কোনো অজুহাতে দারিদ্র্য নিরসন কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত করা যাবে না- সংবাদ সম্মেলনে দারিদ্র্যবিরোধী মঞ্চের দাবি
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত, বাংলাদেশের বৈদেশিক দেনা, সেবা খাতগুলোর ক্রমাগত বেসরকারীকরণ এবং পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্বায়নের ফলে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বাড়ছে। এসব অজুহাত দিয়ে বাংলাদেশের দারিদ্র্য নিরসন কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করলে চলবে না।
বরং এই বাস্তবতাগুলো সামনে রেখেই দারিদ্র্য নিরসন কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে। ২০১৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনার যে অঙ্গীকার সরকার করেছিল, এ বাস্তবায়ন করতে হবে।
এ জন্য অতি দরিদ্র মানুষের জন্য কেবল সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় খাদ্য সাহায্য না দিয়ে প্রত্যেকটি মানুষ যাতে ন্যূনতম জীবন ধারণের ব্যবস্থা করতে পারে, সে জন্য ন্যায্য মজুরিসহ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
গতকাল সোমবার সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান (সুুপ্র) ও অন্যান্য নাগরিক সংগঠনের উদ্যোগে গঠিত ‘দারিদ্র্যবিরোধী মঞ্চ’ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। ১৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য নিরসন দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে সুুপ্রসহ ১৬টি নাগরিক সংগঠন একত্র হয়ে ‘দারিদ্র্যবিরোধী মঞ্চ’ গঠন করেছে। এই মঞ্চ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ১২ থেকে ১৮ অক্টোবর সাত দিনব্যাপী প্রচারাভিযান কর্মসূচি ঘোষণা করে।
জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন গভর্নেন্স কোয়ালিশনের সমন্বয়কারী মহসিন আলী। কর্মসূচি ঘোষণা করেন সুপ্র সভাপ্রধান আবদুল আউয়াল। সঞ্চালনায় ছিলেন ইনসিডিন বাংলাদেশের পরিচালক রতন সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সমপ্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে এমডিজির অগ্রগতি উপস্থাপন করেন ইউএন মিলেনিয়াম ক্যাম্পেইনের মনীষা বিশ্বাস ও পিপলস ফোরাম অন এমডিজির তাসনিম আতহার।
আয়োজকদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের আসগর আলী সাবরী, ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গারের জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদের নিলুফার বানু, অঙ্গীকার বাংলাদেশের মো. হিলাল উদ্দিন, স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের রঞ্জন কর্মকার, ওয়াটার এইডের শায়লা শহীদ, সাক্ষরের শামসুন্নাহার আজিজ লীনা ও সুপ্রর পরিচালক উমা চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে মনীষা বিশ্বাস বলেন, বাংলাদেশে সরকারের হিসাব অনুসারেই ২০০৯ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে এমডিজি অর্জনের জন্য প্রয়োজন মোট সাত হাজার ১২৫ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন টাকা, যা ২০০৯ সালে মাথাপিছু দাঁড়ায় প্রায় পাঁচ হাজার ১১৫ টাকা। এই টাকা বাংলাদেশের মতো দরিদ্র দেশগুলোর সরকারের পক্ষে বরাদ্দ করা সম্ভব নয়। এ জন্য দাতা দেশগুলোর প্রতিশ্রুত তাদের জাতীয় আয়ের দশমিক ৭০ শতাংশ গরিব দেশগুলোকে শর্তহীনভাবে দিতে হবে।
বরং এই বাস্তবতাগুলো সামনে রেখেই দারিদ্র্য নিরসন কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে। ২০১৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনার যে অঙ্গীকার সরকার করেছিল, এ বাস্তবায়ন করতে হবে।
এ জন্য অতি দরিদ্র মানুষের জন্য কেবল সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় খাদ্য সাহায্য না দিয়ে প্রত্যেকটি মানুষ যাতে ন্যূনতম জীবন ধারণের ব্যবস্থা করতে পারে, সে জন্য ন্যায্য মজুরিসহ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
গতকাল সোমবার সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান (সুুপ্র) ও অন্যান্য নাগরিক সংগঠনের উদ্যোগে গঠিত ‘দারিদ্র্যবিরোধী মঞ্চ’ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। ১৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য নিরসন দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে সুুপ্রসহ ১৬টি নাগরিক সংগঠন একত্র হয়ে ‘দারিদ্র্যবিরোধী মঞ্চ’ গঠন করেছে। এই মঞ্চ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ১২ থেকে ১৮ অক্টোবর সাত দিনব্যাপী প্রচারাভিযান কর্মসূচি ঘোষণা করে।
জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন গভর্নেন্স কোয়ালিশনের সমন্বয়কারী মহসিন আলী। কর্মসূচি ঘোষণা করেন সুপ্র সভাপ্রধান আবদুল আউয়াল। সঞ্চালনায় ছিলেন ইনসিডিন বাংলাদেশের পরিচালক রতন সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সমপ্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে এমডিজির অগ্রগতি উপস্থাপন করেন ইউএন মিলেনিয়াম ক্যাম্পেইনের মনীষা বিশ্বাস ও পিপলস ফোরাম অন এমডিজির তাসনিম আতহার।
আয়োজকদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের আসগর আলী সাবরী, ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গারের জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদের নিলুফার বানু, অঙ্গীকার বাংলাদেশের মো. হিলাল উদ্দিন, স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের রঞ্জন কর্মকার, ওয়াটার এইডের শায়লা শহীদ, সাক্ষরের শামসুন্নাহার আজিজ লীনা ও সুপ্রর পরিচালক উমা চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে মনীষা বিশ্বাস বলেন, বাংলাদেশে সরকারের হিসাব অনুসারেই ২০০৯ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে এমডিজি অর্জনের জন্য প্রয়োজন মোট সাত হাজার ১২৫ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন টাকা, যা ২০০৯ সালে মাথাপিছু দাঁড়ায় প্রায় পাঁচ হাজার ১১৫ টাকা। এই টাকা বাংলাদেশের মতো দরিদ্র দেশগুলোর সরকারের পক্ষে বরাদ্দ করা সম্ভব নয়। এ জন্য দাতা দেশগুলোর প্রতিশ্রুত তাদের জাতীয় আয়ের দশমিক ৭০ শতাংশ গরিব দেশগুলোকে শর্তহীনভাবে দিতে হবে।
No comments