আশা-নিরাশার ১০ মিটার রাইফেল
আবার নিজের ছায়ায় ঢাকা পড়ে গেছেন আসিফ। আগের আসিফ আর নেই। গত এপ্রিলে দারুণভাবে ফিরে এসেও নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন আবার। ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় এখন তিনি তৃতীয় হচ্ছেন।
প্রথম-দ্বিতীয় স্থান তাহলে কাদের? মাহমুদুল হাসান ও আবদুল্লাহ্ হেল বাকির। বিকেএসপির এই দুই তরুণ উঠে আসছেন প্রতিশ্রুতি জাগিয়ে। কাল দ্বিতীয় এয়ারগান ক্লাব শ্যুটিংয়ে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে তীব্র লড়াইয়ের পর মাহমুদুল প্রথম, আবদুল্লাহ্ দ্বিতীয়, আসিফ তৃতীয় হয়েছেন। আসন্ন এসএ গেমসে আবদুল্লাহ-মাহমুদুলকে ঘিরেই মনে হয় ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে বাংলাদেশের সোনার প্রত্যাশা থাকছে। যে ইভেন্টের নামই হয়ে গিয়েছিল ‘আসিফের ইভেন্ট’।
গুলশান জাতীয় শ্যুটিং রেঞ্জের সংস্কারকাজ এখনো শেষ হয়নি, এরই মধ্যে অনেক দিন পর একটা প্রতিযোগিতা আয়োজিত হলো সেখানে। কাল দুপুরে রেঞ্জে পা দিয়ে সবার মুখেই শোনা গেল আবদুল্লাহ্ আর মাহমুদুলের প্রশংসা। অনুশীলন ক্যাম্পে শেষ তিনটি প্রতিযোগিতায় আবদুল্লাহ্ করেছেন ৫৯৩, ৫৯০ ও ৫৯৪। সজীব করেছেন ৫৮১, ৫৯০ ও ৫৯০। আসিফের স্কোর ছিল ৫৭২, ৫৮৫ ও ৫৮৫।
এদিন বাছাইয়ে আবদুল্লাহ্র স্কোর ছিল ৫৯০। মাহমুদুলের ৫৮৯। আসিফের ৫৮৫। তবে রাতে শ্যুট-অফে দান মেরে প্রথম হয়ে গেছেন মাহমুদুল। শেষ দুই শটেই নিষ্পত্তি হয়েছে শিরোপা।
গত এপ্রিলে জাতীয় শ্যুটিংয়ে যিনি ৫৯৫ করে এই ইভেন্টে জাতীয় রেকর্ড গড়েছেন, সেই আসিফের এমন দুরবস্থা কেন? কমনওয়েলথ ও সাফ গেমসের সোনাজয়ী বললেন, ‘মানসিক চাপ। কম্পিটিশনে দু-একটা শট খারাপ হলেও টেনশন শুরু হয়ে যায়, এই বুঝি সব শেষ।’ তাই হলো কাল বাছাইয়ে, প্রথম ৪০টি শটে ৬ স্কোর কম করেছেন, বাকি ২০ শটে হারিয়েছেন ৯!
