প্রবীণদের মানবাধিকার রক্ষায় জামাকনের কমিটি by মহিউদ্দিন অদুল
দেশের
মানুষের গড় আয়ু বেড়ে এখন ৭২। অর্থাৎ দেশে বাড়ছে ষাটোর্ধ্ব প্রবীণের
সংখ্যা। কিন্তু সন্তানদের কাছে কিংবা পরিবারে ও সমাজে বহু প্রবীণের
মানবাধিকার রক্ষা হচ্ছে না। বরং প্রবীণদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের হার দিন দিন
বাড়ছে। বার্ধক্যজনিত অসুখ, অবহেলা ও নিঃসঙ্গতায় মানবিক বিপর্যয়ের শিকার
হচ্ছেন তারা। অন্যদিকে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের
উচ্চতা। এতে দেশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ও নদী ভাঙনে রাতারাতি উদ্বাস্তু
হচ্ছে মানুষ। রাতারাতি সব হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পথে বসছে নদী ও সমুদ্র
তীরবর্তী শত শত উপকূলীয় পরিবার। ক্রমেই প্রবীণ ও জলবায়ু উদ্বাস্তুদের
মানবিক বিপর্যয় বাড়ায় তাদের মানবাধিকার নিয়ে কাজ শুরু করেছে রাষ্ট্রীয়
‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন’ (জামাকন)। গঠিত হয়েছে দু’টি কমিটি। প্রবীণ অধিকার
বিষয়ক ও জলবায়ু পরিবর্তন, প্রকৃতি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিটি। এ
নিয়ে সংস্থাটির বিষয়ভিত্তিক কমিটির সংখ্যা দাঁড়ালো ১১ তে। প্রবীণ ও জলবায়ু
উদ্বাস্তুদের ক্রমবর্ধমান মানবিক বিপর্যয় রোধে গঠিত দু’কমিটি এরই মধ্যে
কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী
রিয়াজুল হক। সংস্থাটির মানবাধিকার কমিশন সদস্যদের নিয়ে গঠিত উভয় কমিটির
প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। প্রবীণদের মানবিক বিপর্যয় বাড়ছে
উল্লেখ করে তিনি বলেন, একদিকে আশার কথা হলো আমাদের দেশে শিশু মৃত্যুর হার
কমছে। এটা একটা বড় অর্জন। কারো বয়স ৬০ বছর হলেই আমরা তাকে প্রবীণ বলছি।
দেশে গড় আয়ু বেড়ে এখন ৭২। ফলে প্রবীণদের সংখ্যা বাড়ছে। ২০৫০ সালে প্রতি ৫
জনে একজন প্রবীণ হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু প্রবীণ নারী ও পুরুষ
সর্বস্ব ত্যাগ করে সন্তানদের মানুষ করলেও বহু পরিবারে এখন একা ও অবহেলিত
হয়ে পড়ছেন। অনেকে জীবন সঙ্গীকে হারাচ্ছেন। সন্তানরা যথাযথ মর্যাদা ও সেবা
দিচ্ছে না। ফলে প্রবীণদের অসহায়ত্ব বাড়ছে। দেশে পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন ও
জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা থাকলেও মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের ফলে ক্রমেই বাড়ছে
প্রবীণদের মানবিক বিপর্যয়। পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যেতে থাকায়
জামাকন প্রবীণদের অধিকার সুরক্ষার বিষয়টিতে গুরুত্বারোপ করেছে। প্রবীণ
অধিকার রক্ষায় একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
জামাকন কর্মকর্তারা বলেন, অন্যদিকে বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ায় দ্রুত জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে। বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্টের উচ্চতা। ডুবছে দেশের বিস্তীর্ণ উপকূল। বাস্তুভিটা হারাচ্ছে উপকূলীয় মানুষ। স্রোত ও ঢেউয়ে ভাঙছে প্রতিনিয়ত নদ-নদী ও সমুদ্র তীর। বন-জঙ্গল উজাড় হওয়ায় বাড়ছে পাহাড় ধস। ভাঙনে ঘুমের মধ্যে মানুষ খাট-পালং ও ঘরসহ নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে। ঘুমন্ত মানুষ চাপা পড়ছে ধসেপড়া পাহাড়ের মাটির নিচে। তৎক্ষণাৎ দুর্ঘটনায় ঘটছে মর্মান্তিক প্রাণহানি। একই সঙ্গে আহত হচ্ছে অনেকে। বরণ করতে হচ্ছে পঙ্গুত্ব। এভাবে একের পর এক রাতারাতি বাস্তুভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ। একেবারে পথে