সময় মাত্র ৩৬৫ দিন by তেরেসা মে
২৯
শে মার্চ। রাত এগারটা থেকে শুরু। এ সময় থেকে এক বছরের মধ্যে ইউরোপীয়
ইউনিয়ন ছাড়তে হবে বৃটেনকে। এটা করতে পারলে আমরা প্রক্রিয়াটির শেষ বিন্দুতে
পৌঁছাতে পারবো, যা শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের গ্রীষ্মে। সেটা শুরু হয়েছিল
দেশে এ যাবতকালের মধ্যে সবচেয়ে বড় একক গণতান্ত্রিক ম্যান্ডেটের মাধ্যমে।
অবশ্যই এমন অনেকে আছেন যারা চাইছেন ভিন্ন কিছু। আমি জানি এখনও এমন অনেকে আছেন, যারা ওই গণভোটের ফল উল্টে গেলে বা তা অবজ্ঞা করা হলে খুশি হন।
কিন্তু আমি সারা দেশ ঘুরেছি। ওয়েস্টমিনস্টার থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। তাতে দ্রুততার সঙ্গে একটি বিষয় অত্যন্ত পরিষ্কার হয়ে গেছে। হতে পারে তারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে অথবা বিপক্ষে। বেশির ভাগ মানুষই গণভোটের পর এ নিয়ে বিভক্তিমুলক সেই পুরনো কথা শুনতে শুনতে ক্লান্ত। তাই তারা চাইছেন ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া যাতে সফল হয় সে লক্ষ্যে আমাদেরকে কাজ করতে।
তাদের এমন ভাবনা যথার্থ। কারণ, বৃটেনের মানুষ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। আর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমার কাজ হলো তার বাস্তবায়ন করা।
এ জন্যই আর্টিকেল ৫০ সক্রিয় করার পর গত ১২ মাসে আমার সরকার বৃটেনের পক্ষে ব্রেক্সিট সম্পাদনে কাজ করে যাচ্ছে। এ নিয়ে বৃটেন ও ব্রাসেলসের মধ্যে অসীম সময় পর্যন্ত সমঝোতা চলছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর দেশ কিভাবে চলবে তা নির্ধারণ করতে বা কর্মপরিকল্পনা করতে হোয়াইটহল জুড়ে হাজার হাজার সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী কাজ করছেন।
আমি ইউরোপজুড়ে সফর করেছি। সামনের পথ কি হওয়া উচিত তা নিয়ে আমি জাতীয় পর্যায়ের ও ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। মন্ত্রীপরিষদের সদস্যরা তাদের নিজ নিজ এলাকার দায়িত্ব নিয়েছেন। এই বিপুল কর্মযজ্ঞ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। কিভাবে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে সে বিষয়ে সাম্প্রতিক চুক্তির বিষয়ে দেখুন।
কেউ বলেছেন, এমন সমঝোতা বা ঐকমত্য হবে এক অসম্ভাব্য কাজ। কিন্তু আমরা সেটা করে ফেলেছি। বৃটেনের পক্ষে যায় এমন ব্যবস্থা পাকা করেছি। এটাকে গত সপ্তাহে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের কাউন্সিলের নেতারা উষ্ণ স্বাগত জানিয়েছেন। বাস্তবায়নকালীন সময়ের চুক্তিতে দেখা যায় যে, আমরা যখন একত্রিত একটি জাতি হিসেবে আবির্ভূত হবো এবং আমাদের ভবিষ্যত কি হবে তা অর্জন করা যাবে।
ভবিষ্যতে আমার উচ্চাকাঙ্খী লক্ষ্য আছে। ভবিষ্যতে আমরা বন্ধু ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশীদারদের সঙ্গে অবাধ বাণিজ্য করবো। এর মধ্য দিয়ে আমরা অগ্রগতি করবো, যেটা কয়েক বছর করে আসছি।
অনেকে যেমনটা পূর্বাভাষ করেছিলেন তার চেয়ে শক্তিশালী উপায়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে অর্থনীতি। ঘাটতি কমে গেছে তিন-চতুর্থাংশ। কর্মসংস্থানের রেকর্ড উচ্চ।
শুধু অর্থনৈতিক সফলতাকে নিশ্চিত করারই ব্রেক্সিটের লক্ষ্য নয়। একই সঙ্গে আমাদের দেশকে আরো সমৃদ্ধ ও নিরাপদ করা আমাদের লক্ষ্য। আগামী বছর ২৯ শে মার্চ রাত এগারটায় শুক্রবারে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবে বৃটেন। এ জন্য আমি বৃটেনের চারটি দেশেই সফর করেছি। ব্যবসায় ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা এখন ব্রেক্সিট সম্পাদন করতে পারি। আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে, আমরা ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ত্যাগ করবোই। এবং তা হবে আগামী এক বছরের মধ্যে। আর তার মধ্য দিয়ে আমাদের বন্ধন হবে একক। কারণ, বৃটেন হলো বিশ্বের সবচেয়ে সফল একটি ইউনিয়ন। তাই বৃটেনকে বেরিয়ে আসার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য আর সময় আছে মাত্র ৩৬৫ দিন। এর মধ্যেই আমরা আমাদের সন্তান, তাদের সন্তানদের কাছে হস্তান্তর করে যাবো লিগ্যাসি।
