অ্যাম্বুলেন্স প্রটোকলে রোগী উপেক্ষিত by ঊর্ধ্বতনদের নয়, জনগণকে খুশি করাই প্রশাসনের দায়িত্ব
বাঁশের চেয়ে কঞ্চি দড়, মন্ত্রীর চেয়ে উপদেষ্টা বড় আর তাঁর থেকে বড় হলেন চিকিৎসা কর্মকর্তারা। মুমূর্ষু অন্তঃসত্ত্বাকে জরুরিভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জেলা সদরে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়নি, কারণ সেটি তখন স্বাস্থ্য উপদেষ্টার প্রটোকলে নিয়োজিত। অতি উৎসাহী হয়ে কাণ্ডটি করেছেন জেলার চিকিৎসা কর্মকর্তারা। অথচ মন্ত্রী পর্যায়ের নিচের কারও জন্য ঢাকার বাইরে সফরের সময় অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা দল নিযুক্ত করার নিয়ম নেই।
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘটা এই অনিয়ম গত শনিবারের প্রথম আলোর সংবাদে প্রকাশিত হয়েছে। মুমূর্ষু ওই অন্তঃসত্ত্বাকে বৃহস্পতিবার রাতেই জরুরি উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। পরামর্শ দিয়েই দায়িত্ব খালাস, রোগীকে স্থানান্তরের জন্য ওই হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সটি পাওয়ার কোনো ব্যবস্থা তাঁরা করেননি। উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে ধরনা দিয়েও রোগীর স্বামী উপেক্ষিত হয়েছেন। কারণ, সেখানকার সিভিল সার্জন অ্যাম্বুলেন্সটি স্বাস্থ্য উপদেষ্টার জন্য গঠিত চিকিৎসা দলের ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ দিয়ে রেখেছেন। এলাকার বা হাসপাতালের কোনো রোগীর জীবন রক্ষার মতো জরুরি প্রয়োজন উপেক্ষা করাকে তিনি দায়িত্বে অবহেলা মনে করেননি। অথচ স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সেখানে সরকারি কাজে যাননি, গেছেন স্থানীয় এক সাংসদের বাবার মৃত্যুবার্ষিকীর মিলাদ মাহফিলে।
এ ধরনের আচরণ কেবল দায়িত্বহীনতাই নয়, মানুষের প্রতি বিবেচনাবোধেরও অভাব। এই অভাব প্রশাসনের নিম্ন থেকে উচ্চপর্যায় পর্যন্ত দেখা যায়। যাঁদের কাজ জনসেবা, তাঁদের দ্বারা জনগণকে এমন উপেক্ষা দুঃখজনক। আশা করি, সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জবাবদিহি চাইবে এবং প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্দেশ দেবে যে ঊর্ধ্বতনদের খুশি করার চেয়ে দায়িত্ব পালন বড়। মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন, সরকারি কর্মকর্তাদের প্রথম কর্তব্য সাধারণ মানুষের প্রয়োজন ও বিপদে দায়িত্ব অনুযায়ী সহযোগিতা করা।
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘটা এই অনিয়ম গত শনিবারের প্রথম আলোর সংবাদে প্রকাশিত হয়েছে। মুমূর্ষু ওই অন্তঃসত্ত্বাকে বৃহস্পতিবার রাতেই জরুরি উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। পরামর্শ দিয়েই দায়িত্ব খালাস, রোগীকে স্থানান্তরের জন্য ওই হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সটি পাওয়ার কোনো ব্যবস্থা তাঁরা করেননি। উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে ধরনা দিয়েও রোগীর স্বামী উপেক্ষিত হয়েছেন। কারণ, সেখানকার সিভিল সার্জন অ্যাম্বুলেন্সটি স্বাস্থ্য উপদেষ্টার জন্য গঠিত চিকিৎসা দলের ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ দিয়ে রেখেছেন। এলাকার বা হাসপাতালের কোনো রোগীর জীবন রক্ষার মতো জরুরি প্রয়োজন উপেক্ষা করাকে তিনি দায়িত্বে অবহেলা মনে করেননি। অথচ স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সেখানে সরকারি কাজে যাননি, গেছেন স্থানীয় এক সাংসদের বাবার মৃত্যুবার্ষিকীর মিলাদ মাহফিলে।
এ ধরনের আচরণ কেবল দায়িত্বহীনতাই নয়, মানুষের প্রতি বিবেচনাবোধেরও অভাব। এই অভাব প্রশাসনের নিম্ন থেকে উচ্চপর্যায় পর্যন্ত দেখা যায়। যাঁদের কাজ জনসেবা, তাঁদের দ্বারা জনগণকে এমন উপেক্ষা দুঃখজনক। আশা করি, সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জবাবদিহি চাইবে এবং প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্দেশ দেবে যে ঊর্ধ্বতনদের খুশি করার চেয়ে দায়িত্ব পালন বড়। মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন, সরকারি কর্মকর্তাদের প্রথম কর্তব্য সাধারণ মানুষের প্রয়োজন ও বিপদে দায়িত্ব অনুযায়ী সহযোগিতা করা।
No comments