সিআইএর অর্থ নেওয়ার কথা অস্বীকার বিজ্ঞানী আমিরির
ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানী শাহরাম আমিরি মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) কাছ থেকে ৫০ লাখ ডলার নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ইরানের গুপ্তচর—এ কথা স্বীকার করতে মার্কিন গোয়েন্দারা আমার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। ইরানে বন্দী তিনজন মার্কিন গুপ্তচরের মুক্তির ব্যবস্থা করতে তাঁরা এই কৌশল নিয়েছিলেন।’
গত শনিবার রাতে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে বিজ্ঞানী আমিরি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ইরানে আটক তিনজনকে গুপ্তচরবৃত্তি করার জন্যই ইরাক-ইরান সীমান্তে পাঠানো হয়েছিল। মার্কিন গোয়েন্দারা বিষয়টি স্বীকার করেছেন। আমি ইরানের গুপ্তচর—এ কথা স্বীকার করলে তাঁরা গুপ্তচর বিনিময়ের নামে আমার মুক্তির বিনিময়ে ওই তিনজনের মুক্তি দাবি করতেন।’
গত বছরের জুলাইয়ে ইরান-ইরাক সীমান্ত থেকে শেন বাউয়ের (২৭), সারাহ সৌর্ড (৩১) ও জোশ ফাট্টালকে (২৭) আটক করে ইরান। ওয়াশিংটনের মতে, তাঁরা তিনজন নির্দোষ। অবকাশ যাপনের জন্য তিনজন ওই এলাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে দুই দেশের সীমান্তের চিহ্ন ছিল না। পরে তাঁদের আটক করে ইরান।
বিজ্ঞানী আমিরি গত বছরের মে মাসে সৌদি আরব থেকে নিখোঁজ হন। তখন থেকেই ইরান অভিযোগ করে আসছিল, মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) তাঁকে অপহরণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে জানায়, বিজ্ঞানী আমিরি নিজের ইচ্ছায়ই সিআইএর সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইরানে ফেরেন। ওয়াশিংটন পোস্টে গত বুধবার রাতের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিজ্ঞানী আমিরি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সিআইএর হয়ে কাজ করেছেন। ইরানের পরমাণু কর্মসূচির তথ্য জানতে সিআইএ তাঁকে ৫০ লাখ ডলার দেয়। এই অর্থ যুক্তরাষ্ট্রে আমিরির ব্যাংক হিসাবে জমাও হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের কোনো ব্যাংকিং লেনদেন না থাকায় আমিরিকে ওই অর্থ রেখেই তেহরানে ফিরে যেতে হয়েছে।
গত শনিবারের সাক্ষাৎকারে পরমাণু বিজ্ঞানী আমিরি জানান, তাঁর কাজ সম্পর্কেও ভুল ভাবনায় ছিলেন মার্কিন গোয়েন্দারা। তিনি তেহরানের মালেক আসতার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে মূলত স্বাস্থ্যবিজ্ঞান নিয়ে কাজ করছিলেন। কিন্তু গোয়েন্দারা তাঁর কাছ থেকে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করেন। আমিরি জানান, মার্কিন গোয়েন্দারা তাঁকে বিভিন্ন ধরনের নথিপত্র দেখান। এসব নথিপত্রে পরমাণু অস্ত্র নির্মাণের প্রক্রিয়া উল্লেখ করা ছিল। তিনি দাবি করেন, ‘এসব নথিপত্র আমি ইরান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়েছি—এমন বলার জন্য আমাকে চাপ দেওয়া হয়।’
আমিরি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর না পেয়ে গোয়েন্দারা তাঁকে মিথ্যা শনাক্ত করার যন্ত্রের মুখোমুখিও করেন। পরে তাঁরা বিষয়টি বুঝতে পারেন।
