ছাত্ররাজনীতির লাগাম টানার পক্ষে বিশিষ্টজনরা by মরিয়ম চম্পা
শিক্ষার্থী
আবরার হত্যাকাণ্ডের ঘটনার জেরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট)
সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে দেশের
বিশিষ্টজনরা বলছেন, এভাবে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ বা নিষিদ্ধ করে এসব
অনাকাঙ্খিত হত্যাকাণ্ড এবং দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করা সম্ভব নয়। বরং আইন
প্রয়োগের কঠোর দৃষ্টান্ত স্থাপন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ম শৃঙ্খলা পালনে
রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এড়ানো গেলে পরিস্থিতি উন্নতি হতে পারে। অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান
এ বিষয়ে বলেন, আবরার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নি:সন্দেহে আমাদের মূল্যবোধের
অবক্ষয় নির্দেশ করে। তরুণদের মধ্যে মূল্যবোধ জাগ্রত করবে পরিবার, শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক সংগঠন, সামাজিক মানুষেরা। যতক্ষণ পর্যন্ত না এই
মানবিক গুণ তাদের মধ্যে সঞ্চার করা যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমি কোনো উন্নতির
আশা করি না। যেটা খুবই কঠিন কাজ মনে হয়। আমি মনে করি না যে ছাত্ররাজনীতি
বন্ধ করা দরকার।
কারণ খুন-যখম করা তো ছাত্ররাজনীতি না। টেন্ডারবাজিতো ছাত্ররাজনীতি না। রাজনীতির নামে এগুলো হচ্ছে। রাজনীতি মানেই সুস্থ্য রাজনীতি। গুন্ডামি বা অসুস্থ্যতা চলে না রাজনীতিতে।
ইমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এখানে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার কথা না। কথা হল রাজনীতির যে অধ:পতন হয়েছে ওটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। কতগুলো লোক দুর্বৃত্তায়ন, সন্ত্রাস করছে তাদেরকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনাটা কর্তব্য। এখন এখানে রাজনীতি বলতে তারা কি বোঝায় সেটাওতো তারা বলছে না। রাজনীতি বলতে মানুষ কি রাজনৈতিক আলোচনা করবে না। রাজনীতির চিন্তা থাকবে না। রাষ্ট্র আছে। এর বাইরে রাজনৈতিক দল আছে, অন্য রাজনৈতিক দল আছে। বুয়েটে যেটা ঘটেছে সেটা হল এক দলীয় নির্যাতন। সরকার সমর্থক একটি মাত্র দল ওখানে আছে। তারা অন্য সকল মতের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে, নির্যাতন করে, মানুষ মেরে ফেলে সেটা এখন বন্ধ করা দরকার। এখন মাথায় ব্যাথা হয়েছে বলে মাথাই কেটে ফেলতে হবে এটা তো কোনো কথা হল না। এটা করলেই তো রাজনীতি নিষিদ্ধ হবে না। গোপনে চলবে। এটাতে মৌলবাদীদের খুব সুবিধা হবে। ওরা তৎপরতা চালাবে। ওরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবে। মসজিদে আলোচনা করবে। এতে করে ওদেরই সুবিধা হবে। আর যারা গণতান্ত্রিক এবং প্রগতিশীল রাজনীতি করে তারা মুখ থুবড়ে পড়বে। গোপন রাজনীতি তো চলবে। মৌলবাদী রাজনীতি গোপনে চলবে। এটা না বুঝে ঢালাওভাবে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা ঠিক না। অপরাধীদের শাস্তি দিতে হবে। তাদের শাস্তি দিলেই তো বোঝা যাবে অপরাধ করা চলবে না।
