ইরাকে আত্মঘাতী হামলায় নিহত ৪৩
ইরাকের রাদওয়ানিয়া শহরে গতকাল রোববার আত্মঘাতী বোমা হামলায় কমপক্ষে ৪৩ জন নিহত ও ৪১ জন আহত হয়েছেন। হতাহত ব্যক্তিদের অধিকাংশ আল-কায়েদাবিরোধী গেরিলা সংগঠন সাহওয়ার সদস্য। হামলার সময় তাঁরা সেনাবাহিনীর একটি কার্যালয় থেকে বেতন নিচ্ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, বাগদাদের ২৫ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত রাদওয়ানিয়া শহরের আল-বালাসিম সেনাঘাঁটির একটি অফিসের কক্ষে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটার দিকে হামলাটি চালানো হয়। এ শহরটি এক সময় সুন্নি আরব বিদ্রোহীদের শক্ত ঘাঁটি ছিল। হামলার সময় মার্কিন ও ইরাকি সেনাবাহিনীর মদদপুষ্ট গেরিলা সংগঠন সাহওয়ার সদস্যরা লাইনে দাঁড়িয়ে মাসিক বেতন তুলছিলেন। ঠিক এসময় একজন আত্মঘাতী বোমাবাজ শরীরে লুকিয়ে রাখা বিস্ফোরকের সাহায্যে নিজেকে উড়িয়ে দিলে হতাহতের ওই ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত ব্যক্তিদের মাহমুদিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে যাওয়া ২০ বছর বয়স্ক তাসির মোহসিন বলেন, ‘আমরা ৮৫ জন তিন সারিতে দাঁড়িয়ে বেতন নিচ্ছিলাম। এমন সময় একজন লোক আমাদের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। একজন সেনা তাঁকে থামানোর চেষ্টা করলে তিনি নিজেকে উড়িয়ে দেন। আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। জ্ঞান ফিরলে নিজেকে হাসপাতালের বিছানায় দেখতে পাই।’
আল-কায়েদা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ২০০৬ সালের গোড়ার দিকে সাহওয়া গঠন করা হয়। এ গেরিলা গোষ্ঠীটির অধিকাংশ সদস্য সুন্নি আরব। এ ছাড়া বিভিন্ন উপজাতীয় গোষ্ঠীর সদস্য ও সাবেক ইরাকি গেরিলাদের অনেকে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। প্রথম দিকে এ গেরিলা সংগঠনটির বেতন সরাসরি মার্কিন সেনাবাহিনী দিত। তখন জনপ্রতি মাসিক বেতন ছিল ৩০০ মার্কিন ডলার। ২০০৮ সালের অক্টোবরে সাহওয়ার দায়িত্ব মার্কিন বাহিনী ইরাক সরকারের হাতে ছেড়ে দেয়। তখন তাদের বেতন জনপ্রতি ১০০ ডলার কমে যায়।
মার্কিন ও ইরাকি সেনাদের সাহওয়ার সহায়তার কারণে ইরাকে আল-কায়েদাসহ বিভিন্ন গেরিলা গোষ্ঠীর তৎপরতা নাটকীয়ভাবে কমে যায়। তবে এর পরেও এই সুন্নি গেরিলা সংগঠনটি সন্দেহের চোখে দেখে থাকে ইরাকের শিয়া নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারকে। গত ছয় মাসে আল-কায়েদা জঙ্গিদের হামলায় অনেক সাহওয়া যোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা প্রাণ হারান।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, বাগদাদের ২৫ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত রাদওয়ানিয়া শহরের আল-বালাসিম সেনাঘাঁটির একটি অফিসের কক্ষে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটার দিকে হামলাটি চালানো হয়। এ শহরটি এক সময় সুন্নি আরব বিদ্রোহীদের শক্ত ঘাঁটি ছিল। হামলার সময় মার্কিন ও ইরাকি সেনাবাহিনীর মদদপুষ্ট গেরিলা সংগঠন সাহওয়ার সদস্যরা লাইনে দাঁড়িয়ে মাসিক বেতন তুলছিলেন। ঠিক এসময় একজন আত্মঘাতী বোমাবাজ শরীরে লুকিয়ে রাখা বিস্ফোরকের সাহায্যে নিজেকে উড়িয়ে দিলে হতাহতের ওই ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত ব্যক্তিদের মাহমুদিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে যাওয়া ২০ বছর বয়স্ক তাসির মোহসিন বলেন, ‘আমরা ৮৫ জন তিন সারিতে দাঁড়িয়ে বেতন নিচ্ছিলাম। এমন সময় একজন লোক আমাদের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। একজন সেনা তাঁকে থামানোর চেষ্টা করলে তিনি নিজেকে উড়িয়ে দেন। আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। জ্ঞান ফিরলে নিজেকে হাসপাতালের বিছানায় দেখতে পাই।’
আল-কায়েদা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ২০০৬ সালের গোড়ার দিকে সাহওয়া গঠন করা হয়। এ গেরিলা গোষ্ঠীটির অধিকাংশ সদস্য সুন্নি আরব। এ ছাড়া বিভিন্ন উপজাতীয় গোষ্ঠীর সদস্য ও সাবেক ইরাকি গেরিলাদের অনেকে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। প্রথম দিকে এ গেরিলা সংগঠনটির বেতন সরাসরি মার্কিন সেনাবাহিনী দিত। তখন জনপ্রতি মাসিক বেতন ছিল ৩০০ মার্কিন ডলার। ২০০৮ সালের অক্টোবরে সাহওয়ার দায়িত্ব মার্কিন বাহিনী ইরাক সরকারের হাতে ছেড়ে দেয়। তখন তাদের বেতন জনপ্রতি ১০০ ডলার কমে যায়।
মার্কিন ও ইরাকি সেনাদের সাহওয়ার সহায়তার কারণে ইরাকে আল-কায়েদাসহ বিভিন্ন গেরিলা গোষ্ঠীর তৎপরতা নাটকীয়ভাবে কমে যায়। তবে এর পরেও এই সুন্নি গেরিলা সংগঠনটি সন্দেহের চোখে দেখে থাকে ইরাকের শিয়া নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারকে। গত ছয় মাসে আল-কায়েদা জঙ্গিদের হামলায় অনেক সাহওয়া যোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা প্রাণ হারান।
No comments