অর্থেই অনর্থ দেখছেন ক্যাপেলো
অর্থই অনর্থের মূল। বাক্যটিকে চর্বিত চর্বণ মনে হতে পারে। কেউ বলতে পারেন আপ্তবাক্য। যে যাই মনে করেন করতে পারেন। কিন্তু চিরায়ত এই প্রবাদটিই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে ইংল্যান্ড দলের জন্য। এই উপলব্ধি খোদ ইংল্যান্ড কোচ ফ্যাবিও ক্যাপেলোর। ইংল্যান্ড দলে সম্প্রতি যে অশান্তির আগুন জ্বলছে, এর মূলে যে খেলোয়াড়াদের অফুরন্ত টাকা ক্যাপেলো বলেছেন সেটাই। গতকাল রাতে ওয়েম্বলিতে মিসরের বিপক্ষে হয়ে যাওয়া প্রীতি ম্যাচের আগে ক্যাপেলো বলেছেন, ‘তারা সব তরুণ খেলোয়াড়, বয়সে তরুণ, টাকাওয়ালা এবং এটাই সমস্যা।’
এর চেয়ে বেশি ভেঙে বলেননি। তবে এই মন্তব্য দিয়ে ইংল্যান্ড কোচ কী বোঝাতে চেয়েছেন তা ‘জলবত্ তরলং’। ইংল্যান্ডের বেশির ভাগ খেলোয়াড়েরই বয়স কম। এই বয়সে একেক জনের লাখ লাখ টাকা আছে। হাতে এত এত কাঁচা টাকা থাকলে যে নিজেকে সামলে রাখা কঠিন, ক্যাপেলো সেটি বুঝতে পারেন। তবে খেলোয়াড়দের নিজেদের এসবের ওপরেই রাখা উচিত বলে মনে করেন ইংল্যান্ড কোচ। মিসরের বিপক্ষে ম্যাচের অনুশীলন শুরুর আগে খেলোয়াড়দের এ বিষয়ে কিছু উপদেশও তিনি দিয়েছেন, ‘তারা সবাই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। শিশুদের জন্য এবং সব সমর্থকের জন্য উদাহরণ হতে হবে তাদের। এ কারণেই সবাইকে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে এবং জীবনে কিছু জিনিস বিসর্জন দিতে হবে।’
সুন্দর সাজানো সংসারই ছিল ফ্যাবিও ক্যাপেলোর! জন টেরি-ওয়েইন ব্রিজরা কাঁধে কাঁধ রেখে রুখেছেন প্রতিপক্ষের আক্রমণের ঢেউ। ওয়েইন রুনি-স্টিভেন জেরার্ডরা আক্রমণের পসরা সাজিয়ে ভেঙেছেন প্রতিপক্ষের রক্ষণ-দেয়াল। গোছানো দল নিয়ে ২০০৮ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর ক্যাপেলো ২১ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে এনে দিয়েছেন ১৫টি জয়। পরাজয় দেখেছে মাত্র দুটি।
আর এখন? কাঁধে কাঁধ মেলাবেন কি, টেরি-ব্রিজরা একে অন্যকে দেখলে মুখ ঘুরিয়ে রাখেন। এসবের কারণ কী, তা এখন আর কারও অজানা নেই। ক্যাপেলোর সাজানো ঘরে ছোবল বসিয়েছে ‘পরকীয়া’। তাতে ভাঙন ধরেছে গোছানো দলে। ওয়েইন ব্রিজের সাবেক বান্ধবী ভ্যানেসা পেরনসেলের সঙ্গে গোপন প্রেম ছিল চেলসি ডিফেন্ডার জন টেরির। সম্প্রতি এটি ফাঁস হয়ে যায়। সেই থেকেই টেরি-ব্রিজের শীতল সম্পর্ক। অ্যাশলি কোলের সংসারেও জ্বলছে পরকীয়ার আগুন। বেচারা এমনিতেই চোট পেয়ে মাঠের বাইরে। এর মধ্যে গোপন প্রেমের কথা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় স্ত্রী দিচ্ছেন বিচ্ছেদের হুমকি! সব মিলিয়ে ক্যাপেলোর ইংল্যান্ড দলে কেমন এলোমেলো হাওয়া।
এ কারণেই অনুশীলনে নামার আগে এত বড় ‘লেকচার’ দিতে হলো ক্যাপেলোকে। স্পেন, ইতালির মতো দেশে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা আছে এই ইতালীয় কোচের। কিন্তু টেরি-ব্রিজের কাহিনীর মতো কিছুর সামনে তাঁকে পড়তে হয়নি। এই ঘটনাটা তাঁর কাছে মনে হয়েছে অভূতপূর্ব, ‘আমার স্পেনের কথা মনে পড়ে, একজন খেলোয়াড় পান করতে ডিসকোতে গিয়েছিল। কিন্তু ওখানে আমি ভিন্ন ভিন্ন খেলোয়াড় এবং মেয়েদের নিয়ে এমন সমস্যায় আমাকে পড়তে হয়নি।’
