জাগ দেওয়ার পানি নেই, মাঠেই শুকিয়ে যাচ্ছে পাট by নয়ন খন্দকার
ধানের
লোকসান পুষিয়ে নিতে পাট চাষে ঝুঁকেছিলেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার
কৃষকরা। কিন্তু চলতি বছর এ উপজেলায় কম বৃষ্টিপাত হওয়ায় পাট জাগ দেওয়ার
পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এজন্য অধিকাংশ কৃষক সময় পেরিয়ে গেলেও পাট কাটেননি।
কেউ কেউ কাটার পর মাঠেই ফেলে রেখেছেন। এ কারণে মাঠেই শুকিয়ে যাচ্ছে অনেক
পরিশ্রম ও অর্থ ব্যয়ে চাষ করা এ পাট। পানির অভাবে সোনালি আশ এখন কৃষকের
গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এক হাজার ৩৩৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। উপজেলার ৮৫০ জন কৃষক এক হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করেছেন। ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার পাঁচ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ বেশি হয়েছে।
উপজেলার বুজরুখমুন্দিয়া গ্রামের কৃষক ইউনুচ আলী জমাদ্দার জানান, তিনি বৈশাখ মাসে দেড় বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেন। বীজ, সার, কীটনাশক পরিচর্যাসহ তার প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রায় এক থেকে দেড় মাস আগে পাট কাটার উপযোগী হয়ে যায়। কিন্তু বৃষ্টির পানির অভাবে পাট কাটতে পারেননি। কারণ বৃষ্টি না হওয়ায় এলাকার পুকুর, খাল-বিল, খানা-গর্ত কোথাও পানি নেই। এ কারণে পাট জাগ দিতে পারছেন না। তিনি অর্ধেক জমির পাট কেটে ক্ষেতে ফেলে রেখেছেন আর অর্ধেক পাট এখনও কাটেননি।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এক হাজার ৩৩৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। উপজেলার ৮৫০ জন কৃষক এক হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করেছেন। ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার পাঁচ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ বেশি হয়েছে।
উপজেলার বুজরুখমুন্দিয়া গ্রামের কৃষক ইউনুচ আলী জমাদ্দার জানান, তিনি বৈশাখ মাসে দেড় বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেন। বীজ, সার, কীটনাশক পরিচর্যাসহ তার প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রায় এক থেকে দেড় মাস আগে পাট কাটার উপযোগী হয়ে যায়। কিন্তু বৃষ্টির পানির অভাবে পাট কাটতে পারেননি। কারণ বৃষ্টি না হওয়ায় এলাকার পুকুর, খাল-বিল, খানা-গর্ত কোথাও পানি নেই। এ কারণে পাট জাগ দিতে পারছেন না। তিনি অর্ধেক জমির পাট কেটে ক্ষেতে ফেলে রেখেছেন আর অর্ধেক পাট এখনও কাটেননি।
পাট কাটার পর জাগ দিতে না পেরে মাঠেই ফেলে রাখা হয়েছে |
একই
গ্রামের কৃষক সবদুল হোসেন জানান, তিনি দুই বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছেন।
কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় সেগুলো জাগ দিতে পারেননি। বর্তমানে পাটগুলো শুকিয়ে
যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘বাজারে প্রথম দিকে এক হাজার পাঁচশ’ থেকে এক হাজার আটশ’
টাকা মণ দরে পাট বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু এখন দাম কমে এসেছে। বর্তমানে এক
হাজার দুইশ’ থেকে এক হাজার তিনশ’ টাকা মণ দরে পাট বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য গত
বছর পাটের বাজার ভালো ছিল। আমরা আশা করেছিলাম, ধানের লোকসান কিছুটা হলেও
পাট থেকে তুলে নেবো। কিন্তু পানির অভাবে এখন পাট কাটতেই পারছি না। ভালোভাবে
