ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এবার অস্ট্রেলিয়াকে চাপ দেয়ার অভিযোগ!
ইউক্রেনের
পর এবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনকে চাপ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় রাশিয়ার
হস্তক্ষেপ নিয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুয়েলার যে
তদন্ত করেছিলেন, তার উৎস নিয়ে বর্তমানে তদন্ত করছে আইন মন্ত্রণালয়। ট্রাম্প
শিবিরের প্রত্যাশা, বর্তমান তদন্তের মাধ্যমে রবার্ট মুয়েলারের প্রতিবেদনকে
প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে। আর এই তদন্তের বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম
বার’কে সহযোগিতা করতে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে সম্প্রতি চাপ দিয়েছেন
ট্রাম্প। দু’জন মার্কিন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে নিউ
ইয়র্ক টাইমস। বিবিসির আরেক খবরে বলা হয়, বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন
অস্ট্রেলিয়ার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও।
খবরে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের কাছে ওই তদন্তের জন্য সহায়ক প্রমাণ ও তথ্য দিতে ট্রাম্প অনুরোধ করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ বলেছে যে, প্রধানমন্ত্রী মরিসন ওই অনুরোধে সম্মত হয়েছেন।
এই খবর এমন সময় এলো যখন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই অভিযোগে অভিশংসন তদন্ত চলছে যে, আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি নিজের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী, ডেমোক্রেট দল থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে আরেক বিদেশি নেতা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কিকে চাপ দিয়েছিলেন।
শুধু তা-ই নয়। এজন্য তিনি ইউক্রেনকে যে আমেরিকান সহায়তা দেয়ার কথা, তা স্থগিত রেখেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ট্রাম্প ও মরিসনের মধ্যকার ফোনালাপের বিবরণ হোয়াইট হাউজের খুবই অল্প কয়েকজন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে, যা স্বাভাবিক প্রটোকলের মধ্যে পড়ে না। একই ধরনের বিধিনিষেধ ইউক্রেন ফোনালাপের ক্ষেত্রেও করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুয়েলারের তদন্তের বিষয়বস্তু ছিল ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ। এই তদন্তের অন্যতম বিবেচ্য বিষয় ছিল, নির্বাচনে ট্রাম্প বা তার নির্বাচনী প্রচারাভিযান থেকে রাশিয়ার সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছিল কিনা। এছাড়া এই সংক্রান্ত তদন্ত ট্রাম্প বাধাগ্রস্ত করতে চেয়েছিলেন কিনা। মুয়েলার এপ্রিলে নিজের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি অবশ্য এই অভিযোগ প্রতিষ্ঠা করেননি যে, ট্রাম্পের নির্বাচনী শিবির নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে রাশিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল। তবে ওই প্রতিবেদনে ট্রাম্পকে সকল বিদেশি শক্তির সঙ্গে হাত মেলানোর অভিযোগ থেকে অব্যাহতিও দেওয়া হয়নি। এছাড়া প্রতিবেদনে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিচার বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগ বিস্তারিতভাবে দাঁড় করানো হয়েছে।
এই তদন্তে ট্রাম্প বেশ ক্ষুব্ধ ছিলেন। তদন্ত চলাকালে তিনি এ নিয়ে বারবার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পরের মাসে তিনি ঘোষণা দেন যে, অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার তদন্ত করবেন কীভাবে মুয়েলারের তদন্ত প্রকৃতপক্ষে শুরু হয়েছিল। এরপরই আমেরিকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত জো হোকি হোয়াইট হাউজকে চিঠি লিখে জানান, এই তদন্ত পর্যালোচনায় সাহায্য করতে অস্ট্রেলিয়া প্রস্তুত। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ট্রাম্পের কথোপকথনের বিষয়বস্তু ফাঁস হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার সরকার মঙ্গলবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ‘তদন্তনাধীন বিষয়ে আরো স্বচ্ছ ধারণা লাভ করতে যে প্রচেষ্টা চলছে তাতে সব সময়ই সহায়তা ও সহযোগিতা করতে অস্ট্রেলিয়া প্রস্তুত ছিল। প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টি ফের নিশ্চিত করেছেন।’
প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণশীল প্রধানমন্ত্রী মরিসন ট্রাম্পের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ আন্তর্জাতিক মিত্রদের একজন। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসে তাকে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজের মাধ্যমে বিরল সম্মান দেয়া হয়। এই সফরের কিছুটা আগেই ওই ফোনালাপ হয় দুই নেতার মধ্যে।
মুয়েলার তদন্তের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার যোগসূত্র কী?
