ভেনেজুয়েলায় উভয় পক্ষেরই তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি
বিরোধীদলীয় নেতারা একের পর এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক করছেন। হয়তো রাজনীতির নতুন ছক কষছেন। সরকারপক্ষের সম্ভাব্য প্রার্থীর কণ্ঠ বাতাসে ধ্বনিত হচ্ছে অবিরত। দেয়ালগুলো ছেয়ে গেছে পোস্টারে। হুগো চাভেজ এখনো ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট। তবে সবকিছু দেখেশুনে মনে হচ্ছে, দেশটির নাগরিকেরা এখনই তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচনে তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন।
ক্যানসারে আক্রান্ত চাভেজ যদি অসুস্থতা কাটিয়ে উঠতে না পারেন, তবে দেশে নতুন একটি নির্বাচন আসন্ন হয়ে উঠতে পারে। কেননা, প্রায় তিন মাস ধরে চাভেজকে দেখা যায়নি বা তাঁর কণ্ঠ শোনা যায়নি। এই সময়ের মধ্যে কেবল তাঁর কয়েকটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে করে একের পর এক গুজব রটছে, চাভেজ মারা গেছেন বা মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন।
এ অবস্থায় ভেনেজুয়েলাজুড়ে চাভেজের সুস্থতার জন্য প্রকাশ্যে প্রার্থনার পাশাপাশি দেশের কট্টর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী দুই শিবির নির্বাচনী প্রচারাভিযানের তোড়জোড় শুরু করে দেবে এটা বিস্ময়ের কিছু নয়।
বিরোধী শিবিরের সম্ভাব্য প্রার্থী হেনরিক ক্যাপ্রিলেস বলেন, ‘এখন পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হয়নি। তবে আপনাকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে, আর আমরা সেজন্য প্রস্তুত।’
গত বছরের অক্টোবরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চাভেজের কাছে পরাজিত হন ক্যাপ্রিলেস। তবে এই বিরোধীদলীয় নেতা আঞ্চলিক নির্বাচনে এর আগে সাবেক দুই ভাইস প্রেসিডেন্টকে পরাজিত করেছেন। আর চাভেজ মারা গেলে বা পদত্যাগ করলে, ক্যাপ্রিলেসকে যাঁর বিরুদ্ধে লড়তে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে তিনি বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো। ক্যাপ্রিলেস গত সপ্তাহে বলেন, ‘আমি এরই মধ্যে দুজন ভাইস প্রেসিডেন্টকে ধরাশয়ী করেছি। ...সামনে পাচ্ছি তৃতীয়জনকে!’
ভেনেজুয়েলায় নির্বাচন নিয়ে যে আলাপ-আলোচনা বর্তমানে চলছে তার শুরুটা করে দিয়েছিলেন ৫৮ বছর বয়সী চাভেজ নিজেই। গত বছরের ডিসেম্বরে তিনি ক্যানসারের চিকিৎসা নিতে কিউবায় যাওয়ার আগে ইঙ্গিত দেন, তাঁর পক্ষে এই ক্যানসারকে পরাভূত করা আর হয়তো সম্ভব হচ্ছে না। তাঁর অনুপস্থিতিতে সমর্থকেরা যেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে নেতা হিসেবে বেছে নেন।
যদিও মাদুরো চাভেজের মতো ক্যারিসম্যাটিক নেতা নন, তার পরও তিনি চাভেজের স্টাইল ও ভাষা অনুকরণ করতে সিদ্ধহস্ত। মাদুরো প্রতিদিনই টেলিভিশনের সামনে হাজির হচ্ছেন, বিরোধীদের সমালোচনার দাঁতভাঙা জবাব দিচ্ছেন, সরকারের বিভিন্ন কাজ উদ্বোধন করছেন ও তাঁর নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কথা বলছেন।
