া হবে?’
প্রতিরক্ষা পর্যালোচনার পর গত অক্টোবরে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী থেকে ১৭ হাজার সদস্য ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেয় ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এরই অংশ হিসেবে রাজকীয় বিমানবাহিনী দুই সপ্তাহ আগে অতিরিক্ত সেনা ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে। সেনা ও নৌবাহিনীও আগামী মাসে একই ধরনের ঘোষণা দেবে।
এলেসি ম্যানিংয়ের পাঁচ সন্তানের সবাই ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন। তাঁদের মধ্যে মেয়ে শ্যারন ইলিয়ট (৩৪) ২০০৬ সালে মারা যান ইরাক যুদ্ধে। অন্যরা এখনো সেনাবাহিনীতেই আছেন।
ম্যানিং বলেন, ‘যুদ্ধক্ষেত্রে আমাদের সন্তানেরা মারা যাচ্ছে আর ডেভিড ক্যামেরন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বলছেন, আমাদের সেনারা অসম সাহসী। তাঁরা অবশ্যই সাহসী, কিন্তু যুদ্ধ শেষে দেশে ফিরলে সবাই সে কথা ভুলে যান। ক্যামেরনও তা-ই।’
ম্যানিং আরও বলেন, ‘আফগানিস্তানকে সামাল দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত সেনাই তাদের নেই। তাহলে তারা আবার আরেক যুদ্ধে যাচ্ছে কেন? এখন নিশ্চয়ই সদ্য ইরাক-আফগানিস্তান ফেরত সেনাদের লিবিয়ায় পাঠানো হবে।’
লিবিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এবং মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আমেরিকা অস্থিতিশীল হয়ে পড়ায় ব্রিটেনে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় হ্রাসের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি উঠেছে।
খবর পাওয়া গেছে, স্কটল্যান্ডে অবস্থিত রাজকীয় বিমানবাহিনীর ঘাঁটি নতুন করে প্রস্তুত করা হচ্ছে লিবিয়ায় হামলার জন্য, যেখানে কিছুদিন আগেও এই ঘাঁটি বন্ধ করার কথা উঠেছিল।
স্কটল্যান্ডের ওই ঘাঁটির বিমান প্রকৌশলীদের একজন জন। তাঁর স্ত্রী চেলি ডে জানান, প্রয়োজন হলে লিবিয়ায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত তাঁর স্বামী। তবে চেলি বলেন, ‘তাঁদের কাজ যদি এত গুরুত্বপূর্ণ হয়, তাহলে তাঁদের এভাবে অবহেলা পেতে হচ্ছে কেন। কেবল সংঘাতের সময় তাঁদের ব্যবহার করা হবে, আর প্রয়োজন ফুরালেই খাদের মধ্যে ফেলে দেওয়া হবে—এটা কেমন কথা।
No comments