যা হয়েছে, তা তো আর তুলে নেওয়া যাবে না! তাই অন্তত আগামী তিন মাস মানে বিশ্বকাপ পর্যন্ত সবাইকে এসব থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ইংল্যান্ড কোচ।
এর চেয়ে বেশি ভেঙে বলেননি। তবে এই মন্তব্য দিয়ে ইংল্যান্ড কোচ কী বোঝাতে চেয়েছেন তা ‘জলবত্ তরলং’। ইংল্যান্ডের বেশির ভাগ খেলোয়াড়েরই বয়স কম। এই বয়সে একেক জনের লাখ লাখ টাকা আছে। হাতে এত এত কাঁচা টাকা থাকলে যে নিজেকে সামলে রাখা কঠিন, ক্যাপেলো সেটি বুঝতে পারেন। তবে খেলোয়াড়দের নিজেদের এসবের ওপরেই রাখা উচিত বলে মনে করেন ইংল্যান্ড কোচ। মিসরের বিপক্ষে ম্যাচের অনুশীলন শুরুর আগে খেলোয়াড়দের এ বিষয়ে কিছু উপদেশও তিনি দিয়েছেন, ‘তারা সবাই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। শিশুদের জন্য এবং সব সমর্থকের জন্য উদাহরণ হতে হবে তাদের। এ কারণেই সবাইকে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে এবং জীবনে কিছু জিনিস বিসর্জন দিতে হবে।’
সুন্দর সাজানো সংসারই ছিল ফ্যাবিও ক্যাপেলোর! জন টেরি-ওয়েইন ব্রিজরা কাঁধে কাঁধ রেখে রুখেছেন প্রতিপক্ষের আক্রমণের ঢেউ। ওয়েইন রুনি-স্টিভেন জেরার্ডরা আক্রমণের পসরা সাজিয়ে ভেঙেছেন প্রতিপক্ষের রক্ষণ-দেয়াল। গোছানো দল নিয়ে ২০০৮ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর ক্যাপেলো ২১ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে এনে দিয়েছেন ১৫টি জয়। পরাজয় দেখেছে মাত্র দুটি।
আর এখন? কাঁধে কাঁধ মেলাবেন কি, টেরি-ব্রিজরা একে অন্যকে দেখলে মুখ ঘুরিয়ে রাখেন। এসবের কারণ কী, তা এখন আর কারও অজানা নেই। ক্যাপেলোর সাজানো ঘরে ছোবল বসিয়েছে ‘পরকীয়া’। তাতে ভাঙন ধরেছে গোছানো দলে। ওয়েইন ব্রিজের সাবেক বান্ধবী ভ্যানেসা পেরনসেলের সঙ্গে গোপন প্রেম ছিল চেলসি ডিফেন্ডার জন টেরির। সম্প্রতি এটি ফাঁস হয়ে যায়। সেই থেকেই টেরি-ব্রিজের শীতল সম্পর্ক। অ্যাশলি কোলের সংসারেও জ্বলছে পরকীয়ার আগুন। বেচারা এমনিতেই চোট পেয়ে মাঠের বাইরে। এর মধ্যে গোপন প্রেমের কথা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় স্ত্রী দিচ্ছেন বিচ্ছেদের হুমকি! সব মিলিয়ে ক্যাপেলোর ইংল্যান্ড দলে কেমন এলোমেলো হাওয়া।
এ কারণেই অনুশীলনে নামার আগে এত বড় ‘লেকচার’ দিতে হলো ক্যাপেলোকে। স্পেন, ইতালির মতো দেশে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা আছে এই ইতালীয় কোচের। কিন্তু টেরি-ব্রিজের কাহিনীর মতো কিছুর সামনে তাঁকে পড়তে হয়নি। এই ঘটনাটা তাঁর কাছে মনে হয়েছে অভূতপূর্ব, ‘আমার স্পেনের কথা মনে পড়ে, একজন খেলোয়াড় পান করতে ডিসকোতে গিয়েছিল। কিন্তু ওখানে আমি ভিন্ন ভিন্ন খেলোয়াড় এবং মেয়েদের নিয়ে এমন সমস্যায় আমাকে পড়তে হয়নি।’
যা হয়েছে, তা তো আর তুলে নেওয়া যাবে না! তাই অন্তত আগামী তিন মাস মানে বিশ্বকাপ পর্যন্ত সবাইকে এসব থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ইংল্যান্ড কোচ।
No comments