নাটকে বাজেট স্বল্পতা: হতাশা বাড়ছে নির্মাতাদের by এন আই বুলবুল
নাটক
নির্মাণের ক্ষেত্রে বাজেট স্বল্পতার কারণে দিন দিন হতাশা বাড়ছে
নির্মাতাদের। এর ফলে অনেক নির্মাতা এখন নাটক নির্মাণ থেকে দূরে আছেন। আবার
যারা নিয়মিত নির্মাণ করছেন তারাও জোড়াতালি দিয়ে তা করছেন বলে জানান। গেল
কয়েক বছর ধরে নাট্যনির্মাতারা এই সংকটে ভুগছেন। নাটক নির্মাণের প্রাপ্ত
বাজেটের বেশি অংশ চলে যায় তারকা শিল্পীদের কাছে। একটি সিঙ্গেল নাটক নির্মাণ
করতে সময় লাগে বর্তমানে দুই দিন। এই দুই দিনে তারকা শিল্পীদের জন্য গুনতে
হয় মোটা অঙ্কের টাকা। নাটকের প্রধান দুই শিল্পীর সম্মানীতেই চলে যায়
বাজেটের সিংহভাগ।
নাটক নির্মাণ শেষে অনেক পরিচালক বিনা পারিশ্রমিকেই সন্তুষ্ট থাকেন। এই প্রসঙ্গে ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলীক বলেন, বাজেট সংকট আমাদের অনেক দিন থেকে এটি সত্যি। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য আমরা নানা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমাদের সংগঠন থেকে ঈদের পরেই টিভি চ্যানেল, টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন ও বিভিন্ন বিজ্ঞাপনি সংস্থার সঙ্গে বসবো। একটা সময় টিভি চ্যানেলগুলোর অজুহাত ছিল তারা বিজ্ঞাপন পাচ্ছে না। এখন নাটক টিভিতে প্রচারের পর সেটি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকেও চ্যানেল কর্তৃপক্ষ লাভবান হচ্ছে। আমি মনে করি, টিভি চ্যানেলগুলোকে বাজেট বাড়াতে হবে। তাদের ভালো বাজেটেই একটি ভালো নাটক নির্মাণ সম্ভব। এখন বাজেট সংকটের কারণে নাটকে কেন্দ্রীয় চরিত্রের বাইরে পার্শ্ব চরিত্র রাখা যায় না। নাট্যনির্মাতা শিহাব শাহীন বলেন, চ্যানেলগুলোর কারণেই আমাদের বাজেট সংকট লেগে আছে। চ্যানেলগুলোর মার্কেটিং বিভাগের কিছু ব্যক্তি, এজেন্সি ও ক্ল্যায়েন্ট এই তিন শ্রেণির যোগসাজশে একটি দুষ্টচক্র তৈরি হয়েছে। তারা নিজেদের স্বার্থে কিছু অযোগ্য নির্মাতাকে তাদের নির্দিষ্ট বাজেট দিয়ে নাটক নির্মাণ করছে। যে নাটকের বাজেট চার লাখ সেটি তারা দুই লাখে নিয়ে এসেছে। গেল তিন থেকে চার বছর আগে তারকা শিল্পীরা প্রতিদিনের জন্য যে সম্মানী নিতেন তা এখন বেশ বাড়িয়ে দিয়েছেন। একই সঙ্গে প্রোডাকশন খরচ ও অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। কিন্তু চ্যানেলগুলো নাটকের বাজেট বাড়াচ্ছে না। বাজেটের এই সংকটের সমাধানের জন্য প্রথমেই চ্যানেলগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। এজেন্সি থেকে তাদের বের হতে হবে। সঠিক বাজেট সরাসরি নির্মাতাদের হাতে দিতে হবে। চ্যানেল কর্তৃপক্ষদের একটু আন্তরিকতায় বাজেট সংকট কাটতে পারে বলে আমি মনে করি। নাট্যনির্মাতা সরদার রোকন বলেন, এই সময়ে অধিকাংশ নির্মাতা খণ্ড নাটকের জন্য বাজেট পান এক লাখ ৮০ হাজার থেকে দুই লাখ টাকার কাছাকাছি। এই বাজেটে কখনোই মনের মতো নাটক নির্মাণ সম্ভব নয়। কারণ এই বাজেটের সিংহভাগ নাটকের নায়ক-নায়িকাকে দিতে হয়। বাকি বাজেট দিয়ে দায়সারা কাজ করতে হয় আমাদের। পর্যাপ্ত বাজেট না থাকার কারণে বেশির ভাগ নাটক এখন শুধু নায়ক-নায়িকানির্ভর। কিন্তু এভাবে কতদিন দর্শক নায়ক-নায়িকা দেখবেন? আমাদের এই বাজেট সংকট সমাধানের জন্য টিভি চ্যানেল থেকে শুরু করে নাটক সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। না হয় আমাদের জন্য আরও খারাপ সময় অপেক্ষা করছে।
