মন্ত্রী-সচিবের স্বাক্ষর জাল করে তদবির, তদন্তে সিআইডি by রুদ্র মিজান
টাকার
বিনিময়ে মন্ত্রী, এমপি, সচিবের মাধ্যমে তদবির করা হয়। একদম লিখিত সুপারিশ।
সফলও হয়েছেন অবৈধ ‘সেবা’ গ্রহীতারা। কারণ প্রভাশালী মন্ত্রীদের সুপারিশ
সহজে এড়িয়ে যাওয়া দুষ্কর। মন্ত্রীদের লাগামহীন সুপারিশে বিব্রত হয়েছেন কেউ
কেউ। বাধ্য হয়ে লিখিতভাবে বিষয়টি জানান ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। তারপরই
শুরু হয় হইচই। সুপারিশের স্বাক্ষর, সিল জাল। অন্তত চার মন্ত্রীসহ ১০ এমপির
স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। স্বাক্ষর জাল করে বিদেশে প্রশিক্ষণ, বদলিসহ নানা
সুযোগ নিচ্ছিল তারা। বিষয়টি ধরা পড়ার পর শুরু হয় বিভাগীয় তদন্ত। বরখাস্ত
করা হয় অবৈধ সেবা গ্রহণকারীদের। মামলাও হয় আদালতে। মামলার তদন্ত করছে
পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)। সিআইডি’র তদন্ত এবং
বিভাগীয় তদন্তে মিলেছে অভিযোগের সত্যতা। একে একে বেরিয়ে আসছে এতে জড়িত
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নাম। মন্ত্রী, এমপি সচিবদের নাম ভাঙ্গিয়ে
যারা তদবির করে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সেবা
পরিদপ্তরের কয়েক কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন নজরদারিতে। ইতিমধ্যে এই
অপরাধ ছাড়াও তাদের নানা অপকর্ম উঠে এসেছে তদন্তে। কিন্তু অবাক করার বিষয়
হচ্ছে, এত কিছুর পরও জাল স্বাক্ষর ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা
নেয়া হয়নি। বরং ঘটনা জানার পর তারা বরখাস্ত হলেও মামলা তদন্তাধীন
থাকাবস্থাতেই চাকরি ফিরে পেয়েছেন। এই রহস্যের মূলে রয়েছে বিপুল অঙ্কের
উৎকোচ। আড়ালে থেকে কাজ করছেন অসাধু কর্মকর্তারা। সূত্রে জানা গেছে,
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, নার্সিং কাউন্সিল ও সেবা পরিদপ্তরের একশ্রেণির
কর্মকর্তার সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে সিন্ডিকেট। বদলি, পদোন্নতি, বিদেশে
প্রশিক্ষণে পাঠানোর কাজ করে এই সিন্ডিকেট। বিনিময়ে হাতিয়ে নেয় জনপ্রতি
লাখ-লাখ টাকা। সিন্ডিকেটটি দীর্ঘদিন থেকে মন্ত্রী, এমপি ও সচিবের স্বাক্ষর
জাল করে নানা ধরনের সুপারিশ-তদবির করে যাচ্ছে। প্রভাবশালী মন্ত্রী, এমপি ও
সচিবের সুপারিশ থাকায় সহজেই কাজ হাসিল করে নেয় এই চক্র। অসংখ্য চাকরিজীবী
বদলি করিয়েছে চক্রটি। চক্রের কর্মকর্তারা সরাসরি প্রার্থীর কাছ থেকে উৎকোচ
নেন না। উৎকোচ নেয়া হয় নিম্নপদস্থদের মাধ্যমে। কর্মকর্তারা থাকেন ধরাছোঁয়ার
বাইরে। এরকম অন্তত ১০-১২ জনের নাম এসেছে তদন্ত সংশ্লিষ্টদের কাছে। চারজন
প্রভাবশালী মন্ত্রী, একজন সাবেক প্রতিমন্ত্রী, প্রভাবশালী ক’জন সংসদ সদস্য,
একজন সচিব ও একজন অতিরিক্ত সচিব। নকল প্যাড ও সিল ব্যবহার করে অবাধে
সুপারিশ করেছে বিভিন্ন স্থানে। সূত্রমতে, চাকরি-বদলি-পদোন্নতি প্রার্থীদের
কাছে থেকে মন্ত্রী, এমপিদের নাম ভাঙ্গিয়ে আদায় করেছে বিপুল টাকা।
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৬ সালের শেষ দিকে হলেও সম্প্রতি আড়ালে থাকা হোতাদের সন্ধান পাওয়া গেছে। সূত্রমতে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন সেবা পরিদপ্তরের আওতায় জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচিভুক্ত নার্সিং এডুকেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস প্রোগ্রামের অপারেশনাল প্লানের সংস্থান অনুযায়ী সরকারি ব্যবস্থাপনায় নার্সিং কর্মকর্তাদের স্পেশালাইজড প্রশিক্ষণের আবেদন যাচাই করতে গিয়ে বিষয়টি ধরা পড়ে। যদিও তার আগেও এরকম সুপারিশ নিয়ে বিব্রত ছিলেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। নার্সিং কর্মকর্তাদের স্পেশালাইজড প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন হাসপাতাল-স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও নার্সিং প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নার্সিং কর্মকর্তাদের নিকট থেকে দরখাস্ত আহ্বানের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে বিপুল দরখাস্ত আসে। সেইসঙ্গে সুপারিশ। যাচাই করতে গিয়ে টনক নড়ে সংশ্লিষ্টদের। অন্তত ১৭ জনের আবেদনে ভুয়া সুপারিশ পাওয়া গেছে। ২০১৬ সালের ১৭ই আগস্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সেবা পরিদপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) নাছিমা পারভীন বাদী হয়ে এ বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। ওইদিনই বরখাস্ত করা হয় জাল স্বাক্ষর ব্যবহারকারীদের।