গণসাক্ষরতা অভিযানের পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে. চৌধুরী বলেন, এই ধরনের ঘটনা ঘটার পেছনে একটি কারণ হিসেবে তো চিহ্নিত। কিন্তু এখন আরেকটি দিক আছে যেটা হল মাথা ব্যাথার জন্য মাথা কেটে ফেলবে কি না। না কি এটার চিকিৎসা করবে। মূল কারণটি আবিষ্কার করতে হবে। কারণ দূর করার জন্য মনে করা হচ্ছে এটি একটি পন্থা। কিন্তু এটা যে অন্যরূপে আবার দেখা দিবে না তার নিশ্চয়তা কি। এক্ষেত্রে যাতে কোনোভাবেই এটা ক্যাম্পাসকে কুলসিত না করতে পারে। ছাত্রদের মন মানসিকতাকে যাতে নিকৃষ্ট পর্যায়ে নিয়ে যেতে না পারে সেই জায়গাটিতে হাত দেয়া খুব প্রয়োজন। বুয়েট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক হয়তো এটাকে একটি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে নেয়া হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী একটি ব্যবস্থা নিতে হবে। যেটার ফলাফল আরো ভালো হবে।
অর্থনীতিবিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ছাত্ররাজনীতি আর সরকারি ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতিতো এক কথা না। ছাত্র রাজনীতি আর সন্ত্রাস এক কথা না। আবরার হত্যাকাণ্ডের পরে যে ছাত্রছাত্রীরা প্রতিবাদ করেছে এই প্রতিবাদের কারণেই কিন্তু এখন আবরার হত্যাকাণ্ডের বিচারের অগ্রগতি হচ্ছে। এবং নির্যাতনের যে ঘটনাগুলো সেগুলো প্রকাশিত হচ্ছে। এই প্রতিবাদের কারণেই নির্যাতন নিয়ে নির্যাতন বিরোধী একটি সামাজিক জনমত তৈরি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আজকে যে আন্দোলনটা করছে এটা হচ্ছে রাজনীতি। রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া মানে হচ্ছে এই ধরণের প্রতিবাদ করা যাবে না। রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া মানে হচ্ছে স্ট্যাটাসকো। স্ট্যাটাসকো মানে হচ্ছে ক্ষমতাবানদের যে আধিপত্য সেটাকে প্রশ্ন করার যে রাজনীতি সে রাজনীতি। সে রাজনীতিটা থাকতে হবে। এটা হচ্ছে একটি বিপদজনক পরিস্থিতি। তিনি বলেন, প্রশাসনে শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের একটি গণতান্ত্রিক সম্পর্ক বিকশিত হবে এটাই হচ্ছে সমাধান। সাধারণ শিক্ষার্থীদের আরো ক্ষমতায়ন করা। প্রশাসনের সঙ্গে আরো বেশি যুক্ত করা। প্রশাসনকে স্বচ্ছ করা। হলগুলোতে যে ভয়ের রাজনীতি তৈরি হয়েছে সেটা থেকে শিক্ষার্থী, প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে মুক্ত করা। এটাই হচ্ছে পথ। সেই পথটিকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে আমরা এই অরাজক পরিস্থিতি থেকে মুক্ত পেতে পারি।
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, বুয়েটে রাজনীতি ছিলোই না। বুয়েটে এতদিন পর্যন্ত একটি দলের কিছু গুন্ডাপান্ডা ছিল। কিন্তু অন্য কোনো দল ওখানে যেতে পারত না। বুয়েটে রাজনীতি এমনিতেই ছিল না। রাজনীতি নামক যে জিনিসটি সেটা এমনিতেই বন্ধ ছিল। রাজনীতি বন্ধ মানে হচ্ছে যারা আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় ভিক্তিক ছাত্ররাজনীতিক দল তাদের রাজনীতি বন্ধ। তারা এখানে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। রাজনীতি জিনিসটি এমন এটা কেউ বন্ধ করে রাখতে পারে না। রাজনীতি এখানে বেরিয়ে আসেই। এখানে যদি বলে যে ছাত্ররাজনীতি নামক যে প্রতিষ্ঠানগুলো সেগুলো রাজনীতির চেয়ে গুন্ডামি খুন-খারাবি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি এগুলো করছে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ব্যাখ্যা দিতে হবে কতটুকু করতে পারবে আর পারবে না। আমাদের এখানে ছাত্ররাজনীতি বলতে যেটা আছে সেটা কোনো রাজনীতি না। এটা খুন-খারাবি। ক্যাম্পাস পলিটিকস-এ অংশগ্রহণ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্নরকম ভাবে আছে। এবং সেজন্য রাজনীতি কেউ পুরোপুরি বন্ধ করতে পারে না। রাজনীতি তার নিজস্ব পথে বিকাশিত হয়। কিন্তু এখানে বুয়েট কর্তৃপক্ষকে পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করা উচিৎ যে তারা কি এটা মিন করছেন।
