শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন শোয়েব?
অনুশীলনে মন নেই শোয়েব আখতারের। ওয়ার্ম আপের সময়টায় হাত-পা ছুড়লেন, তার চেয়ে বেশি রোদচশমা চোখে তাকালেন এদিক-সেদিক। সবাই যখন ওয়ার্ম আপ শেষ করে নেট প্র্যাকটিসের জন্য একাডেমি মাঠের দিকে হাঁটা ধরলেন, পিন্ডি এক্সপ্রেসের গতি সবচেয়ে কম। এনার্জি ড্রিংকের বোতল হাতে, না পারতেই যেন হাঁটছেন!
অনুশীলনে শোয়েব আখতারের নিরাসক্তির কারণ জানা হয়ে গেছে তার আগেই।্রসংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি বলে এসেছেন, অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের উইনিং কম্বিনেশন ভাঙার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তার মানে, আজকের কোয়ার্টার ফাইনালে শোয়েব বাদ। খেলবেন না জেনেও তাঁর মতো খেয়ালি একজন বোলার কীভাবে অনুশীলনে সিরিয়াস হবেন?
আফ্রিদিকে দুবার বলতে হয়েছে কথাটা। প্রথমবার বললেন, ‘একাদশের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আজ (গতকাল) সন্ধ্যায় নেওয়া হবে। তবে আমি আমার উইনিং কম্বিনেশন নিয়ে সন্তুষ্ট।’ পরে আবার বলেছেন, ‘আমরা উইনিং কম্বিনেশন নিয়েই খেলতে চাই। তার পরও দেখা যাক...।’
আগের ম্যাচের জয়ী দল ধরে রাখার ইচ্ছাটা অধিনায়ক এভাবে জানিয়ে দেওয়ার পর আজ শোয়েবের খেলার সম্ভাবনা থাকে না। বিশ্বকাপের পর অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে রাখা শোয়েব হয়তো ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটাও খেলে ফেলেছেন এরই মধ্যে। আজ হারলে তো পাকিস্তানই বাদ বিশ্বকাপ থেকে। আর জিতলে সেমিফাইনালের আগেও কি উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে চাইবেন আফ্রিদি?
নিউজিল্যান্ড ম্যাচে এক ওভারে ২৮ রান (সব মিলিয়ে ৯ ওভারে ৭০) দেওয়ার মাশুলই শোয়েব দিলেন পরপর তিন ম্যাচে বাদ পড়ে। কেনিয়া, শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ খেলে বিশ্বকাপে তাঁর উইকেট মাত্র ৩টি! তার ওপর পাকিস্তানি মিডিয়ার খবর, অধিনায়ক আফ্রিদি এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে শোয়েবের যাচ্ছে শীতল সম্পর্ক। নিউজিল্যান্ড ম্যাচে ক্যাচ ছাড়ার পর উইকেটকিপার কামরান আকমলের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের কারণে দলের অনেক ক্রিকেটারও ক্ষুব্ধ তাঁর ওপর। আফ্রিদি যতই ‘শোয়েব-কামরানের মধ্যে কিছুই হয়নি’ বলে বিতর্কটাকে উড়িয়ে দিতে চান, দলে শোয়েবের বন্ধু বলতে কেউ নেই। এমনকি বিশ্বকাপের দলের সঙ্গে যে তিনি এখনো আছেন, সেটাও নাকি বিদায়বেলার সম্মান এবং আপাতত তাঁর মুখটা বন্ধ রাখতে!
শোয়েবের মুখ বন্ধ নেই। তবে পাকিস্তানের জন্য স্বস্তির কথা, বাদ পড়ার হতাশা থেকে কাউকে আক্রমণ করে বসছেন না তিনি। ইএসপিএন স্টার ডট কমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে শোয়েবের বরং বিনয়ী চেহারাটাই ফুটে উঠেছে। আড়াই শ উইকেটের আগেই (২৪৭) ওয়ানডে ক্যারিয়ার থেমে যাচ্ছে বলেও নাকি দুঃখ নেই তার মনে, ‘তরুণদের পথ করে দিতে চেয়েছি। কাজেই ২৫০ উইকেট যদি নাও পাই, সমস্যা নেই। ওখানে পৌঁছাটা স্বপ্নের মতো ব্যাপার হতো। কিন্তু না হলে কিছু তো করার নেই। তবে আমি এখনো বিশ্বের সবচেয়ে জোরে বল করা বোলার।’ এও বলেছেন, তাঁর নিজের খেলার চেয়ে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জেতাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ, ‘আমার কাছে দেশের স্বার্থ আগে। আমি সেভাবেই চিন্তা করি। কাজেই দলের যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেব।’
সেটা মেনেই কি কাল অনুশীলনে অত নির্ভার থাকলেন শোয়েব!