‘আতিক ভাই আর শাহানা আপা অনেক সাহায্য করছেন। অনুশীলনে ভালো করলেও প্রতিযোগিতায় পারছি না। ওনাদের হাতে এখন শুধু মার খাওয়া বাকি আমার...হা..হা..হা’—হাসতে হাসতে নিজের ফর্মের অধোগতিটা বোঝালেন আসিফ।
আগামী মাসে দোহায় এশিয়ান এয়ারগান শ্যুটিংয়ের জন্য ছেলেদের যে দলটা গড়েছে শ্যুটিং ফেডারেশন, তাতে আবদুল্লাহ্ আর মাহমুদুলই সেরা পছন্দ। নানা দিক চিন্তা করে আসিফকে দলে রাখা হয়েছে, তবে তাঁকে বলে দেওয়া হয়েছে, স্কোর ৫৯০-এর ওপরে নিতেই হবে। নইলে দল থেকে বাদ পড়বেন।
মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের দল নিয়ে উল্টো বিড়ম্বনা। এসএ গেমসের দলে কাকে রেখে কাকে বাদ দেওয়া হবে, সেটি নিয়েই কথা হচ্ছে! গেমসে ছেলেদের ১০ মিটারের চেয়ে মেয়েদের ১০ মিটারেই বেশি সম্ভাবনা দেখছেন শ্যুটিং কোচরা। শ্যুটিং ক্যারিয়ারের যবনিকা টেনে গত ৫ নভেম্বর কোচ হিসেবে যোগ দেওয়া সাইফুল আলম রিংকি যেমন বললেন, ‘ছেলেদের টিমে বিকেএসপির ছেলে দুটি মোটামুটি ভালোই করছে। আরেকটু ভালো করলে ওদের নিয়ে আশা করাই যায়। তবে দলগতভাবে ভালো করতে হলে আসিফকে ভালো করতে হবে। এখন পর্যন্ত মেয়েদের টিমটাই বেশি ভালো করছে। এই দলটি সাফে ভালো ফাইট দিতে পারবে।’
শারমিন, রত্না, সাদিয়া, তৃপ্তিরা ট্রায়ালে ৩৯৪-৩৯৫ বা এরও বেশি স্কোর করছেন। আজ তাঁদের মধ্যে তুমুল একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। ২০০৪ ইসলামাবাদ সাফ গেমসে সোনাজয়ী শারমিন অনেক দিন পর ফর্মে ফিরেছেন, এটা শ্যুটিং-অঙ্গনে বড় খবর। অভিজ্ঞ সাবরিনাও এয়ার রাইফেলে ৩৯০-এর আশপাশে স্কোর করছেন। এবার সম্ভবত তাঁকে ছাড়াই এই ইভেন্টে খেলতে পারবে বাংলাদেশ। প্রোন, থ্রি পজিশনেই হয়তো খেলতে হবে সাবরিনাকে।
মেয়েদের এয়ার পিস্তলে বাংলাদেশের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। কাল মেয়েদের এয়ার পিস্তলে শ্যুটারদের স্কোর ছিল খুবই খারাপ। গত জাতীয় প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ ৩৭৩ হয়েছিল, কাল হলো ৩৬২। নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবের আরমিন আশা করলেন সর্বোচ্চ স্কোর। বিকেএসপির অন্তরা ইসলাম দ্বিতীয় (৩৫৮) ও তৃতীয় ঢাকা রাইফেল ক্লাবের ফারজানা কাওসার (৩৫৬)।
প্রথম-দ্বিতীয় স্থান তাহলে কাদের? মাহমুদুল হাসান ও আবদুল্লাহ্ হেল বাকির। বিকেএসপির এই দুই তরুণ উঠে আসছেন প্রতিশ্রুতি জাগিয়ে। কাল দ্বিতীয় এয়ারগান ক্লাব শ্যুটিংয়ে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে তীব্র লড়াইয়ের পর মাহমুদুল প্রথম, আবদুল্লাহ্ দ্বিতীয়, আসিফ তৃতীয় হয়েছেন। আসন্ন এসএ গেমসে আবদুল্লাহ-মাহমুদুলকে ঘিরেই মনে হয় ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে বাংলাদেশের সোনার প্রত্যাশা থাকছে। যে ইভেন্টের নামই হয়ে গিয়েছিল ‘আসিফের ইভেন্ট’।
গুলশান জাতীয় শ্যুটিং রেঞ্জের সংস্কারকাজ এখনো শেষ হয়নি, এরই মধ্যে অনেক দিন পর একটা প্রতিযোগিতা আয়োজিত হলো সেখানে। কাল দুপুরে রেঞ্জে পা দিয়ে সবার মুখেই শোনা গেল আবদুল্লাহ্ আর মাহমুদুলের প্রশংসা। অনুশীলন ক্যাম্পে শেষ তিনটি প্রতিযোগিতায় আবদুল্লাহ্ করেছেন ৫৯৩, ৫৯০ ও ৫৯৪। সজীব করেছেন ৫৮১, ৫৯০ ও ৫৯০। আসিফের স্কোর ছিল ৫৭২, ৫৮৫ ও ৫৮৫।
এদিন বাছাইয়ে আবদুল্লাহ্র স্কোর ছিল ৫৯০। মাহমুদুলের ৫৮৯। আসিফের ৫৮৫। তবে রাতে শ্যুট-অফে দান মেরে প্রথম হয়ে গেছেন মাহমুদুল। শেষ দুই শটেই নিষ্পত্তি হয়েছে শিরোপা।
গত এপ্রিলে জাতীয় শ্যুটিংয়ে যিনি ৫৯৫ করে এই ইভেন্টে জাতীয় রেকর্ড গড়েছেন, সেই আসিফের এমন দুরবস্থা কেন? কমনওয়েলথ ও সাফ গেমসের সোনাজয়ী বললেন, ‘মানসিক চাপ। কম্পিটিশনে দু-একটা শট খারাপ হলেও টেনশন শুরু হয়ে যায়, এই বুঝি সব শেষ।’ তাই হলো কাল বাছাইয়ে, প্রথম ৪০টি শটে ৬ স্কোর কম করেছেন, বাকি ২০ শটে হারিয়েছেন ৯!
