জাপানের পারমাণবিক চুল্লি থেকে ধোঁয়া ও বাষ্প উড়ছে
জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বিস্ফোরণের ঘটনায় সমুদ্রের পানিতে ছড়িয়ে পড়া তেজস্ক্রিয়তার পরীক্ষা শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার থেকে জাপান কর্তৃপক্ষ এ পরীক্ষা শুরু করে। ক্ষতিগ্রস্ত ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুল্লি থেকে গতকাল মঙ্গলবার নতুন করে ধোঁয়া ও বাষ্প উড়তে দেখা গেছে। এদিকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি-সংকট এবং সম্প্রতি তুষারপাতের কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত যে মাত্রার তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত করা হয়েছে, তাতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। ১১ মার্চ ভূমিকম্প ও সুনামি আঘাত হানার পর ওই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটে। ফলে ২৫ বছর আগে চেরনোবিলে দুর্ঘটনার পর ভয়াবহ পরমাণু-সংকটের সৃষ্টি হয়।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানার পর সৃষ্ট বিদ্যুৎ ও জ্বালানি-সংকট এবং সম্প্রতি তুষারপাতের কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম জাপানে এটা সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়। তবে ত্রাণকর্মীরা বলছেন, বিধ্বস্ত রাস্তা পুনরায় চালু এবং কিছু নতুন বাড়ি নির্মিত হওয়ায় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুল্লি থেকে গতকালও নতুন করে ধোঁয়া ও বাষ্প উড়তে দেখা গেছে। ১১ মার্চের ভয়াবহ ভূমিকম্প ও সুনামিতে ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। জাপানের বার্তা সংস্থা কিয়োদো এ কথা জানায়।
কিয়োদো জানায়, গতকাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুই নম্বর চুল্লি থেকে সাদা বাষ্প এবং তিন নম্বর চুল্লি থেকে কুয়াশাচ্ছন্ন ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। পারমাণবিক কেন্দ্রে বিদ্যুৎসংযোগ পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটির পরিচালনা প্রতিষ্ঠান টোকিও ইলেকট্রিক কোম্পানি (টেপকো) জানিয়েছে, চুল্লি থেকে নতুন করে ধোঁয়া ও বাষ্প নির্গমন কোনো সমস্যা সৃষ্টি করবে না। টেপকো পারমাণবিক কেন্দ্রে বিদ্যুৎসংযোগ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা আবারও শুরু করেছে।
জাপানের বাণিজ্যমন্ত্রী বানরি কেয়দা বলেন, ‘পরিস্থিতি ভালোর দিকে যাচ্ছে, এটা বলা কঠিন।’
এদিকে জাপানের জাতীয় পুলিশ সংস্থা (এনপিএ) ১১ মার্চের ভয়াবহ ভূমিকম্প ও সুনামির ক্ষয়ক্ষতির সর্বশেষ চিত্র প্রকাশ করেছে। এনপিএ জানিয়েছে, গতকাল পর্যন্ত এই দুর্যোগে নয় হাজার ৭৯ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়া ১২ হাজার ৬৪৫ জন নিখোঁজ রয়েছে।
এনপিএ জানায়, দেশজুড়ে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে তিন লাখ ১৮ হাজার ৬১৪ জন মানুষ অবস্থান করছে। ভূমিকম্প ও সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত ফুকুশিমা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের এলাকার সব মানুষকে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলা হয়েছে। এর আগে এ এলাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধে সীমাবদ্ধ ছিল। পুলিশ সংস্থা জানিয়েছে, এ এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত এক লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৩০ কিলোমিটার এলাকার লোকজনকে ঘরের মধ্যে অবস্থান করতে বলেছে।
