আয়কর বিবরণী দাখিলের হার বেড়েছে সাড়ে ১৫ শতাংশ
২০০৮-০৯ করবর্ষে ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতাদের আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে কর আদায়ের পরিমাণও। তবে এ বছরও করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) রয়েছে, এমন ব্যক্তিদের বড় অংশই বিবরণী জমা দেননি।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল রোববার এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
এ সময় জানানো হয়, এ বছর মোট সাত লাখ ৫৭ হাজার ৯৬৪ জন ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতা আয়কর বিবরণী জমা দিয়েছেন, গত বছরের চেয়ে যা ১৫ দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি। ওই বছর মোট ছয় লাখ ৫৬ হাজার ১৯৩টি আয়কর বিবরণী জমা পড়েছিল। আর এর বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৬২৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
কিন্তু চলতি বছরে আয়কর বিবরণী জমা দেওয়ার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৮৫৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এ ক্ষেত্রে আগের বছরের চেয়ে প্রবৃদ্ধি দেখানো হয়েছে ৩৬ দশমিক ২৮ শতাংশ।
গত বছরের নভেম্বর মাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ মোট ছয় লাখ ৭৬ হাজার ১০০টি আয়কর বিবরণী জমা পড়ার তথ্য দিয়েছিলেন। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই বছর মোট আয়কর আদায় হয়েছিল ৭৯২ কোটি টাকা। কিন্তু গতকালের সংবাদ সম্মেলনে গত বছরের আয়কর বিবরণী জমা ও কর আদায়ের পরিমাণ কম দেখানো হয়েছে।
এনবিআরের সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহানারা সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদস্য আমিনুর রহমান, শম্ভুনাথ দাস, সৈয়দ মো. আমিনুল করিম, প্রথম সচিব আবদুল লতিফসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
দুই দফা সময় বাড়ানোর পর গত ১২ নভেম্বর রিটার্ন জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময় শেষ হয়। কিন্তু এনবিআরের তথ্য অনুয়ায়ী, নির্ধারিত সময় পার হলেও করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) রয়েছে এমন প্রায় ১৫ লাখ ব্যক্তি আয়কর বিবরণী জমা দেননি। বর্তমানে টিআইএনধারীর সংখ্যা প্রায় ২২ লাখ ৫০ হাজার।
আমিনুর রহমান বলেন, ‘যাঁরা আয়কর বিবরণী জমা দেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে জরিমানা আরোপসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কোনো করদাতা নির্ধারিত সময়ে আয়কর বিবরণী জমা দিতে না পারার যুক্তিসংগত কারণ দেখালে তাঁর আবেদন গ্রহণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত সময় দেওয়ার বিধান রয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে আমিনুর রহমান বলেন, ‘আয়কর বিভাগ অনলাইনে কর আদায়ের উদ্যোগ নিয়েছে। এটি সম্পন্ন হলে রিটার্ন জমা দেওয়ার সংখ্যা আরও বাড়বে। একই সঙ্গে ভুয়া টিআইএন প্রতিরোধ সম্ভব হবে।’
আমিনুর রহমান জানান, এ বছর সার্বজনীন স্ব্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে বেশি রিটার্ন জমা পড়েছে। মোট করদাতার মধ্যে ছয় লাখ ৩৮ হাজার ব্যক্তি জমা দেন এই পদ্ধতিতে। বাকিরা জমা দিয়েছেন সাধারণ পদ্ধতিতে। সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে করব্যবস্থা একটি আধুনিক ও সহজ পদ্ধতি। এর মাধ্যমে করদাতা তাঁর বিবরণীতে আয়-ব্যয়ের যে হিসাব দেখাবেন, বিনা প্রশ্নে কর বিভাগ তা গ্রহণ করবে।
হালনাগাদ রাজস্ব পরিস্থিতি: চলতি অর্থবছরের চার মাসে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৯২ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। আলোচ্য সময়ে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ১২ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেশি আদায় হলেও প্রবৃদ্ধির হার গতবারের চেয়ে কমে গেছে। গত অর্থবছরের এই সময়ে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ২০ শতাংশের বেশি।
মূলত আমদানি পর্যায়ে রাজস্ব আদায় কম হওয়ায় এ বছরের প্রথম চার মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধির হার কমে গেছে বলে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে।
চলতি অর্থবছরে আয়কর আদায়ের হার ভালো অবস্থানে রয়েছে। আলোচ্য অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আয়কর আদায়ে প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে সাড়ে ২৪ শতাংশ।
সদস্য আমিনুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আয়কর আদায়ের যে প্রবণতা, এ ধারা অব্যাহত থাকলে বছর শেষে আয়করের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’
জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৬ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা। এর বিপরীতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল রোববার এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
এ সময় জানানো হয়, এ বছর মোট সাত লাখ ৫৭ হাজার ৯৬৪ জন ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতা আয়কর বিবরণী জমা দিয়েছেন, গত বছরের চেয়ে যা ১৫ দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি। ওই বছর মোট ছয় লাখ ৫৬ হাজার ১৯৩টি আয়কর বিবরণী জমা পড়েছিল। আর এর বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৬২৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
কিন্তু চলতি বছরে আয়কর বিবরণী জমা দেওয়ার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৮৫৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এ ক্ষেত্রে আগের বছরের চেয়ে প্রবৃদ্ধি দেখানো হয়েছে ৩৬ দশমিক ২৮ শতাংশ।
গত বছরের নভেম্বর মাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ মোট ছয় লাখ ৭৬ হাজার ১০০টি আয়কর বিবরণী জমা পড়ার তথ্য দিয়েছিলেন। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই বছর মোট আয়কর আদায় হয়েছিল ৭৯২ কোটি টাকা। কিন্তু গতকালের সংবাদ সম্মেলনে গত বছরের আয়কর বিবরণী জমা ও কর আদায়ের পরিমাণ কম দেখানো হয়েছে।
এনবিআরের সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহানারা সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদস্য আমিনুর রহমান, শম্ভুনাথ দাস, সৈয়দ মো. আমিনুল করিম, প্রথম সচিব আবদুল লতিফসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
দুই দফা সময় বাড়ানোর পর গত ১২ নভেম্বর রিটার্ন জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময় শেষ হয়। কিন্তু এনবিআরের তথ্য অনুয়ায়ী, নির্ধারিত সময় পার হলেও করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) রয়েছে এমন প্রায় ১৫ লাখ ব্যক্তি আয়কর বিবরণী জমা দেননি। বর্তমানে টিআইএনধারীর সংখ্যা প্রায় ২২ লাখ ৫০ হাজার।
আমিনুর রহমান বলেন, ‘যাঁরা আয়কর বিবরণী জমা দেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে জরিমানা আরোপসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কোনো করদাতা নির্ধারিত সময়ে আয়কর বিবরণী জমা দিতে না পারার যুক্তিসংগত কারণ দেখালে তাঁর আবেদন গ্রহণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত সময় দেওয়ার বিধান রয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে আমিনুর রহমান বলেন, ‘আয়কর বিভাগ অনলাইনে কর আদায়ের উদ্যোগ নিয়েছে। এটি সম্পন্ন হলে রিটার্ন জমা দেওয়ার সংখ্যা আরও বাড়বে। একই সঙ্গে ভুয়া টিআইএন প্রতিরোধ সম্ভব হবে।’
আমিনুর রহমান জানান, এ বছর সার্বজনীন স্ব্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে বেশি রিটার্ন জমা পড়েছে। মোট করদাতার মধ্যে ছয় লাখ ৩৮ হাজার ব্যক্তি জমা দেন এই পদ্ধতিতে। বাকিরা জমা দিয়েছেন সাধারণ পদ্ধতিতে। সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে করব্যবস্থা একটি আধুনিক ও সহজ পদ্ধতি। এর মাধ্যমে করদাতা তাঁর বিবরণীতে আয়-ব্যয়ের যে হিসাব দেখাবেন, বিনা প্রশ্নে কর বিভাগ তা গ্রহণ করবে।
হালনাগাদ রাজস্ব পরিস্থিতি: চলতি অর্থবছরের চার মাসে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৯২ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। আলোচ্য সময়ে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ১২ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেশি আদায় হলেও প্রবৃদ্ধির হার গতবারের চেয়ে কমে গেছে। গত অর্থবছরের এই সময়ে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ২০ শতাংশের বেশি।
মূলত আমদানি পর্যায়ে রাজস্ব আদায় কম হওয়ায় এ বছরের প্রথম চার মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধির হার কমে গেছে বলে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে।
চলতি অর্থবছরে আয়কর আদায়ের হার ভালো অবস্থানে রয়েছে। আলোচ্য অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আয়কর আদায়ে প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে সাড়ে ২৪ শতাংশ।
সদস্য আমিনুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আয়কর আদায়ের যে প্রবণতা, এ ধারা অব্যাহত থাকলে বছর শেষে আয়করের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’
জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৬ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা। এর বিপরীতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা।
No comments