বসছে। অন্নসংস্থান, মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে নিঃস্ব পরিবারগুলো অমানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে। তাদের অনেকে একাধিকবার বাস্তুভিটা হারিয়ে উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে। দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাচ্ছে। অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু বাড়ছে কিন্তু রাষ্ট্রীয় এই মানবাধিকার সংস্থাটি গত বছরের প্রথমার্ধ পর্যন্ত এ বিষয়টির উপর তেমন নজর দেয়নি।
প্রবীণ ও জলবায়ু উদ্বাস্তুদের ক্রমবর্ধমান মানবাধিকার বিপর্যয় বাড়ায় গত বছরের জুলাই থেকে এ বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করেছে জামাকন। জুলাইতে এই রাষ্ট্রীয় মানবাধিকার কমিশনে ওই দু’বিষয়ে পৃথক কমিটি গঠিত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, প্রকৃতি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিটির প্রধান জামাকন চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক এই বিষয়ে বলেন, জলবায়ু বিপর্যয়, নদী ভাঙন ও পাহাড় ধসে মানুষের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু বাড়ছে। সেই সঙ্গে রাতারাতি সব হারিয়ে নিঃস্ব পরিবারগুলো নারী ও শিশু নিয়ে পথে বসছে। তাদের মানবাধিকার চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে দিন দিন উদ্বাস্তুদের সংখ্যা বাড়ছে। এই গত বছর থেকে এই বিষয় নিয়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে কাজ শুরু করেছে মানবাধিকার কমিশন।
মানবাধিকার কমিশন সূত্র জানায়, ২০১০ সালে এই রাষ্ট্রীয় সংবিধিবদ্ধ মানবাধিকার সংস্থাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৯টি বিষয় কমিটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে মানবাধিকার সুরক্ষায় কাজ করে আসছিল। এরই কমিটিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ক. অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক কিমিটি, খ. পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক কমিটি, গ. দলিত, হিজড়া ও অন্যান্য ক্ষুদ্র গোষ্ঠী, ঘ. ব্যবসা ও মানবাধিকার এবং কর্পোরেট স্যোসাল রেসপনসিবিলিটি, ঙ. অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা, চ. প্রতিবন্ধী ও অটিজম, ছ. ধর্মীয় ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং অনাগরিকদের অধিকার সুরক্ষা, জ. শিশু অধিকার, শিশুশ্রম ও মানবপাচার বিরোধী এবং অভিবাসী ইত্যাদি বিষয়ক কমিটি। এর সঙ্গে গতবছর প্রবীণ অধিকার বিষয়ক ও জলবায়ু পরিবর্তন, প্রকৃতি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিটি।
এ বিষয়ে জামাকনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারহানা সাঈদ বলেন, সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন ওই দু’ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রবণতা বাড়ায় তা কমিশনের নজরে আসে। এরপর নতুন কমিটি গঠন করে প্রবীণ ও জলবায়ু উদ্বাস্তুদের মানবাধিকার রক্ষায় কাজ শুরু করেছে কমিশন। তবে এ দু’বিষয়ে মানবাধিকার রক্ষার কার্যক্রম প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান তিনি।
