৫৯ এলাকার পানি দূষিত: হাইকোর্টে ওয়াসার প্রতিবেদন
রাজধানী ঢাকার ৫৯টি এলাকার ওয়াসার পানি
বেশি দূষিত। ওয়াসার পক্ষ থেকে আদালতে উপস্থাপন করা প্রতিবেদনে এ তথ্য
জানানো হয়েছে। যদিও এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে ওয়াসা এমডি তাকসিম এ খান
ওয়াসার শতভাগ পানি সুপেয় দাবি করেন। এরপরই বিভিন্ন এলাকার পানি নিয়ে ওয়াসা
এমডিকে শরবত খাওয়ানোর অভিনব কর্মসূচি পালন করেন গ্রাহকরা।
গতকাল বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। এর আগে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান রাষ্ট্রপক্ষের কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেন। তাতে বলা হয়, গত তিন মাসে ঢাকার ২৯২টি অভিযোগের ভিত্তিতে ৫৯টি এলাকার ১০টি জোনের পানি বেশি দূষিত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু সাংবাদিকদের বলেন, ওয়াসার দেয়া প্রতিবেদন বৃহষ্পতিবার আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে ঢাকার ১০টি জোনে ৫৯ এলাকায় ওয়াসার পানি বেশি দূষিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। জোনগুলো হলো- ১ নম্বর জোন : যাত্রাবাড়ী, বাসাবো, মুগদা, রাজারবাগ, কুসুমবাগ, জুরাইন, মানিকনগর, মান্ডা, ধোলাইরপার ও মাতুয়াইল। ২ নম্বর জোন : বাঘলপুর, লালবাগ, বকশিবাজার ও শহীদনগর। ৩ নম্বর জোন: জিগাতলা, ধানমন্ডি, শুক্রাবাদ, কলাবাগান, ভূতেরগলি ও মোহাম্মদপুর। ৪ নম্বর জোন : শেওড়াপাড়া, পীরেরবাগ, মনিপুর, পাইকপাড়া, কাজীপাড়া ও মিরপুর। ৫ নম্বর জোন : মহাখালী ও তেজগাঁও। ৬ নম্বর জোন : সিদ্ধেশ্বরী, শাহজাহানপুর, খিলগাঁও, মগবাজার, নয়াটোলা, রামপুরা, মালিবাগ ও পরিবাগ। ৭ নম্বর জোন : কদমতলী, দনিয়া, শ্যামপুর, রসুলবাগ মেরাজনগর, পাটেরবাগ, শনির আখড়া, কোনাপাড়া ও মুসলিমনগর ৮ নম্বর জোন : বাড্ডা, আফতাবনগর, বসুন্ধরা ও ভাটারা। ৯ নম্বর জোন : উত্তরা, খিলক্ষেত, মোল্লারটেক ও রানাগোলা। ১০ নম্বর জোন : কাফরুল, কাজীপাড়া, মিরপুর, কচুক্ষেত ও পল্লবী।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত তিন মাসে ঢাকা ওয়াসার হটলাইন নম্বরে (১৬১৬২) প্রতিষ্ঠানটির অনিরাপদ পানির বিষয়ে ২৯২ টি অভিযোগ এসেছে। এদিকে ওয়াসার এমডির বক্তব্যে বিভ্রান্তি ও তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়- এমন উল্লেখ করে তিনি যেন গণমাধ্যমে কোন বক্তব্য না দেন সে বিষয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী তানভীর আহমেদ। গত ২০শে এপ্রিল ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান সাংবাদিকদের সামনে দাবি করেন ওয়াসার পানি শতভাগ সুপেয়। পরে তার এ বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনা, সমালোচনা শুরু হয়। আইনজীবী তানভীর আহমেদ বলেন, ওয়াসার এমডি দাবি করেছিলেন তাদের পানি শতভাগ বিশুদ্ধ। কিন্তু তাদের প্রতিবেদনেই জানানো হয়েছে ঢাকার ৫৯টি এলাকার পানি অনিরাপদ। তিনি বলেন, ওয়াসার এমডির বক্তব্যে বিভ্রান্তি ও তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এজন্য তিনি যাতে গণমাধ্যমে কোন বক্তব্য না দেন সে বিষয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছি। আদালত আবেদনটি নথিভূক্ত করে রেখেছেন।
এদিকে রাজধানী ঢাকায় ওয়াসার পানির ১ হাজার ৬৫টি নমুনা সংগ্রহ ও তা পরীক্ষা করতে ৭৫ লাখ ৬১ হাজার টাকা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, ঢাকা ওয়াসার বিভিন্ন এলাকার পানির ব্যাকটারোলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য ৫০ লাখ এবং ভৌত রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য ২৫ লাখসহ মোট ৭৫ লাখ ৬১ হাজার টাকা ব্যয় হবে। আদালত এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের (মাইক্রোবায়োলজি) চেয়ারম্যান ড. সাবিতা রেজওয়ানা রহমানকে মতামত দিতে বলেছে। আগামী ২১শে মে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে হাইকোর্টে এসে মতামত দিতে বলা হয়েছে।
গত বছরের ১১ই অক্টোবর বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে সাত কোটি মানুষ অপরিচ্ছন্ন এবং অনিরাপদ উৎসের পানি পান করছে এবং পানির নিরাপদ বিবেচিত উৎসগুলোর ৪১ শতাংশই ক্ষতিকারক ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়াযুক্ত। আর ১৩ শতাংশে রয়েছে আর্সেনিক। এরপর নিরাপদ পানির বিষয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ। গত বছরের ৬ই নভেম্বর হাইকোর্ট এক আদেশে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধিসহ ওয়াসার পানির মান পরীক্ষায় ৫ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে দেয়।
