শান্তিতে নোবেল জয়ী কে এই আবি আহমেদ
এ
বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ।
ইরিত্রিয়ার সঙ্গে এক যুগান্তকারী শান্তিচুক্তি করে এই সম্মানে ভূষিত হলেন
তিনি। গত শতকের নব্বইয়ের দশক থেকে চুক্তিটি হওয়ার আগ পর্যন্ত সংঘাতে জড়িয়ে
ছিল দুই দেশ।
শান্তিতে নোবেল প্রদানকারী কমিটি বলেছে, শান্তি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অর্জনে, বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশ ইরিত্রিয়ার সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের মীমাংসায় তার নিষ্পত্তিমূলক উদ্যোগের জন্য এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে তাকে। এছাড়া, ইথিওপিয়া এবং পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আফ্রিকান অঞ্চলগুলোতে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও বিবাদ মেটানোর কাজ করা প্রত্যেক অংশীদারকে স্বীকৃতি দেয়াও এই পুরস্কারের উদ্দেশ্য।
প্রসঙ্গত, এ বছরের পুরস্কার জিতে শান্তিতে শততম ব্যক্তি হিসেবে নোবেল জিতেছেন আবি। এ বছর এই পুরস্কারটি জন্য মনোনয়ন জমা পড়েছিল ৩০১টি। এর মধ্যে ২২৩ জন্য ব্যক্তি ও ৭৮টি প্রতিষ্ঠান ছিল। অনেকের ফেভারিট ছিলেন, জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থানবার্গ ও নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন। নোবেল পুরস্কারের প্রবর্তক আলফ্রেড নোবেলের উইল মেনে, ১৯০১ সাল থেকেই শান্তিতে পুরস্কার ঘোষণা করে আসছে নোবেল কমিটি।
তবে গত শতকে দুই বিশ্বযুদ্ধের সময়গুলো সহ মোট ১৯ বার পুরস্কার প্রদান বন্ধ থাকে। এখন পর্যন্ত ব্যক্তি ছাড়াও নোবেল জিতেছে ২৪টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল রেড ক্রস সর্বোচ্চ তিনবারের পুরস্কারজয়ী।
আবি আহমেদ ২০১৮ সালের এপ্রিলে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ক্ষমতায় আসার পরপরই ইথিওপিয়ায় ব্যাপক আকারে উদারমনা সংস্কার শুরু করেন। নিকট অতীতে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত একটি দেশে তার এসব পদক্ষেপ বিশ্বজুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে। তিনি কয়েক হাজার বিরোধী কর্মীদের কারাবাস ও নির্বাসিত ভিন্নমতপোষণকারীদের বাড়ি ফেরার সুযোগ করে দেন। তার সংস্কারমুখী পদক্ষেপগুলো দেশটিতে ব্যাপক হারে জাতিগত উত্তেজনা কমিয়েছে। তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হচ্ছে, প্রতিবেশী দেশ ইরিত্রিয়ার সঙ্গে করা একটি শান্তিচুক্তি। সমপ্রতি আরো একটি বিশাল পদক্ষেপ নিয়েছেন আবি। তার সরকার দেশজুড়ে ৪০০ কোটি গাছ রোপণের উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগের আওতায় প্রত্যেক নাগরিককে অন্তত ৪০টি গাছের বীজ বপনের জন্য উৎসাহিত করে যাচ্ছে সরকার।
আবি একজন সাবেক সামরিক কর্মকর্তা। সাইবার গোয়েন্দাগিরিতে দক্ষ ছিলেন তিনি। ইরিত্রিয়ার সঙ্গে তার করা শান্তিচুক্তিতে দুই দেশের কয়েক লাখ মানুষকে উচ্ছ্বসিত করেছে। দুই দেশের মধ্যকার এই সংঘাতে বহু প্রাণ ও সমপদ হারিয়েছে উভয় পক্ষই। অঞ্চলটিতে উন্নয়নের রাস্তা খুলে দিয়েছে এই চুক্তি। আরো সমপ্রতি প্রতিবেশী সুদানে একটি রাজনৈতিক চুক্তির মধ্যস্থতা করেছেন আবি। তার ওই চুক্তি দেশটিতে সাবেক স্বৈরশাসক ওমর আল-বশিরের পতনের পর সৃষ্ট অস্থিরতা থামাতে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে।
দ্য গার্ডিয়ান লিখেছে, আবি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠানের বদলে নিজের ব্যক্তিগত সাহসী উদ্যোগ ও প্রতিভা ব্যবহার করে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেন। তিনি ইথিওপিয়ার সর্ববৃহৎ ‘অরোমো’ সমপ্রদায় থেকে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট। তিনি বহু বছর ধরে দেশটির অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রান্তিকরণের সমালোচনা করেছেন। নিজের মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীদের নিয়োগ দিয়েছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছেন। কারাবন্দি থাকা সাংবাদিকদের মুক্তি দিয়েছেন। আগের প্রশাসনগুলোতে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করেছেন।
এদিকে, সম্মানজনক এই পুরস্কার জেতার পর আবিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বহু বিশ্ব নেতা। এর মধ্যে রয়েছেন, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুঁতেরা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আবদুল্লাহি মোহাম্মদসহ অনেকে। জাতিসংঘ মহাসচিব এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমি বলেছিলাম, আফ্রিকায় আশার বাতাস ইতিহাসে সবচেয়ে জোরে বইছে এখন। প্রধানমন্ত্রী আবি তার একটি প্রধান কারণ। তার দূরদর্শিতায় ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়া একটি ঐতিহাসিক পুনর্মিলন অর্জন করতে পেরেছে। আমি গত বছর ওই অর্জনের শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পেয়ে সম্মানিত বোধ করি।