থানা পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন হয়ে মামলা আসে সিআইডিতে। তদন্তে দীর্ঘদিন তেমন কোনো অগগ্রতি না হলেও সম্প্রতি বেরিয়ে আসছে থলের বিড়াল।
জাল স্বাক্ষরের বিষয়টি ধরা পড়ার বিষয়ে আরো জানা গেছে, সেবা পরিদপ্তরের এক আদেশে ফয়জুন্নেসাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। দায়িত্ব পেতে ‘সুপারিশ’ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও ফজলুল করিম সেলিম এমপি। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ সাহা এতে অবাক হন। আদেশটি জনস্বার্থবিরোধী জানিয়ে চিঠি পাঠান সেবা পরিদপ্তরে। ফয়জুন্নেসা সফল হননি। তারপর একই আদেশ আসে, এবার প্রার্থী মনোয়ারা আনসার। তার আগে একই আদেশ আসে শ্রিপা রানীর ক্ষেত্রে। আদেশে নার্সিং ইন্সটিটিউটের ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে প্রেষণাদেশ দেয়া হয়। এবারও বাধ্য হয়ে আদেশ জনস্বার্থবিরোধী জানিয়ে পত্র দেন ডা. শ্যামল কৃষ্ণ সাহা। তারপর থেকেই সুপারিশের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এর আগে আরেক মন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্স আঞ্জুয়ারা পারভিন মিডওয়াইফ নার্স হিসেবে বদলি হয়েছেন রাজবাড়ীর বালিয়াকন্দিতে। তার আগে সরকারি খরচে এক মাসের প্রশিক্ষণ নেন শ্রীলঙ্কায়। মিডওয়াইফ প্রশিক্ষণ নেন ঢাকায়। সবই জাল সুপারিশে। বিভাগীয় তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে বরখাস্ত করা হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জোসনা আরা খাতুন, জেবুন্নেসা খাতুন, মেরি মার্গারেট প্রভাতি সেরাও, ধরিত্রী রানী ঘোষ, রজবুনেসা খাতুন, মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম, সদরুল ইসলাম, এসএম আসাদুল ইসলাম, খাইরুল ইসলাম ও পবা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তৌহিদুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ইনস্টিটিউটের শামসুন নাহার, পাবনা নার্সিং ইনস্টিটিউটের শাহেদা পারভিন, চাঁদপুরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আবু ইউসুফ, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রুবিয়া আক্তারসহ জড়িতদের।
বিভাগীয় তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলেও তারা রয়েছেন বহাল তবিয়তে। যদিও অভিযুক্তরা দাবি করেছেন কে বা কারা তাদের পক্ষে জাল সুপারিশ করেছেন তারা তা জানেন না। কিন্তু সিআইডির তদন্তে প্রকাশ পেয়েছে, টাকার বিনিময়ে এই তদবির করিয়েছেন তারা। জাল সুপারিশ করেছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে গড়ে উঠা একটি সিন্ডিকেট।
এ বিষয়ে সিআইডি’র অর্গানাইজড (হোমিসাইডাল স্কোয়াড) এর উপ-পুলিশ পরিদর্শক নিউটন কুমার দত্ত বলেন, সুবিধাভোগীরা মন্ত্রী, এমপি, সচিবদের স্বাক্ষর জাল করে অপরাধ করেছেন। তাদের সঙ্গে একটি চক্রের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। চক্রটি মন্ত্রী, এমপিদের নাম ভাঙ্গিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই নানা ধরনের অপকর্ম করে যাচ্ছে। আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়েছি। তথ্যগুলো যাচাই করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৬ সালের শেষ দিকে হলেও সম্প্রতি আড়ালে থাকা হোতাদের সন্ধান পাওয়া গেছে। সূত্রমতে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন সেবা পরিদপ্তরের আওতায় জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচিভুক্ত নার্সিং এডুকেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস প্রোগ্রামের অপারেশনাল প্লানের সংস্থান অনুযায়ী সরকারি ব্যবস্থাপনায় নার্সিং কর্মকর্তাদের স্পেশালাইজড প্রশিক্ষণের আবেদন যাচাই করতে গিয়ে বিষয়টি ধরা পড়ে। যদিও তার আগেও এরকম সুপারিশ নিয়ে বিব্রত ছিলেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। নার্সিং কর্মকর্তাদের স্পেশালাইজড প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন হাসপাতাল-স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও নার্সিং প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নার্সিং কর্মকর্তাদের নিকট থেকে দরখাস্ত আহ্বানের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে বিপুল দরখাস্ত আসে। সেইসঙ্গে সুপারিশ। যাচাই করতে গিয়ে টনক নড়ে সংশ্লিষ্টদের। অন্তত ১৭ জনের আবেদনে ভুয়া সুপারিশ পাওয়া গেছে। ২০১৬ সালের ১৭ই আগস্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সেবা পরিদপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) নাছিমা পারভীন বাদী হয়ে এ বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। ওইদিনই বরখাস্ত করা হয় জাল স্বাক্ষর ব্যবহারকারীদের।
থানা পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন হয়ে মামলা আসে সিআইডিতে। তদন্তে দীর্ঘদিন তেমন কোনো অগগ্রতি না হলেও সম্প্রতি বেরিয়ে আসছে থলের বিড়াল।
জাল স্বাক্ষরের বিষয়টি ধরা পড়ার বিষয়ে আরো জানা গেছে, সেবা পরিদপ্তরের এক আদেশে ফয়জুন্নেসাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। দায়িত্ব পেতে ‘সুপারিশ’ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও ফজলুল করিম সেলিম এমপি। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ সাহা এতে অবাক হন। আদেশটি জনস্বার্থবিরোধী জানিয়ে চিঠি পাঠান সেবা পরিদপ্তরে। ফয়জুন্নেসা সফল হননি। তারপর একই আদেশ আসে, এবার প্রার্থী মনোয়ারা আনসার। তার আগে একই আদেশ আসে শ্রিপা রানীর ক্ষেত্রে। আদেশে নার্সিং ইন্সটিটিউটের ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে প্রেষণাদেশ দেয়া হয়। এবারও বাধ্য হয়ে আদেশ জনস্বার্থবিরোধী জানিয়ে পত্র দেন ডা. শ্যামল কৃষ্ণ সাহা। তারপর থেকেই সুপারিশের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এর আগে আরেক মন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্স আঞ্জুয়ারা পারভিন মিডওয়াইফ নার্স হিসেবে বদলি হয়েছেন রাজবাড়ীর বালিয়াকন্দিতে। তার আগে সরকারি খরচে এক মাসের প্রশিক্ষণ নেন শ্রীলঙ্কায়। মিডওয়াইফ প্রশিক্ষণ নেন ঢাকায়। সবই জাল সুপারিশে। বিভাগীয় তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে বরখাস্ত করা হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জোসনা আরা খাতুন, জেবুন্নেসা খাতুন, মেরি মার্গারেট প্রভাতি সেরাও, ধরিত্রী রানী ঘোষ, রজবুনেসা খাতুন, মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম, সদরুল ইসলাম, এসএম আসাদুল ইসলাম, খাইরুল ইসলাম ও পবা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তৌহিদুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ইনস্টিটিউটের শামসুন নাহার, পাবনা নার্সিং ইনস্টিটিউটের শাহেদা পারভিন, চাঁদপুরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আবু ইউসুফ, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রুবিয়া আক্তারসহ জড়িতদের।
বিভাগীয় তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলেও তারা রয়েছেন বহাল তবিয়তে। যদিও অভিযুক্তরা দাবি করেছেন কে বা কারা তাদের পক্ষে জাল সুপারিশ করেছেন তারা তা জানেন না। কিন্তু সিআইডির তদন্তে প্রকাশ পেয়েছে, টাকার বিনিময়ে এই তদবির করিয়েছেন তারা। জাল সুপারিশ করেছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে গড়ে উঠা একটি সিন্ডিকেট।
এ বিষয়ে সিআইডি’র অর্গানাইজড (হোমিসাইডাল স্কোয়াড) এর উপ-পুলিশ পরিদর্শক নিউটন কুমার দত্ত বলেন, সুবিধাভোগীরা মন্ত্রী, এমপি, সচিবদের স্বাক্ষর জাল করে অপরাধ করেছেন। তাদের সঙ্গে একটি চক্রের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। চক্রটি মন্ত্রী, এমপিদের নাম ভাঙ্গিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই নানা ধরনের অপকর্ম করে যাচ্ছে। আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়েছি। তথ্যগুলো যাচাই করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
No comments