বিএনপির সমাবেশ: আবরারের রক্তে সরকার পতনের বীজ রোপিত হলো
নব্বই
সালে শহীদ জেহাদের রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচারী এরশাদের পতন হয়েছে। ২০১৯
সালে আবরার ফাহাদের রক্তেই এই সরকারের পতনের বীজ বপন হয়েছে বলে মন্তব্য
করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। শনিবার দলীয়
কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে তিনি একথা বলেন। ভারতের সঙ্গে করা
সাম্প্রতিক চুক্তি বাতিল ও বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের খুনিদের বিচার
দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা
উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর বিএনপি। সকাল থেকে সমাবেশে যোগ দিতে বিএনপির
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন দলের নেতাকর্মীরা। এর আগে সকাল ৯টা থেকে নয়াপল্টন
কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় পুলিশ। বেলা দেড়টার দিকে পুলিশের সঙ্গে
বিএনপি নেতাকর্মীদের দু’দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। সকাল থেকে নেতাকর্মীরা
নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে আসার সময় অনেকেই পুলিশের বাধার মুখে পড়েন।
সড়কের দুই পাশেই পুলিশ চেকপোস্ট বসায়। সমাবেশে আসার সময় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদলের প্রায় ৫০জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশবিরোধী চুক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আবরার একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিল। এর জন্য তাকে প্রাণ দিতে হলো। এটা দেশের মানুষের প্রতিবাদ। আবরারের কথাটাই দেশের মানুষের কথা।
আবরারকে হত্যা করে দেশের জনগণের কণ্ঠকে হত্যা করা হয়েছে। ছাত্র সমাজ এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তার রক্ত জনগণ বৃথা যেতে দেবে না। শহীদ জেহাদের রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচার পতনের বীজ বপন হয়েছিল। তেমনি আবরারের রক্তের বিনিময়ে এই স্বৈরাচার সরকারের পতনের বীজ বপন হল। তিনি বলেন, ফেনী নদীর পানি উত্তোলনে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন, সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করতে সম্মতি দিয়েছেন, উপকূলে যৌথ নজরদারির নামে ভারতকে ২০টি রাডার প্রতিষ্ঠা করার অনুমতি দিয়েছেন। আমরা যে এলপিজি আমদানি করি তা ভারতে রপ্তানি করার অনুমতি দিয়েছেন। এসব চুক্তির প্রতিটি বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী। ফেনী নদীর পানি উত্তোলনের অনুমতি দিলেন কিন্তু তা কতখানি তারা উত্তোলন করবে তা পরিমাপ করার বিষয়ে চুক্তিতে কিছু নেই। এছাড়া ৩৬টি নদীর পানি ভারত জোর করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে, এ বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি।
মোশাররফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সামান্য পানি নিবে ভারত। কিন্তু এর ফলে ফেনী নদীর পাশের লোকজনের কৃষিকাজ ব্যাহত হবে। মুহুরি প্রজেক্ট ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আপনি বলছেন, জাতীয় স্বার্থ ব্যাহত করেননি। সাবরুম শহরে তাহলে এতদিন তারা পানি পান করেছিল না? ধোঁয়াশা সৃষ্টি করে এদেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে ভারতকে সুবিধা দেয়ার জন্যই এটা করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এমনিতেই সমুদ্র বন্দরে ক্ষতিগ্রস্ত হন। ভারতের পণ্য বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরে খালাস হলে আমাদের ব্যবসায়ীরা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। যৌথ পর্যবেক্ষণের নামে বিদেশি রাডার স্থাপন হলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিঘ্নিত হবে, হুমকির মুখে পড়বে। আর এলপিজি আমদানি করে তা রপ্তানি করবেন। চারটি চুক্তি ভারতের স্বার্থে করা হয়েছে। এটা দেশের জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তি। বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করেছিলেন, গ্যাস না দেয়ার জন্য ২০০১ সালে তিনি ক্ষমতায় আসতে পারেননি। তাহলে এবার কি তার খেসারত দিলেন? আসলে শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে তিনি চুক্তি করে এসেছেন। তাই আসুন এই স্বৈরাচার সরকারের পতনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হই। আর ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মাধ্যমে, জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করি। তাহলে দেশে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে আর দেশের মানুষ মুক্ত হবে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, এই সরকার দুর্নীতিতে ডুবে গেছে। সবদিক দিয়ে খাদের কিনারায় চলে গেছে। এর থেকে তাদের বাঁচার কোন উপায় নেই। আবরারের হত্যাকাণ্ড এই দেশের মানুষকে অবাক করেছে। তাকে হত্যা করে কি লাভ হল? এই সরকারের প্রতিবাদে দেশে শত শত আবরার জন্মাবে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গেলে সে দেশের একজন উপ মন্ত্রী উনাকে রিসিভ করেন। এটা আমরা এদেশের মানুষ হিসেবে খুব লজ্জাবোধ করি। আর উনি সেখানে গিয়ে ভারতকে সবকিছু একতরফা দান করে এসেছেন। উনার এই নতজানু পররাষ্ট্রনীতি যতদিন থাকবে ততদিন তিনি এই দেশের জনগণের জন্য কিছুই আনতে পারবেন না। তাই অবিলম্বে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগের আহবান জানাচ্ছি।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে জনসমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমূখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর আহমেদ রবিন, যুবদলের সিনিয়ার সহ-সভাপতি মুরতাজুল করিম বাদরু, মহানগর যুবদল নেতা ওমর ফারুক মুন্না, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমূখ।
