আফগানিস্তানে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের খবরে যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা
আফগানিস্তানে তালেবানদের হামলার খবর ও ভিডিও ফুটেজের সরাসরি সম্প্রচার নিষিদ্ধ করার খবরে উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি তালেবানের পক্ষ থেকেও এর নিন্দা জানানো হয়েছে। অন্যদিকে আত্মপক্ষ সমর্থন করে আফগান সরকার বলেছে, তালেবানদের হামলার খবর প্রচারকে সরাসরি নিষিদ্ধ করা হয়নি, এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কিছু ‘দিকনির্দেশনা’ দেওয়া হয়েছে মাত্র। তবে এ নিয়ে বিতর্ক ওঠায় তারা তাদের দিকনির্দেশনার বিষয়টিও পর্যালোচনা করে দেখবে। গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ ইস্যুর পাশাপাশি আফগানিস্তানের নির্বাচনী অভিযোগ কমিশন থেকে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বাদ দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রয়টার্স।
গত সোমবার কাবুলে আফগান ন্যাশনাল ডাইরেক্টরেট অব সিকিউরিটি স্পাই এজেন্সির কর্মকর্তারা তাঁদের সদর দপ্তরে স্থানীয় ও বিদেশি সাংবাদিকদের তলব করে তালেবানদের আক্রমণের কোনো খবর তাত্ক্ষণিকভাবে প্রকাশ অথবা ভিডিও ফুটেজ সরাসরি সম্প্রচার না করার নির্দেশ দেন। হামলার দৃশ্য প্রচার করলে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।
এর পরদিন অর্থাত্ গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পাকিস্তান ও আফগানিস্তান-বিষয়ক বিশেষ দূত রিচার্ড হলব্রুক বলেন, ‘আমরা সব সময়ই মুক্ত সাংবাদিকতার পক্ষে। গণমাধ্যমের ওপর কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা আমরা পছন্দ করি না।’ তিনি আরও বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ও তিনি নিজে শিগগিরই আফগান সরকারকে এ বিষয়ে তাঁদের অবস্থান জানিয়ে দেবেন।
অন্যদিকে গতকাল বুধবার তালেবানদের মুখপাত্র ইউসুফ আহমাদি বলেন, গণমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার বাকস্বাধীনতা খর্ব করছে। একই সঙ্গে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টাও করছে তারা। তিনি বলেন, তালেবানের আক্রমণের ছবি ও খবর সম্প্রচারে বাধা দেওয়ার মধ্য দিয়েই বোঝা যায়, ক্ষমতাসীন সরকার তাঁদের রুখতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। এখন সেই ব্যর্থতা ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই তারা গণমাধ্যমকে কবজা করতে চাইছে।
গত সোমবার কাবুলে আফগান ন্যাশনাল ডাইরেক্টরেট অব সিকিউরিটি স্পাই এজেন্সির কর্মকর্তারা তাঁদের সদর দপ্তরে স্থানীয় ও বিদেশি সাংবাদিকদের তলব করে তালেবানদের আক্রমণের কোনো খবর তাত্ক্ষণিকভাবে প্রকাশ অথবা ভিডিও ফুটেজ সরাসরি সম্প্রচার না করার নির্দেশ দেন। হামলার দৃশ্য প্রচার করলে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।
এর পরদিন অর্থাত্ গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পাকিস্তান ও আফগানিস্তান-বিষয়ক বিশেষ দূত রিচার্ড হলব্রুক বলেন, ‘আমরা সব সময়ই মুক্ত সাংবাদিকতার পক্ষে। গণমাধ্যমের ওপর কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা আমরা পছন্দ করি না।’ তিনি আরও বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ও তিনি নিজে শিগগিরই আফগান সরকারকে এ বিষয়ে তাঁদের অবস্থান জানিয়ে দেবেন।
অন্যদিকে গতকাল বুধবার তালেবানদের মুখপাত্র ইউসুফ আহমাদি বলেন, গণমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার বাকস্বাধীনতা খর্ব করছে। একই সঙ্গে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টাও করছে তারা। তিনি বলেন, তালেবানের আক্রমণের ছবি ও খবর সম্প্রচারে বাধা দেওয়ার মধ্য দিয়েই বোঝা যায়, ক্ষমতাসীন সরকার তাঁদের রুখতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। এখন সেই ব্যর্থতা ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই তারা গণমাধ্যমকে কবজা করতে চাইছে।
No comments