উলফা নেতা গ্রেপ্তার by আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হোক
ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার নেতা মেজর রঞ্জন ও তাঁর এক সহযোগীকে ভৈরবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, খবর সেটা নয়। আসল খবর হলো, তাঁর গ্রেপ্তারের বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি বাংলাদেশের পত্রিকা থেকেই, এ জন্য ভারতের পত্রপত্রিকার খবরের ওপর নির্ভর করতে হয়নি। গ্রেপ্তারের পর র্যাব সদর দপ্তরে যথারীতি সংবাদ ব্রিফিং করে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়েছে। অনুপ্রবেশকারীদের ছবিও পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময় উলফা নেতা গ্রেপ্তারের খবরে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। গত বছরের ১ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন উলফা নেতা শশধর চৌধুরী ও চিত্রবন হাজারিকা। বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ দাবি করে যে ওই ধরনের কোনো নেতা গ্রেপ্তারের খবর তাদের জানা নেই, অথচ ভারতের পত্রপত্রিকায় দাবি করা হয় যে বাংলাদেশে গ্রেপ্তারের পর ৭ নভেম্বর উলফা নেতাদের ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এটা পরিষ্কার যে গ্রেপ্তারের দায় আগে বাংলাদেশ নিতে চাইত না, এখন সেই লুকোচুরির নীতি থেকে বেরিয়ে এসে সরকার সুবিবেচনার পরিচয় দিয়েছে। মেজর রঞ্জন র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন যে তিনি ১৯৯৭ সাল থেকে বাংলাদেশে থাকছেন এবং উলফার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁদের দলের আরও নেতা-কর্মী গোপন পরিচয়ে এ দেশে থেকে তাঁদের বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের প্রশিক্ষণের জন্য কত টাকা ব্যয় করা হয়, সেসব কথাও প্রকাশ পেয়েছে। এটা তো সাংঘাতিক কথা। বন্ধুসুলভ প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র ব্যক্তিরা কীভাবে এক যুগ বা তারও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে অবৈধ তৎপরতা চালিয়ে যেতে পারেন? দেশের গোয়েন্দারা কী করেন? তাঁদের ভূমিকা কি এতই দুর্বল যে প্রতিবেশী দেশের নাশকতামূলক তৎপরতায় লিপ্ত সশস্ত্র ব্যক্তিরা নির্বিঘ্নে বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে চলেছেন?
এর আগে ১৯৯৭ সালে ঢাকার মোহাম্মদপুরের এক বাসা থেকে উলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রচলিত আইনে তাঁর বিচার ও শাস্তি হয়েছে। কিন্তু এখন তাঁর আইনগত অবস্থান সম্পর্কে পরিষ্কার কিছু জানা যায় না। বলা হয়, তিনি মেয়াদ শেষেও কারাগারে আছেন। নাকি বিশেষ ব্যবস্থায় তাঁকে রাখা হয়েছে? পরিষ্কারভাবে কোনো কিছুই মানুষ জানে না। এসব ব্যাপারে রাখঢাক কখনো কোনো দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়। প্রচলিত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সবকিছু করা বাঞ্ছনীয়।
এ ব্যাপারে সরকারের নীতির স্বচ্ছতা থাকা প্রয়োজন। নীতিটি হলো, অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হস্তক্ষেপ না করা। অন্য রাষ্ট্রের ক্ষতিকর কাজে লিপ্ত শক্তিকে কোনো রকম আশ্রয়-প্রশ্রয় না দেওয়া। এই নীতির ব্যাপারে কোনো রকম শৈথিল্য কাম্য নয়। আমরা আশা করব, প্রতিবেশী রাষ্ট্র আমাদের এই নীতি সম্মানের সঙ্গে দেখবে এবং আমাদের প্রতিও একই নীতি অবলম্বন করবে।
বাংলাদেশের অনেক সন্ত্রাসী বিভিন্ন সময় ভারতসহ বিভিন্ন প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নেয়। আমাদের প্রত্যাশা, তাদেরও গ্রেপ্তার করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এভাবেই প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে আস্থার সম্পর্ক দৃঢ়তর হতে পারে। এটাই শান্তির পথ।
এটা পরিষ্কার যে গ্রেপ্তারের দায় আগে বাংলাদেশ নিতে চাইত না, এখন সেই লুকোচুরির নীতি থেকে বেরিয়ে এসে সরকার সুবিবেচনার পরিচয় দিয়েছে। মেজর রঞ্জন র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন যে তিনি ১৯৯৭ সাল থেকে বাংলাদেশে থাকছেন এবং উলফার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁদের দলের আরও নেতা-কর্মী গোপন পরিচয়ে এ দেশে থেকে তাঁদের বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের প্রশিক্ষণের জন্য কত টাকা ব্যয় করা হয়, সেসব কথাও প্রকাশ পেয়েছে। এটা তো সাংঘাতিক কথা। বন্ধুসুলভ প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র ব্যক্তিরা কীভাবে এক যুগ বা তারও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে অবৈধ তৎপরতা চালিয়ে যেতে পারেন? দেশের গোয়েন্দারা কী করেন? তাঁদের ভূমিকা কি এতই দুর্বল যে প্রতিবেশী দেশের নাশকতামূলক তৎপরতায় লিপ্ত সশস্ত্র ব্যক্তিরা নির্বিঘ্নে বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে চলেছেন?
এর আগে ১৯৯৭ সালে ঢাকার মোহাম্মদপুরের এক বাসা থেকে উলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রচলিত আইনে তাঁর বিচার ও শাস্তি হয়েছে। কিন্তু এখন তাঁর আইনগত অবস্থান সম্পর্কে পরিষ্কার কিছু জানা যায় না। বলা হয়, তিনি মেয়াদ শেষেও কারাগারে আছেন। নাকি বিশেষ ব্যবস্থায় তাঁকে রাখা হয়েছে? পরিষ্কারভাবে কোনো কিছুই মানুষ জানে না। এসব ব্যাপারে রাখঢাক কখনো কোনো দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়। প্রচলিত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সবকিছু করা বাঞ্ছনীয়।
এ ব্যাপারে সরকারের নীতির স্বচ্ছতা থাকা প্রয়োজন। নীতিটি হলো, অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হস্তক্ষেপ না করা। অন্য রাষ্ট্রের ক্ষতিকর কাজে লিপ্ত শক্তিকে কোনো রকম আশ্রয়-প্রশ্রয় না দেওয়া। এই নীতির ব্যাপারে কোনো রকম শৈথিল্য কাম্য নয়। আমরা আশা করব, প্রতিবেশী রাষ্ট্র আমাদের এই নীতি সম্মানের সঙ্গে দেখবে এবং আমাদের প্রতিও একই নীতি অবলম্বন করবে।
বাংলাদেশের অনেক সন্ত্রাসী বিভিন্ন সময় ভারতসহ বিভিন্ন প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নেয়। আমাদের প্রত্যাশা, তাদেরও গ্রেপ্তার করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এভাবেই প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে আস্থার সম্পর্ক দৃঢ়তর হতে পারে। এটাই শান্তির পথ।
No comments