নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে -এসইসি থেকে তথ্য ফাঁস
দেশের পুঁজিবাজার ক্রমেই ফুলে-ফেঁপে উঠছে। বাজার হয়েছে আকর্ষণীয় ও লোভনীয়। আর তাই বড় বড় বিনিয়োগকারীর পাশাপাশি হাজার হাজার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীও এ বাজারে প্রবেশ করেছেন ও করছেন। এভাবে প্রচুর মানুষের অর্থোপার্জনের উত্স হয়ে উঠেছে দেশের শেয়ারবাজার। এর যেমন ইতিবাচক দিক আছে, তেমনি আছে নেতিবাচক দিক। কারণ, পুঁজিবাজারের বৈশিষ্ট্য অনুসারে এখানে জুয়াবাজি ও কারসাজি আছে। আর এ কারসাজিতে ছোট বিনিয়োগকারীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হন সবচেয়ে বেশি। সে ক্ষেত্রে বাজারের শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং জুয়াবাজি-কারসাজি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার দক্ষতা ও কঠোরতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) এ ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে পিছিয়ে আছে। লোকবল-সংকটসহ নানা ধরনের সমস্যায় জর্জরিত এসইসি বিনিয়োগকারীদের আস্থা হারাচ্ছে।
এ রকম একটা অবস্থায় প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে যে এসইসির গৃহীত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ও কর্মপরিকল্পনার তথ্য প্রায়ই ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। এসইসির ভেতরে গড়ে ওঠা একটি দুষ্টচক্র বাজারের জন্য সংবেদনশীল এসব তথ্য অন্যায়ভাবে বাজারের মুষ্টিমেয় কিছু গোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। ফলে এরা বিভিন্নভাবে বাজার থেকে লাভ তুলে নিচ্ছে। মাঝখান থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। পুঁজিবাজারের অন্তর্নিহিত শক্তি না বেড়ে বরং স্থানটিও দুর্বল হয়ে পড়ছে। শেয়ারের মৌল ভিত্তি ও তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক অবস্থা বিনিয়োগের বিবেচনায় গুরুত্ব কম পাচ্ছে। গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্য বাজারকে প্রভাবিত করছে।
বস্তুত এসইসির অদক্ষতার বিষয়টি আগেই প্রতিষ্ঠিত। সম্প্রতি বিভিন্ন বিষয়ে বিভ্রান্তিকর সিদ্ধান্ত নিয়ে অযাচিতভাবে বাজারে হস্তক্ষেপ করায় একদিকে যেমন বাজার অস্থির হয়েছে তেমনি উত্সাহিত হয়েছে ফটকাবাজি। ফলে বাজার নিয়ন্ত্রক হিসেবে এসইসির গ্রহণযোগ্যতা খুব স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে। বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ করেছেন যে এসইসির কিছু অসাধু কর্মকর্তা বাজার কারসাজির সঙ্গে জড়িত। প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে সরকারি একাধিক সংস্থার নজরদারিতেও এ বিষয়গুলো উঠে এসেছে। আর তাই এসইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর সরকার নজরদারি বাড়িয়েছে।
বর্তমান বাস্তবতায় সরকারের এখন উচিত হবে এসইসিকে ঢেলে সাজানোর দিকে নজর দেওয়া। এখানে যেসব অদক্ষ ও অসাধু কর্মকর্তা রয়েছেন, যাঁরা তথ্য ফাঁস করছেন, তাঁদের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। পাশাপাশি দরকার দক্ষ ও সত্ কর্মকর্তাদের ঠিকভাবে কাজ করতে দেওয়া। এসইসিতে লোকবলের যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। সেই ঘাটতি মেটাতে নতুন লোকবল নিয়োগ দেওয়া। মনে রাখা দরকার, শেয়ারবাজার বহু মানুষের জীবিকার উত্স হয়ে পড়েছে। সরকার যদি নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে এখনই ঠিক না করে, তাহলে পুঁজিবাজারের আগামী দিনগুলো আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে।
এ রকম একটা অবস্থায় প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে যে এসইসির গৃহীত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ও কর্মপরিকল্পনার তথ্য প্রায়ই ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। এসইসির ভেতরে গড়ে ওঠা একটি দুষ্টচক্র বাজারের জন্য সংবেদনশীল এসব তথ্য অন্যায়ভাবে বাজারের মুষ্টিমেয় কিছু গোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। ফলে এরা বিভিন্নভাবে বাজার থেকে লাভ তুলে নিচ্ছে। মাঝখান থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। পুঁজিবাজারের অন্তর্নিহিত শক্তি না বেড়ে বরং স্থানটিও দুর্বল হয়ে পড়ছে। শেয়ারের মৌল ভিত্তি ও তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক অবস্থা বিনিয়োগের বিবেচনায় গুরুত্ব কম পাচ্ছে। গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্য বাজারকে প্রভাবিত করছে।
বস্তুত এসইসির অদক্ষতার বিষয়টি আগেই প্রতিষ্ঠিত। সম্প্রতি বিভিন্ন বিষয়ে বিভ্রান্তিকর সিদ্ধান্ত নিয়ে অযাচিতভাবে বাজারে হস্তক্ষেপ করায় একদিকে যেমন বাজার অস্থির হয়েছে তেমনি উত্সাহিত হয়েছে ফটকাবাজি। ফলে বাজার নিয়ন্ত্রক হিসেবে এসইসির গ্রহণযোগ্যতা খুব স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে। বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ করেছেন যে এসইসির কিছু অসাধু কর্মকর্তা বাজার কারসাজির সঙ্গে জড়িত। প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে সরকারি একাধিক সংস্থার নজরদারিতেও এ বিষয়গুলো উঠে এসেছে। আর তাই এসইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর সরকার নজরদারি বাড়িয়েছে।
বর্তমান বাস্তবতায় সরকারের এখন উচিত হবে এসইসিকে ঢেলে সাজানোর দিকে নজর দেওয়া। এখানে যেসব অদক্ষ ও অসাধু কর্মকর্তা রয়েছেন, যাঁরা তথ্য ফাঁস করছেন, তাঁদের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। পাশাপাশি দরকার দক্ষ ও সত্ কর্মকর্তাদের ঠিকভাবে কাজ করতে দেওয়া। এসইসিতে লোকবলের যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। সেই ঘাটতি মেটাতে নতুন লোকবল নিয়োগ দেওয়া। মনে রাখা দরকার, শেয়ারবাজার বহু মানুষের জীবিকার উত্স হয়ে পড়েছে। সরকার যদি নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে এখনই ঠিক না করে, তাহলে পুঁজিবাজারের আগামী দিনগুলো আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে।
No comments