বিরোধীদের একজোট করতে এবার মাঠে নামলেন সোনিয়া গান্ধী
ভারতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ শেষ দফা নির্বাচনের
আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, তারা তিন শতাধিক আসন পাচ্ছেন এবং মোদীই হচ্ছেন
প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বিরোধী দলগুলির মতে, বিজেপির দিন শেষ। দুশোর
কাছাকাছি আসনও বিজেপি পাবে না বলেই মমতার মতো নেত্রীরা মনে করছেন। তাই
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষায় ‘মোদী এক্সপায়ারি
প্রধানমন্ত্রী’। তবে মোদীর নেতৃত্বে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট এনডিএ যাতে
ক্ষমতা থেকে দূরে থাকে সেজন্য এবার সবাইকে নিয়ে বৈঠক করতে চলেছেন সংযুক্ত
প্রগতিশীল জোট ইউপিএ’র চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধী। কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা
গোলাম নবী আজাদ বৃহস্পতিবার পাটনায় সাংবাদিকদের কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছেন,
এনডিএকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখার লক্ষ্যে কংগ্রেস কাজ করে যাবে।
বিরোধীরা যদি কংগ্রেসকে প্রধানমন্ত্রীর পদ দিতে না চায় তাতেও কংগ্রেস আপত্তি জানাবে না। বরং ঐক্যমতের ভিত্তিতে গৃহীত সিদ্ধান্তের শরিক হবে কংগ্রেস। কয়েকদিন ধরে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও তেলেগু দেশম নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু ঘুরে ঘুরে ফল প্রকাশের আগেই সব বিরোধী দলকে নিয়ে বৈঠকের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। বৈঠকের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু কলকাতায় গিয়ে মমতার সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন। তার যুক্তি ছিল, বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হলেও রাষ্ট্রপতি যাতে বৃহত্তম বিরোধী জোটকেই ডাকেন, তার জন্য আগেভাগেই প্রস্তুতি সেরে রাখা দরকার। কিন্তু মমতা ও মায়াবতীর মতো নেত্রীরা ফল প্রকাশের আগে এই ধরণের বৈঠক ফলপ্রসূ হবে না বলে মত দিয়েছেন। অন্যদিকে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির প্রধান চন্দ্রশেখর রাও তার পুরনো ফেডারেল ফ্রন্ট তত্ত্বকে সামনে রেখে অবিজেপি এবং অকংগ্রেসি আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে জোট গঠনের আলোচনা শুরু করে প্রথমেই হোঁচট খেয়েছেন। কেরালার সিপিআইএম নেতা বিজয়ন এবং তামিলনাডুর ডিএমকে নেতা স্ট্যালিনের সঙ্গে বৈঠক করলেও কোন সদর্থক সাড়া পান নি। সবাই কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়েই চলার পক্ষপাতী। আসলে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলালে তেলেঙ্গানায় কংগ্রেসকে জমি ছেড়ে দেওয়ার আশঙ্কা থেকেই নিজের তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির সঙ্গে জগনমোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস, আসাদুদ্দিন ওয়াইসির এমআইএম-কে নিয়ে একটি জোট তৈরির চেষ্টা করছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য চন্দ্রশেখরের দল বলেছে, কংগ্রেস যদি বিরোধী জোটকে বাইরে থেকে সমর্থন দেয় তবে তা মেনে নেওয়া হবে।
তবে সবাই ফল প্রকাশের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। বিরোধীরা কতগুলি আসন পাবে তার উপর নির্ভর করছে সব কিছু। তবে বিরোধী দলের নেতাদের মতে, এনডিএ এবার সরকার গঠনের ম্যাজিক সংখ্যা ২৭২-এ পৌঁছাতে পারবে না। সেখানে বিরোধীদের জোটবদ্ধভাবেই রাষ্ট্রপতির কাছে যেতে হবে। সেই জোট বন্ধনের কাজটাই শুরু করে দিতে মাঠে নেমেছেন সোনিয়া গান্ধী। ইতিমধ্যেই ইউপিএ-সভানেত্রী হিসেবে সোনিয়া গান্ধী ২৩ মে লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরেই কে চন্দ্রশেখর রাও (কেসিআর), নবীন পট্টনায়ক, জগমোহন রেড্ডি-র মতো অ-কংগ্রেসি, অ-বিজেপি দলের নেতাদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এই দলগুলি এক সময় বিজেপির সঙ্গী ছিল প্রত্যক্ষ্য বা পরোক্ষভাবে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, সোনিয়ার হয়ে কংগ্রেসের শীর্ষনেতারা আঞ্চলিক দলগুলির নেতাদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছেন। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ নিজে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীনের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে মমতার মতোই নবীন, কেসিআর বা জগমোহন ওই বৈঠকে যোগ দেবেন কি না, তার সবটাই নির্ভর করছে ভোটের ফলের উপরে। এক প্রশ্নের উত্তরে কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্গভি বলেছেন, এই সব কথাবার্তা লোকসভা ভোটের সময় হবে না তো, কখন হবে ? কংগ্রেস কেন, সকলেই এই বিষয়ে কথাবার্তা বলছেন, আলোচনা করছেন। ভোটের ফলের পরে ২৪ ঘণ্টার একটা প্রক্রিয়া থাকে।