মার্কিন গোয়েন্দারাই ওয়াশিংটনে ইরানের ইন্টারেস্ট সেকশনে তাঁকে নিয়ে যান বলেও উল্লেখ করেন পরমাণু বিজ্ঞানী আমিরি। তিনি বলেন, আমি নিজে থেকে সেখানে যেতে চাইনি। গোয়েন্দারা একটি ট্যাক্সিতে করে আমাকে জোর করে সেখানে পাঠিয়ে দেন। এর আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আমিরি বলেন, সৌদি আরবের মদিনা শহর থেকে বন্দুকের মুখে সিআইএর ফার্সিভাষী দুজন গোয়েন্দা তাঁকে অপহরণ করেন।
গত শনিবার রাতে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে বিজ্ঞানী আমিরি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ইরানে আটক তিনজনকে গুপ্তচরবৃত্তি করার জন্যই ইরাক-ইরান সীমান্তে পাঠানো হয়েছিল। মার্কিন গোয়েন্দারা বিষয়টি স্বীকার করেছেন। আমি ইরানের গুপ্তচর—এ কথা স্বীকার করলে তাঁরা গুপ্তচর বিনিময়ের নামে আমার মুক্তির বিনিময়ে ওই তিনজনের মুক্তি দাবি করতেন।’
গত বছরের জুলাইয়ে ইরান-ইরাক সীমান্ত থেকে শেন বাউয়ের (২৭), সারাহ সৌর্ড (৩১) ও জোশ ফাট্টালকে (২৭) আটক করে ইরান। ওয়াশিংটনের মতে, তাঁরা তিনজন নির্দোষ। অবকাশ যাপনের জন্য তিনজন ওই এলাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে দুই দেশের সীমান্তের চিহ্ন ছিল না। পরে তাঁদের আটক করে ইরান।
বিজ্ঞানী আমিরি গত বছরের মে মাসে সৌদি আরব থেকে নিখোঁজ হন। তখন থেকেই ইরান অভিযোগ করে আসছিল, মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) তাঁকে অপহরণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে জানায়, বিজ্ঞানী আমিরি নিজের ইচ্ছায়ই সিআইএর সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইরানে ফেরেন। ওয়াশিংটন পোস্টে গত বুধবার রাতের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিজ্ঞানী আমিরি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সিআইএর হয়ে কাজ করেছেন। ইরানের পরমাণু কর্মসূচির তথ্য জানতে সিআইএ তাঁকে ৫০ লাখ ডলার দেয়। এই অর্থ যুক্তরাষ্ট্রে আমিরির ব্যাংক হিসাবে জমাও হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের কোনো ব্যাংকিং লেনদেন না থাকায় আমিরিকে ওই অর্থ রেখেই তেহরানে ফিরে যেতে হয়েছে।
গত শনিবারের সাক্ষাৎকারে পরমাণু বিজ্ঞানী আমিরি জানান, তাঁর কাজ সম্পর্কেও ভুল ভাবনায় ছিলেন মার্কিন গোয়েন্দারা। তিনি তেহরানের মালেক আসতার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে মূলত স্বাস্থ্যবিজ্ঞান নিয়ে কাজ করছিলেন। কিন্তু গোয়েন্দারা তাঁর কাছ থেকে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করেন। আমিরি জানান, মার্কিন গোয়েন্দারা তাঁকে বিভিন্ন ধরনের নথিপত্র দেখান। এসব নথিপত্রে পরমাণু অস্ত্র নির্মাণের প্রক্রিয়া উল্লেখ করা ছিল। তিনি দাবি করেন, ‘এসব নথিপত্র আমি ইরান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়েছি—এমন বলার জন্য আমাকে চাপ দেওয়া হয়।’
আমিরি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর না পেয়ে গোয়েন্দারা তাঁকে মিথ্যা শনাক্ত করার যন্ত্রের মুখোমুখিও করেন। পরে তাঁরা বিষয়টি বুঝতে পারেন।
মার্কিন গোয়েন্দারাই ওয়াশিংটনে ইরানের ইন্টারেস্ট সেকশনে তাঁকে নিয়ে যান বলেও উল্লেখ করেন পরমাণু বিজ্ঞানী আমিরি। তিনি বলেন, আমি নিজে থেকে সেখানে যেতে চাইনি। গোয়েন্দারা একটি ট্যাক্সিতে করে আমাকে জোর করে সেখানে পাঠিয়ে দেন। এর আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আমিরি বলেন, সৌদি আরবের মদিনা শহর থেকে বন্দুকের মুখে সিআইএর ফার্সিভাষী দুজন গোয়েন্দা তাঁকে অপহরণ করেন।
No comments