শান্তিতে নোবেল প্রদানকারী কমিটি বলেছে, শান্তি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অর্জনে, বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশ ইরিত্রিয়ার সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের মীমাংসায় তার নিষ্পত্তিমূলক উদ্যোগের জন্য এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে তাকে। এছাড়া, ইথিওপিয়া এবং পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আফ্রিকান অঞ্চলগুলোতে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও বিবাদ মেটানোর কাজ করা প্রত্যেক অংশীদারকে স্বীকৃতি দেয়াও এই পুরস্কারের উদ্দেশ্য।
প্রসঙ্গত, এ বছরের পুরস্কার জিতে শান্তিতে শততম ব্যক্তি হিসেবে নোবেল জিতেছেন আবি। এ বছর এই পুরস্কারটি জন্য মনোনয়ন জমা পড়েছিল ৩০১টি। এর মধ্যে ২২৩ জন্য ব্যক্তি ও ৭৮টি প্রতিষ্ঠান ছিল। অনেকের ফেভারিট ছিলেন, জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থানবার্গ ও নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন। নোবেল পুরস্কারের প্রবর্তক আলফ্রেড নোবেলের উইল মেনে, ১৯০১ সাল থেকেই শান্তিতে পুরস্কার ঘোষণা করে আসছে নোবেল কমিটি।
তবে গত শতকে দুই বিশ্বযুদ্ধের সময়গুলো সহ মোট ১৯ বার পুরস্কার প্রদান বন্ধ থাকে। এখন পর্যন্ত ব্যক্তি ছাড়াও নোবেল জিতেছে ২৪টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল রেড ক্রস সর্বোচ্চ তিনবারের পুরস্কারজয়ী।
আবি আহমেদ ২০১৮ সালের এপ্রিলে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ক্ষমতায় আসার পরপরই ইথিওপিয়ায় ব্যাপক আকারে উদারমনা সংস্কার শুরু করেন। নিকট অতীতে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত একটি দেশে তার এসব পদক্ষেপ বিশ্বজুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে। তিনি কয়েক হাজার বিরোধী কর্মীদের কারাবাস ও নির্বাসিত ভিন্নমতপোষণকারীদের বাড়ি ফেরার সুযোগ করে দেন। তার সংস্কারমুখী পদক্ষেপগুলো দেশটিতে ব্যাপক হারে জাতিগত উত্তেজনা কমিয়েছে। তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হচ্ছে, প্রতিবেশী দেশ ইরিত্রিয়ার সঙ্গে করা একটি শান্তিচুক্তি। সমপ্রতি আরো একটি বিশাল পদক্ষেপ নিয়েছেন আবি। তার সরকার দেশজুড়ে ৪০০ কোটি গাছ রোপণের উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগের আওতায় প্রত্যেক নাগরিককে অন্তত ৪০টি গাছের বীজ বপনের জন্য উৎসাহিত করে যাচ্ছে সরকার।
আবি একজন সাবেক সামরিক কর্মকর্তা। সাইবার গোয়েন্দাগিরিতে দক্ষ ছিলেন তিনি। ইরিত্রিয়ার সঙ্গে তার করা শান্তিচুক্তিতে দুই দেশের কয়েক লাখ মানুষকে উচ্ছ্বসিত করেছে। দুই দেশের মধ্যকার এই সংঘাতে বহু প্রাণ ও সমপদ হারিয়েছে উভয় পক্ষই। অঞ্চলটিতে উন্নয়নের রাস্তা খুলে দিয়েছে এই চুক্তি। আরো সমপ্রতি প্রতিবেশী সুদানে একটি রাজনৈতিক চুক্তির মধ্যস্থতা করেছেন আবি। তার ওই চুক্তি দেশটিতে সাবেক স্বৈরশাসক ওমর আল-বশিরের পতনের পর সৃষ্ট অস্থিরতা থামাতে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে।
দ্য গার্ডিয়ান লিখেছে, আবি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠানের বদলে নিজের ব্যক্তিগত সাহসী উদ্যোগ ও প্রতিভা ব্যবহার করে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেন। তিনি ইথিওপিয়ার সর্ববৃহৎ ‘অরোমো’ সমপ্রদায় থেকে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট। তিনি বহু বছর ধরে দেশটির অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রান্তিকরণের সমালোচনা করেছেন। নিজের মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীদের নিয়োগ দিয়েছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছেন। কারাবন্দি থাকা সাংবাদিকদের মুক্তি দিয়েছেন। আগের প্রশাসনগুলোতে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করেছেন।
এদিকে, সম্মানজনক এই পুরস্কার জেতার পর আবিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বহু বিশ্ব নেতা। এর মধ্যে রয়েছেন, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুঁতেরা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আবদুল্লাহি মোহাম্মদসহ অনেকে। জাতিসংঘ মহাসচিব এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমি বলেছিলাম, আফ্রিকায় আশার বাতাস ইতিহাসে সবচেয়ে জোরে বইছে এখন। প্রধানমন্ত্রী আবি তার একটি প্রধান কারণ। তার দূরদর্শিতায় ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়া একটি ঐতিহাসিক পুনর্মিলন অর্জন করতে পেরেছে। আমি গত বছর ওই অর্জনের শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পেয়ে সম্মানিত বোধ করি।
No comments