ফার্গুসনের ইংল্যান্ড-ভীতি
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে দুর্দান্ত একটা মৌসুম কাটিয়ে বিশ্বকাপে গিয়েছিলেন ওয়েইন রুনি। কিন্তু হতাশ করলেন। রুনিকে দেখে মনে হলো, ফুটবল খেলাটাই বোধ হয় ভুলে গেছেন! সমস্যাটা কি ফ্যাবিও ক্যাপেলোর? ক্যাপেলোর জায়গায় ইংল্যান্ডের কোচ যদি হতেন স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন, তাহলে কি নিজেকে মেলে ধরতে পারতেন রুনি?
হেসে উড়িয়ে দেবেন না। শুধু ফার্গুসন আপত্তি করেছেন বলে, নইলে ম্যানইউর এই কিংবদন্তিকে ইংল্যান্ড দলের দায়িত্ব দেওয়ার চেষ্টা নিতান্ত কম হয়নি। না, ইংল্যান্ডের ফুটবল ফেডারেশন নয়, তথ্যটা জানিয়েছেন খোদ ‘ফার্গি’। সেই সঙ্গে কাজটা কেন নেননি, বলেছেন সেটাও।
ফার্গুসনের দাবি, তিনি প্রথম প্রস্তাবটা পেয়েছিলেন ১৯৯৬ সালে। টেরি ভেনাবেলসের পর তাঁকে কোচ করতে চেয়েছিল এফএ। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের দায়িত্ব পালন করা গ্লেন হডল সরে গেলে ১৯৯৯ সালেও একবার ইংল্যান্ডের দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ফার্গুসনকে।
কিন্তু ফার্গুসন ইংল্যান্ডের কোচ হওয়াটাকে ভয়ংকর কাজ বলেই মনে করেন। সেই সঙ্গে নিজে স্কটিশ বলেও ইংল্যান্ডের দায়িত্ব এড়িয়ে গেছেন বলে জানালেন ম্যানইউর এই কোচ, ‘ইংল্যান্ডের দায়িত্ব পালন করার জন্য বার দুয়েক আমাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে ভাবার প্রশ্নই আসে না। ইংল্যান্ডের দায়িত্বটা হলো বিষের পেয়ালার মতো। ভয়ংকর একটা চাকরি। সঙ্গে আমার আরেকটা বাধা ছিল—আমি একজন স্কটিশ। এই ব্যাপারটা কে কীভাবে দেখে, জানি না। কিন্তু আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
ইংল্যান্ডের দায়িত্ব নেননি বলে দলটি নিয়ে একটুও ভাবেন না, তা নয়। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে কেন ব্যর্থ হলো, সেসব প্রশ্নের জবাবও দিতে হচ্ছে তাঁকে। ফার্গুসন আরও অনেকের মতো দায়টা দিলেন খেলোয়াড়দের ক্লান্তির ওপরই। দীর্ঘ আর ক্লান্তিকর একটা মৌসুম শেষ করে বিশ্বকাপে খেলোয়াড়েরা ফিট থাকতে পারেনি বলেই ধারণা ফার্গুসনের, ‘ইংলিশ ফুটবল মৌসুমটা খুব ক্লান্তিকর। উদাহরণ হিসেবে শুধু ডিসেম্বর মাসের দিকেই তাকান, মাসে আট থেকে নয়টা ম্যাচ খেলতে হয়। মাঠের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়, আবহাওয়াও জঘন্য হয়ে পড়ে। মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধে এসে দেখবেন, অনেক খেলোয়াড়ই ছোটখাটো চোট-টান নিয়ে খেলছে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ থাকে বলে এর পরও খেলা চালিয়ে যায় তারা। এতকিছুর পর বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট যখন আসে, তখন তারা পুরোপুরি ফিট থাকে না।’
প্রশ্ন হলো, ক্লান্তির সমস্যাটা শুধু ইংলিশদেরই কেন? ইংলিশ লিগে তো অন্যরাও খেলেন!
হেসে উড়িয়ে দেবেন না। শুধু ফার্গুসন আপত্তি করেছেন বলে, নইলে ম্যানইউর এই কিংবদন্তিকে ইংল্যান্ড দলের দায়িত্ব দেওয়ার চেষ্টা নিতান্ত কম হয়নি। না, ইংল্যান্ডের ফুটবল ফেডারেশন নয়, তথ্যটা জানিয়েছেন খোদ ‘ফার্গি’। সেই সঙ্গে কাজটা কেন নেননি, বলেছেন সেটাও।
ফার্গুসনের দাবি, তিনি প্রথম প্রস্তাবটা পেয়েছিলেন ১৯৯৬ সালে। টেরি ভেনাবেলসের পর তাঁকে কোচ করতে চেয়েছিল এফএ। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের দায়িত্ব পালন করা গ্লেন হডল সরে গেলে ১৯৯৯ সালেও একবার ইংল্যান্ডের দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ফার্গুসনকে।
কিন্তু ফার্গুসন ইংল্যান্ডের কোচ হওয়াটাকে ভয়ংকর কাজ বলেই মনে করেন। সেই সঙ্গে নিজে স্কটিশ বলেও ইংল্যান্ডের দায়িত্ব এড়িয়ে গেছেন বলে জানালেন ম্যানইউর এই কোচ, ‘ইংল্যান্ডের দায়িত্ব পালন করার জন্য বার দুয়েক আমাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে ভাবার প্রশ্নই আসে না। ইংল্যান্ডের দায়িত্বটা হলো বিষের পেয়ালার মতো। ভয়ংকর একটা চাকরি। সঙ্গে আমার আরেকটা বাধা ছিল—আমি একজন স্কটিশ। এই ব্যাপারটা কে কীভাবে দেখে, জানি না। কিন্তু আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
ইংল্যান্ডের দায়িত্ব নেননি বলে দলটি নিয়ে একটুও ভাবেন না, তা নয়। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে কেন ব্যর্থ হলো, সেসব প্রশ্নের জবাবও দিতে হচ্ছে তাঁকে। ফার্গুসন আরও অনেকের মতো দায়টা দিলেন খেলোয়াড়দের ক্লান্তির ওপরই। দীর্ঘ আর ক্লান্তিকর একটা মৌসুম শেষ করে বিশ্বকাপে খেলোয়াড়েরা ফিট থাকতে পারেনি বলেই ধারণা ফার্গুসনের, ‘ইংলিশ ফুটবল মৌসুমটা খুব ক্লান্তিকর। উদাহরণ হিসেবে শুধু ডিসেম্বর মাসের দিকেই তাকান, মাসে আট থেকে নয়টা ম্যাচ খেলতে হয়। মাঠের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়, আবহাওয়াও জঘন্য হয়ে পড়ে। মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধে এসে দেখবেন, অনেক খেলোয়াড়ই ছোটখাটো চোট-টান নিয়ে খেলছে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ থাকে বলে এর পরও খেলা চালিয়ে যায় তারা। এতকিছুর পর বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট যখন আসে, তখন তারা পুরোপুরি ফিট থাকে না।’
প্রশ্ন হলো, ক্লান্তির সমস্যাটা শুধু ইংলিশদেরই কেন? ইংলিশ লিগে তো অন্যরাও খেলেন!
No comments