গতকাল বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। এর আগে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান রাষ্ট্রপক্ষের কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেন। তাতে বলা হয়, গত তিন মাসে ঢাকার ২৯২টি অভিযোগের ভিত্তিতে ৫৯টি এলাকার ১০টি জোনের পানি বেশি দূষিত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু সাংবাদিকদের বলেন, ওয়াসার দেয়া প্রতিবেদন বৃহষ্পতিবার আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে ঢাকার ১০টি জোনে ৫৯ এলাকায় ওয়াসার পানি বেশি দূষিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। জোনগুলো হলো- ১ নম্বর জোন : যাত্রাবাড়ী, বাসাবো, মুগদা, রাজারবাগ, কুসুমবাগ, জুরাইন, মানিকনগর, মান্ডা, ধোলাইরপার ও মাতুয়াইল। ২ নম্বর জোন : বাঘলপুর, লালবাগ, বকশিবাজার ও শহীদনগর। ৩ নম্বর জোন: জিগাতলা, ধানমন্ডি, শুক্রাবাদ, কলাবাগান, ভূতেরগলি ও মোহাম্মদপুর। ৪ নম্বর জোন : শেওড়াপাড়া, পীরেরবাগ, মনিপুর, পাইকপাড়া, কাজীপাড়া ও মিরপুর। ৫ নম্বর জোন : মহাখালী ও তেজগাঁও। ৬ নম্বর জোন : সিদ্ধেশ্বরী, শাহজাহানপুর, খিলগাঁও, মগবাজার, নয়াটোলা, রামপুরা, মালিবাগ ও পরিবাগ। ৭ নম্বর জোন : কদমতলী, দনিয়া, শ্যামপুর, রসুলবাগ মেরাজনগর, পাটেরবাগ, শনির আখড়া, কোনাপাড়া ও মুসলিমনগর ৮ নম্বর জোন : বাড্ডা, আফতাবনগর, বসুন্ধরা ও ভাটারা। ৯ নম্বর জোন : উত্তরা, খিলক্ষেত, মোল্লারটেক ও রানাগোলা। ১০ নম্বর জোন : কাফরুল, কাজীপাড়া, মিরপুর, কচুক্ষেত ও পল্লবী।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত তিন মাসে ঢাকা ওয়াসার হটলাইন নম্বরে (১৬১৬২) প্রতিষ্ঠানটির অনিরাপদ পানির বিষয়ে ২৯২ টি অভিযোগ এসেছে। এদিকে ওয়াসার এমডির বক্তব্যে বিভ্রান্তি ও তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়- এমন উল্লেখ করে তিনি যেন গণমাধ্যমে কোন বক্তব্য না দেন সে বিষয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী তানভীর আহমেদ। গত ২০শে এপ্রিল ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান সাংবাদিকদের সামনে দাবি করেন ওয়াসার পানি শতভাগ সুপেয়। পরে তার এ বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনা, সমালোচনা শুরু হয়। আইনজীবী তানভীর আহমেদ বলেন, ওয়াসার এমডি দাবি করেছিলেন তাদের পানি শতভাগ বিশুদ্ধ। কিন্তু তাদের প্রতিবেদনেই জানানো হয়েছে ঢাকার ৫৯টি এলাকার পানি অনিরাপদ। তিনি বলেন, ওয়াসার এমডির বক্তব্যে বিভ্রান্তি ও তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এজন্য তিনি যাতে গণমাধ্যমে কোন বক্তব্য না দেন সে বিষয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছি। আদালত আবেদনটি নথিভূক্ত করে রেখেছেন।
এদিকে রাজধানী ঢাকায় ওয়াসার পানির ১ হাজার ৬৫টি নমুনা সংগ্রহ ও তা পরীক্ষা করতে ৭৫ লাখ ৬১ হাজার টাকা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, ঢাকা ওয়াসার বিভিন্ন এলাকার পানির ব্যাকটারোলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য ৫০ লাখ এবং ভৌত রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য ২৫ লাখসহ মোট ৭৫ লাখ ৬১ হাজার টাকা ব্যয় হবে। আদালত এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের (মাইক্রোবায়োলজি) চেয়ারম্যান ড. সাবিতা রেজওয়ানা রহমানকে মতামত দিতে বলেছে। আগামী ২১শে মে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে হাইকোর্টে এসে মতামত দিতে বলা হয়েছে।
গত বছরের ১১ই অক্টোবর বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে সাত কোটি মানুষ অপরিচ্ছন্ন এবং অনিরাপদ উৎসের পানি পান করছে এবং পানির নিরাপদ বিবেচিত উৎসগুলোর ৪১ শতাংশই ক্ষতিকারক ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়াযুক্ত। আর ১৩ শতাংশে রয়েছে আর্সেনিক। এরপর নিরাপদ পানির বিষয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ। গত বছরের ৬ই নভেম্বর হাইকোর্ট এক আদেশে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধিসহ ওয়াসার পানির মান পরীক্ষায় ৫ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে দেয়।
No comments