প্রার্থনা আম্পায়ারদের জন্যও
ইংল্যান্ডের রান তখন ৮৮, এউইন মরগানের ১৩। মাহমুদউল্লাহর স্টাম্প সোজা বল সুইপ করতে গিয়ে লাইন মিস করলেন মরগান। ধারাভাষ্য কক্ষে যাঁরা ছিলেন, যাঁরা খেলা দেখছিলেন সবাই বুঝতে পারছিলেন নিশ্চিত আউট, শুধু বুঝতে পারলেন না যাঁর সবচেয়ে বেশি বোঝার কথা তিনিই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়টা যে অধরাই থেকে গেল এ জন্য বাড়তি আর ১০-১৫টা রান, শেষ দিকে বাজে বোলিং, ক্যাচ ছাড়া—এগুলোর সঙ্গে কম দায়ী নয় বাজে আম্পায়ারিংও। ইংল্যান্ডের সেরা দুই ব্যাটসম্যান কেভিন পিটারসেন ও পল কলিংউড আগেই আউট হয়ে বসে ছিলেন ড্রেসিংরুমে। দ্বিতীয় ম্যাচ নিয়ে তাই আক্ষেপটা এখনো যাচ্ছে না বাংলাদেশ শিবির থেকে।
আম্পায়ারিং নিয়ে এই ক্ষোভ অবশ্য আকস্মিক নয়। দেশের মাটিতে হোক আর বিদেশে, বরাবরই আম্পায়াররাও যেন বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ। ‘আম্পায়াররাও মানুষ, ভুল হতেই পরে’—বহু চর্চিত এই বাক্যে এখন আর কোনোভাবেই সান্ত্বনা পাওয়া যাচ্ছে না। মানবীয় ভুলগুলো করার জন্য বারবার আম্পায়াররা বাংলাদেশকেই বেছে নিচ্ছেন, আর সেগুলোও এমন সময়ে যে সহানুভূতি এখন রূপ নিয়েছে ক্ষোভে। প্রকাশ্যে অবশ্য কিছু বলার উপায় নেই। দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, ‘আম্পায়াররা যথেষ্ট ধারাবাহিক ছিলেন না। দু-একটি ক্লোজ সিদ্ধান্ত আমাদের পক্ষে গেলে হয়তো জিতে যেতাম। তবে এটা খেলারই অংশ, এমন হতেই পারে।’ অতি সতর্ক এই মন্তব্যের পরও আইসিসির আচরণবিধি স্মরণ করিয়ে ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো সতর্ক করে দিয়েছেন সাকিবকে। প্রকাশ্যে তাই কেউ কিছুই বলছেন না, কিন্তু মনে ক্ষোভ ঠিকই আছে।
নতুন সব আম্পায়ার বা পুনর্বাসন কাটিয়ে ফেরাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্র হিসেবেও আইসিসি বরাবরই বেছে নিয়েছে বাংলাদেশকে। কোচ জেমি সিডন্স এ জন্য একবার ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে আইসিসির এক কর্মকতাকে ই-মেইল করেছিলেন। ওই কর্মকর্তা সিডন্সকে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানাতে বলেছিলেন, কিন্তু লাভ হবে না জেনে আর অভিযোগ করেননি সিডন্স। দীর্ঘদিন বাংলাদেশের মতোই ছোট দলে খেলা ইংল্যান্ড কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার অবশ্য এ সম্পর্কে নিরাপদ মন্তব্যই করলেন, ‘হ্যাঁ, এটা প্রায়ই দেখা যায়। কিন্তু আইসিসি নিশ্চয়ই ভেবেচিন্তেই এটা করে।’
গত ম্যাচ শেষে অবশ্য টিম ম্যানেজারের নিয়মিত রিপোর্টে আম্পায়ারিং নিয়ে বাংলাদেশের ম্যানেজার অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে একটি সূত্রে। তবে লাভ কিছু হবে বলে মনে হয় না। বাংলাদেশের ভালো খেলার পাশাপাশি তাই এখন এটাও প্রার্থনা করতে হয়, ‘আম্পায়াররাও ভালো খেলুক।’
আম্পায়ারিং নিয়ে এই ক্ষোভ অবশ্য আকস্মিক নয়। দেশের মাটিতে হোক আর বিদেশে, বরাবরই আম্পায়াররাও যেন বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ। ‘আম্পায়াররাও মানুষ, ভুল হতেই পরে’—বহু চর্চিত এই বাক্যে এখন আর কোনোভাবেই সান্ত্বনা পাওয়া যাচ্ছে না। মানবীয় ভুলগুলো করার জন্য বারবার আম্পায়াররা বাংলাদেশকেই বেছে নিচ্ছেন, আর সেগুলোও এমন সময়ে যে সহানুভূতি এখন রূপ নিয়েছে ক্ষোভে। প্রকাশ্যে অবশ্য কিছু বলার উপায় নেই। দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, ‘আম্পায়াররা যথেষ্ট ধারাবাহিক ছিলেন না। দু-একটি ক্লোজ সিদ্ধান্ত আমাদের পক্ষে গেলে হয়তো জিতে যেতাম। তবে এটা খেলারই অংশ, এমন হতেই পারে।’ অতি সতর্ক এই মন্তব্যের পরও আইসিসির আচরণবিধি স্মরণ করিয়ে ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো সতর্ক করে দিয়েছেন সাকিবকে। প্রকাশ্যে তাই কেউ কিছুই বলছেন না, কিন্তু মনে ক্ষোভ ঠিকই আছে।
নতুন সব আম্পায়ার বা পুনর্বাসন কাটিয়ে ফেরাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্র হিসেবেও আইসিসি বরাবরই বেছে নিয়েছে বাংলাদেশকে। কোচ জেমি সিডন্স এ জন্য একবার ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে আইসিসির এক কর্মকতাকে ই-মেইল করেছিলেন। ওই কর্মকর্তা সিডন্সকে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানাতে বলেছিলেন, কিন্তু লাভ হবে না জেনে আর অভিযোগ করেননি সিডন্স। দীর্ঘদিন বাংলাদেশের মতোই ছোট দলে খেলা ইংল্যান্ড কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার অবশ্য এ সম্পর্কে নিরাপদ মন্তব্যই করলেন, ‘হ্যাঁ, এটা প্রায়ই দেখা যায়। কিন্তু আইসিসি নিশ্চয়ই ভেবেচিন্তেই এটা করে।’
গত ম্যাচ শেষে অবশ্য টিম ম্যানেজারের নিয়মিত রিপোর্টে আম্পায়ারিং নিয়ে বাংলাদেশের ম্যানেজার অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে একটি সূত্রে। তবে লাভ কিছু হবে বলে মনে হয় না। বাংলাদেশের ভালো খেলার পাশাপাশি তাই এখন এটাও প্রার্থনা করতে হয়, ‘আম্পায়াররাও ভালো খেলুক।’
No comments