মন্টি-দয়াসোনা অপহরণকারীদের গ্রেফতার ও তাদের সুস্থ অবস্থায় উদ্ধারের দাবি
পার্বত্য চট্টগ্রামে নিপীড়ন বিরোধী নারী-যুব-ছাত্র সংগঠনসমূহ |
পার্বত্য
চট্টগ্রামের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী মন্টি চাকমা এবং দয়াসোনা
চাকমাকে সুস্থ্য অবস্থায় উদ্ধারের দাবী জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে
নিপীড়ন বিরোধী নারী-যুব-ছাত্র সংগঠন সমুহ।
গত ১৮ মার্চ হিল উইমেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক মন্টি চাকমা এবং রাঙ্গামাটি জেলা সাধারন সম্পাদক দয়াসোনাকে “রাষ্ট্রীয় মদদ পুষ্ট সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা” অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় বলে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন নেত্রীবৃন্দ।
এ ঘটনায় সেদিন সকাল ৯টায় রাঙ্গামাটিতে কুতুবছড়ি আবাসিক এলাকায় ছাত্রদের একটি মেসে সন্ত্রাসীরা প্রথমে গুলি চালায় এবং অন্ততঃ দুজনকে আহত করে। তারা ছাত্রদের মেসে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং মন্টি চাকমা এবং দয়াসোনা চাকমাকে আস্ত্রের মুখে মারতে মারতে হাটভর্তি লোকদের সামনে থেকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন ঘটনার কয়েক মিনিট আগে ঘটনাস্থলের পাশে খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি সড়কে দুটি জীপ নিয়ে সেনা সদস্যদের টহল দিতে দেখেছে। এ অবস্থায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা কিভাবে এ ঘটনা ঘটিয়ে নিরাপদে পালিয়ে যেতে পারল তা নিয়ে সকলের মনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, কুতুবছড়ি সেনা ক্যাম্প ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার-এর মধ্যে অবস্থিত হলেও সেখানে পুলিশ ও সেনা সদস্যদের পৌঁছাতে সময় নিয়েছে তিন ঘন্টার বেশী। এর ফলে জনমনে সন্দেহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর প্রতি।
নেতৃবৃন্দ আরো অভিযোগ করেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে “অঘোষিত সেনা শাসন” চলছে। সেখানে সাধারন মানুষের উপর দমন-নীপিড়ন জারি রয়েছে। জনগন যাতে এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে না পারে সে জন্য ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চলছে। সেখানে প্রতিরোধ আন্দোলন দমন করতেই রাজনৈতিক হত্যা, গুম, অপহরণ, ধর্ষন সহ নানা ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে।
অপহরকৃত দুই নারী নেত্রীকে উদ্ধার, অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার, অপরাধ সমুহের বিচার এবং গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করা সহ পার্বত্য আঞ্চল থেক “অঘোষিত সেনা শাসন” প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে নিপীড়ন বিরোধী নারী-যুব-ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
তাদের দাবীর সমর্থনে ২ এপ্রিল ঢাকায় মশাল মিছিল এবং ৬ এপ্রিল ঢাকায় নাগরিক প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হিল উইমেন ফেডারেশনের সভাপতি নিরুপা চাকমা, নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সভাপতি রওশন আরা রুশো, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোর্তাজা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ইমরান হাবিব রুমন প্রমুখ।
গত ১৮ মার্চ হিল উইমেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক মন্টি চাকমা এবং রাঙ্গামাটি জেলা সাধারন সম্পাদক দয়াসোনাকে “রাষ্ট্রীয় মদদ পুষ্ট সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা” অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় বলে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন নেত্রীবৃন্দ।
এ ঘটনায় সেদিন সকাল ৯টায় রাঙ্গামাটিতে কুতুবছড়ি আবাসিক এলাকায় ছাত্রদের একটি মেসে সন্ত্রাসীরা প্রথমে গুলি চালায় এবং অন্ততঃ দুজনকে আহত করে। তারা ছাত্রদের মেসে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং মন্টি চাকমা এবং দয়াসোনা চাকমাকে আস্ত্রের মুখে মারতে মারতে হাটভর্তি লোকদের সামনে থেকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন ঘটনার কয়েক মিনিট আগে ঘটনাস্থলের পাশে খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি সড়কে দুটি জীপ নিয়ে সেনা সদস্যদের টহল দিতে দেখেছে। এ অবস্থায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা কিভাবে এ ঘটনা ঘটিয়ে নিরাপদে পালিয়ে যেতে পারল তা নিয়ে সকলের মনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, কুতুবছড়ি সেনা ক্যাম্প ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার-এর মধ্যে অবস্থিত হলেও সেখানে পুলিশ ও সেনা সদস্যদের পৌঁছাতে সময় নিয়েছে তিন ঘন্টার বেশী। এর ফলে জনমনে সন্দেহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর প্রতি।
নেতৃবৃন্দ আরো অভিযোগ করেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে “অঘোষিত সেনা শাসন” চলছে। সেখানে সাধারন মানুষের উপর দমন-নীপিড়ন জারি রয়েছে। জনগন যাতে এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে না পারে সে জন্য ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চলছে। সেখানে প্রতিরোধ আন্দোলন দমন করতেই রাজনৈতিক হত্যা, গুম, অপহরণ, ধর্ষন সহ নানা ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে।
অপহরকৃত দুই নারী নেত্রীকে উদ্ধার, অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার, অপরাধ সমুহের বিচার এবং গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করা সহ পার্বত্য আঞ্চল থেক “অঘোষিত সেনা শাসন” প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে নিপীড়ন বিরোধী নারী-যুব-ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
তাদের দাবীর সমর্থনে ২ এপ্রিল ঢাকায় মশাল মিছিল এবং ৬ এপ্রিল ঢাকায় নাগরিক প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হিল উইমেন ফেডারেশনের সভাপতি নিরুপা চাকমা, নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সভাপতি রওশন আরা রুশো, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোর্তাজা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ইমরান হাবিব রুমন প্রমুখ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন নাঈমা খালেদ মনিকা, সভাপতি সমাজতান্ত্রিক ফ্রন্ট (মার্কসবাদী) |
No comments