নেতানিয়াহুর ঘোষণা, মধ্যপ্রাচ্যে নিন্দার ঝড়
দখলীকৃত
পশ্চিমতীরে বসতি সম্প্রসারণে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু
যে ঘোষণা দিয়েছেন তার কড়া নিন্দা জানিয়েছে আরব দেশগুলো। আগামী নির্বাচনে
বিজয়ী হলে পশ্চিমতীরের জর্ডান উপত্যকা সম্প্রসারণের প্রতিশ্রুতি দেন
নেতানিয়াহু। মঙ্গলবার তার এ প্রতিশ্রুতির পর সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যে
সমালোচনার ঝড় বইছে। তীব্র নিন্দা জানিয়ে এর সমালোচনা করেছে জর্ডান, তুরস্ক ও
সৌদি আরব। জরুরি ভিত্তিতে ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক ডেকেছে সৌদি
আরব। নেতানিয়াহুর এমন ঘোষণাকে আগ্রাসন আখ্যায়িত করে একে ভয়ংঙ্কর পদক্ষেপ
হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে আরব লীগ। অন্যদিকে ফিলিস্তিনি কূটনীতিক সায়েব
এরেকাত বলেছেন, এমন পদক্ষেপ হবে যুদ্ধাপরাধ। এতে শান্তি প্রতিষ্ঠার যেকোনো
সম্ভাবনাকে কবর দেয়া হবে। এ খবর দিযেছে অনলাইন আল জাজিরা ও বিবিসি।
১৯৬৭ সাল থেকে ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীর দখল করে আছে ইসরাইল। তবে এর সম্প্রসারণ করেনি তারা সেভাবে। অন্যদিকে অখ- ফিলিস্তিনকে ভবিষ্যত একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে ফিলিস্তিনিরা। এর আগে নেতানিয়াহু বলেছেন, নিরাপত্তার জন্য জর্ডান উপত্যকায় সব সময় ইসরাইলের উপস্থিতি থাকবে। এখানে উল্লেখ্য, আগামী সপ্তাহে ইসরাইলে জাতীয় নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বিজয়ী হতে নেতানিয়াহু এই টোপ ফেলেছেন এবার। তিনি মঙ্গলবার ইসরাইলি টিভিতে সরাসরি সম্প্রচারিত এক ভাষণে বলেছেন, আমি আমার মূল উদ্দেশ্য ঘোষণা করছি। নতুন সরকার গঠনের পর জর্ডান উপত্যাকায় এবং ‘ডেড সি’তে ইসরাইলের সার্বভৌমত্বের প্রয়োগ ঘটাব। তিনি আরো বলেন, ইসরাইলি নাগরিকদের কাছ থেকে তিনি যদি সুস্পষ্ট ম্যান্ডেট পান তাহলে নির্বাচনের পর পরই এমন পদক্ষেপ নেবেন।
জর্ডান উপত্যকা ও উত্তরাঞ্চলীয় ডেড সি হলো পশ্চিমতীরের শতকরা প্রায় ৩০ ভাগ। এসব এলাকায় বসবাস করেন প্রায় ৬৫,০০০ ফিলিস্তিনি এবং ১১,০০০ অবৈধ ইসরাইলি। তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। ওদিকে আগামী সপ্তাহের নির্বাচনে নিজের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি নেতানিয়াহু। তাই তিনি ইহুদিদের সেন্টিমেন্টকে নাড়া দেয়ার জন্য এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বলেছেন, পশ্চিতীরজুড়ে ইহুদি বসতির বিস্তার ঘটাবেন। তবে দীর্ঘ প্রতিক্ষীত যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশের আগে ও প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পরামর্শ না করে এমন পদক্ষেপ নেয়া হবে না।
নিন্দার ঝড়
এই পদক্ষেপ নিয়ে যদি নেতানিয়াহু অগ্রসর হন তাহলে তাদের সঙ্গে যত চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে এবং যেসব বাধ্যবাধকতার কথা বলা হয়েছে তাদের তরফ থেকে, তার ইতি ঘটবে বলে মন্তব্য করেছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। আরো কড়া নিন্দা জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ সতায়ে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর এমন উদ্যোগকে তিনি শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য একটি প্রধান ধ্বংসাত্বক ইস্যু বলে আখ্যায়িত করেছেন। বলেছেন, ফিলিস্তিনি ভূখন্ড নেতানিয়াহুর নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হতে পারে না। আরব লীগের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা নেতানিয়াহুর পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়াকে সামনে এগিয়ে নেয়ার যেকোনো সুযোগকে এর মধ্য দিয়ে খর্ব করা হবে। অন্যদিকে ইসরাইলের এমন ঘোষণাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন ও ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে উত্তেজনার জন্য একটি অত্রন্ত ভয়াবহতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে সৌদি আরব। তারা এ বিষয়ে আলোচনা করতে ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছে।