অনুশীলনে শোয়েব আখতারের নিরাসক্তির কারণ জানা হয়ে গেছে তার আগেই।্রসংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি বলে এসেছেন, অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের উইনিং কম্বিনেশন ভাঙার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তার মানে, আজকের কোয়ার্টার ফাইনালে শোয়েব বাদ। খেলবেন না জেনেও তাঁর মতো খেয়ালি একজন বোলার কীভাবে অনুশীলনে সিরিয়াস হবেন?
আফ্রিদিকে দুবার বলতে হয়েছে কথাটা। প্রথমবার বললেন, ‘একাদশের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আজ (গতকাল) সন্ধ্যায় নেওয়া হবে। তবে আমি আমার উইনিং কম্বিনেশন নিয়ে সন্তুষ্ট।’ পরে আবার বলেছেন, ‘আমরা উইনিং কম্বিনেশন নিয়েই খেলতে চাই। তার পরও দেখা যাক...।’
আগের ম্যাচের জয়ী দল ধরে রাখার ইচ্ছাটা অধিনায়ক এভাবে জানিয়ে দেওয়ার পর আজ শোয়েবের খেলার সম্ভাবনা থাকে না। বিশ্বকাপের পর অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে রাখা শোয়েব হয়তো ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটাও খেলে ফেলেছেন এরই মধ্যে। আজ হারলে তো পাকিস্তানই বাদ বিশ্বকাপ থেকে। আর জিতলে সেমিফাইনালের আগেও কি উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে চাইবেন আফ্রিদি?
নিউজিল্যান্ড ম্যাচে এক ওভারে ২৮ রান (সব মিলিয়ে ৯ ওভারে ৭০) দেওয়ার মাশুলই শোয়েব দিলেন পরপর তিন ম্যাচে বাদ পড়ে। কেনিয়া, শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ খেলে বিশ্বকাপে তাঁর উইকেট মাত্র ৩টি! তার ওপর পাকিস্তানি মিডিয়ার খবর, অধিনায়ক আফ্রিদি এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে শোয়েবের যাচ্ছে শীতল সম্পর্ক। নিউজিল্যান্ড ম্যাচে ক্যাচ ছাড়ার পর উইকেটকিপার কামরান আকমলের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের কারণে দলের অনেক ক্রিকেটারও ক্ষুব্ধ তাঁর ওপর। আফ্রিদি যতই ‘শোয়েব-কামরানের মধ্যে কিছুই হয়নি’ বলে বিতর্কটাকে উড়িয়ে দিতে চান, দলে শোয়েবের বন্ধু বলতে কেউ নেই। এমনকি বিশ্বকাপের দলের সঙ্গে যে তিনি এখনো আছেন, সেটাও নাকি বিদায়বেলার সম্মান এবং আপাতত তাঁর মুখটা বন্ধ রাখতে!
শোয়েবের মুখ বন্ধ নেই। তবে পাকিস্তানের জন্য স্বস্তির কথা, বাদ পড়ার হতাশা থেকে কাউকে আক্রমণ করে বসছেন না তিনি। ইএসপিএন স্টার ডট কমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে শোয়েবের বরং বিনয়ী চেহারাটাই ফুটে উঠেছে। আড়াই শ উইকেটের আগেই (২৪৭) ওয়ানডে ক্যারিয়ার থেমে যাচ্ছে বলেও নাকি দুঃখ নেই তার মনে, ‘তরুণদের পথ করে দিতে চেয়েছি। কাজেই ২৫০ উইকেট যদি নাও পাই, সমস্যা নেই। ওখানে পৌঁছাটা স্বপ্নের মতো ব্যাপার হতো। কিন্তু না হলে কিছু তো করার নেই। তবে আমি এখনো বিশ্বের সবচেয়ে জোরে বল করা বোলার।’ এও বলেছেন, তাঁর নিজের খেলার চেয়ে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জেতাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ, ‘আমার কাছে দেশের স্বার্থ আগে। আমি সেভাবেই চিন্তা করি। কাজেই দলের যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেব।’
সেটা মেনেই কি কাল অনুশীলনে অত নির্ভার থাকলেন শোয়েব!
No comments