আবার ম্যাচ দাবি আইরিশদের, ফ্রান্সের নাকচ
হ্যান্ড অব অঁরি’ নিয়ে শোরগোল পৌঁছে গেছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে। আইরিশ প্রধানমন্ত্রী ব্রায়ান কাওয়েন দাবি করেছেন, ম্যাচটি আবার খেলা হোক। এই দাবির জবাবে ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি নাকি কাওয়েনের উদ্দেশে বলেছেন, ‘ও ফুটবলের কী বোঝে?’ এ নিয়ে পরিস্থিতি যখন আরও উত্তপ্ত হওয়ার দিকে মোড় নিচ্ছিল, তখনই পুরো আইরিশ জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন সারকোজি। কিন্তু একই সঙ্গে নাকচ করে দিয়েছেন এই ম্যাচ আবার আয়োজনের সম্ভাবনা।
বিতর্কের জন্ম থিয়েরি অঁরির বাঁ হাতে। প্লে-অফের প্রথম লেগে করা ফ্রান্সের একমাত্র গোলটি দ্বিতীয় লেগে শোধ করে দিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। ফলে ৯০ মিনিট পেরিয়ে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১০৩ মিনিটে আয়ারল্যান্ডের পেনাল্টি বক্সে বাঁ হাত দিয়ে বল ঠেকিয়ে ডান পায়ে পাস দেন অঁরি। সেই পাসেই আইরিশদের স্বপ্ন ভেঙে দেওয়া গোলটি করেন উইলিয়াম গালাস।
আইরিশ পত্রপত্রিকাগুলোর চোখে এরই মধ্যে খলনায়ক বনে গেছেন অঁরি। ‘প্রতারক’ ‘হ্যান্ড অব ফ্রগ’ শিরোনাম দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এ নিয়ে আয়ারল্যান্ডের সংসদেও উত্তপ্ত আলোচনা হয়েছে। দাবির মুখে আইরিশ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন ফিফার কাছে চিঠি লিখতে, ‘হ্যাঁ, আমি আমাদের ক্রীড়ামন্ত্রীকে বলেছি অভিযোগ জানিয়ে ফিফাকে চিঠি লিখতে এবং ম্যাচটি আবার আয়োজনের দাবি জানাতে।’
আইরিশ ফুটবল সংস্থা (এফএআই) এরই মধ্যে ফিফার কাছে সেই আহ্বান জানিয়েছে। রেফারির ভুলের কারণে ম্যাচ পুনরায় আয়োজনের দৃষ্টান্তও ফিফার কাছে তুলে ধরেছে তারা। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে এশিয়া অঞ্চলের প্লে-অফের প্রথম লেগে বাহরাইনের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছিল উজবেকিস্তান। কিন্তু রেফারির ভুলের কারণে ম্যাচটি আবার আয়োজন করা হয়। দুই লেগে মিলে হেরে যায় উজবেকরা।
এই উদাহরণ স্মরণ করিয়ে দিয়ে এফএআইয়ের প্রধান নির্বাহী জন ডেলানি বলেছেন, “খেলাটি যারা চালায় এখন সেটি তাদের ওপর নির্ভর করছে। আপনি যদি সত্যিই ‘ফেয়ার প্লে’র নীতিতে বিশ্বাস করেন, তা হলে আপনাকে এ ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। ভালো ভালো কথা বলার চেয়ে ভালো কিছু করে দেখানোই শ্রেয়।”
আবার ম্যাচ আয়োজনের দাবিতে সোচ্চার আয়ারল্যান্ডের সমর্থকেরাও। রেডিও সাক্ষাত্কারে আইরিশ আইনমন্ত্রী তরুণদের সামনে ভালো একটি উদাহরণ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘বর্তমান ফলাফলটাই বহাল রাখা হলে তরুণদের কাছে এই বার্তা পৌঁছাবে তোমরা যদি প্রতারণা করো তা হলেই তোমরা জিতবে।’
