দলে ঐক্য চান ইউসুফ
ইউনুস খান যেখানে আপাত সমাপ্তি দেখেছেন মোহাম্মদ ইউসুফ শুরু করতে চাইছেন সেখান থেকেই। দলের মধ্যে ঐক্যের অভাব দেখেই নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে নাকি সরে দাঁড়িয়েছেন ইউনুস। আর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ইউসুফ নিউজিল্যান্ড রওনা দেওয়ার আগে দুবাইতে বলে গেছেন, দলকে ঐক্যবদ্ধ করাই তাঁর মূল লক্ষ্য, ‘আমার মূল লক্ষ্য দলকে ঐক্যবদ্ধ করা। ধর্মও আমাদের সে শিক্ষাই দেয়।’
আবুধাবিতে ২-১-এ ওয়ানডে সিরিজ হারলেও দুবাইয়ে ২-০-তে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেই কাল নিউজিল্যান্ডের বিমানে চেপেছে পাকিস্তান দল। দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটি ডানেডিনে শুরু হবে আগামী ২৫ নভেম্বর। নিউজিল্যান্ড যাওয়ার আগে মোহাম্মদ ইউসুফ শুনিয়েছেন এই সিরিজে তাঁর আশার কথা, ‘আমি নিশ্চিত, দলের সব ক্রিকেটার তাদের দায়িত্বের ব্যাপারে সচেতন। আমার কাছে সব খেলোয়াড়ই সমান, সবাইকে আমি সমানভাবেই দেখব।’ এটাই স্বাভাবিক। ইউনুস খানের ‘বিশ্রামে’ যাওয়ার পেছনে দলের ‘নীরব বিদ্রোহ’ এতটাই কাজ করেছে যে, আপাতত একতা-সংহতির মতো ব্যাপারগুলো নিয়েই বেশি ভাবতে হচ্ছে ইউসুফকে।
আর ক্রিকেটীয় ভাবনায় ইউসুফ প্রথমেই সামনে নিয়ে এসেছেন একটা নাম—মিসবাহ-উল হক। ঢাকায় প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ খেলতে আসা এই মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যানকে নিউজিল্যান্ডে উড়িয়ে নিয়ে যেতে চান ইউসুফ। উদ্দেশ্য, ইউনুস খানের শূন্যতা পূরণ করা। ‘ব্যাটসম্যান ইউনুসকে আমরা অবশ্যই মিস করব। তবে আমি নির্বাচক কমিটিকে বলেছি মিসবাহ-উল হককে তার বিকল্প হিসেবে আনার ব্যবস্থা করতে। নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতা আছে তার।’
ইউসুফের আশঙ্কা, নিউজিল্যান্ডের সিমিং কন্ডিশন তাঁর ব্যাটসম্যানদের ফেলবে অগ্নিপরীক্ষায়। তবে বোলিং আক্রমণের দিকে তাকিয়ে স্বস্তিই পাচ্ছেন অধিনায়ক। নিউজিল্যান্ডকে দুই ইনিংসেই অলআউট করার সামর্থ্য দেখছেন তিনি পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণে, ‘মোহাম্মদ আসিফ ফিরেছে। নতুন বলকে দারুণভাবে কাজে লাগাতে পারে সে। নিউজিল্যান্ডে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে আসিফ।’ আসিফ ছাড়া অন্য পেসারদের ওপরও বেশ আস্থা ইউসুফের, ‘মোহাম্মদ আমির, উমর গুল, আবদুল রউফ আছে দলে। আছে দানিশ কানেরিয়া আর সাঈদ আজমলের মতো দুজন ভালো স্পিনার। কাজেই নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হতে আমরা সব দিক দিয়েই প্রস্তুত।’
প্রস্তুত আসিফও। তিক্ত অতীত পেছনে ফেলে নতুন করে শুরু করতে চান সবকিছু, ‘পুরোনো বিষয় পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যেতে চাই আমি। যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছে। এখন আমার লক্ষ্য নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টে দলের জন্য ভালো কিছু করা।’ দুবাই বিমানবন্দরে আফিম নিয়ে ধরা পড়ার পর সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ সে দেশে আসিফের খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলা হয়নি তাঁর সে কারণেই। তবে নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে করাচি ছাড়ার আগে আসিফের কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছে শিক্ষা সত্যি সত্যিই হয়েছে তাঁর। ‘ক্যারিয়ার থেকে দুটো মূল্যবান বছর হারিয়ে গেছে আমার। প্রথমটা ইনজুরির জন্য, পরের বছর ভিন্ন কারণে। তবে এখন আমি চাইছি খেলায় মন দিতে, উইকেট পেতে, দলকে জেতাতে’—বলেছেন আসিফ।