এভাবে প্রতিদিন নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের সেতুবন্ধ রচনা করে প্রকৃতপক্ষে মাদুরো অঘোষিতভাবে নির্বাচনী প্রচারণাই চালাচ্ছেন। দেশটির ক্ষমতাসীন সোশ্যালিস্ট পার্টির সূত্রগুলোও নিশ্চিত করেছে, তারা সম্ভাব্য একটি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ক্যানসারে আক্রান্ত চাভেজ যদি অসুস্থতা কাটিয়ে উঠতে না পারেন, তবে দেশে নতুন একটি নির্বাচন আসন্ন হয়ে উঠতে পারে। কেননা, প্রায় তিন মাস ধরে চাভেজকে দেখা যায়নি বা তাঁর কণ্ঠ শোনা যায়নি। এই সময়ের মধ্যে কেবল তাঁর কয়েকটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে করে একের পর এক গুজব রটছে, চাভেজ মারা গেছেন বা মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন।
এ অবস্থায় ভেনেজুয়েলাজুড়ে চাভেজের সুস্থতার জন্য প্রকাশ্যে প্রার্থনার পাশাপাশি দেশের কট্টর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী দুই শিবির নির্বাচনী প্রচারাভিযানের তোড়জোড় শুরু করে দেবে এটা বিস্ময়ের কিছু নয়।
বিরোধী শিবিরের সম্ভাব্য প্রার্থী হেনরিক ক্যাপ্রিলেস বলেন, ‘এখন পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হয়নি। তবে আপনাকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে, আর আমরা সেজন্য প্রস্তুত।’
গত বছরের অক্টোবরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চাভেজের কাছে পরাজিত হন ক্যাপ্রিলেস। তবে এই বিরোধীদলীয় নেতা আঞ্চলিক নির্বাচনে এর আগে সাবেক দুই ভাইস প্রেসিডেন্টকে পরাজিত করেছেন। আর চাভেজ মারা গেলে বা পদত্যাগ করলে, ক্যাপ্রিলেসকে যাঁর বিরুদ্ধে লড়তে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে তিনি বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো। ক্যাপ্রিলেস গত সপ্তাহে বলেন, ‘আমি এরই মধ্যে দুজন ভাইস প্রেসিডেন্টকে ধরাশয়ী করেছি। ...সামনে পাচ্ছি তৃতীয়জনকে!’
ভেনেজুয়েলায় নির্বাচন নিয়ে যে আলাপ-আলোচনা বর্তমানে চলছে তার শুরুটা করে দিয়েছিলেন ৫৮ বছর বয়সী চাভেজ নিজেই। গত বছরের ডিসেম্বরে তিনি ক্যানসারের চিকিৎসা নিতে কিউবায় যাওয়ার আগে ইঙ্গিত দেন, তাঁর পক্ষে এই ক্যানসারকে পরাভূত করা আর হয়তো সম্ভব হচ্ছে না। তাঁর অনুপস্থিতিতে সমর্থকেরা যেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে নেতা হিসেবে বেছে নেন।
যদিও মাদুরো চাভেজের মতো ক্যারিসম্যাটিক নেতা নন, তার পরও তিনি চাভেজের স্টাইল ও ভাষা অনুকরণ করতে সিদ্ধহস্ত। মাদুরো প্রতিদিনই টেলিভিশনের সামনে হাজির হচ্ছেন, বিরোধীদের সমালোচনার দাঁতভাঙা জবাব দিচ্ছেন, সরকারের বিভিন্ন কাজ উদ্বোধন করছেন ও তাঁর নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কথা বলছেন।
এভাবে প্রতিদিন নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের সেতুবন্ধ রচনা করে প্রকৃতপক্ষে মাদুরো অঘোষিতভাবে নির্বাচনী প্রচারণাই চালাচ্ছেন। দেশটির ক্ষমতাসীন সোশ্যালিস্ট পার্টির সূত্রগুলোও নিশ্চিত করেছে, তারা সম্ভাব্য একটি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
No comments