তিনি বলেন, যখন ছাত্রদের আঠারো বছর বয়স হবে তারা দেশের ভোটার হবে। তাদের পছন্দমত রাজনৈতিক দলে যোগদান করতে পারবে। সেখানে তারা রাজনীতি করবে। কাজেই ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক দলের হয়ে পার্টি করতে হবে, দলের হয়ে মারামারি করবে এটা কোনো প্রয়োজন নেই। যারা রাজনীতি করার তারা করবেই। সংগঠন করুণ। কিন্তু কোনো সংগঠনের কাজ ক্যাম্পাসে করতে পারবে না। ক্যাম্পাসের খাতিরে এতটুকু সীমাবদ্ধতা মানতে হবে। যেটা হয়েছে সেটা ক্যাম্পাসের শান্তি ভঙ্গকারী কর্মকাণ্ড হয়েছে। এটাকে রাজনীতি বলা হয় না।
কারণ খুন-যখম করা তো ছাত্ররাজনীতি না। টেন্ডারবাজিতো ছাত্ররাজনীতি না। রাজনীতির নামে এগুলো হচ্ছে। রাজনীতি মানেই সুস্থ্য রাজনীতি। গুন্ডামি বা অসুস্থ্যতা চলে না রাজনীতিতে।
ইমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এখানে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার কথা না। কথা হল রাজনীতির যে অধ:পতন হয়েছে ওটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। কতগুলো লোক দুর্বৃত্তায়ন, সন্ত্রাস করছে তাদেরকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনাটা কর্তব্য। এখন এখানে রাজনীতি বলতে তারা কি বোঝায় সেটাওতো তারা বলছে না। রাজনীতি বলতে মানুষ কি রাজনৈতিক আলোচনা করবে না। রাজনীতির চিন্তা থাকবে না। রাষ্ট্র আছে। এর বাইরে রাজনৈতিক দল আছে, অন্য রাজনৈতিক দল আছে। বুয়েটে যেটা ঘটেছে সেটা হল এক দলীয় নির্যাতন। সরকার সমর্থক একটি মাত্র দল ওখানে আছে। তারা অন্য সকল মতের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে, নির্যাতন করে, মানুষ মেরে ফেলে সেটা এখন বন্ধ করা দরকার। এখন মাথায় ব্যাথা হয়েছে বলে মাথাই কেটে ফেলতে হবে এটা তো কোনো কথা হল না। এটা করলেই তো রাজনীতি নিষিদ্ধ হবে না। গোপনে চলবে। এটাতে মৌলবাদীদের খুব সুবিধা হবে। ওরা তৎপরতা চালাবে। ওরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবে। মসজিদে আলোচনা করবে। এতে করে ওদেরই সুবিধা হবে। আর যারা গণতান্ত্রিক এবং প্রগতিশীল রাজনীতি করে তারা মুখ থুবড়ে পড়বে। গোপন রাজনীতি তো চলবে। মৌলবাদী রাজনীতি গোপনে চলবে। এটা না বুঝে ঢালাওভাবে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা ঠিক না। অপরাধীদের শাস্তি দিতে হবে। তাদের শাস্তি দিলেই তো বোঝা যাবে অপরাধ করা চলবে না।
গণসাক্ষরতা অভিযানের পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে. চৌধুরী বলেন, এই ধরনের ঘটনা ঘটার পেছনে একটি কারণ হিসেবে তো চিহ্নিত। কিন্তু এখন আরেকটি দিক আছে যেটা হল মাথা ব্যাথার জন্য মাথা কেটে ফেলবে কি না। না কি এটার চিকিৎসা করবে। মূল কারণটি আবিষ্কার করতে হবে। কারণ দূর করার জন্য মনে করা হচ্ছে এটি একটি পন্থা। কিন্তু এটা যে অন্যরূপে আবার দেখা দিবে না তার নিশ্চয়তা কি। এক্ষেত্রে যাতে কোনোভাবেই এটা ক্যাম্পাসকে কুলসিত না করতে পারে। ছাত্রদের মন মানসিকতাকে যাতে নিকৃষ্ট পর্যায়ে নিয়ে যেতে না পারে সেই জায়গাটিতে হাত দেয়া খুব প্রয়োজন। বুয়েট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক হয়তো এটাকে একটি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে নেয়া হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী একটি ব্যবস্থা নিতে হবে। যেটার ফলাফল আরো ভালো হবে।
