আবরার হত্যায় অনিকের স্বীকারোক্তি মোয়াজ গ্রেপ্তার
বাংলাদেশ
প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামি অনিক
সরকার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে দুইজন এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার
বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তি দেন। এ তিনজনের মুখেই আবরারকে পিটিয়ে হত্যার
বর্ণনা এসেছে। গতকাল মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম তার খাস কামরায় অনিকের
জবানবন্দি নিয়েছেন। অনিক স্বীকার করেন, তিনি ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে
আবরারকে পিটিয়েছেন। আবরারকে হত্যার পরের দিন বিকালে ছাত্রলীগের ১০
নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। এই দশ জনের একজন অনিক সরকার। তিনি পাঁচ
দিনের রিমান্ডে ছিলেন।
অনিক সরকার বুয়েট ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক। সে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পঞ্চদশ ব্যাচের শিক্ষার্থী। বৃস্পতিবার আসামি ইফতি মোশাররফ সকাল ও শুক্রবার মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন আদালতে জবানবন্দি দেন। এ তিনজনের জবানিতে উঠে এসেছে আবরারকে পিটিয়ে হত্যার ভয়ঙ্কর বর্ণনা। সূত্র জানায়, ঘটনার প্রায় অভিন্ন বিবরণ দিয়েছেন তিন জনই। তারা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে আনার পর দফায় দফায় আবরারকে পিটানো হয়। পিটুনিতে আবরার নেতিয়ে পড়লে কিছু সময় বিছানায় ফেলে রাখা হয়। পরে আবার একই কায়দায় পিটানো হয়। পিটুনিতে এক পর্যায়ে মুমূর্ষু হয়ে পড়েন আবরার। তিনি নিজেই হত্যাকারীদের উদ্দেশে বলেন, তার খুব খারাপ লাগছে। তিনি হয়তো মারা যাবেন।
এ সময় সেখানে থাকা একজন্য বলে ‘ও নাটক করছে’ আরও কয়েক ঘণ্টা পিটানো যাবে। আবরারকে বাইরে ফেলে দেয়ার আগে তিনি কয়েকবার বমি করেন। বাইরে ফেলে দেয়ার সময় তার শরীর ঠান্ডা হয়ে আসছিল। জবানবন্দিতে আবরারকে হত্যার আগে ফেসবুক মেসেঞ্জারে নিজেরা যোগাযোগ করেন বলেও তারা স্বীকার করেন। তাদের এ যোগাযোগের তথ্য আগেই গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। এদিকে আবরার হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মোয়াজ আবু হোরায়রাকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা সংস্থার (ডিবি) একটি টিম। গতকাল সকাল ১১টার দিকে ঢাকার উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের (ইইই) ১৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
তার বাড়ি কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের ওসমানপুরে। মোয়াজকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে ডিবি এখন পর্যন্ত এই মামলায় ১৯জনকে গ্রেপ্তার করলো। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি ১৫ জন আর এজাহার বহির্ভূত আসামি ৪ জন। এছাড়া আবরার হত্যা মামলার আরেক আসামি মাজেদুর রহমান নওরোজকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি। গত ৬ই অক্টোবর রাত তিনটার দিকে বুয়েটের শেরে বাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন রাতে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতারা। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন আবরারের বাবা বরকত উল্ল্যাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় একটি মামলা করেন। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে বুয়েটসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বুয়েটে ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
অনিক সরকার বুয়েট ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক। সে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পঞ্চদশ ব্যাচের শিক্ষার্থী। বৃস্পতিবার আসামি ইফতি মোশাররফ সকাল ও শুক্রবার মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন আদালতে জবানবন্দি দেন। এ তিনজনের জবানিতে উঠে এসেছে আবরারকে পিটিয়ে হত্যার ভয়ঙ্কর বর্ণনা। সূত্র জানায়, ঘটনার প্রায় অভিন্ন বিবরণ দিয়েছেন তিন জনই। তারা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে আনার পর দফায় দফায় আবরারকে পিটানো হয়। পিটুনিতে আবরার নেতিয়ে পড়লে কিছু সময় বিছানায় ফেলে রাখা হয়। পরে আবার একই কায়দায় পিটানো হয়। পিটুনিতে এক পর্যায়ে মুমূর্ষু হয়ে পড়েন আবরার। তিনি নিজেই হত্যাকারীদের উদ্দেশে বলেন, তার খুব খারাপ লাগছে। তিনি হয়তো মারা যাবেন।
এ সময় সেখানে থাকা একজন্য বলে ‘ও নাটক করছে’ আরও কয়েক ঘণ্টা পিটানো যাবে। আবরারকে বাইরে ফেলে দেয়ার আগে তিনি কয়েকবার বমি করেন। বাইরে ফেলে দেয়ার সময় তার শরীর ঠান্ডা হয়ে আসছিল। জবানবন্দিতে আবরারকে হত্যার আগে ফেসবুক মেসেঞ্জারে নিজেরা যোগাযোগ করেন বলেও তারা স্বীকার করেন। তাদের এ যোগাযোগের তথ্য আগেই গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। এদিকে আবরার হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মোয়াজ আবু হোরায়রাকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা সংস্থার (ডিবি) একটি টিম। গতকাল সকাল ১১টার দিকে ঢাকার উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের (ইইই) ১৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
তার বাড়ি কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের ওসমানপুরে। মোয়াজকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে ডিবি এখন পর্যন্ত এই মামলায় ১৯জনকে গ্রেপ্তার করলো। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি ১৫ জন আর এজাহার বহির্ভূত আসামি ৪ জন। এছাড়া আবরার হত্যা মামলার আরেক আসামি মাজেদুর রহমান নওরোজকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি। গত ৬ই অক্টোবর রাত তিনটার দিকে বুয়েটের শেরে বাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন রাতে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতারা। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন আবরারের বাবা বরকত উল্ল্যাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় একটি মামলা করেন। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে বুয়েটসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বুয়েটে ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
No comments