ঘাটতি মোকাবিলায় এডিবি থেকে চড়া সুদে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছে সরকার- আজ অনুমোদন হতে পারে বাংলাদেশের প্রস্তাব
চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরে বড় বাজেটের চাপ সামলাতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিচ্ছে সরকার। এ অর্থ পাওয়ার ব্যাপারে গত জুলাই মাসে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এডিবিকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। সরকারের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আজ অনুষ্ঠেয় এডিবির বোর্ডের বৈঠকে এজেন্ডা হিসেবে প্রস্তাবটি আছে।
জানা গেছে, এডিবির বোর্ডে বাংলাদেশের জন্য প্রায় ৭৫ কোটি ডলার বা পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণের প্রস্তাবটি অনুমোদন পাবে। ইতিমধ্যেই সরকার ও এডিবির মধ্যে অনানুষ্ঠানিক সমঝোতা চূড়ান্ত হয়েছে।
জানা গেছে, বাজেটের সহায়তা হিসেবে ২৪ কোটি ৪৮ লাখ ডলারের ঋণ নেওয়া হবে। এর মধ্যে ১০ কোটি ডলার পাওয়া যাবে সহজ শর্তে। আর বাকি ১৪ কোটি ডলার নিতে হবে কঠিন শর্তে। এর বাইরে বাড়তি আরও ৫০ কোটি ডলারের ঋণ নেওয়া হবে মন্দা মোকাবিলার জন্য এডিবির বিশেষ তহবিল থেকে। সব মিলিয়ে ৭৪ কোটি ৪৮ লাখ ডলার বা স্থানীয় মুদ্রায় পাঁচ হাজার ১৪০ কোটি টাকার ঋণ নিতে যাচ্ছে সরকার।
এ ঋণ নিলে বাংলাদেশ সরকারকে লন্ডনের আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারের কলমানির (একটি ব্যাংককে সীমিত সময়ের জন্য যে হারে অর্থ ধার দেওয়া হয়) হারে সুদ দিতে হবে। এর সঙ্গে যুক্ত হবে এডিবির দুই শতাংশ তহবিল খরচ ও শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ ‘কমিটমেন্ট চার্জ’। এতে মোট সুদের হার পাঁচ থেকে সাত শতাংশ পর্যন্ত পড়বে।
আবার এ ঋণ পরিশোধের সময়কালও হবে মাত্র পাঁচ বছর এবং আসলের সুদ কিস্তি পরিশোধের ক্ষেত্রে ছাড়ও পাওয়া যাবে মাত্র তিন বছর।
জানা যায়, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাব মোকাবিলার জন্য এডিবি উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোকে সহায়তা দিতে ৩০০ কোটি ডলারের একটি তহবিল গঠন করে। এ তহবিল থেকে ঋণ-সহায়তা নিতে আগ্রহী সদস্য দেশগুলোকে গত ১৬ জুলাইয়ের মধ্যে অনুরোধ পাঠাতে বলে এডিবি। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে এরই মধ্যে এ তহবিল থেকে ৫০ কোটি ডলারের ঋণসুবিধা পাওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ ঋণ নেওয়ার ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে যে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, এডিবির অর্ডিনারি ক্যাপিটাল রিসোর্সেস বা সংক্ষেপে ওসিআর (এ ঋণও অনেকটা বাণিজ্যিক ঋণের মতো) ঋণের তুলনায় এটি অনমনীয় হলেও চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজনীয়তা থাকায় সুযোগ গ্রহণ করে সংস্থাটির কাছে সর্বোচ্চ ৫০ কোটি ডলারের ঋণসুবিধা নেওয়ার প্রস্তাব পাঠানো যেতে পারে।
এদিকে অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বেঁধে দেওয়া সীমা অনুসারে বাংলাদেশ বছরে ২৫ কোটি ডলারের বেশি কঠিন শর্তের ঋণ (হার্ড টার্ম লোন) নিতে পারবে না। যেসব ঋণের জন্য বছরে পাঁচ শতাংশের বেশি হারে সুদ দিতে হয়, সেগুলোকে কঠিন শর্তের ঋণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে এডিবির বোর্ড সভায় এ ঋণের অনুমোদন পেলে তাকে কঠিন শর্তের ঋণের আওতা থেকে অব্যাহতিও দেওয়া হতে পারে।
