তিন দিনের টানা হরতাল
মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর দেশজুড়ে জামায়াত-শিবিরের সহিংসতা ও তাণ্ডবের রেশ যেতে না যেতেই আজ থেকে আবার শুরু হচ্ছে টানা তিন দিনের হরতাল। জামায়াতে ইসলামী রবি ও সোমবার টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল দিয়েছে সারা দেশে সরকারের ‘মানুষ হত্যার’ প্রতিবাদে। পরদিন মঙ্গলবার বিএনপির সকাল-সন্ধ্যা হরতালও ডাকা হয়েছে একই কারণে। নজিরবিহীন সহিংসতায় চার পুলিশসহ প্রায় ৪০ জন মারা যাওয়ার পর এই টানা হরতালের কর্মসূচি স্বাভাবিক কারণেই উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
আমরা বারবার বলে আসছি যে আদালতের রায়ের পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার অধিকার যে কারও রয়েছে। এর প্রতিবাদ জানানোর সুযোগও রয়েছে। কিন্তু এই প্রতিবাদের নামে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। রায় ঘোষণার পর গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার যেসব ঘটনা ঘটেছে এবং এর পরিণামে এতগুলো প্রাণহানির ঘটনা আমাদের মর্মাহত ও স্তম্ভিত করেছে। আজ থেকে শুরু হওয়া টানা তিন দিনের হরতাল কর্মসূচি নিয়ে তাই একধরনের আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
আমাদের দেশে কোন পরিস্থিতিতে ও কী কারণে হরতাল পালিত হয়, তা আমরা সবাই জানি। নামে গণতান্ত্রিক কর্মসূচি হলেও যানবাহন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, সম্পদ ধ্বংস—এসব হচ্ছে হরতাল সফল করার হাতিয়ার। এ ধরনের পরিস্থিতি দেশের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর অপূরণীয় প্রভাব ফেলে। বৃহস্পতিবার সারা দেশে সহিংসতা, তাণ্ডব ও নাশকতার কারণে প্রাণহানির পাশাপাশি যোগাযোগব্যবস্থা বিপর্যস্ত ও ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক স্থানে রেললাইন তুলে ফেলা হয়েছে, লাইনের নাট-বল্টু খুলে ফেলা হয়েছে, বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ হয়েছে।
এখন আজ থেকে টানা তিন দিন যদি যোগাযোগব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে, লোকজনের যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন যদি বাধাগ্রস্ত হয়, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়, তবে সাধারণ লোকজনের দুর্ভোগের সব সীমা ছাড়িয়ে যাবে।
আমরা সব সময়ই হরতালের মতো কর্মসূচির বিরোধী এবং এ ধরনের কর্মসূচি দেওয়া থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই। আমরা মনে করি, হরতালের মতো কর্মসূচি ছাড়াই নিজেদের দাবি নিয়ে জনগণের কাছে যাওয়ার ও জনমত সৃষ্টির অনেক পথ রয়েছে।
আমরা আর কোনো সংঘাত ও সহিংসতা দেখতে চাই না। আমরা আশা করব, জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির ডাকা এই টানা হরতালের সময় শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বাজায় থাকবে। জনগণকে হরতাল পালনে বাধ্য করতে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য সহিংসতার পথ বেছে নেবে না। অন্যদিকে আমরা আশা করব, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জনগণের জান-মানের নিরাপত্তা রক্ষায় যেমন কঠোর অবস্থান নেবে, তেমনি বিরোধী দলের কর্মসূচি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সহনশীলতা ও সংযমের পরিচয় দেবে।
আমরা বারবার বলে আসছি যে আদালতের রায়ের পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার অধিকার যে কারও রয়েছে। এর প্রতিবাদ জানানোর সুযোগও রয়েছে। কিন্তু এই প্রতিবাদের নামে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। রায় ঘোষণার পর গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার যেসব ঘটনা ঘটেছে এবং এর পরিণামে এতগুলো প্রাণহানির ঘটনা আমাদের মর্মাহত ও স্তম্ভিত করেছে। আজ থেকে শুরু হওয়া টানা তিন দিনের হরতাল কর্মসূচি নিয়ে তাই একধরনের আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
আমাদের দেশে কোন পরিস্থিতিতে ও কী কারণে হরতাল পালিত হয়, তা আমরা সবাই জানি। নামে গণতান্ত্রিক কর্মসূচি হলেও যানবাহন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, সম্পদ ধ্বংস—এসব হচ্ছে হরতাল সফল করার হাতিয়ার। এ ধরনের পরিস্থিতি দেশের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর অপূরণীয় প্রভাব ফেলে। বৃহস্পতিবার সারা দেশে সহিংসতা, তাণ্ডব ও নাশকতার কারণে প্রাণহানির পাশাপাশি যোগাযোগব্যবস্থা বিপর্যস্ত ও ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক স্থানে রেললাইন তুলে ফেলা হয়েছে, লাইনের নাট-বল্টু খুলে ফেলা হয়েছে, বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ হয়েছে।
এখন আজ থেকে টানা তিন দিন যদি যোগাযোগব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে, লোকজনের যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন যদি বাধাগ্রস্ত হয়, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়, তবে সাধারণ লোকজনের দুর্ভোগের সব সীমা ছাড়িয়ে যাবে।
আমরা সব সময়ই হরতালের মতো কর্মসূচির বিরোধী এবং এ ধরনের কর্মসূচি দেওয়া থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই। আমরা মনে করি, হরতালের মতো কর্মসূচি ছাড়াই নিজেদের দাবি নিয়ে জনগণের কাছে যাওয়ার ও জনমত সৃষ্টির অনেক পথ রয়েছে।
আমরা আর কোনো সংঘাত ও সহিংসতা দেখতে চাই না। আমরা আশা করব, জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির ডাকা এই টানা হরতালের সময় শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বাজায় থাকবে। জনগণকে হরতাল পালনে বাধ্য করতে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য সহিংসতার পথ বেছে নেবে না। অন্যদিকে আমরা আশা করব, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জনগণের জান-মানের নিরাপত্তা রক্ষায় যেমন কঠোর অবস্থান নেবে, তেমনি বিরোধী দলের কর্মসূচি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সহনশীলতা ও সংযমের পরিচয় দেবে।
No comments