অর্থনীতিবিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ছাত্ররাজনীতি আর সরকারি ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতিতো এক কথা না। ছাত্র রাজনীতি আর সন্ত্রাস এক কথা না। আবরার হত্যাকাণ্ডের পরে যে ছাত্রছাত্রীরা প্রতিবাদ করেছে এই প্রতিবাদের কারণেই কিন্তু এখন আবরার হত্যাকাণ্ডের বিচারের অগ্রগতি হচ্ছে। এবং নির্যাতনের যে ঘটনাগুলো সেগুলো প্রকাশিত হচ্ছে। এই প্রতিবাদের কারণেই নির্যাতন নিয়ে নির্যাতন বিরোধী একটি সামাজিক জনমত তৈরি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আজকে যে আন্দোলনটা করছে এটা হচ্ছে রাজনীতি। রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া মানে হচ্ছে এই ধরণের প্রতিবাদ করা যাবে না। রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া মানে হচ্ছে স্ট্যাটাসকো। স্ট্যাটাসকো মানে হচ্ছে ক্ষমতাবানদের যে আধিপত্য সেটাকে প্রশ্ন করার যে রাজনীতি সে রাজনীতি। সে রাজনীতিটা থাকতে হবে। এটা হচ্ছে একটি বিপদজনক পরিস্থিতি। তিনি বলেন, প্রশাসনে শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের একটি গণতান্ত্রিক সম্পর্ক বিকশিত হবে এটাই হচ্ছে সমাধান। সাধারণ শিক্ষার্থীদের আরো ক্ষমতায়ন করা। প্রশাসনের সঙ্গে আরো বেশি যুক্ত করা। প্রশাসনকে স্বচ্ছ করা। হলগুলোতে যে ভয়ের রাজনীতি তৈরি হয়েছে সেটা থেকে শিক্ষার্থী, প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে মুক্ত করা। এটাই হচ্ছে পথ। সেই পথটিকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে আমরা এই অরাজক পরিস্থিতি থেকে মুক্ত পেতে পারি।
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, বুয়েটে রাজনীতি ছিলোই না। বুয়েটে এতদিন পর্যন্ত একটি দলের কিছু গুন্ডাপান্ডা ছিল। কিন্তু অন্য কোনো দল ওখানে যেতে পারত না। বুয়েটে রাজনীতি এমনিতেই ছিল না। রাজনীতি নামক যে জিনিসটি সেটা এমনিতেই বন্ধ ছিল। রাজনীতি বন্ধ মানে হচ্ছে যারা আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় ভিক্তিক ছাত্ররাজনীতিক দল তাদের রাজনীতি বন্ধ। তারা এখানে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। রাজনীতি জিনিসটি এমন এটা কেউ বন্ধ করে রাখতে পারে না। রাজনীতি এখানে বেরিয়ে আসেই। এখানে যদি বলে যে ছাত্ররাজনীতি নামক যে প্রতিষ্ঠানগুলো সেগুলো রাজনীতির চেয়ে গুন্ডামি খুন-খারাবি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি এগুলো করছে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ব্যাখ্যা দিতে হবে কতটুকু করতে পারবে আর পারবে না। আমাদের এখানে ছাত্ররাজনীতি বলতে যেটা আছে সেটা কোনো রাজনীতি না। এটা খুন-খারাবি। ক্যাম্পাস পলিটিকস-এ অংশগ্রহণ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্নরকম ভাবে আছে। এবং সেজন্য রাজনীতি কেউ পুরোপুরি বন্ধ করতে পারে না। রাজনীতি তার নিজস্ব পথে বিকাশিত হয়। কিন্তু এখানে বুয়েট কর্তৃপক্ষকে পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করা উচিৎ যে তারা কি এটা মিন করছেন।
তিনি বলেন, যখন ছাত্রদের আঠারো বছর বয়স হবে তারা দেশের ভোটার হবে। তাদের পছন্দমত রাজনৈতিক দলে যোগদান করতে পারবে। সেখানে তারা রাজনীতি করবে। কাজেই ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক দলের হয়ে পার্টি করতে হবে, দলের হয়ে মারামারি করবে এটা কোনো প্রয়োজন নেই। যারা রাজনীতি করার তারা করবেই। সংগঠন করুণ। কিন্তু কোনো সংগঠনের কাজ ক্যাম্পাসে করতে পারবে না। ক্যাম্পাসের খাতিরে এতটুকু সীমাবদ্ধতা মানতে হবে। যেটা হয়েছে সেটা ক্যাম্পাসের শান্তি ভঙ্গকারী কর্মকাণ্ড হয়েছে। এটাকে রাজনীতি বলা হয় না।
No comments