হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সাময়িক সরে দাঁড়াবেন মিশেলেত্তি
হন্ডুরাসের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট রবার্তো মিশেলেত্তি বলেছেন, আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে তিনি ক্ষমতা থেকে কিছু দিন দূরে সরে থাকার কথা ভাবছেন। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংবাদমাধ্যমে এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। মিশেলেত্তি জানান, ২৫ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকতে পারেন তিনি। ২৯ নভেম্বর সে দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা। খবর এএফপির।
মিশেলেত্তি বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণের মনোযোগ রাজনৈতিক সংকট থেকে সরিয়ে নির্বাচনের দিকে ফেরানো। ওই এক সপ্তাহের জন্য সরকারের দায়িত্বে কে থাকবেন তা উল্লেখ না করে তিনি জানান, তাঁর অনুপস্থিতিতে সরকার স্বাভাবিকভাবেই কাজ করতে থাকবে। চলমান রাজনৈতিক সংকটের প্রতি ইঙ্গিত করে মিশেলেত্তি বলেন, নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হলে তিনি তাত্ক্ষণিকভাবে সরকারের দায়িত্ব নেবেন। রক্তপাত হতে পারে—এমন কোনো উসকানিমূলক পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ম্যানুয়েল জেলায়ার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে জেলায়া মিশেলেত্তির এই ঘোষণাকে ‘নিষ্ঠুর কৌশল’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বৃহস্পতিবার তিনি ভেনেজুয়েলাভিত্তিক টেলেসার টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, ‘হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি ঘোষণা করছি বর্তমান পরিস্থিতিতে আমি এই প্রক্রিয়াকে সমর্থন করব না। বৈধভাবে এই নির্বাচনে অংশ নেব আমি।’ পরে অবশ্য তিনি বলেন, ‘আইনি বৈধতা দেওয়ার জন্যই নির্বাচনটি স্থগিত করতে হবে।’ মিশেলেত্তি ও জেলায়া আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও পানামা জানিয়েছে, তারা হন্ডুরাসের আসন্ন নির্বাচনকে সমর্থন করবে। অন্যদিকে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা বলেছে, নির্বাচনের আগে জেলায়াকে ক্ষমতায় ফিরতে দেওয়া না হলে তারা ওই নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেবে না। এর আগে সে দেশের কংগ্রেস নির্বাচনের তিন দিনের মধ্যে জেলায়াকে ক্ষমতায় পুনর্বহালের বিষয়ে ভোট গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর জেলায়া নির্বাচন বর্জন করার জন্য তাঁর সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। মিশেলেত্তি-জেলায়া সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী জেলায়াকে ক্ষমতায় পুনর্বহাল করার জন্য কংগ্রেসে ভোট হওয়ার কথা। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো সময়সীমা নির্ধারিত ছিল না।
গত ২৮ জুন এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জেলায়াকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে নির্বাসনে পাঠায় হন্ডুরাসের সামরিক বাহিনী। পরের দিন মিশেলেত্তির নেতৃত্বে সেখানে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। গত ২১ সেপ্টেম্বর গোপনে দেশে ফিরে ব্রাজিল দূতাবাসে আশ্রয় নেন জেলায়া। এর পর যুক্তরাষ্ট্র ও অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটসের (ওএএস) মধ্যস্থতায় দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি হয়।
মিশেলেত্তি বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণের মনোযোগ রাজনৈতিক সংকট থেকে সরিয়ে নির্বাচনের দিকে ফেরানো। ওই এক সপ্তাহের জন্য সরকারের দায়িত্বে কে থাকবেন তা উল্লেখ না করে তিনি জানান, তাঁর অনুপস্থিতিতে সরকার স্বাভাবিকভাবেই কাজ করতে থাকবে। চলমান রাজনৈতিক সংকটের প্রতি ইঙ্গিত করে মিশেলেত্তি বলেন, নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হলে তিনি তাত্ক্ষণিকভাবে সরকারের দায়িত্ব নেবেন। রক্তপাত হতে পারে—এমন কোনো উসকানিমূলক পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ম্যানুয়েল জেলায়ার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে জেলায়া মিশেলেত্তির এই ঘোষণাকে ‘নিষ্ঠুর কৌশল’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বৃহস্পতিবার তিনি ভেনেজুয়েলাভিত্তিক টেলেসার টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, ‘হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি ঘোষণা করছি বর্তমান পরিস্থিতিতে আমি এই প্রক্রিয়াকে সমর্থন করব না। বৈধভাবে এই নির্বাচনে অংশ নেব আমি।’ পরে অবশ্য তিনি বলেন, ‘আইনি বৈধতা দেওয়ার জন্যই নির্বাচনটি স্থগিত করতে হবে।’ মিশেলেত্তি ও জেলায়া আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও পানামা জানিয়েছে, তারা হন্ডুরাসের আসন্ন নির্বাচনকে সমর্থন করবে। অন্যদিকে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা বলেছে, নির্বাচনের আগে জেলায়াকে ক্ষমতায় ফিরতে দেওয়া না হলে তারা ওই নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেবে না। এর আগে সে দেশের কংগ্রেস নির্বাচনের তিন দিনের মধ্যে জেলায়াকে ক্ষমতায় পুনর্বহালের বিষয়ে ভোট গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর জেলায়া নির্বাচন বর্জন করার জন্য তাঁর সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। মিশেলেত্তি-জেলায়া সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী জেলায়াকে ক্ষমতায় পুনর্বহাল করার জন্য কংগ্রেসে ভোট হওয়ার কথা। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো সময়সীমা নির্ধারিত ছিল না।
গত ২৮ জুন এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জেলায়াকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে নির্বাসনে পাঠায় হন্ডুরাসের সামরিক বাহিনী। পরের দিন মিশেলেত্তির নেতৃত্বে সেখানে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। গত ২১ সেপ্টেম্বর গোপনে দেশে ফিরে ব্রাজিল দূতাবাসে আশ্রয় নেন জেলায়া। এর পর যুক্তরাষ্ট্র ও অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটসের (ওএএস) মধ্যস্থতায় দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি হয়।
No comments