শ্রীলঙ্কাকে ভয় পাচ্ছে না ইংল্যান্ড
ক্যামেরা যন্ত্রটা অদ্ভুত। ইচ্ছে হলে কাছের ছবি তোলা যায়, কখনো আবার কাছের জিনিস ঝাপসা করে দিয়ে ছবি ওঠানো যায় দূরের কোনো জিনিসের। কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে ইংল্যান্ড দলও যেন ক্যামেরা হয়ে গেছে!
কষ্টেসৃষ্টে কোয়ার্টারে উঠেছে ইংল্যান্ড। নিজেদের কোয়ার্টার ফাইনাল ভাগ্যের জন্য ইংলিশদের তাকিয়ে থাকতে হয়েছে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের দিকে। দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশকে হারিয়ে দেওয়ার পরই শেষ আট নিশ্চিত হয়েছে আয়ারল্যান্ড ও বাংলাদেশের কাছে পরাজিত ইংল্যান্ডের। নিকট অতীতটা খুব একটা ভালো নয় ইংল্যান্ডের। এখানে দৃষ্টি দিলে আত্মবিশ্বাস নিংড়ে নেওয়ার মতো উপাদান খুব একটা নেই।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগামী শনিবার কোয়ার্টার ফাইনালের আগে তাই কাছের অতীতটাকে ঝাপসা করে দিয়ে ইংল্যান্ড তাকাতে চায় দূর অতীতে। গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর ২০০৭-এর শ্রীলঙ্কা সফরে।
এবারের মতো পরিস্থিতি ইংল্যান্ডের গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও হয়েছিল। গ্রুপ পর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারার পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। কষ্টেসৃষ্টে নকআউট পর্বে উঠে সেই ইংল্যান্ডই ফিরেছে শিরোপা নিয়ে। পরশু দিল্লি থেকে ইংল্যান্ড কলম্বো গেছে আরও একটি স্মৃতি নিয়ে। ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে এই কলম্বো থেকেই সিরিজ জিতে ফিরেছিল ইংল্যান্ড।
অনেকেই শ্রীলঙ্কা-ইংল্যান্ড ম্যাচে ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিলেও অতীতকে টেনে এনে পল কলিংউড বলেছেন, ‘টুর্নামেন্ট এখন নকআউট পর্বে ঢুকে গেছে। আমার বিশ্বাস, এই পর্বটায় আমরা মানিয়ে নিতে পারব। আর মাত্র তিনটি ম্যাচ। জিতলেই শিরোপা নিয়ে বাড়ি ফিরব আমরা।’
ইংল্যান্ডের তিনটি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা দলে ছিলেন গ্রাহাম গুচ। ১৯৭৯ সালের ফাইনালে হেরেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে। ’৮৭-তে অস্ট্রেলিয়া আর ১৯৯২ সালে পাকিস্তানের কাছে বিসর্জন গিয়েছিল গুচের বিশ্বকাপ শিরোপা-স্বপ্ন। এই বিশ্বকাপেও এসেছেন গুচ। এবার তিনি ইংল্যান্ডের ব্যাটিং কোচ। এবার অতৃপ্তিটা ঘুচবে বলে বিশ্বাস গুচের, ‘আমি বিশ্বকাপ জিততে পারিনি, তবে এ দলটির বিশ্বকাপ জেতার সামর্থ্য আছে।’
সামর্থ্যের প্রশ্ন উঠলে শ্রীলঙ্কাকেই বরং এগিয়েই রাখতে হয়। ব্যাটিং, বোলিং অথবা ফিল্ডিং—তিন বিভাগেই বিশ্বসেরা সব খেলোয়াড় আছে শ্রীলঙ্কার। প্রথম রাউন্ড শেষে সেরা ১০ ব্যাটসম্যানের তালিকায় সবার ওপরে শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা। ১২১ গড়ে ৬ ম্যাচে ৩৬৩ রান তাঁর। সাঙ্গাকারার বিশ্বাস, কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও কথা বলবে তাঁর ব্যাট, ‘রান করতে পারাটা দারুণ। আমাদের আত্মবিশ্বাসের জন্যও এটা ভালো। কোয়ার্টার ফাইনালে বড় পরীক্ষা অপেক্ষা করছে। আশা করছি, রান পাব সেখানেও।’
সাঙ্গাকারার ব্যাট যেমন আছে, তেমনি আছে মুত্তিয়া মুরালিধরনের ঘূর্ণি। ইংল্যান্ডের বড় দুর্বলতা যে স্পিন। নিকট অতীতটাকে ভুলে যেতে চাইলেও ইংলিশ খেলোয়াড়েরা এসব সামলে কি এগিয়ে যেতে পারবে? গুচের কথা, ‘আমরা আরও অনেক ভালো খেলতে পারি। সেটা যদি পারিই, তাহলে অন্য যেকোনো দলের মতোই আমাদেরও বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা আছে।’