১৯৬৭ সাল থেকে ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীর দখল করে আছে ইসরাইল। তবে এর সম্প্রসারণ করেনি তারা সেভাবে। অন্যদিকে অখ- ফিলিস্তিনকে ভবিষ্যত একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে ফিলিস্তিনিরা। এর আগে নেতানিয়াহু বলেছেন, নিরাপত্তার জন্য জর্ডান উপত্যকায় সব সময় ইসরাইলের উপস্থিতি থাকবে। এখানে উল্লেখ্য, আগামী সপ্তাহে ইসরাইলে জাতীয় নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বিজয়ী হতে নেতানিয়াহু এই টোপ ফেলেছেন এবার। তিনি মঙ্গলবার ইসরাইলি টিভিতে সরাসরি সম্প্রচারিত এক ভাষণে বলেছেন, আমি আমার মূল উদ্দেশ্য ঘোষণা করছি। নতুন সরকার গঠনের পর জর্ডান উপত্যাকায় এবং ‘ডেড সি’তে ইসরাইলের সার্বভৌমত্বের প্রয়োগ ঘটাব। তিনি আরো বলেন, ইসরাইলি নাগরিকদের কাছ থেকে তিনি যদি সুস্পষ্ট ম্যান্ডেট পান তাহলে নির্বাচনের পর পরই এমন পদক্ষেপ নেবেন।
জর্ডান উপত্যকা ও উত্তরাঞ্চলীয় ডেড সি হলো পশ্চিমতীরের শতকরা প্রায় ৩০ ভাগ। এসব এলাকায় বসবাস করেন প্রায় ৬৫,০০০ ফিলিস্তিনি এবং ১১,০০০ অবৈধ ইসরাইলি। তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। ওদিকে আগামী সপ্তাহের নির্বাচনে নিজের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি নেতানিয়াহু। তাই তিনি ইহুদিদের সেন্টিমেন্টকে নাড়া দেয়ার জন্য এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বলেছেন, পশ্চিতীরজুড়ে ইহুদি বসতির বিস্তার ঘটাবেন। তবে দীর্ঘ প্রতিক্ষীত যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশের আগে ও প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পরামর্শ না করে এমন পদক্ষেপ নেয়া হবে না।
নিন্দার ঝড়
এই পদক্ষেপ নিয়ে যদি নেতানিয়াহু অগ্রসর হন তাহলে তাদের সঙ্গে যত চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে এবং যেসব বাধ্যবাধকতার কথা বলা হয়েছে তাদের তরফ থেকে, তার ইতি ঘটবে বলে মন্তব্য করেছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। আরো কড়া নিন্দা জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ সতায়ে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর এমন উদ্যোগকে তিনি শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য একটি প্রধান ধ্বংসাত্বক ইস্যু বলে আখ্যায়িত করেছেন। বলেছেন, ফিলিস্তিনি ভূখন্ড নেতানিয়াহুর নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হতে পারে না। আরব লীগের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা নেতানিয়াহুর পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়াকে সামনে এগিয়ে নেয়ার যেকোনো সুযোগকে এর মধ্য দিয়ে খর্ব করা হবে। অন্যদিকে ইসরাইলের এমন ঘোষণাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন ও ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে উত্তেজনার জন্য একটি অত্রন্ত ভয়াবহতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে সৌদি আরব। তারা এ বিষয়ে আলোচনা করতে ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছে।
No comments