নাটক নির্মাণ শেষে অনেক পরিচালক বিনা পারিশ্রমিকেই সন্তুষ্ট থাকেন। এই প্রসঙ্গে ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলীক বলেন, বাজেট সংকট আমাদের অনেক দিন থেকে এটি সত্যি। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য আমরা নানা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমাদের সংগঠন থেকে ঈদের পরেই টিভি চ্যানেল, টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন ও বিভিন্ন বিজ্ঞাপনি সংস্থার সঙ্গে বসবো। একটা সময় টিভি চ্যানেলগুলোর অজুহাত ছিল তারা বিজ্ঞাপন পাচ্ছে না। এখন নাটক টিভিতে প্রচারের পর সেটি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকেও চ্যানেল কর্তৃপক্ষ লাভবান হচ্ছে। আমি মনে করি, টিভি চ্যানেলগুলোকে বাজেট বাড়াতে হবে। তাদের ভালো বাজেটেই একটি ভালো নাটক নির্মাণ সম্ভব। এখন বাজেট সংকটের কারণে নাটকে কেন্দ্রীয় চরিত্রের বাইরে পার্শ্ব চরিত্র রাখা যায় না। নাট্যনির্মাতা শিহাব শাহীন বলেন, চ্যানেলগুলোর কারণেই আমাদের বাজেট সংকট লেগে আছে। চ্যানেলগুলোর মার্কেটিং বিভাগের কিছু ব্যক্তি, এজেন্সি ও ক্ল্যায়েন্ট এই তিন শ্রেণির যোগসাজশে একটি দুষ্টচক্র তৈরি হয়েছে। তারা নিজেদের স্বার্থে কিছু অযোগ্য নির্মাতাকে তাদের নির্দিষ্ট বাজেট দিয়ে নাটক নির্মাণ করছে। যে নাটকের বাজেট চার লাখ সেটি তারা দুই লাখে নিয়ে এসেছে। গেল তিন থেকে চার বছর আগে তারকা শিল্পীরা প্রতিদিনের জন্য যে সম্মানী নিতেন তা এখন বেশ বাড়িয়ে দিয়েছেন। একই সঙ্গে প্রোডাকশন খরচ ও অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। কিন্তু চ্যানেলগুলো নাটকের বাজেট বাড়াচ্ছে না। বাজেটের এই সংকটের সমাধানের জন্য প্রথমেই চ্যানেলগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। এজেন্সি থেকে তাদের বের হতে হবে। সঠিক বাজেট সরাসরি নির্মাতাদের হাতে দিতে হবে। চ্যানেল কর্তৃপক্ষদের একটু আন্তরিকতায় বাজেট সংকট কাটতে পারে বলে আমি মনে করি। নাট্যনির্মাতা সরদার রোকন বলেন, এই সময়ে অধিকাংশ নির্মাতা খণ্ড নাটকের জন্য বাজেট পান এক লাখ ৮০ হাজার থেকে দুই লাখ টাকার কাছাকাছি। এই বাজেটে কখনোই মনের মতো নাটক নির্মাণ সম্ভব নয়। কারণ এই বাজেটের সিংহভাগ নাটকের নায়ক-নায়িকাকে দিতে হয়। বাকি বাজেট দিয়ে দায়সারা কাজ করতে হয় আমাদের। পর্যাপ্ত বাজেট না থাকার কারণে বেশির ভাগ নাটক এখন শুধু নায়ক-নায়িকানির্ভর। কিন্তু এভাবে কতদিন দর্শক নায়ক-নায়িকা দেখবেন? আমাদের এই বাজেট সংকট সমাধানের জন্য টিভি চ্যানেল থেকে শুরু করে নাটক সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। না হয় আমাদের জন্য আরও খারাপ সময় অপেক্ষা করছে।
No comments