সড়কের দুই পাশেই পুলিশ চেকপোস্ট বসায়। সমাবেশে আসার সময় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদলের প্রায় ৫০জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশবিরোধী চুক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আবরার একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিল। এর জন্য তাকে প্রাণ দিতে হলো। এটা দেশের মানুষের প্রতিবাদ। আবরারের কথাটাই দেশের মানুষের কথা।
আবরারকে হত্যা করে দেশের জনগণের কণ্ঠকে হত্যা করা হয়েছে। ছাত্র সমাজ এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তার রক্ত জনগণ বৃথা যেতে দেবে না। শহীদ জেহাদের রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচার পতনের বীজ বপন হয়েছিল। তেমনি আবরারের রক্তের বিনিময়ে এই স্বৈরাচার সরকারের পতনের বীজ বপন হল। তিনি বলেন, ফেনী নদীর পানি উত্তোলনে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন, সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করতে সম্মতি দিয়েছেন, উপকূলে যৌথ নজরদারির নামে ভারতকে ২০টি রাডার প্রতিষ্ঠা করার অনুমতি দিয়েছেন। আমরা যে এলপিজি আমদানি করি তা ভারতে রপ্তানি করার অনুমতি দিয়েছেন। এসব চুক্তির প্রতিটি বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী। ফেনী নদীর পানি উত্তোলনের অনুমতি দিলেন কিন্তু তা কতখানি তারা উত্তোলন করবে তা পরিমাপ করার বিষয়ে চুক্তিতে কিছু নেই। এছাড়া ৩৬টি নদীর পানি ভারত জোর করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে, এ বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি।
মোশাররফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সামান্য পানি নিবে ভারত। কিন্তু এর ফলে ফেনী নদীর পাশের লোকজনের কৃষিকাজ ব্যাহত হবে। মুহুরি প্রজেক্ট ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আপনি বলছেন, জাতীয় স্বার্থ ব্যাহত করেননি। সাবরুম শহরে তাহলে এতদিন তারা পানি পান করেছিল না? ধোঁয়াশা সৃষ্টি করে এদেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে ভারতকে সুবিধা দেয়ার জন্যই এটা করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এমনিতেই সমুদ্র বন্দরে ক্ষতিগ্রস্ত হন। ভারতের পণ্য বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরে খালাস হলে আমাদের ব্যবসায়ীরা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। যৌথ পর্যবেক্ষণের নামে বিদেশি রাডার স্থাপন হলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিঘ্নিত হবে, হুমকির মুখে পড়বে। আর এলপিজি আমদানি করে তা রপ্তানি করবেন। চারটি চুক্তি ভারতের স্বার্থে করা হয়েছে। এটা দেশের জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তি। বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করেছিলেন, গ্যাস না দেয়ার জন্য ২০০১ সালে তিনি ক্ষমতায় আসতে পারেননি। তাহলে এবার কি তার খেসারত দিলেন? আসলে শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে তিনি চুক্তি করে এসেছেন। তাই আসুন এই স্বৈরাচার সরকারের পতনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হই। আর ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মাধ্যমে, জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করি। তাহলে দেশে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে আর দেশের মানুষ মুক্ত হবে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, এই সরকার দুর্নীতিতে ডুবে গেছে। সবদিক দিয়ে খাদের কিনারায় চলে গেছে। এর থেকে তাদের বাঁচার কোন উপায় নেই। আবরারের হত্যাকাণ্ড এই দেশের মানুষকে অবাক করেছে। তাকে হত্যা করে কি লাভ হল? এই সরকারের প্রতিবাদে দেশে শত শত আবরার জন্মাবে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গেলে সে দেশের একজন উপ মন্ত্রী উনাকে রিসিভ করেন। এটা আমরা এদেশের মানুষ হিসেবে খুব লজ্জাবোধ করি। আর উনি সেখানে গিয়ে ভারতকে সবকিছু একতরফা দান করে এসেছেন। উনার এই নতজানু পররাষ্ট্রনীতি যতদিন থাকবে ততদিন তিনি এই দেশের জনগণের জন্য কিছুই আনতে পারবেন না। তাই অবিলম্বে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগের আহবান জানাচ্ছি।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে জনসমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমূখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর আহমেদ রবিন, যুবদলের সিনিয়ার সহ-সভাপতি মুরতাজুল করিম বাদরু, মহানগর যুবদল নেতা ওমর ফারুক মুন্না, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমূখ।
No comments