ট্রাম্প-রাশিয়া তদন্ত শুরু হওয়ার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বড় ধরনের যোগসূত্র ছিল। মূলত, অস্ট্রেলিয়ার কর্মকর্তারা মার্কিন এফবিআই’কে তাদের একজন শীর্ষ কূটনীতিকের উদ্বেগের বিষয়ে অবহিত করেন। ওই কূটনীতিক ছিলেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার তৎকালীন হাইকমিশনার অ্যালেক্সান্ডার ডাওনার। ডাওনার বলেছেন, ২০১৬ সালের মে মাসে ট্রাম্প শিবিরের উপদেষ্টা জর্জ পাপাদোপোলোস তাকে বলেছিলেন যে, ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিপক্ষ হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে ‘মারাত্মক তথ্য’ আছে মস্কোর কাছে। ডাওনার পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়ার এবিসি চ্যানেলকে বলেন, ‘তিনি আমাকে বললেন যে, রাশিয়া হয়তো এমন কিছু তথ্য প্রকাশ করতে পারে যা হিলারি ক্লিনটনের জন্য নেতিবাচক হবে।’ তবে পাপাদোপোলোস এই ধরনের কথোপকথনের কথা অস্বীকার করেছেন। ২০১৮ সালে তিনি ২ সপ্তাহ কারান্তরীণ ছিলেন। রাশিয়ার একজন কথিত মধ্যস্বত্বভোগীর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে তিনি এফবিআই’র কাছে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ার কথা স্বীকার করার পর তার ওই কারাদণ্ড হয়।
খবরে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের কাছে ওই তদন্তের জন্য সহায়ক প্রমাণ ও তথ্য দিতে ট্রাম্প অনুরোধ করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ বলেছে যে, প্রধানমন্ত্রী মরিসন ওই অনুরোধে সম্মত হয়েছেন।
এই খবর এমন সময় এলো যখন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই অভিযোগে অভিশংসন তদন্ত চলছে যে, আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি নিজের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী, ডেমোক্রেট দল থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে আরেক বিদেশি নেতা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কিকে চাপ দিয়েছিলেন।
শুধু তা-ই নয়। এজন্য তিনি ইউক্রেনকে যে আমেরিকান সহায়তা দেয়ার কথা, তা স্থগিত রেখেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ট্রাম্প ও মরিসনের মধ্যকার ফোনালাপের বিবরণ হোয়াইট হাউজের খুবই অল্প কয়েকজন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে, যা স্বাভাবিক প্রটোকলের মধ্যে পড়ে না। একই ধরনের বিধিনিষেধ ইউক্রেন ফোনালাপের ক্ষেত্রেও করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুয়েলারের তদন্তের বিষয়বস্তু ছিল ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ। এই তদন্তের অন্যতম বিবেচ্য বিষয় ছিল, নির্বাচনে ট্রাম্প বা তার নির্বাচনী প্রচারাভিযান থেকে রাশিয়ার সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছিল কিনা। এছাড়া এই সংক্রান্ত তদন্ত ট্রাম্প বাধাগ্রস্ত করতে চেয়েছিলেন কিনা। মুয়েলার এপ্রিলে নিজের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি অবশ্য এই অভিযোগ প্রতিষ্ঠা করেননি যে, ট্রাম্পের নির্বাচনী শিবির নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে রাশিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল। তবে ওই প্রতিবেদনে ট্রাম্পকে সকল বিদেশি শক্তির সঙ্গে হাত মেলানোর অভিযোগ থেকে অব্যাহতিও দেওয়া হয়নি। এছাড়া প্রতিবেদনে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিচার বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগ বিস্তারিতভাবে দাঁড় করানো হয়েছে।
এই তদন্তে ট্রাম্প বেশ ক্ষুব্ধ ছিলেন। তদন্ত চলাকালে তিনি এ নিয়ে বারবার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পরের মাসে তিনি ঘোষণা দেন যে, অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার তদন্ত করবেন কীভাবে মুয়েলারের তদন্ত প্রকৃতপক্ষে শুরু হয়েছিল। এরপরই আমেরিকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত জো হোকি হোয়াইট হাউজকে চিঠি লিখে জানান, এই তদন্ত পর্যালোচনায় সাহায্য করতে অস্ট্রেলিয়া প্রস্তুত। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ট্রাম্পের কথোপকথনের বিষয়বস্তু ফাঁস হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার সরকার মঙ্গলবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ‘তদন্তনাধীন বিষয়ে আরো স্বচ্ছ ধারণা লাভ করতে যে প্রচেষ্টা চলছে তাতে সব সময়ই সহায়তা ও সহযোগিতা করতে অস্ট্রেলিয়া প্রস্তুত ছিল। প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টি ফের নিশ্চিত করেছেন।’
প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণশীল প্রধানমন্ত্রী মরিসন ট্রাম্পের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ আন্তর্জাতিক মিত্রদের একজন। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসে তাকে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজের মাধ্যমে বিরল সম্মান দেয়া হয়। এই সফরের কিছুটা আগেই ওই ফোনালাপ হয় দুই নেতার মধ্যে।
মুয়েলার তদন্তের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার যোগসূত্র কী?
ট্রাম্প-রাশিয়া তদন্ত শুরু হওয়ার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বড় ধরনের যোগসূত্র ছিল। মূলত, অস্ট্রেলিয়ার কর্মকর্তারা মার্কিন এফবিআই’কে তাদের একজন শীর্ষ কূটনীতিকের উদ্বেগের বিষয়ে অবহিত করেন। ওই কূটনীতিক ছিলেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার তৎকালীন হাইকমিশনার অ্যালেক্সান্ডার ডাওনার। ডাওনার বলেছেন, ২০১৬ সালের মে মাসে ট্রাম্প শিবিরের উপদেষ্টা জর্জ পাপাদোপোলোস তাকে বলেছিলেন যে, ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিপক্ষ হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে ‘মারাত্মক তথ্য’ আছে মস্কোর কাছে। ডাওনার পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়ার এবিসি চ্যানেলকে বলেন, ‘তিনি আমাকে বললেন যে, রাশিয়া হয়তো এমন কিছু তথ্য প্রকাশ করতে পারে যা হিলারি ক্লিনটনের জন্য নেতিবাচক হবে।’ তবে পাপাদোপোলোস এই ধরনের কথোপকথনের কথা অস্বীকার করেছেন। ২০১৮ সালে তিনি ২ সপ্তাহ কারান্তরীণ ছিলেন। রাশিয়ার একজন কথিত মধ্যস্বত্বভোগীর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে তিনি এফবিআই’র কাছে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ার কথা স্বীকার করার পর তার ওই কারাদণ্ড হয়।
No comments