গুলশান-উত্তরা-টঙ্গীতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে দুই প্রকল্প গ্রহণ
রাজধানীর অভিজাত এলাকাখ্যাত গুলশান, উত্তরা ও গাজীপুর জেলার টঙ্গী এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য ৭৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ের দুটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২০১২ সালের জুনের মধ্যে এই দুই প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার কথা।
‘রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড অগমেন্টেশন অব ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক অব ডিপিডিসি’ নামক প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯৫ কোটি টাকা। আর ‘আপগ্রেডিং অ্যান্ড এক্সপান্ডিং ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম ইন গুলশান সার্কেল (প্রথম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পে ব্যয় হবে ১৬৯ কোটি টাকা।
গতকাল মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্প দুটির অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ও একনেকের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন।
একনেক সভায় উল্লিখিত দুই প্রকল্পসহ এক হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ের মোট ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। এগুলো বাস্তবায়ন করতে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে ৭৭৬ কোটি টাকা। আর বাকি ৫৮৩ কোটি টাকা আসবে প্রকল্প সাহায্য হিসেবে।
সভা শেষে পরিকল্পনাসচিব হাবিব উল্লাহ্ মজুমদার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে আরও জানা গেছে, বিদ্যুত্ বিভাগের আওতাধীন ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণকারী কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) প্রস্তাবনায় অনুমোদিত এ দুই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে ডিপিডিসির বিদ্যুৎ বিতরণব্যবস্থার সংরক্ষণ, পুনর্বাসন, মেরামতকাজ সম্পন্ন করা; গ্রাহককে মানসম্পন্ন ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা; ১১/০.৪ কেভি লাইনগুলো মেরামত করা; লোডশেডিং ও সিস্টেম লস কমানো এবং গ্রাহকসংযোগ বাড়ানো।
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে চারটি নতুন উপকেন্দ্র নির্মাণ, দুটি উপকেন্দ্রের নবায়ন ও ক্ষমতা বৃদ্ধি, ৪০ সার্কিট কিলোমিটার (কিমি) ৩৩ কেভি থেকে ৫০ সার্কিট কিমি ১১ কেভি আন্ডারগ্রাউন্ড লাইন নির্মাণ, ১২৫ কিমি ১১/০.৪ কেভি থেকে ১৩৫ কিমি ১১ কেভি ওভারহেড লাইন নির্মাণ, ২২৫ কিমি ৪০০ ভোল্ট ওভারহেড লাইন নির্মাণ, ২০০ কেভিএ ৫০০টি ট্রান্সফরমার স্থাপন, ১৩ হাজার ঘনমিটার ভূমি উন্নয়ন এবং সাতটি যানবাহন ক্রয়।
অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন ‘কৃষি খাত সহায়তা কর্মসূচি-২: গ্রামীণ সড়ক ও হাটবাজার সংযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (অংগ-৩): পটুয়াখালী, বরগুনা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলা (প্রথম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পে ব্যয় হবে ৪২৬ কোটি টাকা। এর অর্ধেক ২১৩ কোটি টাকা পাওয়া যাবে প্রকল্প সাহায্য। বাকি অর্ধেক মেটাবে সরকারি তহবিল।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘পাবনা টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে উন্নীতকরণ (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্পে সরকারি অর্থায়নে ব্যয় হবে ৪৫ কোটি টাকা।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর ছয়টি জেলা শাখার কমপ্লেক্স নির্মাণ’ প্রকল্পের ব্যয় ৬৪ কোটি টাকা। পর্যায়ক্রমে অন্য জেলায়ও এ ধরনের স্থায়ী কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ’ প্রকল্পে ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়। জানা গেছে, দেশে ও বিদেশে ১৮টি বিষয়ে পিএইচডি পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য ২০০টি বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ দেওয়া হলো এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, শ্রম ও প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান, যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান এবং প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট সচিবেরা উপস্থিত ছিলেন।
‘রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড অগমেন্টেশন অব ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক অব ডিপিডিসি’ নামক প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯৫ কোটি টাকা। আর ‘আপগ্রেডিং অ্যান্ড এক্সপান্ডিং ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম ইন গুলশান সার্কেল (প্রথম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পে ব্যয় হবে ১৬৯ কোটি টাকা।
গতকাল মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্প দুটির অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ও একনেকের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন।
একনেক সভায় উল্লিখিত দুই প্রকল্পসহ এক হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ের মোট ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। এগুলো বাস্তবায়ন করতে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে ৭৭৬ কোটি টাকা। আর বাকি ৫৮৩ কোটি টাকা আসবে প্রকল্প সাহায্য হিসেবে।
সভা শেষে পরিকল্পনাসচিব হাবিব উল্লাহ্ মজুমদার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে আরও জানা গেছে, বিদ্যুত্ বিভাগের আওতাধীন ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণকারী কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) প্রস্তাবনায় অনুমোদিত এ দুই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে ডিপিডিসির বিদ্যুৎ বিতরণব্যবস্থার সংরক্ষণ, পুনর্বাসন, মেরামতকাজ সম্পন্ন করা; গ্রাহককে মানসম্পন্ন ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা; ১১/০.৪ কেভি লাইনগুলো মেরামত করা; লোডশেডিং ও সিস্টেম লস কমানো এবং গ্রাহকসংযোগ বাড়ানো।
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে চারটি নতুন উপকেন্দ্র নির্মাণ, দুটি উপকেন্দ্রের নবায়ন ও ক্ষমতা বৃদ্ধি, ৪০ সার্কিট কিলোমিটার (কিমি) ৩৩ কেভি থেকে ৫০ সার্কিট কিমি ১১ কেভি আন্ডারগ্রাউন্ড লাইন নির্মাণ, ১২৫ কিমি ১১/০.৪ কেভি থেকে ১৩৫ কিমি ১১ কেভি ওভারহেড লাইন নির্মাণ, ২২৫ কিমি ৪০০ ভোল্ট ওভারহেড লাইন নির্মাণ, ২০০ কেভিএ ৫০০টি ট্রান্সফরমার স্থাপন, ১৩ হাজার ঘনমিটার ভূমি উন্নয়ন এবং সাতটি যানবাহন ক্রয়।
অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন ‘কৃষি খাত সহায়তা কর্মসূচি-২: গ্রামীণ সড়ক ও হাটবাজার সংযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (অংগ-৩): পটুয়াখালী, বরগুনা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলা (প্রথম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পে ব্যয় হবে ৪২৬ কোটি টাকা। এর অর্ধেক ২১৩ কোটি টাকা পাওয়া যাবে প্রকল্প সাহায্য। বাকি অর্ধেক মেটাবে সরকারি তহবিল।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘পাবনা টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে উন্নীতকরণ (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্পে সরকারি অর্থায়নে ব্যয় হবে ৪৫ কোটি টাকা।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর ছয়টি জেলা শাখার কমপ্লেক্স নির্মাণ’ প্রকল্পের ব্যয় ৬৪ কোটি টাকা। পর্যায়ক্রমে অন্য জেলায়ও এ ধরনের স্থায়ী কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ’ প্রকল্পে ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়। জানা গেছে, দেশে ও বিদেশে ১৮টি বিষয়ে পিএইচডি পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য ২০০টি বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ দেওয়া হলো এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, শ্রম ও প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান, যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান এবং প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট সচিবেরা উপস্থিত ছিলেন।
No comments