অর্পিত সম্পত্তি মামলা -ইতিহাসের দায় থেকে মুক্তি চাই
অর্পিত সম্পত্তির মামলা বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি কলঙ্ক। সরকারের পক্ষ থেকে যখনই এই কলঙ্কমোচনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তখনই তা বাস্তবায়নের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন আদালত, প্রশাসন এবং রাজস্ব বিভাগের একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী।
সুপ্রিম কোর্ট বহুকাল আগেই রায় দিয়েছিলেন, ১৯৬৯ সালের ১৬ ডিসেম্বরের পরে আর কোনো সম্পত্তি শত্রু বা অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে জারি করা যাবে না। এ রকম কিছু হলে তা বেআইনি বলে চিহ্নিত হবে। কিন্তু অসাধু চক্র তাতে থামেনি। রেকর্ডপত্র থেকে দেখা যায়, অসাধু ব্যক্তিরা নানা ফাঁকফোকর বের করে ১৯৭২, এমনকি ১৯৭৮ সালেও নতুন করে অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করে কাগজপত্র তৈরি করেছেন। অধিকাংশ অর্পিত সম্পত্তি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছিল। তারা দেশত্যাগের কারণে অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে জাল-জালিয়াতির যে উপাখ্যান সৃষ্টি হয়েছে, তা কিংবদন্তিতুল্য।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর সংসদ প্রত্যর্পণযোগ্য ব্যক্তিদের কাছে এসব সম্পত্তি ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে একটি নতুন আইন করেছে। আশা করা হয়েছিল, আইনটির আওতায় মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। গতকাল প্রথম আলোর প্রতিবেদন বলেছে, দেড় লাখ মামলার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে মাত্র এক হাজার ১০০টি। ভূমিমন্ত্রী বলেছেন, ৫০ বছরের পুরোনো সমস্যা। কাগজপত্র দেখেশুনে মামলার সুরাহা করতে সময় লাগছে। কিন্তু জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা বলেছেন, সরকারের সদিচ্ছা থাকলেও তা কাজে আসছে না। আর নিষ্পত্তি না হওয়া মামলার সংখ্যা দেড় লাখের অনেক বেশি হবে।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের মতে, চলতি গতিহীনতার প্রধান কারণ দুটি। প্রথমত, জেলা জজকে নিয়মিত মামলা নিষ্পত্তি করতেই ব্যস্ত থাকতে হয়, কেবল অর্পিত সম্পত্তির মামলা শুনতে আলাদাভাবে ট্রাইব্যুনাল চালানো সম্ভব হয় না। তাঁর সময়স্বল্পতা সরকার বিবেচনায় নেয়নি। এর অবসান ঘটাতে হবে। এ জন্য আলাদাভাবে স্পেশাল জজের নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। তাঁরা কোনো বিরতি ছাড়াই মামলার শুনানি করবেন। আমরা মনে করি, অর্পিত সম্পত্তিসংক্রান্ত বিরোধ ও মামলা একটি ক্যানসার হয়ে আছে। এর অপসারণ জরুরি। এই মামলাগুলো আরও নানা ধরনের দুর্নীতিকে উসকে দিচ্ছে। সে কারণে সরকারকে জেলা জজের ওপর বাড়তি বোঝা চাপানোর বিষয়ে ত্বরিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
দ্বিতীয় যে সমস্যাটি দেখা দিয়েছে সেটি আইনজ্ঞরা উচ্চ আদালতের ব্যাখ্যানির্ভর বলে বর্ণনা করছেন। নতুন আইন বলেছে, আগে যত আদালতে অর্পিত সম্পত্তির মামলা চলছিল, তা আর চলবে না। এখন থেকে তা দেখবেন কেবল ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু কোনটি চলবে আর কোনটি চলবে না, তা আইনে স্পষ্ট নয়। এ জন্য একটি ব্যাখ্যা দরকার। এর সঙ্গে কারও কারও মতে ৫০ হাজারের বেশি মামলার ভবিষ্যৎ জড়িত। সে জন্য হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ সম্প্রতি প্রধান বিচারপতির কাছে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য একটি বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন।