পাকিস্তান কোচ ইন্তিখাব অবশ্য বোলিং নয়, ব্যাটিংটাকেই দেখছেন নিউজিল্যান্ড সাফল্যের শর্ত হিসেবে, ‘আমাদের ব্যাটিংয়ে অবশ্যই উন্নতির ছোঁয়া থাকতে হবে। ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টির পর টেস্টে গিয়ে নয়তো কাজটা কঠিন হবে। ব্যাটসম্যানদের ধৈর্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। কারণ দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটেই ব্যাটসম্যানদের আসল পরীক্ষাটা হয়।
আবুধাবিতে ২-১-এ ওয়ানডে সিরিজ হারলেও দুবাইয়ে ২-০-তে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেই কাল নিউজিল্যান্ডের বিমানে চেপেছে পাকিস্তান দল। দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটি ডানেডিনে শুরু হবে আগামী ২৫ নভেম্বর। নিউজিল্যান্ড যাওয়ার আগে মোহাম্মদ ইউসুফ শুনিয়েছেন এই সিরিজে তাঁর আশার কথা, ‘আমি নিশ্চিত, দলের সব ক্রিকেটার তাদের দায়িত্বের ব্যাপারে সচেতন। আমার কাছে সব খেলোয়াড়ই সমান, সবাইকে আমি সমানভাবেই দেখব।’ এটাই স্বাভাবিক। ইউনুস খানের ‘বিশ্রামে’ যাওয়ার পেছনে দলের ‘নীরব বিদ্রোহ’ এতটাই কাজ করেছে যে, আপাতত একতা-সংহতির মতো ব্যাপারগুলো নিয়েই বেশি ভাবতে হচ্ছে ইউসুফকে।
আর ক্রিকেটীয় ভাবনায় ইউসুফ প্রথমেই সামনে নিয়ে এসেছেন একটা নাম—মিসবাহ-উল হক। ঢাকায় প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ খেলতে আসা এই মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যানকে নিউজিল্যান্ডে উড়িয়ে নিয়ে যেতে চান ইউসুফ। উদ্দেশ্য, ইউনুস খানের শূন্যতা পূরণ করা। ‘ব্যাটসম্যান ইউনুসকে আমরা অবশ্যই মিস করব। তবে আমি নির্বাচক কমিটিকে বলেছি মিসবাহ-উল হককে তার বিকল্প হিসেবে আনার ব্যবস্থা করতে। নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতা আছে তার।’
ইউসুফের আশঙ্কা, নিউজিল্যান্ডের সিমিং কন্ডিশন তাঁর ব্যাটসম্যানদের ফেলবে অগ্নিপরীক্ষায়। তবে বোলিং আক্রমণের দিকে তাকিয়ে স্বস্তিই পাচ্ছেন অধিনায়ক। নিউজিল্যান্ডকে দুই ইনিংসেই অলআউট করার সামর্থ্য দেখছেন তিনি পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণে, ‘মোহাম্মদ আসিফ ফিরেছে। নতুন বলকে দারুণভাবে কাজে লাগাতে পারে সে। নিউজিল্যান্ডে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে আসিফ।’ আসিফ ছাড়া অন্য পেসারদের ওপরও বেশ আস্থা ইউসুফের, ‘মোহাম্মদ আমির, উমর গুল, আবদুল রউফ আছে দলে। আছে দানিশ কানেরিয়া আর সাঈদ আজমলের মতো দুজন ভালো স্পিনার। কাজেই নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হতে আমরা সব দিক দিয়েই প্রস্তুত।’
প্রস্তুত আসিফও। তিক্ত অতীত পেছনে ফেলে নতুন করে শুরু করতে চান সবকিছু, ‘পুরোনো বিষয় পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যেতে চাই আমি। যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছে। এখন আমার লক্ষ্য নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টে দলের জন্য ভালো কিছু করা।’ দুবাই বিমানবন্দরে আফিম নিয়ে ধরা পড়ার পর সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ সে দেশে আসিফের খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলা হয়নি তাঁর সে কারণেই। তবে নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে করাচি ছাড়ার আগে আসিফের কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছে শিক্ষা সত্যি সত্যিই হয়েছে তাঁর। ‘ক্যারিয়ার থেকে দুটো মূল্যবান বছর হারিয়ে গেছে আমার। প্রথমটা ইনজুরির জন্য, পরের বছর ভিন্ন কারণে। তবে এখন আমি চাইছি খেলায় মন দিতে, উইকেট পেতে, দলকে জেতাতে’—বলেছেন আসিফ।
পাকিস্তান কোচ ইন্তিখাব অবশ্য বোলিং নয়, ব্যাটিংটাকেই দেখছেন নিউজিল্যান্ড সাফল্যের শর্ত হিসেবে, ‘আমাদের ব্যাটিংয়ে অবশ্যই উন্নতির ছোঁয়া থাকতে হবে। ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টির পর টেস্টে গিয়ে নয়তো কাজটা কঠিন হবে। ব্যাটসম্যানদের ধৈর্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। কারণ দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটেই ব্যাটসম্যানদের আসল পরীক্ষাটা হয়।
No comments