তোহুকু ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি জানিয়েছে, দুর্যোগপূর্ণ এলাকাগুলোর দুই লাখ ১৬ হাজার বাড়িতে এখনো বিদ্যুৎ নেই। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ১১টি প্রশাসনিক জেলার অন্তত আট লাখ ৮০ হাজার বাড়িতে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। পুলিশ সংস্থা জানিয়েছে, দুর্যোগে অন্তত ১৭ হাজার ৭১৩টি বাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক বেসরকারি পরিসংখ্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ভূমিকম্প ও সুনামিতে ক্ষতির পরিমাণ ১২ হাজার ২০০ কোটি ডলার থেকে ২৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলার পর্যন্ত হতে পারে, যা জাপানের জিডিপির ২ দশমিক ৫ থেকে ৪ শতাংশ।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত যে মাত্রার তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত করা হয়েছে, তাতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। ১১ মার্চ ভূমিকম্প ও সুনামি আঘাত হানার পর ওই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটে। ফলে ২৫ বছর আগে চেরনোবিলে দুর্ঘটনার পর ভয়াবহ পরমাণু-সংকটের সৃষ্টি হয়।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানার পর সৃষ্ট বিদ্যুৎ ও জ্বালানি-সংকট এবং সম্প্রতি তুষারপাতের কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম জাপানে এটা সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়। তবে ত্রাণকর্মীরা বলছেন, বিধ্বস্ত রাস্তা পুনরায় চালু এবং কিছু নতুন বাড়ি নির্মিত হওয়ায় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুল্লি থেকে গতকালও নতুন করে ধোঁয়া ও বাষ্প উড়তে দেখা গেছে। ১১ মার্চের ভয়াবহ ভূমিকম্প ও সুনামিতে ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। জাপানের বার্তা সংস্থা কিয়োদো এ কথা জানায়।
কিয়োদো জানায়, গতকাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুই নম্বর চুল্লি থেকে সাদা বাষ্প এবং তিন নম্বর চুল্লি থেকে কুয়াশাচ্ছন্ন ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। পারমাণবিক কেন্দ্রে বিদ্যুৎসংযোগ পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটির পরিচালনা প্রতিষ্ঠান টোকিও ইলেকট্রিক কোম্পানি (টেপকো) জানিয়েছে, চুল্লি থেকে নতুন করে ধোঁয়া ও বাষ্প নির্গমন কোনো সমস্যা সৃষ্টি করবে না। টেপকো পারমাণবিক কেন্দ্রে বিদ্যুৎসংযোগ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা আবারও শুরু করেছে।
জাপানের বাণিজ্যমন্ত্রী বানরি কেয়দা বলেন, ‘পরিস্থিতি ভালোর দিকে যাচ্ছে, এটা বলা কঠিন।’
এদিকে জাপানের জাতীয় পুলিশ সংস্থা (এনপিএ) ১১ মার্চের ভয়াবহ ভূমিকম্প ও সুনামির ক্ষয়ক্ষতির সর্বশেষ চিত্র প্রকাশ করেছে। এনপিএ জানিয়েছে, গতকাল পর্যন্ত এই দুর্যোগে নয় হাজার ৭৯ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়া ১২ হাজার ৬৪৫ জন নিখোঁজ রয়েছে।
এনপিএ জানায়, দেশজুড়ে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে তিন লাখ ১৮ হাজার ৬১৪ জন মানুষ অবস্থান করছে। ভূমিকম্প ও সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত ফুকুশিমা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের এলাকার সব মানুষকে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলা হয়েছে। এর আগে এ এলাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধে সীমাবদ্ধ ছিল। পুলিশ সংস্থা জানিয়েছে, এ এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত এক লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৩০ কিলোমিটার এলাকার লোকজনকে ঘরের মধ্যে অবস্থান করতে বলেছে।
তোহুকু ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি জানিয়েছে, দুর্যোগপূর্ণ এলাকাগুলোর দুই লাখ ১৬ হাজার বাড়িতে এখনো বিদ্যুৎ নেই। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ১১টি প্রশাসনিক জেলার অন্তত আট লাখ ৮০ হাজার বাড়িতে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। পুলিশ সংস্থা জানিয়েছে, দুর্যোগে অন্তত ১৭ হাজার ৭১৩টি বাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক বেসরকারি পরিসংখ্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ভূমিকম্প ও সুনামিতে ক্ষতির পরিমাণ ১২ হাজার ২০০ কোটি ডলার থেকে ২৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলার পর্যন্ত হতে পারে, যা জাপানের জিডিপির ২ দশমিক ৫ থেকে ৪ শতাংশ।
No comments