‘আতিক ভাই আর শাহানা আপা অনেক সাহায্য করছেন। অনুশীলনে ভালো করলেও প্রতিযোগিতায় পারছি না। ওনাদের হাতে এখন শুধু মার খাওয়া বাকি আমার...হা..হা..হা’—হাসতে হাসতে নিজের ফর্মের অধোগতিটা বোঝালেন আসিফ।
আগামী মাসে দোহায় এশিয়ান এয়ারগান শ্যুটিংয়ের জন্য ছেলেদের যে দলটা গড়েছে শ্যুটিং ফেডারেশন, তাতে আবদুল্লাহ্ আর মাহমুদুলই সেরা পছন্দ। নানা দিক চিন্তা করে আসিফকে দলে রাখা হয়েছে, তবে তাঁকে বলে দেওয়া হয়েছে, স্কোর ৫৯০-এর ওপরে নিতেই হবে। নইলে দল থেকে বাদ পড়বেন।
মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের দল নিয়ে উল্টো বিড়ম্বনা। এসএ গেমসের দলে কাকে রেখে কাকে বাদ দেওয়া হবে, সেটি নিয়েই কথা হচ্ছে! গেমসে ছেলেদের ১০ মিটারের চেয়ে মেয়েদের ১০ মিটারেই বেশি সম্ভাবনা দেখছেন শ্যুটিং কোচরা। শ্যুটিং ক্যারিয়ারের যবনিকা টেনে গত ৫ নভেম্বর কোচ হিসেবে যোগ দেওয়া সাইফুল আলম রিংকি যেমন বললেন, ‘ছেলেদের টিমে বিকেএসপির ছেলে দুটি মোটামুটি ভালোই করছে। আরেকটু ভালো করলে ওদের নিয়ে আশা করাই যায়। তবে দলগতভাবে ভালো করতে হলে আসিফকে ভালো করতে হবে। এখন পর্যন্ত মেয়েদের টিমটাই বেশি ভালো করছে। এই দলটি সাফে ভালো ফাইট দিতে পারবে।’
শারমিন, রত্না, সাদিয়া, তৃপ্তিরা ট্রায়ালে ৩৯৪-৩৯৫ বা এরও বেশি স্কোর করছেন। আজ তাঁদের মধ্যে তুমুল একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। ২০০৪ ইসলামাবাদ সাফ গেমসে সোনাজয়ী শারমিন অনেক দিন পর ফর্মে ফিরেছেন, এটা শ্যুটিং-অঙ্গনে বড় খবর। অভিজ্ঞ সাবরিনাও এয়ার রাইফেলে ৩৯০-এর আশপাশে স্কোর করছেন। এবার সম্ভবত তাঁকে ছাড়াই এই ইভেন্টে খেলতে পারবে বাংলাদেশ। প্রোন, থ্রি পজিশনেই হয়তো খেলতে হবে সাবরিনাকে।
মেয়েদের এয়ার পিস্তলে বাংলাদেশের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। কাল মেয়েদের এয়ার পিস্তলে শ্যুটারদের স্কোর ছিল খুবই খারাপ। গত জাতীয় প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ ৩৭৩ হয়েছিল, কাল হলো ৩৬২। নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবের আরমিন আশা করলেন সর্বোচ্চ স্কোর। বিকেএসপির অন্তরা ইসলাম দ্বিতীয় (৩৫৮) ও তৃতীয় ঢাকা রাইফেল ক্লাবের ফারজানা কাওসার (৩৫৬)।
No comments