চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি স্যামিরা
আজ ড্যারেন স্যামির ভুল করে মনে হতেও পারে, ‘পাকিস্তানে চলে এলাম না তো!’ জাগতে পারে বিস্ময়, ‘গ্যালারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের একজনও সমর্থক নেই, ঘটনা কী!’
যদি তাই হয়, ভেবে বসবেন না, বাংলাদেশে পাকিস্তানি সমর্থকদের গিজগিজে ভিড়। হ্যাঁ, এখানে শহীদ আফ্রিদিদের সমর্থক সংখ্যা ফেলনা নয় বটে। তবে আজ সাধারণ দর্শক যতটা না পাকিস্তানকে সমর্থন দেবে, হয়তো তার চেয়েও বেশি করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরোধিতা। এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে বাংলাদেশকে দুঃখ দিয়েছে, হতাশায় পুড়িয়েছে দু-দুবার!
আটান্নর সেই লজ্জা বুকের কোণে লুকিয়ে রেখে ক্যারিবীয়দের জোর সমর্থন দিয়েছিল বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটায়। যে ম্যাচে স্যামির দল জিতলে আজ বাংলাদেশকে এভাবে স্রেফ দর্শক হয়ে যেতে হয় না। ১৬ কোটি মানুষের সমর্থন নিয়েও পারল না!
স্যামি অবশ্য আশা করছেন, আজও তাঁদের সমর্থন দিয়ে যাবে অনেক মানুষ, ‘এখানে আবার আসার পর থেকে অবশ্য মানুষের ভালোবাসাই পেয়েছি। গতবার যা ঘটেছে, সেটা দুঃখজনক। তবে সেটা আমরা পেছনেই ফেলে এসেছি। আমরা জানি, বাংলাদেশের মানুষ খুবই অতিথিপরায়ণ। তারা তো আসলে ক্রিকেটই ভালোবাসে।’
তা বটে। বিশেষ করে, ক্রিস গেইলের ভক্তও তো বাংলাদেশে আছে অনেক। টি-টোয়েন্টির মাধ্যমে যেমন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন কাইরন পোলার্ড। গেইল গত ম্যাচ খেলেননি। হালকা চোট আছে। রোচও খেলেননি। তবে আজ দুজনই একাদশে থাকবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন অধিনায়ক, ‘গেইল-রোচ দুজনই আজ (গতকাল) অনুশীলনে ছিল। রোচ বল করেছে, গেইল ব্যাটিংও করেছে। ওরা ভালোই আছে। দলের সবাই উজ্জীবিত। ম্যাচটা জিততে আমরা সেরা একাদশই বেছে নেব।’
সেই একাদশে শিবনারায়ণ চন্দরপল থাকছেন তো? গত দুটো ম্যাচে চন্দরপলকে খেলানো হয়নি। তবে আজ তাঁকে খেলানোর কথাই ভাবছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের মধ্যে স্পিনটা সবচেয়ে ভালো খেলেন। চন্দরপলের অন্তর্ভুক্তি মিডল অর্ডারে অভিজ্ঞতাও বাড়াবে। স্যামি সে রকম ইঙ্গিতই দিলেন, ‘কোয়ার্টার ফাইনালে ওকে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। খুব সম্ভবত ওকে আমরা আগামীকাল (আজ) খেলাচ্ছি।’
মিডল অর্ডারে দলের শক্তিবৃদ্ধির প্রয়োজন পড়ছে গত দুই ম্যাচে শেষের দিকে ব্যাটিং ধসের কারণে। ইংল্যান্ডের পর ভারতের বিপক্ষেও হুড়মুড়িয়ে পড়েছে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ। গত ম্যাচে ৩৪ রানে শেষ ৮ উইকেট পড়েছে। স্যামি অবশ্য জানালেন, ভুল থেকেই তাঁরা শিক্ষা নিয়েছেন, ‘এ অবস্থা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতেই হবে। এভাবে উইকেট পড়ার বড় মাশুল গুনতে হয়। ম্যাচের ফলাফলই ঠিক হয়ে যায়। কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত ওঠার ফলে আমাদের সামনে যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, সেই সুযোগ হাতছাড়া করা চলবে না।’
সুযোগ বলতে আর একটি ম্যাচ জিতলেই সেমিফাইনাল, সেখানে জিতলে ফাইনাল। কিন্তু সেই যাত্রাপথে আজ তাদের সামনে বড় বাধা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্পিনের বিপক্ষে ‘ঐতিহ্যগত’ভাবেই দুর্বল বলে একটা ধারণা আছে। আর টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিই তো শহীদ আফ্রিদি।
স্যামিও চ্যালেঞ্জটা টের পাচ্ছেন, ‘ওদের অধিনায়ক সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ওরা দুজন অফ স্পিনার আর একজন বাঁহাতি স্পিনার খেলাচ্ছে। ওদের খেলা আমরা দেখেছি। আমরা প্রস্তুত।’
যদি তাই হয়, ভেবে বসবেন না, বাংলাদেশে পাকিস্তানি সমর্থকদের গিজগিজে ভিড়। হ্যাঁ, এখানে শহীদ আফ্রিদিদের সমর্থক সংখ্যা ফেলনা নয় বটে। তবে আজ সাধারণ দর্শক যতটা না পাকিস্তানকে সমর্থন দেবে, হয়তো তার চেয়েও বেশি করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরোধিতা। এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে বাংলাদেশকে দুঃখ দিয়েছে, হতাশায় পুড়িয়েছে দু-দুবার!
