ইভেন্ট নিয়ে খেলছে বিওএ
ঢাকায় দক্ষিণ এশীয় অলিম্পিক কাউন্সিলের (এসএওসি) গত মঙ্গলবারের সভায় পাকিস্তানের চাপের মুখে বাদ দেওয়া হয়েছিল ছেলেদের সাঁতারের ২০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোক। ব্রেস্টস্ট্রোকে বরাবরই ভালো ফল করা বাংলাদেশ সাঁতার দলের কাছে এই খবরটা ছিল বিস্ময়কর। সোনার আশা না থাকলেও এসএ গেমসে এই ইভেন্টটিতে একটা পদক মোটামুটি নিশ্চিতই থাকে বাংলাদেশের। তবে এই ইভেন্টটি বাদ দেওয়ার পর পরই বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) বোধোদয় হলো কাজটা ঠিক হয়নি!
দুদিন পরই তাই আবার ঢুকে গেল ইভেন্টটি। কাল ছুটির দিনে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হলো, ‘২০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোক অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ৪০০ মিটার ফ্রি-স্টাইলও থাকবে। তবে অংশ নেওয়া সাঁতারুর সংখ্যা বাড়বে না।’
২০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোক আবার ঢোকানোর সিদ্ধান্ত কোথায় কীভাবে হলো, সেটি একটি প্রশ্ন বটে। বিওএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কর্নেল ওয়ালিউল্যার ব্যাখ্যা, ‘কাল (পরশু) ৪-৫টা দেশ একসঙ্গে বসে এটা ঠিক করেছে। মূলত ভারত-পাকিস্তান ছিল। আমাদের মহাসচিবের অনুরোধে ইভেন্টটি অন্তর্ভুক্ত করতে তারা রাজি হয়েছে। শ্রীলঙ্কাও সমর্থন দিয়েছে।’
মঙ্গলবারের সভায় ইভেন্টটি রাখা না-রাখা নিয়ে অনেক দরকষাকষি হয়েছে বলে ওয়ালির দাবি। ‘অন্যরা দাবি তোলায় আমরা ছাড় দিতে বাধ্য হয়েছি’—বললেন তিনি। সভার পর বিওএ মহাসচিব কুতুবউদ্দিন আহমেদ বলেছিলেন, ‘অন্যদের দাবিও তো মানতে হয়।’ অন্যদের দাবি মানায় হয়তো কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ইভেন্ট বাদ দেওয়ার দুদিন পরই ওটা আবার ঢুকে পড়ায় অনেকেই বলছেন, ‘একবার বাদ, একবার ঢোকোনো—গেমস শুরুর দুই মাস আগে ভালোই খেলা দেখাচ্ছে বিওএ!’
সাঁতার ফেডারেশন জানায়, গেমস সাঁতারে মোট ৩৮টি ইভেন্টের মধ্যে এবার নজিরবিহীনভাবে প্রথমে মাত্র ১০টি ইভেন্ট রাখা হয়েছিল। গণমাধ্যমের সমালোচনার পরদিনই ৭টি যোগ করা হয়। তারপর মঙ্গলবারের সভায় সাঁতারের ২০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোক বাদ দিয়ে ৪০০ মিটার ফ্রি-স্টাইল এবং মেয়েদের ১০০ মিটার বাটারফ্লাই ঢোকানো হয় নতুন করে।
আগামী ২৯ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় এসএ গেমসে এখন সর্বসাকল্যে সাঁতার ইভেন্ট ১৯টি। ছেলেদের ১২টি, মেয়েদের ৭টি। তাও ভালো, অন্তত অর্ধেক ইভেন্ট হচ্ছে! বাংলাদেশ ভালো করার আশা করছে ৫০-১০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোক (শাহজাহান আলী), ৫০ মিটার ব্যাকস্ট্রোক (রুবেল রানা), ৫০-১০০ মিটার বাটারফ্লাই (জুয়েল/অনীক)। মেয়েদের ৫০-১০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে (ডলি/মাহফুজা), ৫০ মিটার ফ্রি-স্টাইলে (ডলি/শীলা)।
ফল যা-ই হোক, গেমসের আগে ইভেন্ট নিয়ে গোলকধাঁধায় আছেন সাঁতারুরা। ইভেন্ট বাড়ানো-কমানোর ‘খেলা’ দেখে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সাঁতারুর আশঙ্কা, ‘কাল না আবার শুনতে হয় বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ইভেন্ট ৫০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকও বাদ! কখন যে কী হবে বোঝা মুশকিল!’
