কিশোর গ্যাংয়ের টার্গেট মিস: খুন হয় রিকশাচালক!
গ্রেফতাররা হলেন, শিমুল দাশ (২০), তানভির হোসেন প্রকাশ সিফাত (১৮), মো. সুজন প্রকাশ মধু (১৮), মো. রাকিব হোসেন প্রকাশ শাহ রাকিব (১৮), মো. নুর নবী (১৮), মেহেদী হাসান রুবেল (১৮), ওসমান হায়দার কিরণ (১৮) ও সেলিনা আক্তার শেলী (৪৫)। |
খুন
করার কথা মফিজুর রহমানকে। কিন্তু টার্গেট মিস করায় কিশোর গ্যাংয়ের হাতে
খুন হলো রিকশাচালক রাজু। এমন তথ্য জানালেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের
অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে
মহানগর পুলিশের দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের এই
তথ্য জানান তিনি। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং থানার সোহেল
কলোনিতে সংঘটিত রিকশাচালক রাজু হত্যা মামলায় ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
যাদের সবাই মাদকসেবী ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। জিজ্ঞাসাবাদে তারা
পরিকল্পিতভাবে জনৈক মফিজুর রহমানকে হত্যা করতে গিয়ে ভুল করে রাজুকে হত্যা
করার কথা স্বীকার করে। এমনকি এই হত্যাকাণ্ডে সাত কিশোর সরাসরি অংশ নেয় বলে
জানায়।
এ ছাড়া এই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশ দাতা হিসেবে ছগির নামে এক মাদক ব্যবসায়ীর নাম উঠে আসে। ছগির হাজীপাড়া এলাকায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করতো। মাদকসেবী কিশোরদের গ্যাংয়ের মাধ্যমে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
মাদক বিক্রিতে ছগিরের সহযোগী হিসেবে কাজ করতো মফিজুর। গত ২৭শে এপ্রিল ডবলমুরিং থানাধীন হাজীপাড়ার একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে ইয়াবা ও অস্ত্রসহ ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় ছগির। গ্রেপ্তার হওয়ার পর ছগির তার সহযোগী মফিজুরকে সন্দেহ করে। এ কারণে মফিজুরকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় সে।
আর এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে শিমুল, শুক্কুরসহ চারজনকে জেল গেটে ডেকে নেয় ছগির। সেখানেই শিমুল শুক্কুরদের নির্দেশ দেয় মফিজুরকে হত্যা করতে। এ বিষয়ে দফায় দফায় কারাগারে গিয়ে ছগিরের সঙ্গে পরামর্শ করে তারা।
চূড়ান্ত পরিকল্পনাটি হয় ১৩ই মে সন্ধ্যায় ছগিরের বাসায়। সেখানে ছগিরের স্ত্রী সেলিনা আক্তার শেলী (৩০) ও ছেলে কিরণ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলাপ-আলোচনা করে। আলোচনা শেষে মা ও ছেলে মফিজকে মেরে ফেলার জন্য শুক্কুরকে ১ হাজার টাকাসহ কিরিজ, চাইনিজ কুড়াল ও ছুরি দেয়।
পরিকল্পনা অনুযায়ী মফিজকে হত্যা করতে ১৪ই মে ফজরের নামাজের পর তার ভাড়া ঘরে যায় শিমুল, শুক্কুর, রাকিব, সিফাত ও সুজন। এ সময় বাইরে থেকে পাহারা দেয়ার দায়িত্ব পরে নুরনবী ও রুবেলের ওপর। হত্যার সময় যাতে আশেপাশের ঘরগুলোর কেউ বাধা দিতে না পারে এজন্য পাশের সব ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেয় তারা। কিন্তু এ সময় তারা মফিজের ঘরে প্রবেশ করার পরিবর্তে ভুল করে তার পাশে রাজুর ঘরে প্রবেশ করে। অন্ধকারে রাজুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় তারা। পরে আশেপাশের লোকজন এসে রাজুকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজুর মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর আগে রাজু এই হামলায় ছগিরের ছেলেদের সমপৃক্ততার কথা বলে যায়। তার সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে এ খুনের সঙ্গে সমপৃক্ত ১০ জনের আট জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি, কিরিছ ও চাইনিজ কুড়ালও উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ই মে নগরীর হাজীপাড়া সোহেল কলোনির নিজ ঘরে খুন হয় রিকশাচালক রাজু। পরদিন সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাজুর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে পুলিশ। এরপর একদিনেই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো শিমুল দাশ (২০), তানভির হোসেন (১৮), মো. সুজন (১৮), মো. রাকিব হোসেন (১৮), মো. নূর নবী (১৮), মেহেদী হাসান রুবেল (১৮), ওসমান হায়দার কিরণ (১৮) ও সেলিনা আক্তার শেলী।