তাঁর সমর্থনে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে ১০ হাজার আইরিশের মধ্যে পরিচালিত জরিপের ৯৫ শতাংশই ম্যাচটি আবার আয়োজনের কথা বলেছে। আয়ারল্যান্ডের একদল সমর্থক ফ্রান্স দূতাবাসের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভও করেছে।
মজার ব্যাপার হলো, এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আর আইরিশ প্রধানমন্ত্রী ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি সম্মেলনে যোগ দিতে মুখোমুখি হয়েছিলেন ব্রাসেলসে। সেখানেই সারকোজি আয়ারল্যান্ডের মানুষদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়ার পাশাপাশি আবারও ম্যাচ আয়োজনের সম্ভাবনা নাকচ করে দেন। ফুটবলের মধ্যে রাজনীতি না টেনে নিয়ে আসার অনুরোধ জানান। প্রেসিডেন্টের মতোই ফ্রান্সের সাধারণ মানুষও আবারও ম্যাচ আয়োজনের বিপক্ষে। শুধু তা-ই নয়, অঁরিকে প্রতারক নয়, নায়ক হিসেবেই বিবেচনা করছে তারা। দেশটির একটি পত্রিকা অঁরির এই গোলটিকে ’৮৬ বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার দেওয়া গোলের সঙ্গে তুলনা করেই নাম দিয়েছে ‘হ্যান্ড অব গড’।
আয়ারল্যান্ডের ইতালিয়ান কোচ জিওভান্নি ত্রাপাত্তোনি নিজেও ম্যাচ আয়োজনের কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না, ‘আমি এই দাবি করতে পারি না, কারণ জানি এটা অসম্ভব।’ এর বদলে তিনি দ্বিতীয় লেগের প্লে-অফে অতিরিক্ত সময়ের খেলা বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন, যেটি তাঁর চোখে একদলকে অন্যায় সুবিধা এনে দেয়। পাশাপাশি রেফারির সিদ্ধান্তকে বিতর্কের বাইরে রাখতে ভিডিও রিপ্লে প্রযুক্তি চালুর আহ্বান জানিয়েছেন। ভিডিও রিপ্লে এখন সময়ের দাবি বলে মনে করছেন পেশাদার ফুটবলারদের সংগঠনের প্রধান গর্ডন টেলর।
কিন্তু ফিফা কী বলছে? ফিফা আবার এই ম্যাচ আয়োজনের কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়ে দিয়েছে!
বিতর্কের জন্ম থিয়েরি অঁরির বাঁ হাতে। প্লে-অফের প্রথম লেগে করা ফ্রান্সের একমাত্র গোলটি দ্বিতীয় লেগে শোধ করে দিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। ফলে ৯০ মিনিট পেরিয়ে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১০৩ মিনিটে আয়ারল্যান্ডের পেনাল্টি বক্সে বাঁ হাত দিয়ে বল ঠেকিয়ে ডান পায়ে পাস দেন অঁরি। সেই পাসেই আইরিশদের স্বপ্ন ভেঙে দেওয়া গোলটি করেন উইলিয়াম গালাস।
আইরিশ পত্রপত্রিকাগুলোর চোখে এরই মধ্যে খলনায়ক বনে গেছেন অঁরি। ‘প্রতারক’ ‘হ্যান্ড অব ফ্রগ’ শিরোনাম দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এ নিয়ে আয়ারল্যান্ডের সংসদেও উত্তপ্ত আলোচনা হয়েছে। দাবির মুখে আইরিশ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন ফিফার কাছে চিঠি লিখতে, ‘হ্যাঁ, আমি আমাদের ক্রীড়ামন্ত্রীকে বলেছি অভিযোগ জানিয়ে ফিফাকে চিঠি লিখতে এবং ম্যাচটি আবার আয়োজনের দাবি জানাতে।’