আটান্নর সেই লজ্জা বুকের কোণে লুকিয়ে রেখে ক্যারিবীয়দের জোর সমর্থন দিয়েছিল বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটায়। যে ম্যাচে স্যামির দল জিতলে আজ বাংলাদেশকে এভাবে স্রেফ দর্শক হয়ে যেতে হয় না। ১৬ কোটি মানুষের সমর্থন নিয়েও পারল না!
স্যামি অবশ্য আশা করছেন, আজও তাঁদের সমর্থন দিয়ে যাবে অনেক মানুষ, ‘এখানে আবার আসার পর থেকে অবশ্য মানুষের ভালোবাসাই পেয়েছি। গতবার যা ঘটেছে, সেটা দুঃখজনক। তবে সেটা আমরা পেছনেই ফেলে এসেছি। আমরা জানি, বাংলাদেশের মানুষ খুবই অতিথিপরায়ণ। তারা তো আসলে ক্রিকেটই ভালোবাসে।’
তা বটে। বিশেষ করে, ক্রিস গেইলের ভক্তও তো বাংলাদেশে আছে অনেক। টি-টোয়েন্টির মাধ্যমে যেমন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন কাইরন পোলার্ড। গেইল গত ম্যাচ খেলেননি। হালকা চোট আছে। রোচও খেলেননি। তবে আজ দুজনই একাদশে থাকবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন অধিনায়ক, ‘গেইল-রোচ দুজনই আজ (গতকাল) অনুশীলনে ছিল। রোচ বল করেছে, গেইল ব্যাটিংও করেছে। ওরা ভালোই আছে। দলের সবাই উজ্জীবিত। ম্যাচটা জিততে আমরা সেরা একাদশই বেছে নেব।’
সেই একাদশে শিবনারায়ণ চন্দরপল থাকছেন তো? গত দুটো ম্যাচে চন্দরপলকে খেলানো হয়নি। তবে আজ তাঁকে খেলানোর কথাই ভাবছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের মধ্যে স্পিনটা সবচেয়ে ভালো খেলেন। চন্দরপলের অন্তর্ভুক্তি মিডল অর্ডারে অভিজ্ঞতাও বাড়াবে। স্যামি সে রকম ইঙ্গিতই দিলেন, ‘কোয়ার্টার ফাইনালে ওকে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। খুব সম্ভবত ওকে আমরা আগামীকাল (আজ) খেলাচ্ছি।’
মিডল অর্ডারে দলের শক্তিবৃদ্ধির প্রয়োজন পড়ছে গত দুই ম্যাচে শেষের দিকে ব্যাটিং ধসের কারণে। ইংল্যান্ডের পর ভারতের বিপক্ষেও হুড়মুড়িয়ে পড়েছে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ। গত ম্যাচে ৩৪ রানে শেষ ৮ উইকেট পড়েছে। স্যামি অবশ্য জানালেন, ভুল থেকেই তাঁরা শিক্ষা নিয়েছেন, ‘এ অবস্থা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতেই হবে। এভাবে উইকেট পড়ার বড় মাশুল গুনতে হয়। ম্যাচের ফলাফলই ঠিক হয়ে যায়। কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত ওঠার ফলে আমাদের সামনে যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, সেই সুযোগ হাতছাড়া করা চলবে না।’
সুযোগ বলতে আর একটি ম্যাচ জিতলেই সেমিফাইনাল, সেখানে জিতলে ফাইনাল। কিন্তু সেই যাত্রাপথে আজ তাদের সামনে বড় বাধা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্পিনের বিপক্ষে ‘ঐতিহ্যগত’ভাবেই দুর্বল বলে একটা ধারণা আছে। আর টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিই তো শহীদ আফ্রিদি।
স্যামিও চ্যালেঞ্জটা টের পাচ্ছেন, ‘ওদের অধিনায়ক সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ওরা দুজন অফ স্পিনার আর একজন বাঁহাতি স্পিনার খেলাচ্ছে। ওদের খেলা আমরা দেখেছি। আমরা প্রস্তুত।’
No comments