জামাকন কর্মকর্তারা বলেন, অন্যদিকে বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ায় দ্রুত জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে। বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্টের উচ্চতা। ডুবছে দেশের বিস্তীর্ণ উপকূল। বাস্তুভিটা হারাচ্ছে উপকূলীয় মানুষ। স্রোত ও ঢেউয়ে ভাঙছে প্রতিনিয়ত নদ-নদী ও সমুদ্র তীর। বন-জঙ্গল উজাড় হওয়ায় বাড়ছে পাহাড় ধস। ভাঙনে ঘুমের মধ্যে মানুষ খাট-পালং ও ঘরসহ নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে। ঘুমন্ত মানুষ চাপা পড়ছে ধসেপড়া পাহাড়ের মাটির নিচে। তৎক্ষণাৎ দুর্ঘটনায় ঘটছে মর্মান্তিক প্রাণহানি। একই সঙ্গে আহত হচ্ছে অনেকে। বরণ করতে হচ্ছে পঙ্গুত্ব। এভাবে একের পর এক রাতারাতি বাস্তুভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ। একেবারে পথে বসছে। অন্নসংস্থান, মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে নিঃস্ব পরিবারগুলো অমানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে। তাদের অনেকে একাধিকবার বাস্তুভিটা হারিয়ে উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে। দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাচ্ছে। অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু বাড়ছে কিন্তু রাষ্ট্রীয় এই মানবাধিকার সংস্থাটি গত বছরের প্রথমার্ধ পর্যন্ত এ বিষয়টির উপর তেমন নজর দেয়নি।
প্রবীণ ও জলবায়ু উদ্বাস্তুদের ক্রমবর্ধমান মানবাধিকার বিপর্যয় বাড়ায় গত বছরের জুলাই থেকে এ বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করেছে জামাকন। জুলাইতে এই রাষ্ট্রীয় মানবাধিকার কমিশনে ওই দু’বিষয়ে পৃথক কমিটি গঠিত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, প্রকৃতি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিটির প্রধান জামাকন চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক এই বিষয়ে বলেন, জলবায়ু বিপর্যয়, নদী ভাঙন ও পাহাড় ধসে মানুষের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু বাড়ছে। সেই সঙ্গে রাতারাতি সব হারিয়ে নিঃস্ব পরিবারগুলো নারী ও শিশু নিয়ে পথে বসছে। তাদের মানবাধিকার চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে দিন দিন উদ্বাস্তুদের সংখ্যা বাড়ছে। এই গত বছর থেকে এই বিষয় নিয়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে কাজ শুরু করেছে মানবাধিকার কমিশন।
মানবাধিকার কমিশন সূত্র জানায়, ২০১০ সালে এই রাষ্ট্রীয় সংবিধিবদ্ধ মানবাধিকার সংস্থাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৯টি বিষয় কমিটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে মানবাধিকার সুরক্ষায় কাজ করে আসছিল। এরই কমিটিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ক. অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক কিমিটি, খ. পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক কমিটি, গ. দলিত, হিজড়া ও অন্যান্য ক্ষুদ্র গোষ্ঠী, ঘ. ব্যবসা ও মানবাধিকার এবং কর্পোরেট স্যোসাল রেসপনসিবিলিটি, ঙ. অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা, চ. প্রতিবন্ধী ও অটিজম, ছ. ধর্মীয় ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং অনাগরিকদের অধিকার সুরক্ষা, জ. শিশু অধিকার, শিশুশ্রম ও মানবপাচার বিরোধী এবং অভিবাসী ইত্যাদি বিষয়ক কমিটি। এর সঙ্গে গতবছর প্রবীণ অধিকার বিষয়ক ও জলবায়ু পরিবর্তন, প্রকৃতি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিটি।
এ বিষয়ে জামাকনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারহানা সাঈদ বলেন, সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন ওই দু’ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রবণতা বাড়ায় তা কমিশনের নজরে আসে। এরপর নতুন কমিটি গঠন করে প্রবীণ ও জলবায়ু উদ্বাস্তুদের মানবাধিকার রক্ষায় কাজ শুরু করেছে কমিশন। তবে এ দু’বিষয়ে মানবাধিকার রক্ষার কার্যক্রম প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান তিনি।
No comments