আইরিশ ফুটবল সংস্থা (এফএআই) এরই মধ্যে ফিফার কাছে সেই আহ্বান জানিয়েছে। রেফারির ভুলের কারণে ম্যাচ পুনরায় আয়োজনের দৃষ্টান্তও ফিফার কাছে তুলে ধরেছে তারা। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে এশিয়া অঞ্চলের প্লে-অফের প্রথম লেগে বাহরাইনের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছিল উজবেকিস্তান। কিন্তু রেফারির ভুলের কারণে ম্যাচটি আবার আয়োজন করা হয়। দুই লেগে মিলে হেরে যায় উজবেকরা।
এই উদাহরণ স্মরণ করিয়ে দিয়ে এফএআইয়ের প্রধান নির্বাহী জন ডেলানি বলেছেন, “খেলাটি যারা চালায় এখন সেটি তাদের ওপর নির্ভর করছে। আপনি যদি সত্যিই ‘ফেয়ার প্লে’র নীতিতে বিশ্বাস করেন, তা হলে আপনাকে এ ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। ভালো ভালো কথা বলার চেয়ে ভালো কিছু করে দেখানোই শ্রেয়।”
আবার ম্যাচ আয়োজনের দাবিতে সোচ্চার আয়ারল্যান্ডের সমর্থকেরাও। রেডিও সাক্ষাত্কারে আইরিশ আইনমন্ত্রী তরুণদের সামনে ভালো একটি উদাহরণ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘বর্তমান ফলাফলটাই বহাল রাখা হলে তরুণদের কাছে এই বার্তা পৌঁছাবে তোমরা যদি প্রতারণা করো তা হলেই তোমরা জিতবে।’
তাঁর সমর্থনে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে ১০ হাজার আইরিশের মধ্যে পরিচালিত জরিপের ৯৫ শতাংশই ম্যাচটি আবার আয়োজনের কথা বলেছে। আয়ারল্যান্ডের একদল সমর্থক ফ্রান্স দূতাবাসের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভও করেছে।
মজার ব্যাপার হলো, এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আর আইরিশ প্রধানমন্ত্রী ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি সম্মেলনে যোগ দিতে মুখোমুখি হয়েছিলেন ব্রাসেলসে। সেখানেই সারকোজি আয়ারল্যান্ডের মানুষদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়ার পাশাপাশি আবারও ম্যাচ আয়োজনের সম্ভাবনা নাকচ করে দেন। ফুটবলের মধ্যে রাজনীতি না টেনে নিয়ে আসার অনুরোধ জানান। প্রেসিডেন্টের মতোই ফ্রান্সের সাধারণ মানুষও আবারও ম্যাচ আয়োজনের বিপক্ষে। শুধু তা-ই নয়, অঁরিকে প্রতারক নয়, নায়ক হিসেবেই বিবেচনা করছে তারা। দেশটির একটি পত্রিকা অঁরির এই গোলটিকে ’৮৬ বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার দেওয়া গোলের সঙ্গে তুলনা করেই নাম দিয়েছে ‘হ্যান্ড অব গড’।
আয়ারল্যান্ডের ইতালিয়ান কোচ জিওভান্নি ত্রাপাত্তোনি নিজেও ম্যাচ আয়োজনের কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না, ‘আমি এই দাবি করতে পারি না, কারণ জানি এটা অসম্ভব।’ এর বদলে তিনি দ্বিতীয় লেগের প্লে-অফে অতিরিক্ত সময়ের খেলা বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন, যেটি তাঁর চোখে একদলকে অন্যায় সুবিধা এনে দেয়। পাশাপাশি রেফারির সিদ্ধান্তকে বিতর্কের বাইরে রাখতে ভিডিও রিপ্লে প্রযুক্তি চালুর আহ্বান জানিয়েছেন। ভিডিও রিপ্লে এখন সময়ের দাবি বলে মনে করছেন পেশাদার ফুটবলারদের সংগঠনের প্রধান গর্ডন টেলর।
কিন্তু ফিফা কী বলছে? ফিফা আবার এই ম্যাচ আয়োজনের কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়ে দিয়েছে!
No comments