ভেজালের বিষচক্র -শাস্তি ও তদারকি কঠোর করা প্রয়োজন
ভেজালবিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালত যেন গ্রিক উপকথার সিসিফাস। অভিশপ্ত হয়ে সিসিফাসকে ভারী পাথর ঠেলে ঠেলে পাহাড়ের শিখরে তুলতে হতো। কিন্তু শিখরের কাছে পৌঁছানো মাত্রই সেই পাথর আবার গড়িয়ে পড়ত পাহাড়ের তলায়। তখন আবার শুরু করতে হতো তাকে। একই ব্যক্তির একই কারখানায় কিছুদিনের ব্যবধানে একই ভেজাল সামগ্রী তৈরি হওয়া এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা করার প্রতিযোগিতা যেন সিসিফাসীয় অভিশাপের খেলা।
ভেজালে লাভ আসলের চেয়ে বেশি। যদি ধরা না পড়ে, তাহলে ভেজালকারীর মুনাফা সীমা ছাড়ায়। আর প্রশাসনের সঙ্গে যোগসাজশ থাকলে বিনা বাধায় ভেজালের কারবার চালিয়ে যাওয়াও কঠিন নয়। এই লাভের সুযোগ যতক্ষণ থাকবে, ততক্ষণ ভেজাল কেবল ধরপাকড় করে দূর করা যাবে না। তাই প্রথমেই আসল আর নকলের পার্থক্য, খাঁটি আর ভেজালের ফারাক স্পষ্ট করতে হবে। অন্যদিকে ক্রেতাসাধারণেরও সচেতনতা প্রয়োজন। প্রয়োজন ভেজালের ভুক্তভোগীদের সরাসরি অভিযোগ পাওয়ার ব্যবস্থা করা। প্রয়োজনে দ্বিতীয়বার অপরাধের প্রমাণ মিললে জেলসহ সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের বিধানও রাখা যেতে পারে। অন্যদিকে যারা ভেজালে অতি দক্ষ, তারা যাতে বৈধ পথে নিয়মমাফিক ব্যবসা করার সুযোগ পায়, সেদিকেও নজর রাখা চাই।
এ বছরের জুন মাসে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে প্রতিটি জেলায় আদালত গঠনের নির্দেশ জারি করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ। ভাবা হয়েছিল, এরপর ভেজালের শিকড় উত্পাটিত হবে। কেননা, খাদ্যসহ নানা পণ্যের মান ও গুণ তদারকিতে সরকারি সংস্থার ভূমিকা আশঙ্কাজনকভাবে কমে গিয়েছিল। মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মৌসুমি তোড়জোড় দেখা যায়, কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অতি সামান্য। এই উদাসীনতার সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও বিক্রেতা ভেজাল পণ্যে বাজার ভরিয়ে ফেলেছে। আবার অভিযান শুরু হলে দেখা গেল, একই অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে আগেরবার সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীরা। অভিযান নিয়মিত করা, চিহ্নিত ভেজালবাজদের তালিকা ও ছবি প্রকাশসহ ইত্যাকার পরামর্শ প্রথম আলোর গত শনিবারের এ-সংক্রান্ত সংবাদে প্রকাশিত হয়েছে। তদারকি লাগাতার করার বিকল্প নেই। কিন্তু আরও অবিকল্প হলো শাস্তির কঠোরতা।
ভেজালে লাভ আসলের চেয়ে বেশি। যদি ধরা না পড়ে, তাহলে ভেজালকারীর মুনাফা সীমা ছাড়ায়। আর প্রশাসনের সঙ্গে যোগসাজশ থাকলে বিনা বাধায় ভেজালের কারবার চালিয়ে যাওয়াও কঠিন নয়। এই লাভের সুযোগ যতক্ষণ থাকবে, ততক্ষণ ভেজাল কেবল ধরপাকড় করে দূর করা যাবে না। তাই প্রথমেই আসল আর নকলের পার্থক্য, খাঁটি আর ভেজালের ফারাক স্পষ্ট করতে হবে। অন্যদিকে ক্রেতাসাধারণেরও সচেতনতা প্রয়োজন। প্রয়োজন ভেজালের ভুক্তভোগীদের সরাসরি অভিযোগ পাওয়ার ব্যবস্থা করা। প্রয়োজনে দ্বিতীয়বার অপরাধের প্রমাণ মিললে জেলসহ সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের বিধানও রাখা যেতে পারে। অন্যদিকে যারা ভেজালে অতি দক্ষ, তারা যাতে বৈধ পথে নিয়মমাফিক ব্যবসা করার সুযোগ পায়, সেদিকেও নজর রাখা চাই।
এ বছরের জুন মাসে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে প্রতিটি জেলায় আদালত গঠনের নির্দেশ জারি করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ। ভাবা হয়েছিল, এরপর ভেজালের শিকড় উত্পাটিত হবে। কেননা, খাদ্যসহ নানা পণ্যের মান ও গুণ তদারকিতে সরকারি সংস্থার ভূমিকা আশঙ্কাজনকভাবে কমে গিয়েছিল। মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মৌসুমি তোড়জোড় দেখা যায়, কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অতি সামান্য। এই উদাসীনতার সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও বিক্রেতা ভেজাল পণ্যে বাজার ভরিয়ে ফেলেছে। আবার অভিযান শুরু হলে দেখা গেল, একই অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে আগেরবার সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীরা। অভিযান নিয়মিত করা, চিহ্নিত ভেজালবাজদের তালিকা ও ছবি প্রকাশসহ ইত্যাকার পরামর্শ প্রথম আলোর গত শনিবারের এ-সংক্রান্ত সংবাদে প্রকাশিত হয়েছে। তদারকি লাগাতার করার বিকল্প নেই। কিন্তু আরও অবিকল্প হলো শাস্তির কঠোরতা।
No comments