আমরা যদি আমাদের মতপার্থক্য ভুলে সবাই এক লক্ষ্যে অগ্রসর হই তাহলে এমন একটি ব্রেক্সিট উপহার দিতে পারবো, যা প্রতিটি মানুষের কল্যাণে আসবে। এটাই দেশবাসীর চাওয়া। আর এটাই আমরা তাদেরকে দিতে চাই।
(অনলাইন ডেইলি মেইলে প্রকাশিত লেখার অনুবাদ)
অবশ্যই এমন অনেকে আছেন যারা চাইছেন ভিন্ন কিছু। আমি জানি এখনও এমন অনেকে আছেন, যারা ওই গণভোটের ফল উল্টে গেলে বা তা অবজ্ঞা করা হলে খুশি হন।
কিন্তু আমি সারা দেশ ঘুরেছি। ওয়েস্টমিনস্টার থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। তাতে দ্রুততার সঙ্গে একটি বিষয় অত্যন্ত পরিষ্কার হয়ে গেছে। হতে পারে তারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে অথবা বিপক্ষে। বেশির ভাগ মানুষই গণভোটের পর এ নিয়ে বিভক্তিমুলক সেই পুরনো কথা শুনতে শুনতে ক্লান্ত। তাই তারা চাইছেন ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া যাতে সফল হয় সে লক্ষ্যে আমাদেরকে কাজ করতে।
তাদের এমন ভাবনা যথার্থ। কারণ, বৃটেনের মানুষ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। আর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমার কাজ হলো তার বাস্তবায়ন করা।
এ জন্যই আর্টিকেল ৫০ সক্রিয় করার পর গত ১২ মাসে আমার সরকার বৃটেনের পক্ষে ব্রেক্সিট সম্পাদনে কাজ করে যাচ্ছে। এ নিয়ে বৃটেন ও ব্রাসেলসের মধ্যে অসীম সময় পর্যন্ত সমঝোতা চলছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর দেশ কিভাবে চলবে তা নির্ধারণ করতে বা কর্মপরিকল্পনা করতে হোয়াইটহল জুড়ে হাজার হাজার সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী কাজ করছেন।
আমি ইউরোপজুড়ে সফর করেছি। সামনের পথ কি হওয়া উচিত তা নিয়ে আমি জাতীয় পর্যায়ের ও ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। মন্ত্রীপরিষদের সদস্যরা তাদের নিজ নিজ এলাকার দায়িত্ব নিয়েছেন। এই বিপুল কর্মযজ্ঞ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। কিভাবে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে সে বিষয়ে সাম্প্রতিক চুক্তির বিষয়ে দেখুন।
কেউ বলেছেন, এমন সমঝোতা বা ঐকমত্য হবে এক অসম্ভাব্য কাজ। কিন্তু আমরা সেটা করে ফেলেছি। বৃটেনের পক্ষে যায় এমন ব্যবস্থা পাকা করেছি। এটাকে গত সপ্তাহে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের কাউন্সিলের নেতারা উষ্ণ স্বাগত জানিয়েছেন। বাস্তবায়নকালীন সময়ের চুক্তিতে দেখা যায় যে, আমরা যখন একত্রিত একটি জাতি হিসেবে আবির্ভূত হবো এবং আমাদের ভবিষ্যত কি হবে তা অর্জন করা যাবে।
ভবিষ্যতে আমার উচ্চাকাঙ্খী লক্ষ্য আছে। ভবিষ্যতে আমরা বন্ধু ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশীদারদের সঙ্গে অবাধ বাণিজ্য করবো। এর মধ্য দিয়ে আমরা অগ্রগতি করবো, যেটা কয়েক বছর করে আসছি।
অনেকে যেমনটা পূর্বাভাষ করেছিলেন তার চেয়ে শক্তিশালী উপায়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে অর্থনীতি। ঘাটতি কমে গেছে তিন-চতুর্থাংশ। কর্মসংস্থানের রেকর্ড উচ্চ।
শুধু অর্থনৈতিক সফলতাকে নিশ্চিত করারই ব্রেক্সিটের লক্ষ্য নয়। একই সঙ্গে আমাদের দেশকে আরো সমৃদ্ধ ও নিরাপদ করা আমাদের লক্ষ্য। আগামী বছর ২৯ শে মার্চ রাত এগারটায় শুক্রবারে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবে বৃটেন। এ জন্য আমি বৃটেনের চারটি দেশেই সফর করেছি। ব্যবসায় ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা এখন ব্রেক্সিট সম্পাদন করতে পারি। আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে, আমরা ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ত্যাগ করবোই। এবং তা হবে আগামী এক বছরের মধ্যে। আর তার মধ্য দিয়ে আমাদের বন্ধন হবে একক। কারণ, বৃটেন হলো বিশ্বের সবচেয়ে সফল একটি ইউনিয়ন। তাই বৃটেনকে বেরিয়ে আসার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য আর সময় আছে মাত্র ৩৬৫ দিন। এর মধ্যেই আমরা আমাদের সন্তান, তাদের সন্তানদের কাছে হস্তান্তর করে যাবো লিগ্যাসি।
আমরা যদি আমাদের মতপার্থক্য ভুলে সবাই এক লক্ষ্যে অগ্রসর হই তাহলে এমন একটি ব্রেক্সিট উপহার দিতে পারবো, যা প্রতিটি মানুষের কল্যাণে আসবে। এটাই দেশবাসীর চাওয়া। আর এটাই আমরা তাদেরকে দিতে চাই।
(অনলাইন ডেইলি মেইলে প্রকাশিত লেখার অনুবাদ)
No comments