কংগ্রেস-বিজেপির হট্টগোলে রাজ্যসভা তিন দফা মুলতবি
উইকিলিকসে প্রকাশিত তথ্য নিয়ে তুমুল বিতর্কের মুখে ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার অধিবেশনে গতকাল মঙ্গলবার ব্যাপক হট্টগোল হয়েছে। এনডিএ শাসনামলে টেলি-দুর্নীতি, দেশটির পারমাণবিক শক্তির নিরাপত্তাসহ নানা বিষয়ে বিজেপি ও কংগ্রেস সদস্যদের বাগিবতণ্ডা ও হট্টগোলের মুখে অধিবেশন তিনবার মুলতবি করতে হয়।
দিবসের শুরুতেই বিরোধীদলীয় নেতা অরুণ জেটলি তাঁর দুটি নোটিশের ওপর আলোচনা তোলেন। কিন্তু কংগ্রেস সদস্যদের বিরোধিতার মুখে তিনি বক্তব্য রাখতে পারছিলেন না। বিজেপি সদস্যরা জেটলিকে বক্তব্য দেওয়ার জন্য বার বার দাবি জানাতে থাকেন। কিন্তু সরকারি দলের সদস্যরা এ সময় হৈচৈ করতে থাকেন। তাঁরা একটি সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন তুলে ধরে দেখাতে থাকেন। ওই ম্যাগাজিনে এনডিএ শাসনামলের টেলি-দুর্নীতি সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। এ সময় জেটলিকে কথা বলার সুযোগ দিতে এবং পরিস্থিতি শান্ত করতে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান রহমান খান বার বার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এরপর তিনি ১৫ মিনিটের জন্য অধিবেশন বন্ধ ঘোষণা করেন।
পরে আবার অধিবেশন শুরু হলে দুই পক্ষই প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে বাক্যবাণ শুরু করেন। এ অবস্থায় বেলা দুইটার দিকে আবারও অধিবেশন মুলতবি করা হয়।
মধ্যাহ্নভোজের পর ফের অধিবেশন শুরু হয়। এ সময় বিজেপি সদস্যরা ক্ষমতাসীন ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ-সম্পর্কিত আলোচনার দাবি তোলেন। এতে কংগ্রেস সদস্যরাও উল্টো হট্টগোল শুরু করেন। ডেপুটি চেয়ারম্যান কে রহমান হট্টগোলের মধ্যেই ডি রাজাকে বক্তব্য দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বক্তব্য শুরু করলেও বিজেপি ও কংগ্রেস সদস্যরা হট্টগোল চালিয়ে যেতে থাকেন। এ অবস্থায় এক পর্যায়ে সভা চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেন কে রহমান।
গতকালের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও বিরোধীদলীয় নেতা অরুণ জেটলি দুজনই উপস্থিত ছিলেন। পরে জেটলি সাংবাদিকদের বলেন, কংগ্রেস ও বিজেপি দুই পক্ষেরই হট্টগোলে অধিবেশন মুলতবি করতে বাধ্য হওয়াটা দুঃখজনক।
দিবসের শুরুতেই বিরোধীদলীয় নেতা অরুণ জেটলি তাঁর দুটি নোটিশের ওপর আলোচনা তোলেন। কিন্তু কংগ্রেস সদস্যদের বিরোধিতার মুখে তিনি বক্তব্য রাখতে পারছিলেন না। বিজেপি সদস্যরা জেটলিকে বক্তব্য দেওয়ার জন্য বার বার দাবি জানাতে থাকেন। কিন্তু সরকারি দলের সদস্যরা এ সময় হৈচৈ করতে থাকেন। তাঁরা একটি সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন তুলে ধরে দেখাতে থাকেন। ওই ম্যাগাজিনে এনডিএ শাসনামলের টেলি-দুর্নীতি সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। এ সময় জেটলিকে কথা বলার সুযোগ দিতে এবং পরিস্থিতি শান্ত করতে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান রহমান খান বার বার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এরপর তিনি ১৫ মিনিটের জন্য অধিবেশন বন্ধ ঘোষণা করেন।
পরে আবার অধিবেশন শুরু হলে দুই পক্ষই প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে বাক্যবাণ শুরু করেন। এ অবস্থায় বেলা দুইটার দিকে আবারও অধিবেশন মুলতবি করা হয়।
মধ্যাহ্নভোজের পর ফের অধিবেশন শুরু হয়। এ সময় বিজেপি সদস্যরা ক্ষমতাসীন ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ-সম্পর্কিত আলোচনার দাবি তোলেন। এতে কংগ্রেস সদস্যরাও উল্টো হট্টগোল শুরু করেন। ডেপুটি চেয়ারম্যান কে রহমান হট্টগোলের মধ্যেই ডি রাজাকে বক্তব্য দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বক্তব্য শুরু করলেও বিজেপি ও কংগ্রেস সদস্যরা হট্টগোল চালিয়ে যেতে থাকেন। এ অবস্থায় এক পর্যায়ে সভা চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেন কে রহমান।
গতকালের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও বিরোধীদলীয় নেতা অরুণ জেটলি দুজনই উপস্থিত ছিলেন। পরে জেটলি সাংবাদিকদের বলেন, কংগ্রেস ও বিজেপি দুই পক্ষেরই হট্টগোলে অধিবেশন মুলতবি করতে বাধ্য হওয়াটা দুঃখজনক।
No comments