জাগ দিতে না পারলে পাটের রঙ ভালো আসবে না। দামও পাবো না। বর্তমানে পাট
নিয়ে আমরা চিন্তায় আছি।’
উপজেলার বুজিডাঙ্গা গ্রামের পাটচাষি আশাদুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে এ বছর বাজারে পাটের দাম অনেক কম। এবার পাট চাষ করে বিপদে পড়েছি। এর আগে ধানের দাম পাইনি, এবার পাটের দামও পাবো না।’ তিনি আরও বলেন, ‘১০ কাঠা জমিতে পাট চাষ করেছি। তাতে প্রায় চার হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় পুকুর-খালে পানি জমেনি। স্যালো মেশিন দিয়ে পুকুরে পানি ভর্তি করে পাট জাগ দিতে ঘণ্টা চুক্তিতে পানির দাম দিতে হচ্ছে। একশ বান্ডিল (১২ থেকে ১৫টিতে একটি বান্ডিল) পাট চিকাতে (ছিলতে) তিনশ’ টাকা করে দিতে হবে। সব খরচ-খরচা বাদে এবার পাটে লোকসান গুনতে হবে।’
আশাদুল, ইউনুচ, সবদুলদের মতো এখানকার অনেক চাষিই বলেন, ‘এ বছর বিভিন্ন জেলায় বন্যা ও ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। কিন্তু কালীগঞ্জে তেমন বৃষ্টি হয়নি। এ কারণে আমরা পাট জাগ দিতে পারছি না। পানির অভাবে এ উপজেলার অধিকাংশ কৃষকের পাট ক্ষেতেই শুকিয়ে যাচ্ছে।’
এ বিষয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান বলেন, ‘এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পাটের আবাদ বেশি হয়েছে। কিন্তু পাট পচানোর জন্য পর্যাপ্ত পানিই নেই। এখন কৃষকরা গর্তের মধ্যে স্যালো মেশিনের মাধ্যমে পানি দিয়ে পাট পচাচ্ছেন। তাতে পাটের মান পড়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরও জানান, ভালো পাট বাজারে এক হাজার আটশ’ থেকে এক হাজার নয়শ’ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু মান খারাপ হলে সে পাটের দাম কম পাওয়া যাচ্ছে।
উপজেলার বুজিডাঙ্গা গ্রামের পাটচাষি আশাদুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে এ বছর বাজারে পাটের দাম অনেক কম। এবার পাট চাষ করে বিপদে পড়েছি। এর আগে ধানের দাম পাইনি, এবার পাটের দামও পাবো না।’ তিনি আরও বলেন, ‘১০ কাঠা জমিতে পাট চাষ করেছি। তাতে প্রায় চার হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় পুকুর-খালে পানি জমেনি। স্যালো মেশিন দিয়ে পুকুরে পানি ভর্তি করে পাট জাগ দিতে ঘণ্টা চুক্তিতে পানির দাম দিতে হচ্ছে। একশ বান্ডিল (১২ থেকে ১৫টিতে একটি বান্ডিল) পাট চিকাতে (ছিলতে) তিনশ’ টাকা করে দিতে হবে। সব খরচ-খরচা বাদে এবার পাটে লোকসান গুনতে হবে।’
আশাদুল, ইউনুচ, সবদুলদের মতো এখানকার অনেক চাষিই বলেন, ‘এ বছর বিভিন্ন জেলায় বন্যা ও ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। কিন্তু কালীগঞ্জে তেমন বৃষ্টি হয়নি। এ কারণে আমরা পাট জাগ দিতে পারছি না। পানির অভাবে এ উপজেলার অধিকাংশ কৃষকের পাট ক্ষেতেই শুকিয়ে যাচ্ছে।’
এ বিষয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান বলেন, ‘এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পাটের আবাদ বেশি হয়েছে। কিন্তু পাট পচানোর জন্য পর্যাপ্ত পানিই নেই। এখন কৃষকরা গর্তের মধ্যে স্যালো মেশিনের মাধ্যমে পানি দিয়ে পাট পচাচ্ছেন। তাতে পাটের মান পড়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরও জানান, ভালো পাট বাজারে এক হাজার আটশ’ থেকে এক হাজার নয়শ’ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু মান খারাপ হলে সে পাটের দাম কম পাওয়া যাচ্ছে।
সময় পেরিয়ে গেলেও পানির অভাবে কাটা হচ্ছে না পাট |
No comments