২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত এডিবি বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে যেসব ঋণ দিয়েছে, এর অর্ধেকই এসেছে চড়া সুদের তহবিল থেকে।
জানা গেছে, এডিবির বোর্ডে বাংলাদেশের জন্য প্রায় ৭৫ কোটি ডলার বা পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণের প্রস্তাবটি অনুমোদন পাবে। ইতিমধ্যেই সরকার ও এডিবির মধ্যে অনানুষ্ঠানিক সমঝোতা চূড়ান্ত হয়েছে।
জানা গেছে, বাজেটের সহায়তা হিসেবে ২৪ কোটি ৪৮ লাখ ডলারের ঋণ নেওয়া হবে। এর মধ্যে ১০ কোটি ডলার পাওয়া যাবে সহজ শর্তে। আর বাকি ১৪ কোটি ডলার নিতে হবে কঠিন শর্তে। এর বাইরে বাড়তি আরও ৫০ কোটি ডলারের ঋণ নেওয়া হবে মন্দা মোকাবিলার জন্য এডিবির বিশেষ তহবিল থেকে। সব মিলিয়ে ৭৪ কোটি ৪৮ লাখ ডলার বা স্থানীয় মুদ্রায় পাঁচ হাজার ১৪০ কোটি টাকার ঋণ নিতে যাচ্ছে সরকার।
এ ঋণ নিলে বাংলাদেশ সরকারকে লন্ডনের আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারের কলমানির (একটি ব্যাংককে সীমিত সময়ের জন্য যে হারে অর্থ ধার দেওয়া হয়) হারে সুদ দিতে হবে। এর সঙ্গে যুক্ত হবে এডিবির দুই শতাংশ তহবিল খরচ ও শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ ‘কমিটমেন্ট চার্জ’। এতে মোট সুদের হার পাঁচ থেকে সাত শতাংশ পর্যন্ত পড়বে।
আবার এ ঋণ পরিশোধের সময়কালও হবে মাত্র পাঁচ বছর এবং আসলের সুদ কিস্তি পরিশোধের ক্ষেত্রে ছাড়ও পাওয়া যাবে মাত্র তিন বছর।
জানা যায়, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাব মোকাবিলার জন্য এডিবি উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোকে সহায়তা দিতে ৩০০ কোটি ডলারের একটি তহবিল গঠন করে। এ তহবিল থেকে ঋণ-সহায়তা নিতে আগ্রহী সদস্য দেশগুলোকে গত ১৬ জুলাইয়ের মধ্যে অনুরোধ পাঠাতে বলে এডিবি। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে এরই মধ্যে এ তহবিল থেকে ৫০ কোটি ডলারের ঋণসুবিধা পাওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ ঋণ নেওয়ার ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে যে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, এডিবির অর্ডিনারি ক্যাপিটাল রিসোর্সেস বা সংক্ষেপে ওসিআর (এ ঋণও অনেকটা বাণিজ্যিক ঋণের মতো) ঋণের তুলনায় এটি অনমনীয় হলেও চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজনীয়তা থাকায় সুযোগ গ্রহণ করে সংস্থাটির কাছে সর্বোচ্চ ৫০ কোটি ডলারের ঋণসুবিধা নেওয়ার প্রস্তাব পাঠানো যেতে পারে।
এদিকে অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বেঁধে দেওয়া সীমা অনুসারে বাংলাদেশ বছরে ২৫ কোটি ডলারের বেশি কঠিন শর্তের ঋণ (হার্ড টার্ম লোন) নিতে পারবে না। যেসব ঋণের জন্য বছরে পাঁচ শতাংশের বেশি হারে সুদ দিতে হয়, সেগুলোকে কঠিন শর্তের ঋণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে এডিবির বোর্ড সভায় এ ঋণের অনুমোদন পেলে তাকে কঠিন শর্তের ঋণের আওতা থেকে অব্যাহতিও দেওয়া হতে পারে।
২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত এডিবি বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে যেসব ঋণ দিয়েছে, এর অর্ধেকই এসেছে চড়া সুদের তহবিল থেকে।
No comments