অর্পিত সম্পত্তির সমস্যা নিরসনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এর একটি বিহিত-ব্যবস্থা করা অপরিহার্য। ইতিহাসের এই দায় থেকে জাতির মুক্তি দরকার।
সুপ্রিম কোর্ট বহুকাল আগেই রায় দিয়েছিলেন, ১৯৬৯ সালের ১৬ ডিসেম্বরের পরে আর কোনো সম্পত্তি শত্রু বা অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে জারি করা যাবে না। এ রকম কিছু হলে তা বেআইনি বলে চিহ্নিত হবে। কিন্তু অসাধু চক্র তাতে থামেনি। রেকর্ডপত্র থেকে দেখা যায়, অসাধু ব্যক্তিরা নানা ফাঁকফোকর বের করে ১৯৭২, এমনকি ১৯৭৮ সালেও নতুন করে অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করে কাগজপত্র তৈরি করেছেন। অধিকাংশ অর্পিত সম্পত্তি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছিল। তারা দেশত্যাগের কারণে অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে জাল-জালিয়াতির যে উপাখ্যান সৃষ্টি হয়েছে, তা কিংবদন্তিতুল্য।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর সংসদ প্রত্যর্পণযোগ্য ব্যক্তিদের কাছে এসব সম্পত্তি ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে একটি নতুন আইন করেছে। আশা করা হয়েছিল, আইনটির আওতায় মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। গতকাল প্রথম আলোর প্রতিবেদন বলেছে, দেড় লাখ মামলার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে মাত্র এক হাজার ১০০টি। ভূমিমন্ত্রী বলেছেন, ৫০ বছরের পুরোনো সমস্যা। কাগজপত্র দেখেশুনে মামলার সুরাহা করতে সময় লাগছে। কিন্তু জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা বলেছেন, সরকারের সদিচ্ছা থাকলেও তা কাজে আসছে না। আর নিষ্পত্তি না হওয়া মামলার সংখ্যা দেড় লাখের অনেক বেশি হবে।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের মতে, চলতি গতিহীনতার প্রধান কারণ দুটি। প্রথমত, জেলা জজকে নিয়মিত মামলা নিষ্পত্তি করতেই ব্যস্ত থাকতে হয়, কেবল অর্পিত সম্পত্তির মামলা শুনতে আলাদাভাবে ট্রাইব্যুনাল চালানো সম্ভব হয় না। তাঁর সময়স্বল্পতা সরকার বিবেচনায় নেয়নি। এর অবসান ঘটাতে হবে। এ জন্য আলাদাভাবে স্পেশাল জজের নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। তাঁরা কোনো বিরতি ছাড়াই মামলার শুনানি করবেন। আমরা মনে করি, অর্পিত সম্পত্তিসংক্রান্ত বিরোধ ও মামলা একটি ক্যানসার হয়ে আছে। এর অপসারণ জরুরি। এই মামলাগুলো আরও নানা ধরনের দুর্নীতিকে উসকে দিচ্ছে। সে কারণে সরকারকে জেলা জজের ওপর বাড়তি বোঝা চাপানোর বিষয়ে ত্বরিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
দ্বিতীয় যে সমস্যাটি দেখা দিয়েছে সেটি আইনজ্ঞরা উচ্চ আদালতের ব্যাখ্যানির্ভর বলে বর্ণনা করছেন। নতুন আইন বলেছে, আগে যত আদালতে অর্পিত সম্পত্তির মামলা চলছিল, তা আর চলবে না। এখন থেকে তা দেখবেন কেবল ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু কোনটি চলবে আর কোনটি চলবে না, তা আইনে স্পষ্ট নয়। এ জন্য একটি ব্যাখ্যা দরকার। এর সঙ্গে কারও কারও মতে ৫০ হাজারের বেশি মামলার ভবিষ্যৎ জড়িত। সে জন্য হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ সম্প্রতি প্রধান বিচারপতির কাছে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য একটি বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন।
অর্পিত সম্পত্তির সমস্যা নিরসনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এর একটি বিহিত-ব্যবস্থা করা অপরিহার্য। ইতিহাসের এই দায় থেকে জাতির মুক্তি দরকার।
No comments