আবার দুঃসহ যানজট-আশু কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি
ঈদুল ফিতর ও দুর্গাপূজার ছুটি শেষে ঢাকার জীবনযাত্রায় ফিরে এসেছে সেই তীব্র যানজট, যা এ মহানগরকে প্রায় স্থবির জনপদে পরিণত করেছে। অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল-ক্লিনিক—কোনো গন্তব্যেই সময়মতো পৌঁছার উপায় থাকছে না। জটিল ও অনির্দিষ্ট যানজটে যাওয়া-আসার পথে আটকা পড়ে প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে হাজার হাজার কর্মঘণ্টা।
যানজট এখন এমন এক সংকটের রূপ ধারণ করেছে, যার সামনে সরকার, নগর কর্তৃপক্ষ, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা—সবকিছুকেই অসহায় দেখাচ্ছে। নইলে যানজট নিরসনের জন্য স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরও অবস্থার কোনো উন্নতি পরিলক্ষিত হচ্ছে না কেন? আসলে এ বিষয়ে বাস্তবভিত্তিক কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, সেটাই বড় প্রশ্ন। উড়ালপথ বা পাতালরেল নির্মাণের কথা শোনা গেল। কিন্তু খুব যে চিন্তাভাবনা করে; অর্থনৈতিক, কারিগরি ও অন্যান্য দিক ভালোভাবে বিচার-বিবেচনায় নিয়ে এসব পরিকল্পনা করা হচ্ছে, এমন আভাস পাওয়া যায় না। বরং অ্যাডহক বা অস্থায়ী ভিত্তিতে সমস্যা সমাধানের প্রবণতাই লক্ষণীয়।
যানজট নিরসনসহ রাজধানী ঢাকার সামগ্রিক জীবনযাত্রা উন্নত করার লক্ষ্যে সুদূরপ্রসারী মহাপরিকল্পনা প্রয়োজন। কিন্তু এ মুহূর্তে যানজট যে সংকটরূপে দেখা দিয়েছে, তা যাতে আরও তীব্র না হয়, বরং একে সহনীয় মাত্রায় কমিয়ে আনার জন্য আশু কিছু পদক্ষেপ নেওয়া একান্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। তাত্ক্ষণিকভাবে কিছুই করার নেই, এমনটি মোটেও নয়। অবস্থার উন্নতির জন্য কিছু পদক্ষেপ অবশ্যই ফলপ্রসূ হতে পারে, যা নেওয়া হচ্ছে না।
যেমন, যে পরিমাণ রাস্তাঘাট রয়েছে তার সর্বোচ্চ ও সুশৃঙ্খল ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হলে যানজটের চাপ অবশ্যই কিছুমাত্রায় কমবে। সে জন্য রাস্তার দুই পাশে যানবাহন পার্ক করে রাখা বন্ধ করা দরকার। অবৈধ পার্কিং প্রতিরোধের জন্য কঠোর অভিযান শুরু করা উচিত। অবৈধ পার্কিংয়ের দায়ে গাড়ি আটক ও উচ্চহারে জরিমানা আদায়ের বিধান করে তা দ্রুত কার্যকর করা হলে এ প্রবণতা অবশ্যই কমে যাবে। দ্বিতীয়ত, পুরোনো, বাতিল, লাইসেন্সবিহীন, ফিটনেস সার্টিফিকেটহীন যানবাহন আটকের লক্ষ্যে অভিযান জোরদার করা হলে রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা অনেকাংশে কমে যাবে। এতেও যানজটের চাপ কিছুটা লাঘব হবে। তৃতীয়ত, রাস্তার পাশের ফুটপাত দখলমুক্ত করে মানুষের হাঁটাচলার উপযোগী করা হলে অনেক মানুষ স্বল্প দূরত্বে হেঁটেই চলাচল করবে। এতেও যানজটের চাপ কিছুটা কমবে। এ ছাড়া ফুটপাতের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল চালানো বন্ধ করতে হবে। হাঁটাচলার উপযোগী ফুটপাত থাকলে মানুষের হাঁটার অভ্যাস বাড়বে। ফলে রিকশার ব্যবহারও কমে যাবে। চতুর্থত, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণব্যবস্থায় লোকবল বাড়িয়ে, উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের কর্মদক্ষতা বাড়ানো প্রয়োজন, যাতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে শৃঙ্খলা ফিরে আসে। স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যালিং ব্যবস্থার প্রযুক্তিগত হালনাগাদকরণও প্রয়োজন হতে পারে। তবে গুরুত্বপূর্ণ হলো, এ ব্যবস্থার পরিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এসব পদক্ষেপ নিলে অবশ্যই রাজধানীর যানজট পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হবে
