শীর্ষ নেতৃত্বের রাজনৈতিক সদিচ্ছাই মূলকথা -বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক
অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এবার বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের সম্ভাবনা উজ্জ্বলতর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফর সামনে রেখে ভারতীয় পররাষ্ট্রসচিব নিরুপমা রাওয়ের ঢাকা সফরের ফলাফল সেদিক থেকে বেশ ইতিবাচকই বলা চলে। তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ও অমীমাংসিত বিষয়গুলো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করায় পুরো বিষয়টি তাত্পর্যপূর্ণ মাত্রা অর্জন করেছে। এ মুহূর্তে দেশের প্রধান বিরোধী দলের ইতিবাচক মনোভাব দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নের জন্য জরুরি।
বাংলাদেশ ও ভারতে নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেছে, এটা আকস্মিক কিন্তু একটি উল্লেখযোগ্য সমাপতনিক ঘটনা, যা কূটনীতিতে অনেক সময় অভাবনীয় সাফল্য বয়ে আনে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় আলোচনার সার্বিক দায়িত্ব ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি ও রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়ার অর্থ হলো, সফরের সাফল্য নিশ্চিত করার ব্যাপারে ভারত যথেষ্ট সচেতন। সেজন্যই হয়তো দুই বাঙালি মন্ত্রীকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে স্থাপন করা হলো।
প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন দিল্লি সফরের সময় সন্ত্রাসবাদ ও অপরাধমূলক তত্পরতা দমন বিষয়ে তিনটি চুক্তি সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তা বিষয়ে ভারতের উদ্বেগ সুবিদিত। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সহযোগিতায় ভারতের পররাষ্ট্রসচিব তাঁর দেশের পক্ষে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এটা লক্ষণীয় অগ্রগতি; কারণ, আগে ভারত বিভিন্ন সময় এ ব্যাপারে আস্থাশীল হতে পারেনি। বাংলাদেশেও রয়েছে উগ্র চরমপন্থীদের তত্পরতা, যারা বিভিন্ন সময় ভারতে অবৈধভাবে আশ্রয় নেয়। এ অবস্থায় উভয় দেশের স্বার্থেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।
নেপালের সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য বাংলাদেশের তিনটি সীমান্ত দিয়ে ট্রানজিট দিতে ভারত রাজি হয়েছে। ভুটানের সঙ্গেও বাংলাদেশের বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে। এখানে লক্ষণীয় যে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আগে থেকেই চলছে। কিন্তু নানা অসুবিধার কারণে এই কার্যক্রম খুব সক্রিয় হতে পারেনি। পণ্য পরিবহনে নিরাপত্তার প্রশ্নটি একটি জটিল সমস্যা। এটা দূর করার বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা ও করণীয় স্থির করা দরকার। পাশাপাশি এ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিসর আরও বাড়ানোর বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। নেপাল ও ভারত বাংলাদেশের মংলা বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশের সঙ্গে রপ্তানি-আমদানি পরিচালনা করলে বাংলাদেশের আয় বাড়বে এবং নেপাল ও ভুটানও উপকৃত হবে। ভারত ভূখণ্ডে প্রদত্ত ট্রানজিট তখন বাংলাদেশের জন্য আরও অর্থবহ ও অর্থকরী হয়ে উঠবে।
ত্রিপুরায় বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণে ভারী যন্ত্রপাতি বহনের জন্য আশুগঞ্জ নৌবন্দর ব্যবহারের বিষয়টিও আলোচনায় আসবে। ভারত থেকে বিদ্যুত্ ক্রয় ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে আলোচনার জন্য বিদ্যুত্ সচিব দিল্লি সফরে যাচ্ছেন। এ ছাড়া তিস্তার পানি বণ্টন, ভারত থেকে বিদ্যুত্ আমদানি, ট্রানজিট ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে। বাংলাদেশের জন্য স্পর্শকাতর বিষয় হলো তিস্তামুখ বাঁধ। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু না করার কথা ভারতের পররাষ্ট্রসচিব আবার বলেছেন, যা ভারতের নীতিগত অবস্থান হিসেবে গণ্য হওয়া উচিত।
বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কোন্নয়নের প্রশ্নটি প্রধানত নির্ভর করে রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর। এবার সেই সুযোগ ও সম্ভাবনা অনেক বেশি। তবে মনে রাখতে হবে, এসব ক্ষেত্রে যা কিছু চুক্তি হোক না কেন, সেটা জনসাধারণের চোখে দুই দেশের জন্য তুলনামূলক লাভজনক বলে প্রতীয়মান না হলে টিকবে না। উভয় দেশের নেতৃত্বের জন্য এটাই হওয়া উচিত প্রধান দিকনির্দেশনা।
বাংলাদেশ ও ভারতে নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেছে, এটা আকস্মিক কিন্তু একটি উল্লেখযোগ্য সমাপতনিক ঘটনা, যা কূটনীতিতে অনেক সময় অভাবনীয় সাফল্য বয়ে আনে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় আলোচনার সার্বিক দায়িত্ব ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি ও রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়ার অর্থ হলো, সফরের সাফল্য নিশ্চিত করার ব্যাপারে ভারত যথেষ্ট সচেতন। সেজন্যই হয়তো দুই বাঙালি মন্ত্রীকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে স্থাপন করা হলো।
প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন দিল্লি সফরের সময় সন্ত্রাসবাদ ও অপরাধমূলক তত্পরতা দমন বিষয়ে তিনটি চুক্তি সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তা বিষয়ে ভারতের উদ্বেগ সুবিদিত। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সহযোগিতায় ভারতের পররাষ্ট্রসচিব তাঁর দেশের পক্ষে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এটা লক্ষণীয় অগ্রগতি; কারণ, আগে ভারত বিভিন্ন সময় এ ব্যাপারে আস্থাশীল হতে পারেনি। বাংলাদেশেও রয়েছে উগ্র চরমপন্থীদের তত্পরতা, যারা বিভিন্ন সময় ভারতে অবৈধভাবে আশ্রয় নেয়। এ অবস্থায় উভয় দেশের স্বার্থেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।
নেপালের সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য বাংলাদেশের তিনটি সীমান্ত দিয়ে ট্রানজিট দিতে ভারত রাজি হয়েছে। ভুটানের সঙ্গেও বাংলাদেশের বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে। এখানে লক্ষণীয় যে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আগে থেকেই চলছে। কিন্তু নানা অসুবিধার কারণে এই কার্যক্রম খুব সক্রিয় হতে পারেনি। পণ্য পরিবহনে নিরাপত্তার প্রশ্নটি একটি জটিল সমস্যা। এটা দূর করার বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা ও করণীয় স্থির করা দরকার। পাশাপাশি এ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিসর আরও বাড়ানোর বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। নেপাল ও ভারত বাংলাদেশের মংলা বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশের সঙ্গে রপ্তানি-আমদানি পরিচালনা করলে বাংলাদেশের আয় বাড়বে এবং নেপাল ও ভুটানও উপকৃত হবে। ভারত ভূখণ্ডে প্রদত্ত ট্রানজিট তখন বাংলাদেশের জন্য আরও অর্থবহ ও অর্থকরী হয়ে উঠবে।
ত্রিপুরায় বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণে ভারী যন্ত্রপাতি বহনের জন্য আশুগঞ্জ নৌবন্দর ব্যবহারের বিষয়টিও আলোচনায় আসবে। ভারত থেকে বিদ্যুত্ ক্রয় ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে আলোচনার জন্য বিদ্যুত্ সচিব দিল্লি সফরে যাচ্ছেন। এ ছাড়া তিস্তার পানি বণ্টন, ভারত থেকে বিদ্যুত্ আমদানি, ট্রানজিট ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে। বাংলাদেশের জন্য স্পর্শকাতর বিষয় হলো তিস্তামুখ বাঁধ। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু না করার কথা ভারতের পররাষ্ট্রসচিব আবার বলেছেন, যা ভারতের নীতিগত অবস্থান হিসেবে গণ্য হওয়া উচিত।
বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কোন্নয়নের প্রশ্নটি প্রধানত নির্ভর করে রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর। এবার সেই সুযোগ ও সম্ভাবনা অনেক বেশি। তবে মনে রাখতে হবে, এসব ক্ষেত্রে যা কিছু চুক্তি হোক না কেন, সেটা জনসাধারণের চোখে দুই দেশের জন্য তুলনামূলক লাভজনক বলে প্রতীয়মান না হলে টিকবে না। উভয় দেশের নেতৃত্বের জন্য এটাই হওয়া উচিত প্রধান দিকনির্দেশনা।
No comments