বিরোধীরা যদি কংগ্রেসকে প্রধানমন্ত্রীর পদ দিতে না চায় তাতেও কংগ্রেস আপত্তি জানাবে না। বরং ঐক্যমতের ভিত্তিতে গৃহীত সিদ্ধান্তের শরিক হবে কংগ্রেস। কয়েকদিন ধরে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও তেলেগু দেশম নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু ঘুরে ঘুরে ফল প্রকাশের আগেই সব বিরোধী দলকে নিয়ে বৈঠকের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। বৈঠকের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু কলকাতায় গিয়ে মমতার সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন। তার যুক্তি ছিল, বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হলেও রাষ্ট্রপতি যাতে বৃহত্তম বিরোধী জোটকেই ডাকেন, তার জন্য আগেভাগেই প্রস্তুতি সেরে রাখা দরকার। কিন্তু মমতা ও মায়াবতীর মতো নেত্রীরা ফল প্রকাশের আগে এই ধরণের বৈঠক ফলপ্রসূ হবে না বলে মত দিয়েছেন। অন্যদিকে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির প্রধান চন্দ্রশেখর রাও তার পুরনো ফেডারেল ফ্রন্ট তত্ত্বকে সামনে রেখে অবিজেপি এবং অকংগ্রেসি আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে জোট গঠনের আলোচনা শুরু করে প্রথমেই হোঁচট খেয়েছেন। কেরালার সিপিআইএম নেতা বিজয়ন এবং তামিলনাডুর ডিএমকে নেতা স্ট্যালিনের সঙ্গে বৈঠক করলেও কোন সদর্থক সাড়া পান নি। সবাই কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়েই চলার পক্ষপাতী। আসলে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলালে তেলেঙ্গানায় কংগ্রেসকে জমি ছেড়ে দেওয়ার আশঙ্কা থেকেই নিজের তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির সঙ্গে জগনমোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস, আসাদুদ্দিন ওয়াইসির এমআইএম-কে নিয়ে একটি জোট তৈরির চেষ্টা করছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য চন্দ্রশেখরের দল বলেছে, কংগ্রেস যদি বিরোধী জোটকে বাইরে থেকে সমর্থন দেয় তবে তা মেনে নেওয়া হবে।
তবে সবাই ফল প্রকাশের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। বিরোধীরা কতগুলি আসন পাবে তার উপর নির্ভর করছে সব কিছু। তবে বিরোধী দলের নেতাদের মতে, এনডিএ এবার সরকার গঠনের ম্যাজিক সংখ্যা ২৭২-এ পৌঁছাতে পারবে না। সেখানে বিরোধীদের জোটবদ্ধভাবেই রাষ্ট্রপতির কাছে যেতে হবে। সেই জোট বন্ধনের কাজটাই শুরু করে দিতে মাঠে নেমেছেন সোনিয়া গান্ধী। ইতিমধ্যেই ইউপিএ-সভানেত্রী হিসেবে সোনিয়া গান্ধী ২৩ মে লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরেই কে চন্দ্রশেখর রাও (কেসিআর), নবীন পট্টনায়ক, জগমোহন রেড্ডি-র মতো অ-কংগ্রেসি, অ-বিজেপি দলের নেতাদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এই দলগুলি এক সময় বিজেপির সঙ্গী ছিল প্রত্যক্ষ্য বা পরোক্ষভাবে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, সোনিয়ার হয়ে কংগ্রেসের শীর্ষনেতারা আঞ্চলিক দলগুলির নেতাদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছেন। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ নিজে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীনের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে মমতার মতোই নবীন, কেসিআর বা জগমোহন ওই বৈঠকে যোগ দেবেন কি না, তার সবটাই নির্ভর করছে ভোটের ফলের উপরে। এক প্রশ্নের উত্তরে কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্গভি বলেছেন, এই সব কথাবার্তা লোকসভা ভোটের সময় হবে না তো, কখন হবে ? কংগ্রেস কেন, সকলেই এই বিষয়ে কথাবার্তা বলছেন, আলোচনা করছেন। ভোটের ফলের পরে ২৪ ঘণ্টার একটা প্রক্রিয়া থাকে।
No comments