এ ছাড়া এই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশ দাতা হিসেবে ছগির নামে এক মাদক ব্যবসায়ীর নাম উঠে আসে। ছগির হাজীপাড়া এলাকায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করতো। মাদকসেবী কিশোরদের গ্যাংয়ের মাধ্যমে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
মাদক বিক্রিতে ছগিরের সহযোগী হিসেবে কাজ করতো মফিজুর। গত ২৭শে এপ্রিল ডবলমুরিং থানাধীন হাজীপাড়ার একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে ইয়াবা ও অস্ত্রসহ ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় ছগির। গ্রেপ্তার হওয়ার পর ছগির তার সহযোগী মফিজুরকে সন্দেহ করে। এ কারণে মফিজুরকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় সে।
আর এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে শিমুল, শুক্কুরসহ চারজনকে জেল গেটে ডেকে নেয় ছগির। সেখানেই শিমুল শুক্কুরদের নির্দেশ দেয় মফিজুরকে হত্যা করতে। এ বিষয়ে দফায় দফায় কারাগারে গিয়ে ছগিরের সঙ্গে পরামর্শ করে তারা।
চূড়ান্ত পরিকল্পনাটি হয় ১৩ই মে সন্ধ্যায় ছগিরের বাসায়। সেখানে ছগিরের স্ত্রী সেলিনা আক্তার শেলী (৩০) ও ছেলে কিরণ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলাপ-আলোচনা করে। আলোচনা শেষে মা ও ছেলে মফিজকে মেরে ফেলার জন্য শুক্কুরকে ১ হাজার টাকাসহ কিরিজ, চাইনিজ কুড়াল ও ছুরি দেয়।
পরিকল্পনা অনুযায়ী মফিজকে হত্যা করতে ১৪ই মে ফজরের নামাজের পর তার ভাড়া ঘরে যায় শিমুল, শুক্কুর, রাকিব, সিফাত ও সুজন। এ সময় বাইরে থেকে পাহারা দেয়ার দায়িত্ব পরে নুরনবী ও রুবেলের ওপর। হত্যার সময় যাতে আশেপাশের ঘরগুলোর কেউ বাধা দিতে না পারে এজন্য পাশের সব ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেয় তারা। কিন্তু এ সময় তারা মফিজের ঘরে প্রবেশ করার পরিবর্তে ভুল করে তার পাশে রাজুর ঘরে প্রবেশ করে। অন্ধকারে রাজুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় তারা। পরে আশেপাশের লোকজন এসে রাজুকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজুর মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর আগে রাজু এই হামলায় ছগিরের ছেলেদের সমপৃক্ততার কথা বলে যায়। তার সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে এ খুনের সঙ্গে সমপৃক্ত ১০ জনের আট জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি, কিরিছ ও চাইনিজ কুড়ালও উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ই মে নগরীর হাজীপাড়া সোহেল কলোনির নিজ ঘরে খুন হয় রিকশাচালক রাজু। পরদিন সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাজুর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে পুলিশ। এরপর একদিনেই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো শিমুল দাশ (২০), তানভির হোসেন (১৮), মো. সুজন (১৮), মো. রাকিব হোসেন (১৮), মো. নূর নবী (১৮), মেহেদী হাসান রুবেল (১৮), ওসমান হায়দার কিরণ (১৮) ও সেলিনা আক্তার শেলী।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শিমুল দাশ (২০), তানভির হোসেন প্রকাশ সিফাত (১৮), মো. সুজন প্রকাশ মধু (১৮), মো. রাকিব হোসেন প্রকাশ শাহ রাকিব (১৮), মো. নুর নবী (১৮), মেহেদী হাসান রুবেল (১৮), ওসমান হায়দার কিরণ (১৮) ও সেলিনা আক্তার শেলী (৪৫)। |
No comments