যানজট এখন এমন এক সংকটের রূপ ধারণ করেছে, যার সামনে সরকার, নগর কর্তৃপক্ষ, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা—সবকিছুকেই অসহায় দেখাচ্ছে। নইলে যানজট নিরসনের জন্য স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরও অবস্থার কোনো উন্নতি পরিলক্ষিত হচ্ছে না কেন? আসলে এ বিষয়ে বাস্তবভিত্তিক কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, সেটাই বড় প্রশ্ন। উড়ালপথ বা পাতালরেল নির্মাণের কথা শোনা গেল। কিন্তু খুব যে চিন্তাভাবনা করে; অর্থনৈতিক, কারিগরি ও অন্যান্য দিক ভালোভাবে বিচার-বিবেচনায় নিয়ে এসব পরিকল্পনা করা হচ্ছে, এমন আভাস পাওয়া যায় না। বরং অ্যাডহক বা অস্থায়ী ভিত্তিতে সমস্যা সমাধানের প্রবণতাই লক্ষণীয়।
যানজট নিরসনসহ রাজধানী ঢাকার সামগ্রিক জীবনযাত্রা উন্নত করার লক্ষ্যে সুদূরপ্রসারী মহাপরিকল্পনা প্রয়োজন। কিন্তু এ মুহূর্তে যানজট যে সংকটরূপে দেখা দিয়েছে, তা যাতে আরও তীব্র না হয়, বরং একে সহনীয় মাত্রায় কমিয়ে আনার জন্য আশু কিছু পদক্ষেপ নেওয়া একান্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। তাত্ক্ষণিকভাবে কিছুই করার নেই, এমনটি মোটেও নয়। অবস্থার উন্নতির জন্য কিছু পদক্ষেপ অবশ্যই ফলপ্রসূ হতে পারে, যা নেওয়া হচ্ছে না।
যেমন, যে পরিমাণ রাস্তাঘাট রয়েছে তার সর্বোচ্চ ও সুশৃঙ্খল ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হলে যানজটের চাপ অবশ্যই কিছুমাত্রায় কমবে। সে জন্য রাস্তার দুই পাশে যানবাহন পার্ক করে রাখা বন্ধ করা দরকার। অবৈধ পার্কিং প্রতিরোধের জন্য কঠোর অভিযান শুরু করা উচিত। অবৈধ পার্কিংয়ের দায়ে গাড়ি আটক ও উচ্চহারে জরিমানা আদায়ের বিধান করে তা দ্রুত কার্যকর করা হলে এ প্রবণতা অবশ্যই কমে যাবে। দ্বিতীয়ত, পুরোনো, বাতিল, লাইসেন্সবিহীন, ফিটনেস সার্টিফিকেটহীন যানবাহন আটকের লক্ষ্যে অভিযান জোরদার করা হলে রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা অনেকাংশে কমে যাবে। এতেও যানজটের চাপ কিছুটা লাঘব হবে। তৃতীয়ত, রাস্তার পাশের ফুটপাত দখলমুক্ত করে মানুষের হাঁটাচলার উপযোগী করা হলে অনেক মানুষ স্বল্প দূরত্বে হেঁটেই চলাচল করবে। এতেও যানজটের চাপ কিছুটা কমবে। এ ছাড়া ফুটপাতের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল চালানো বন্ধ করতে হবে। হাঁটাচলার উপযোগী ফুটপাত থাকলে মানুষের হাঁটার অভ্যাস বাড়বে। ফলে রিকশার ব্যবহারও কমে যাবে। চতুর্থত, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণব্যবস্থায় লোকবল বাড়িয়ে, উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের কর্মদক্ষতা বাড়ানো প্রয়োজন, যাতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে শৃঙ্খলা ফিরে আসে। স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যালিং ব্যবস্থার প্রযুক্তিগত হালনাগাদকরণও প্রয়োজন হতে পারে। তবে গুরুত্বপূর্ণ হলো, এ ব্যবস্থার পরিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এসব পদক্ষেপ নিলে অবশ্যই রাজধানীর যানজট পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হবে
No comments