শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
আওয়ামী
লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৯তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
আজ। ১৯৮১ সালের এই দিনে ছয় বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশে ফিরেন বঙ্গবন্ধু
কন্যা শেখ হাসিনা। দেশে ফিরে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দেয়ার দায়িত্ব নেন
তিনি। এরপর থেকে টানা দলের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট
ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে
হত্যা করে ঘাতকের দল। বিদেশে থাকায় সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান দু’বোন শেখ
হাসিনা ও শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু
করে ঘাতকগোষ্ঠী। বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর
অমানিশার অন্ধকার। ঠিক এমনি ক্রান্তিলগ্নে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫, ও ১৬ই
ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ
হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ডাক আসে
দেশ-মাতৃকার মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়ার। তৎকালীন সামরিক শাসকদের
রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ই মে দেশে ফিরে আসেন শেখ
হাসিনা। সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত
পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়। প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি
উপেক্ষা করে লাখো মানুষের মিছিল দেশের মাটিতে স্বাগত জানায় শেখ হাসিনাকে।
কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখতে সেদিন সারা বাংলাদেশের মানুষের
গন্তব্য ছিল রাজধানী ঢাকা। নেতাকর্মীদের মুখে বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল
‘হাসিনা তোমায় কথা দিলাম-পিতৃ হত্যার বদলা নেব’। ‘শেখ হাসিনার আগমন,
শুভেচ্ছা স্বাগতম’।
লাখো মানুষের উষ্ণ অভ্যর্থনার জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আমি আওয়ামী লীগের নেত্রী হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসাবে, মেয়ে হিসাবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের কর্মী হিসাবে আপনাদের পাশে থাকতে চাই।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ বাণী দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ বিকাল তিনটায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলের পক্ষ থেকে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় দেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ আলোচনায় অংশ নেবেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসমুহের সকল স্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থক-শুভানুধ্যায়ী ও দেশের সকল স্তরের মানুষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি গতকাল এক বিবৃতিতে, দেশ ও জাতির কল্যাণে, গণতন্ত্রের উন্নয়নে ও আধুনিক উন্নত সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ায় অসামান্য অবদান রাখার জন্যে শেখ হাসিনার সুন্দর জীবন ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দেশব্যাপী দোয়া, মিলাদ মাহফিলসহ ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা, র্যালী ও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের আহবান জানান।
লাখো মানুষের উষ্ণ অভ্যর্থনার জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আমি আওয়ামী লীগের নেত্রী হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসাবে, মেয়ে হিসাবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের কর্মী হিসাবে আপনাদের পাশে থাকতে চাই।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ বাণী দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ বিকাল তিনটায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলের পক্ষ থেকে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় দেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ আলোচনায় অংশ নেবেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসমুহের সকল স্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থক-শুভানুধ্যায়ী ও দেশের সকল স্তরের মানুষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি গতকাল এক বিবৃতিতে, দেশ ও জাতির কল্যাণে, গণতন্ত্রের উন্নয়নে ও আধুনিক উন্নত সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ায় অসামান্য অবদান রাখার জন্যে শেখ হাসিনার সুন্দর জীবন ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দেশব্যাপী দোয়া, মিলাদ মাহফিলসহ ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা, র্যালী ও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের আহবান জানান।
No comments