ক্রিকেটের কালো দিনে আশায় পাকিস্তান
কাল পার হয়ে গেল ৩ মার্চ। ক্রীড়া ইতিহাসেরই একটি কালো দিন। এক বছর আগে এই দিনেই লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে যাওয়ার পথে সন্ত্রাসী হামলায় শ্রীলঙ্কার সাত ক্রিকেটারসহ আহত হয়েছিলেন দলের সহকারী কোচ। প্রাণ দিয়েছিলেন ৮ জন পাকিস্তানি নাগরিক। সেই দিনটিকেই কাল স্মরণ করা হলো প্রার্থনায় এবং ফুলের শ্রদ্ধায়।
প্রার্থনা, আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গন থেকে একঘরে হয়ে পড়ার মুক্তির পথ খুঁজতে। আর শ্রদ্ধার ফুল, নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায়।
নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা যতই থাকুক ক্রিকেটারদের একটা বিশ্বাস ছিল—তাঁরা সন্ত্রাসীদের লক্ষ্যবস্তু হতে পারে না। কিন্তু সে বিশ্বাস গুঁড়িয়ে দিয়েছে লাহোরের ওই হামলা। এর ধকলটা সবচেয়ে বেশি পোহাতে হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেটকে। ‘নাইন ইলেভেন’—এর পর থেকে এমনিতেই পাকিস্তান সফরে যেতে আপত্তি জানিয়ে আসছিল বাইরের দলগুলো। লাহোর হামলা আয়োজক হিসেবে বিশ্ব ক্রিকেট থেকে পুরোপরি বিচ্ছিন্নই করে দেয় পাকিস্তানকে।
স্টেডিয়ামের বাইরে লিবার্টি চত্বরে সন্ত্রাসী হামলা থেকে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের রক্ষার জন্য যে ৬ পুলিশ ও দুজন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ দিয়েছেন, তাঁদের স্মরণ করা হয়েছে ‘জাতির গর্ব’ হিসেবে।
লাহোরের সন্ত্রাসী হামলাকে পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য একটা ‘বিপর্যয়’ আখ্যা দিয়ে পিসিবির চিফ অপারেটিং অফিসার ওয়াসিম বারি বললেন, ‘শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের রক্ষার জন্য যারা জীবন দিয়েছে আমরা অবশ্যই তাদের স্মরণ করি।’
এই সন্ত্রাসী হামলার বড় প্রভাবটা পড়েছে পিসিবির আয়ের ওপর। বোর্ড চেয়ারম্যান ইজাজ বাট বলছেন, নিরাপত্তার কারণে পাকিস্তান দলগুলোর পাকিস্তান সফর বর্জন অব্যাহত থাকলে বোর্ডের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াবে ৭০ মিলিয়ন ডলার। বাট তাই তাকিয়ে আছেন পরিস্থিতির উন্নতির দিকে, ‘বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন হবে, পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পাকিস্তানে ফিরবে—এটাই আশা করি আমরা।’
শুধু ক্রিকেটই তো নয়, লাহোর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পাকিস্তানের পুরো ক্রীড়াঙ্গন। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রমিজ রাজার ভাষায়, ‘এর (সন্ত্রাসী হামলার) ধকল শুধু ক্রিকেটেই নয়, পড়েছে পাকিস্তানের অন্যান্য খেলার ওপরও। ঘটনার পর কোনো আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্টের আয়োজক হতে পারিনি আমরা।’
লাহোর হামলার পর ২০১১ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ১৪টি ম্যাচ পাকিস্তান থেকে সরিয়ে নিয়েছে আইসিসি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানকে হোম সিরিজ খেলতে হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এ বছরের শেষে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি এবং দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান ইংল্যান্ডের মাটিতে, যা হওয়ার কথা ছিল পাকিস্তানেই। তবে পাকিস্তানে অচিরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরবে—এই আশাতেই এখন দিন গুনছে পাকিস্তান। ওয়াসিম বারির সেই আশারই অনুরণন, ‘ক্রিকেটপ্রেমী লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্যই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরবে পাকিস্তানে। আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি এটা বেশি দূরে নয়।
প্রার্থনা, আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গন থেকে একঘরে হয়ে পড়ার মুক্তির পথ খুঁজতে। আর শ্রদ্ধার ফুল, নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায়।
নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা যতই থাকুক ক্রিকেটারদের একটা বিশ্বাস ছিল—তাঁরা সন্ত্রাসীদের লক্ষ্যবস্তু হতে পারে না। কিন্তু সে বিশ্বাস গুঁড়িয়ে দিয়েছে লাহোরের ওই হামলা। এর ধকলটা সবচেয়ে বেশি পোহাতে হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেটকে। ‘নাইন ইলেভেন’—এর পর থেকে এমনিতেই পাকিস্তান সফরে যেতে আপত্তি জানিয়ে আসছিল বাইরের দলগুলো। লাহোর হামলা আয়োজক হিসেবে বিশ্ব ক্রিকেট থেকে পুরোপরি বিচ্ছিন্নই করে দেয় পাকিস্তানকে।
স্টেডিয়ামের বাইরে লিবার্টি চত্বরে সন্ত্রাসী হামলা থেকে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের রক্ষার জন্য যে ৬ পুলিশ ও দুজন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ দিয়েছেন, তাঁদের স্মরণ করা হয়েছে ‘জাতির গর্ব’ হিসেবে।
লাহোরের সন্ত্রাসী হামলাকে পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য একটা ‘বিপর্যয়’ আখ্যা দিয়ে পিসিবির চিফ অপারেটিং অফিসার ওয়াসিম বারি বললেন, ‘শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের রক্ষার জন্য যারা জীবন দিয়েছে আমরা অবশ্যই তাদের স্মরণ করি।’
এই সন্ত্রাসী হামলার বড় প্রভাবটা পড়েছে পিসিবির আয়ের ওপর। বোর্ড চেয়ারম্যান ইজাজ বাট বলছেন, নিরাপত্তার কারণে পাকিস্তান দলগুলোর পাকিস্তান সফর বর্জন অব্যাহত থাকলে বোর্ডের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াবে ৭০ মিলিয়ন ডলার। বাট তাই তাকিয়ে আছেন পরিস্থিতির উন্নতির দিকে, ‘বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন হবে, পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পাকিস্তানে ফিরবে—এটাই আশা করি আমরা।’
শুধু ক্রিকেটই তো নয়, লাহোর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পাকিস্তানের পুরো ক্রীড়াঙ্গন। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রমিজ রাজার ভাষায়, ‘এর (সন্ত্রাসী হামলার) ধকল শুধু ক্রিকেটেই নয়, পড়েছে পাকিস্তানের অন্যান্য খেলার ওপরও। ঘটনার পর কোনো আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্টের আয়োজক হতে পারিনি আমরা।’
লাহোর হামলার পর ২০১১ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ১৪টি ম্যাচ পাকিস্তান থেকে সরিয়ে নিয়েছে আইসিসি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানকে হোম সিরিজ খেলতে হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এ বছরের শেষে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি এবং দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান ইংল্যান্ডের মাটিতে, যা হওয়ার কথা ছিল পাকিস্তানেই। তবে পাকিস্তানে অচিরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরবে—এই আশাতেই এখন দিন গুনছে পাকিস্তান। ওয়াসিম বারির সেই আশারই অনুরণন, ‘ক্রিকেটপ্রেমী লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্যই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরবে পাকিস্তানে। আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি এটা বেশি দূরে নয়।
No comments