সেই শিশুটি এখন ছোটমণি নিবাসে: দত্তক নিতে চান অনেকে
ঢাকা
শিশু হাসপাতালের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হওয়া নবজাতক কন্যা শিশুকে গতকাল
দুপুরে আজিমপুর ‘ছোটমণি নিবাস’ কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। শিশু হাসপাতালের
ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, হাসপাতালে পাওয়া
শিশুটি সুস্থ রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালের কমন শৌচাগার থেকে সাত থেকে
আট দিন বয়সী এই নবজাতককে উদ্ধার করা হয়। কে বা কারা শিশুটিকে ফেলে রেখে
যায় তা বলতে পারছে না কেউ। তাকে সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের অধীনস্থ আজিমপুর
ছোটমনি নিবাস কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। তিনদিন ধরে শিশুটিকে হাসপাতালের
ওয়ার্ডমাস্টার রাসেল ও তার স্ত্রী লালন-পালন করেছেন। তাদের সেবা-যত্নে
শিশুটি সুস্থ। তারা বাচ্চাটি দত্তক নিতে চান। পাশাপাশি শিশুটির দায়িত্ব
নিতে সমাজের অনেকেই ছুটে এসেছেন। যেহেতু শিশুটি হস্তান্তরে আইনি প্রক্রিয়া
রয়েছে তাই আমাদের পক্ষে হস্তান্তর করা সম্ভব নয়। তাকে সমাজকল্যাণ
অধিদপ্তরের অধীনে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ইসরাত জাহান সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে শিশুটিকে ছোটমনি নিবাস কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এরপর একজন ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে পারিবারিক আদালত বসিয়ে কাকে দত্তক দেয়া হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। গত তিনদিনে বিভিন্ন মহল থেকে শিশুটিকে দত্তক নিতে শতাধিক মানুষ আবেদন করেছেন। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যোগ্য ব্যক্তির কাছে শিশুটিকে তুলে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
গতকাল দুপুরে শিশু হাসপাতালে সরেজমিনে দেখা যায়, তিনদিন আগে এ হাসপাতালের ওয়ার্ডমাস্টার রাসেল ও তার স্ত্রী পলি শিশু হাসপাতালের ৩০১নং কেবিন ভাড়া করে শিশুটির লালন-পালন করেছেন। এ দম্পতি শিশুটিকে স্থায়ীভাবে পেতে চান। পলি বলেন, বাচ্চাটির জন্য আমার এখন যে মায়া এবং ভালোবাসা জন্মেছে সেটা বলে বোঝাতে পারবো না। ওকে নেয়ার জন্য আমার স্বামী অনেক চেষ্টা করেছেন। গত ১৪ই মে শিশুটিকে খুঁজে পাওয়ার আধাঘণ্টা পর থেকেই ও আমার কাছে। এ পর্যন্ত ওর যাবতীয় খরচ আমরা চালিয়েছি। ওকে পাওয়ার জন্য এবং নেয়ার জন্য অনেক কষ্ট করেছি। হাসপাতাল থেকে পাঁচ মিনিটের দুরত্বে আমাদের বাসা। অথচ গত কয়দিন ধরে আমার স্বামী এবং আমি হাসপাতালে এক কাপড়েই আছি।
এ বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মুন্সি মানবজমিনকে বলেন, এর আগেও এভাবে বাচ্চা কুড়িয়ে পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এই নবজাতকের মতো এতোটা সারা ফেলেনি। শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়ার পর বুধবার রাত ২টা ৫১ মিনিটে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেই ‘মা, আমাকে নিয়ে যাও, তোমায় ছাড়া ঘুম আসে না আমার’। এরপর থেকে গত দুই দিনে দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় হাজারেরও বেশি ফোন কল পেয়েছি। কোনো এক মা বাচ্চাটিকে ফেলে গেলেও হাজার মা তার দায়িত্ব নিতে চেয়েছেন। একাধিক এমপি ফোন করে তাদের পরিচিত স্বজনদের বাচ্চাটি দত্তক দেয়ার বিষয়ে সুপারিশ করেছেন। বাংলাদেশের অনেক জেলা থেকে বাচ্চাটিকে দত্তক নেয়ার বিষয়ে ফোন পেয়েছি। আমেরিকা, লন্ডনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী বাঙ্গালীরা ফোন দিয়ে বাচ্চাটি নেয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে। গতকাল দুপুরে শিশুটিকে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত প্রতিষ্ঠান ‘ছোটমনি নিবাস’ আজিমপুরে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত টাঙ্গাইল, পুরান ঢাকা, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন আসছে দত্তক নেয়ার জন্য।
প্রকৃত বাবা মা’কে খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত আদালত যে ব্যক্তি বা পরিবারকে শিশুটির জিম্মাদার নির্ধারণ করবে তারাই তাকে পাবেন। তবে একটি অনুরোধ থাকবে যারাই দত্তক নিন না কেনো তারা যেন শিশুটিকে যথাযথভাবে লালন পালন করেন। তার প্রতি যেন কোনো অবহেলা না করা হয়। তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে হাসপাতালের ভিডিও ফুটেজ দেখে তার প্রকৃত অভিভাবকদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের সহযোগীতা আমাদের অনুসন্ধান কার্যক্রমকে আরো সহজ করে দিতে পারে।