কষ্টেসৃষ্টে কোয়ার্টারে উঠেছে ইংল্যান্ড। নিজেদের কোয়ার্টার ফাইনাল ভাগ্যের জন্য ইংলিশদের তাকিয়ে থাকতে হয়েছে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের দিকে। দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশকে হারিয়ে দেওয়ার পরই শেষ আট নিশ্চিত হয়েছে আয়ারল্যান্ড ও বাংলাদেশের কাছে পরাজিত ইংল্যান্ডের। নিকট অতীতটা খুব একটা ভালো নয় ইংল্যান্ডের। এখানে দৃষ্টি দিলে আত্মবিশ্বাস নিংড়ে নেওয়ার মতো উপাদান খুব একটা নেই।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগামী শনিবার কোয়ার্টার ফাইনালের আগে তাই কাছের অতীতটাকে ঝাপসা করে দিয়ে ইংল্যান্ড তাকাতে চায় দূর অতীতে। গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর ২০০৭-এর শ্রীলঙ্কা সফরে।
এবারের মতো পরিস্থিতি ইংল্যান্ডের গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও হয়েছিল। গ্রুপ পর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারার পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। কষ্টেসৃষ্টে নকআউট পর্বে উঠে সেই ইংল্যান্ডই ফিরেছে শিরোপা নিয়ে। পরশু দিল্লি থেকে ইংল্যান্ড কলম্বো গেছে আরও একটি স্মৃতি নিয়ে। ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে এই কলম্বো থেকেই সিরিজ জিতে ফিরেছিল ইংল্যান্ড।
অনেকেই শ্রীলঙ্কা-ইংল্যান্ড ম্যাচে ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিলেও অতীতকে টেনে এনে পল কলিংউড বলেছেন, ‘টুর্নামেন্ট এখন নকআউট পর্বে ঢুকে গেছে। আমার বিশ্বাস, এই পর্বটায় আমরা মানিয়ে নিতে পারব। আর মাত্র তিনটি ম্যাচ। জিতলেই শিরোপা নিয়ে বাড়ি ফিরব আমরা।’
ইংল্যান্ডের তিনটি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা দলে ছিলেন গ্রাহাম গুচ। ১৯৭৯ সালের ফাইনালে হেরেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে। ’৮৭-তে অস্ট্রেলিয়া আর ১৯৯২ সালে পাকিস্তানের কাছে বিসর্জন গিয়েছিল গুচের বিশ্বকাপ শিরোপা-স্বপ্ন। এই বিশ্বকাপেও এসেছেন গুচ। এবার তিনি ইংল্যান্ডের ব্যাটিং কোচ। এবার অতৃপ্তিটা ঘুচবে বলে বিশ্বাস গুচের, ‘আমি বিশ্বকাপ জিততে পারিনি, তবে এ দলটির বিশ্বকাপ জেতার সামর্থ্য আছে।’
সামর্থ্যের প্রশ্ন উঠলে শ্রীলঙ্কাকেই বরং এগিয়েই রাখতে হয়। ব্যাটিং, বোলিং অথবা ফিল্ডিং—তিন বিভাগেই বিশ্বসেরা সব খেলোয়াড় আছে শ্রীলঙ্কার। প্রথম রাউন্ড শেষে সেরা ১০ ব্যাটসম্যানের তালিকায় সবার ওপরে শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা। ১২১ গড়ে ৬ ম্যাচে ৩৬৩ রান তাঁর। সাঙ্গাকারার বিশ্বাস, কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও কথা বলবে তাঁর ব্যাট, ‘রান করতে পারাটা দারুণ। আমাদের আত্মবিশ্বাসের জন্যও এটা ভালো। কোয়ার্টার ফাইনালে বড় পরীক্ষা অপেক্ষা করছে। আশা করছি, রান পাব সেখানেও।’
সাঙ্গাকারার ব্যাট যেমন আছে, তেমনি আছে মুত্তিয়া মুরালিধরনের ঘূর্ণি। ইংল্যান্ডের বড় দুর্বলতা যে স্পিন। নিকট অতীতটাকে ভুলে যেতে চাইলেও ইংলিশ খেলোয়াড়েরা এসব সামলে কি এগিয়ে যেতে পারবে? গুচের কথা, ‘আমরা আরও অনেক ভালো খেলতে পারি। সেটা যদি পারিই, তাহলে অন্য যেকোনো দলের মতোই আমাদেরও বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা আছে।’
No comments