এসএওসির সভায় ঠিক হয়েছিল, সাইক্লিংয়ে মেয়েদের ৭০ কিলোমিটার রোড রেস হবে। দুদিন পরই সেই সিদ্ধান্ত পাল্টে গেল। কাল বিওএ জানিয়েছে, ৭০ কিলোমিটার নয়, ওটা হবে ৫০ কিলোমিটারের। জানা গেছে, ৭০ কিলোমিটারে প্রতিযোগিতা করার মতো প্রস্তুতি নেই বাংলাদেশের মেয়েদের। এতেই বোঝা যায়, সভায় বসে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সংশ্লিষ্টদের আসলে কোনো হোমওয়ার্কই থাকে না। নইলে এভাবে কেন সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হবে!
দুদিন পরই তাই আবার ঢুকে গেল ইভেন্টটি। কাল ছুটির দিনে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হলো, ‘২০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোক অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ৪০০ মিটার ফ্রি-স্টাইলও থাকবে। তবে অংশ নেওয়া সাঁতারুর সংখ্যা বাড়বে না।’
২০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোক আবার ঢোকানোর সিদ্ধান্ত কোথায় কীভাবে হলো, সেটি একটি প্রশ্ন বটে। বিওএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কর্নেল ওয়ালিউল্যার ব্যাখ্যা, ‘কাল (পরশু) ৪-৫টা দেশ একসঙ্গে বসে এটা ঠিক করেছে। মূলত ভারত-পাকিস্তান ছিল। আমাদের মহাসচিবের অনুরোধে ইভেন্টটি অন্তর্ভুক্ত করতে তারা রাজি হয়েছে। শ্রীলঙ্কাও সমর্থন দিয়েছে।’
মঙ্গলবারের সভায় ইভেন্টটি রাখা না-রাখা নিয়ে অনেক দরকষাকষি হয়েছে বলে ওয়ালির দাবি। ‘অন্যরা দাবি তোলায় আমরা ছাড় দিতে বাধ্য হয়েছি’—বললেন তিনি। সভার পর বিওএ মহাসচিব কুতুবউদ্দিন আহমেদ বলেছিলেন, ‘অন্যদের দাবিও তো মানতে হয়।’ অন্যদের দাবি মানায় হয়তো কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ইভেন্ট বাদ দেওয়ার দুদিন পরই ওটা আবার ঢুকে পড়ায় অনেকেই বলছেন, ‘একবার বাদ, একবার ঢোকোনো—গেমস শুরুর দুই মাস আগে ভালোই খেলা দেখাচ্ছে বিওএ!’
সাঁতার ফেডারেশন জানায়, গেমস সাঁতারে মোট ৩৮টি ইভেন্টের মধ্যে এবার নজিরবিহীনভাবে প্রথমে মাত্র ১০টি ইভেন্ট রাখা হয়েছিল। গণমাধ্যমের সমালোচনার পরদিনই ৭টি যোগ করা হয়। তারপর মঙ্গলবারের সভায় সাঁতারের ২০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোক বাদ দিয়ে ৪০০ মিটার ফ্রি-স্টাইল এবং মেয়েদের ১০০ মিটার বাটারফ্লাই ঢোকানো হয় নতুন করে।
আগামী ২৯ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় এসএ গেমসে এখন সর্বসাকল্যে সাঁতার ইভেন্ট ১৯টি। ছেলেদের ১২টি, মেয়েদের ৭টি। তাও ভালো, অন্তত অর্ধেক ইভেন্ট হচ্ছে! বাংলাদেশ ভালো করার আশা করছে ৫০-১০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোক (শাহজাহান আলী), ৫০ মিটার ব্যাকস্ট্রোক (রুবেল রানা), ৫০-১০০ মিটার বাটারফ্লাই (জুয়েল/অনীক)। মেয়েদের ৫০-১০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে (ডলি/মাহফুজা), ৫০ মিটার ফ্রি-স্টাইলে (ডলি/শীলা)।
ফল যা-ই হোক, গেমসের আগে ইভেন্ট নিয়ে গোলকধাঁধায় আছেন সাঁতারুরা। ইভেন্ট বাড়ানো-কমানোর ‘খেলা’ দেখে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সাঁতারুর আশঙ্কা, ‘কাল না আবার শুনতে হয় বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ইভেন্ট ৫০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকও বাদ! কখন যে কী হবে বোঝা মুশকিল!’
এসএওসির সভায় ঠিক হয়েছিল, সাইক্লিংয়ে মেয়েদের ৭০ কিলোমিটার রোড রেস হবে। দুদিন পরই সেই সিদ্ধান্ত পাল্টে গেল। কাল বিওএ জানিয়েছে, ৭০ কিলোমিটার নয়, ওটা হবে ৫০ কিলোমিটারের। জানা গেছে, ৭০ কিলোমিটারে প্রতিযোগিতা করার মতো প্রস্তুতি নেই বাংলাদেশের মেয়েদের। এতেই বোঝা যায়, সভায় বসে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সংশ্লিষ্টদের আসলে কোনো হোমওয়ার্কই থাকে না। নইলে এভাবে কেন সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হবে!
No comments