গত মঙ্গলবার দুপুরে শিশু হাসপাতালের কমন বাথারুমে নবজাতককে পড়ে থাকতে দেখে এক রোগীর দর্শনার্থী হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টারকে বিষয়টি জানান। পরে নবজাতকটিকে দ্রুত উদ্ধার করে ওই হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়।
সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ইসরাত জাহান সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে শিশুটিকে ছোটমনি নিবাস কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এরপর একজন ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে পারিবারিক আদালত বসিয়ে কাকে দত্তক দেয়া হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। গত তিনদিনে বিভিন্ন মহল থেকে শিশুটিকে দত্তক নিতে শতাধিক মানুষ আবেদন করেছেন। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যোগ্য ব্যক্তির কাছে শিশুটিকে তুলে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
গতকাল দুপুরে শিশু হাসপাতালে সরেজমিনে দেখা যায়, তিনদিন আগে এ হাসপাতালের ওয়ার্ডমাস্টার রাসেল ও তার স্ত্রী পলি শিশু হাসপাতালের ৩০১নং কেবিন ভাড়া করে শিশুটির লালন-পালন করেছেন। এ দম্পতি শিশুটিকে স্থায়ীভাবে পেতে চান। পলি বলেন, বাচ্চাটির জন্য আমার এখন যে মায়া এবং ভালোবাসা জন্মেছে সেটা বলে বোঝাতে পারবো না। ওকে নেয়ার জন্য আমার স্বামী অনেক চেষ্টা করেছেন। গত ১৪ই মে শিশুটিকে খুঁজে পাওয়ার আধাঘণ্টা পর থেকেই ও আমার কাছে। এ পর্যন্ত ওর যাবতীয় খরচ আমরা চালিয়েছি। ওকে পাওয়ার জন্য এবং নেয়ার জন্য অনেক কষ্ট করেছি। হাসপাতাল থেকে পাঁচ মিনিটের দুরত্বে আমাদের বাসা। অথচ গত কয়দিন ধরে আমার স্বামী এবং আমি হাসপাতালে এক কাপড়েই আছি।
এ বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মুন্সি মানবজমিনকে বলেন, এর আগেও এভাবে বাচ্চা কুড়িয়ে পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এই নবজাতকের মতো এতোটা সারা ফেলেনি। শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়ার পর বুধবার রাত ২টা ৫১ মিনিটে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেই ‘মা, আমাকে নিয়ে যাও, তোমায় ছাড়া ঘুম আসে না আমার’। এরপর থেকে গত দুই দিনে দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় হাজারেরও বেশি ফোন কল পেয়েছি। কোনো এক মা বাচ্চাটিকে ফেলে গেলেও হাজার মা তার দায়িত্ব নিতে চেয়েছেন। একাধিক এমপি ফোন করে তাদের পরিচিত স্বজনদের বাচ্চাটি দত্তক দেয়ার বিষয়ে সুপারিশ করেছেন। বাংলাদেশের অনেক জেলা থেকে বাচ্চাটিকে দত্তক নেয়ার বিষয়ে ফোন পেয়েছি। আমেরিকা, লন্ডনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী বাঙ্গালীরা ফোন দিয়ে বাচ্চাটি নেয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে। গতকাল দুপুরে শিশুটিকে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত প্রতিষ্ঠান ‘ছোটমনি নিবাস’ আজিমপুরে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত টাঙ্গাইল, পুরান ঢাকা, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন আসছে দত্তক নেয়ার জন্য।
প্রকৃত বাবা মা’কে খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত আদালত যে ব্যক্তি বা পরিবারকে শিশুটির জিম্মাদার নির্ধারণ করবে তারাই তাকে পাবেন। তবে একটি অনুরোধ থাকবে যারাই দত্তক নিন না কেনো তারা যেন শিশুটিকে যথাযথভাবে লালন পালন করেন। তার প্রতি যেন কোনো অবহেলা না করা হয়। তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে হাসপাতালের ভিডিও ফুটেজ দেখে তার প্রকৃত অভিভাবকদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের সহযোগীতা আমাদের অনুসন্ধান কার্যক্রমকে আরো সহজ করে দিতে পারে।
গত মঙ্গলবার দুপুরে শিশু হাসপাতালের কমন বাথারুমে নবজাতককে পড়ে থাকতে দেখে এক রোগীর দর্শনার্থী হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টারকে বিষয়টি জানান। পরে নবজাতকটিকে দ্রুত উদ্ধার করে ওই হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়।
No comments